Skip to content

 

অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? সাধারণ অনুসর্গ ও ক্রিয়াজাত অনুসর্গ (উদাহরণ সহ)

অনুসর্গ কাকে বলে? অনুসর্গকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? সাধারণ অনুসর্গ ও . ক্রিয়াজাত অনুসর্গ (উদাহরণ সহ)

অনুসর্গ কাকে বলে?

যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে, সেসব শব্দকে অনুসর্গ বলে।
যেমন-
সে কাজ ছাড়া কিছুই বোঝে না। – এই বাক্যে ‘ছাড়া’ একটি অনুসর্গ।
কোন পর্যন্ত পড়েছ? – এই বাক্যে ‘পর্যন্ত’ একটি অনুসর্গ।

কয়েকটি অনুসর্গের উদাহরণ:
অপেক্ষা, অবধি, অভিমুখে, আগে, উপরে, করে, কর্তৃক, কাছে, কারণে, ছাড়া, জন্য, তরে, থেকে, দরুন, দিকে, দিয়ে, দ্বারা, ধরে, নাগাদ, নিচে, পর্যন্ত, পানে, পাশে, পিছনে, প্রতি, বদলে,বনাম, বরাবর, বাইরে, বাদে, বাবদ, বিনা, ব্যতীত, ভিতরে, মতো, মধ্যে, মাঝে, লেগে, সঙ্গে, সম্মুখে, সাথে, সামনে, হতে ইত্যাদি।

যেসব শব্দের পরে অনুসর্গ বসে, সেসব শব্দের সঙ্গে ‘কে’ ‘র’, ‘- ইত্যাদি বিভক্তিও যুক্ত হতে পারে।
যেমন-
তোমাকে দিয়ে এ কাজ সম্ভব।
সে পরীক্ষার জন্য পড়ছে।

অনুসর্গকে কয় ভাগ ভাগ করা যায়?

অনুসর্গকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়: সাধারণ অনুসর্গ ও ক্রিয়াজাত অনুসর্গ।

১. সাধারণ অনুসর্গ

যেসব অনুসর্গ ক্রিয়া ছাড়া অন্য শব্দ থেকে তৈরি হয়, সেগুলোকে সাধারণ অনুসর্গ বলে।

যেমন-

উপরে: মাথার উপরে নীল আকাশ।

কাছে: কার কাছে গেলে জানা যাবে?

জন্যে: হারানো ঘড়িটার জন্য অনেক কেঁদেছি।

দ্বারা: এমন কাজ তোমার দ্বারা হবে না।

বনাম: আজ বাংলাদেশ বনাম ভারতের খেলা।

২. ক্রিয়াজাত অনুসর্গ

যেসব অনুসর্গ ক্রিয়াপদ থেকে তৈরি হয়েছে, সেগুলোকে ক্রিয়াজাত অনুসর্গ বলে।

যেমন-

করে: ভালো করে খেয়ে নাও।

থেকে: ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে পদ্মা নদী পার হতে হয়।

দিয়ে: মন দিয়ে লেখাপড়া করা দরকার।

ধরে: বহুদিন ধরে অপেক্ষা করে আছি।

বলে: সে সঙ্গে যাবে বলে তৈরি হয়ে এসেছে।

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!