Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল

অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল

বিষয়: অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল।
হ্যাশট্যাগ: #অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল।

অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল এ যা যা করণীয়

* স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয়ে যায় বা এমন আশংকা দেখা দেয় কিংবা স্বামীর আনুগত্যের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করে, তাহলে সে স্ত্রীকে সংশোধনের জন্য স্বামীকে যথাক্রমে পাঁচটি উপায় বলে দেয়া হয়েছে :

১. প্রথম পর্যায়ে ধৈর্য ধারণ করবে।

২. তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে, উপদেশ দিয়ে সংশোধনের চেষ্টা করবে।

৩. তাতেও কাজ না হলে তৃতীয় পর্যায়ে স্ত্রীকে সতর্ক করার জন্য স্ত্রী থেকে ভিন্ন বিছানায় শয়ন করবে বা এক বিছানায় থেকেও ভিন্ন দিকে পাশ ফিরিয়ে শুয়ে থাকবে। এই ভদ্র জনোচিত শাস্তির পরও যদি সে দুষ্কর্ম থেকে এবং অবাধ্যতা থেকে ফিরে না আসে তাহলে চতুর্থ পর্যায়ে-

৪. তাকে সাধারণ ভাবে হালকা মারধর করার অনুমতি রয়েছে অর্থাৎ, এমন মারধর, যাতে তার শরীরে মারধরের প্রতিক্রিয়া বা জখম না হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পরবর্তী পরিচ্ছেদ দেখুন।

৫. উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করার পরও যদি স্ত্রী মানতে আরম্ভ না করে এবং মনোমালিন্য ও বিবাদ দীর্ঘায়িত হয়ে যায়-চাই তা স্ত্রীর স্বভাবের জটিলতা বা অবাধ্যতার কারণে হোক বা পুরুষের অহেতুক কড়াকড়ির কারণে হোক- তাহলে পঞ্চম পর্যায়ে সরকার বা উভয় পক্ষের মুরব্বী, অভিভাবক কিংবা মুসলমানদের কোন শক্তিশালী সংস্থা তাদের (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে আপোষ করে দেয়ার জন্য দু’জন সালিস নির্ধারণ করে দিবেন-

একজন পুরুষের পরিবার থেকে আর একজন স্ত্রীর পরিবার থেকে। তারা যদি আন্তরিকতার সাথে সৎ নিয়তে উভয়ের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি ও সমস্যার সমাধান করতে আগ্রহী হয়ে কাজ করেন, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তাদের কাজে সহায়তা দান করবেন এবং স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সদ্ভাব সৃষ্টি করে দিবেন। 

স্ত্রীকে শাসন করার পদ্ধতি ও মাসায়েল

* হাদীছের বর্ণনা অনুযায়ী নারীগণ বক্র স্বভাবের হয়ে থাকে। তাদেরকে একেবারে ছেড়ে দিলে বক্রই থেকে যাবে, আবার অতিরিক্ত কড়া শাসন পূর্বক সম্পূর্ণ সোজা করতে চাইলে ভেঙ্গে যাবে। তাই নারীদেরকে শাসনও করতে হবে এবং শাসনের ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে হবে। তাদেরকে সংশোধনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, তবে পূর্ণ সংশোধন হবে- এমন আশা রাখা যায় না।

* স্ত্রী অবাধ্য হলে বা যথাযথ আনুগত্য না করলে তাকে সংশোধনের জন্য পূর্বের পরিচ্ছেদে বর্ণিত ধারায় পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থাৎ, প্রথমে তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এবং উপদেশ দিয়ে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। এ উদ্যোগ ব্যর্থ হলে বিছানায় তাকে ত্যাগ করতে হবে। এ পন্থায়ও সংশোধন না হলে তারপর তাকে কিছুটা হালকা মারধর করেও সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। অনেক মুফাসসিরের মতে এ তিনটি পন্থার মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ, বুঝানো এবং উপদেশ প্রদানের পূর্বেই বিছানায় ত্যাগ করা জায়েয নয় বা বুঝানো ও বিছানায় ত্যাগ করার পন্থাদ্বয় গ্রহণ না করে প্রথমেই মারধর করে সংশোধন করতে যাওয়া বৈধ নয়।

* স্ত্রীকে মারধর করার ব্যাপারে যে অনুমতি দেয়া হয়েছে সে ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে- এ মারধর অর্থ নির্যাতন করা নয়, তাকে কষ্ট দেয়া নয়, তাকে লাঞ্ছিত করা নয় বরং তার আৱমর্যাদায় আঘাত দিয়ে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। এ জন্যেই ফোকাহায়ে কেরাম শর্ত করেছেন, শরীরে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়-এমন ভাবে মারা যাবে না, চেহারায় মারা যাবে না, কোন কোন মুফাসসির বলেছেনঃ এক স্থানে একাধিক বার আঘাত করা যাবে না এবং কোন কোন মুফাসসির বলেছেনঃ মারবে রুমাল বা কাপড় পেঁচিয়ে তা দ্বারা বা মেসওয়াক দ্বারা। তদুপরি এই যতটুকু মারধর করার অনুমতি দেয়া হয়েছে তাও সব ক্ষেত্রে নয় বরং ফোকাহায়ে কেরাম বলেছেনঃ সাধারণ ভাবে চার কারণে মারা যেতে পারে।

(এক) স্বামী যৌন চাহিদা পূরণ করতে আহবান করার পরও স্ত্রী যদি অমান্য করে।

(দুই) শরী—আত সম্মত ওজর ছাড়া স্বামীর বিনা অনুমতিতে বাড়ি থেকে বের হলে।

(তিন) স্বামীর বলা সত্ত্বেও যদি স্ত্রী সাজসজ্জা ও রূপচর্চা না করে।

(চার) শরী’আতের ফরয কর্ম পরিত্যাগ করলে; যেমন নামায না পড়লে, ফরয গোসল না করলে ইত্যাদি।

* সর্বপরি কথা হল- মারধর করাটার অনুমতি রয়েছে বটে, কিন্তু সেটা পছন্দনীয় পন্থা নয়। হযরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ পর্যায়ের শাস্তি দানকে পছন্দ করেননি বরং তিনি বলেছেন, ভাল লোক এমন করে না।

* স্ত্রীকে শাসন ও সংশোধন করার জন্য বকাঝকা করা, গালমন্দ করা বা মারধর করার ক্ষেত্রে অনেকেই রাগের বশে আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বাড়াবাড়ি করে ফেলেন। যার ফলে একদিকে শাসনের ফায়দা নষ্ট হয়ে যায়, আবার পরে নিজের বাড়াবাড়ির জন্য নিজেকেই লজ্জিত হতে হয়। এর থেকে বাঁচার উপায় হল।

(এক) ঠিক রাগের মুহূর্তে কিছুই বলবে না বা কিছুই করবে না।

(দুই) কি কি শব্দ বলে তাকে গালমন্দ করতে হবে কিংবা কিভাবে কোন স্থানে কতটুকু প্রহার করবে তা আগে চিন্তা করে স্থির করে নিবে।

(তিন) গালমন্দ বা প্রহার করার পূর্বে চিন্তা করে নিবে যে, পরে আবার তার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে কত কিছু করা হবে, তখন যেন শরম পেতে না হয়।

এ তিনটি পন্থা গ্রহণ করলে শাসনের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হব ইনশাআল্লাহ।

* স্ত্রীকে শাসনের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে স্বামী শাসক আর স্ত্রী শাসিত নয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শাসক শাসিতের সম্পর্ক নয় বরং তাদের মধ্যে সম্পর্কটা হল ভালবাসার সম্পর্ক, প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক। অতএব কোন শাসনই যেন ভালবাসার চেতনা বাদ দিয়ে নিছক রাগ ও ক্ষোভ চরিতার্থ করার জন্য না হয়।

স্ত্রীর প্রতি স্বামী রাগান্বিত হলে, স্ত্রীর যা যা করণীয়

কোন কারণে স্বামী যদি স্ত্রীর প্রতি রাগান্বিত হয়ে যায় তখন স্বামীর রাগকে প্রশমিত করার জন্য এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য স্ত্রীর চারটা কাজ করণীয়। যথা :

১. স্ত্রীকে মনে করতে হবে যে, সে স্বামীর অধীনস্থ ও স্বামীর কর্তৃত্বাধীন এবং এই অধীনস্থ ও কর্তৃত্বাধীন থাকার মধ্যেই সাংসারিক ও পারিবারিক কল্যাণ এবং শৃংখলা নিহিত। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ীও এরকমই হওয়া বাঞ্ছনীয়। অতএব স্বামীর রাগ সময়িক ভাবে তাকে সহ্য করে নিতে হবে, তার পক্ষেও উল্টা রাগ হওয়াটা সমীচীন হবে না।

২. স্বামী যদি রাগান্বিত হয় আর প্রকৃত পক্ষে স্ত্রীর কোন অন্যায় নাও থাকে, তবুও সেই মুহূর্তে স্ত্রীর চুপ থাকা বাঞ্ছণীয়-স্বামীর সাথে তর্ক জুড়ে দেয়া ঠিক নয়। তর্ক শুরু করলে স্বামীর রাগ আরও বেড়ে যেতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত কোন অঘটন ঘটে যেতে পারে; যেমন মারধরের দিকে যেতে পারে বা খোদা নাখাস্তা তালাকের দিকেও যেতে পারে। রাগের মুহূর্তেই এসব ঘটে থাকে। অতএব রাগ বৃদ্ধি না করে তা প্রশমিত করা উচিত। স্ত্রীর যদি কোন অন্যায় না থাকে আর সে স্বামীর অন্যায় রাগের মুহূর্তেও চুপ থাকে, কথা কাটাকাটি না করে, তাহলে পরে স্বামীর যখন রাগ ঠাণ্ডা হবে তখন সে নিজের অন্যায় রাগের জন্য অনুতপ্ত হবে এবং স্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ হবে, তার অনুগত হয়ে পড়বে আর ভবিষ্যতে রাগ করতে গেলেও ভেবে চিন্তে রাগ করবে।

৩. স্বামীর রাগের পেছনে স্ত্রীর অন্যায় থাকুক বা না থাকুক স্ত্রীর উচিত খোশামোদ তোশামোদ করে হলেও স্বামীর রাগ ভাঙ্গানো। স্ত্রীর যদি অন্যায় থাকে তাহলে তো তার জিদ ধরা চরম অন্যায় হবে বরং সে মুহূর্তে তার ক্ষমা চেয়ে নেয়া উচিত। যদি তার অন্যায় নাও থাকে, তবুও সে জিদ ধরলে হয়তবা স্বামীকে নত করা সম্ভব হবে না। তাহলে তার সামান্য জিদের কারণে পরিণতি খারাপ হয়ে পড়তে পারে। স্ত্রীর একথা মনে করা উচিত নয় যে, আমার অন্যায় নেই, অতএব খোশামোদ করতে যাওয়া আমার জন্য অপমানজনক বরং এই খোশামোদের ফলে স্বামীকে স্বাভাবিক করতে পারলে পরে স্বামীর হুশ ফিরে আসার পর সে উক্ত স্ত্রীর প্রতি মুগ্ধ এবং তার অনুগত হয়ে যাবে। এভাবেই তার মান বেড়ে যাবে।

৪. চুপ থেকে, তর্ক না করে, খোশামোদ-তোশামোদ করেও যদি স্বামীর রাগ ভাঙ্গানো না যায়, তাহলে নির্জনে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে তার কাছে সত্যিকার অবস্থা তুলে ধরবে এবং নিজের অন্যায় থাকলে ক্ষমা চেয়ে নিবে। ইনশাআল্লাহ স্বামীর রাগ প্রশমিত হবে।

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর রাগ এলে, স্বামীর যা যা করণীয়

কোন দোষ-ত্রুটির কারণে স্ত্রীর প্রতি রাগ এসে গেলে তখন স্বামীর করণীয় হলঃ

১. স্বামীর চিন্তা করা উচিত যে, প্রাকৃতিক নিয়মে এবং আইনগত ভাবে স্ত্রী তার কর্তৃত্বাধীন ও অধীনস্থ হলেও সেও স্ত্রীর ভালবাসা ও খেদমতের ঋণে তার কাছে দায়বদ্ধ। এ হিসেবে সেও স্ত্রীর অনুগ্রহের অধীন। স্ত্রীর প্রতি তার অনুগ্রহ থাকলে তার প্রতিও স্ত্রীর অনুগ্রহ রয়েছে। স্ত্রীর যেমন স্বামীকে প্রয়োজন, স্বামীরও স্ত্রীকে প্রয়োজন, উভয়েই উভয়ের কাছে ঠেকা। অতএব একতরফা ভাবে কর্তৃত্ব সুলভ মনোভাব নিয়ে কথায় কথায় স্ত্রীর প্রতি রাগ করা তার পক্ষে ঠিক নয়।

২. স্বামীর সব সময়ই স্ত্রীর অসহায়ত্ব এবং তার জন্য স্ত্রীর আপনজন ছেড়ে চলে আসার কথা স্মরণ রাখা দরকার, তাহলে স্ত্রীর প্রতি রাগ নয় বরং সহানুভূতি জাগ্রত হবে এবং রাগের মুহূর্তে এটা স্মরণ করলে রাগ প্রশমিত হবে।

৩. কোন একটা দোষের কারণে রাগ এসে গেলে তার অন্য অনেক গুণ রয়েছে সেগুলো স্মরণ করে তার প্রতি প্রীত হওয়ার চেতনা জাগ্রত করবে।

৪. উপরোক্ত পন্থায় রাগ প্রশমিত না হলে রাগ দমন করার স্বাভাবিক যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে তার উপর আমল করবে।

স্ত্রীর কোন কিছু অপছন্দ লাগলে তার প্রতিকার

দোষ-গুণে মানুষ। প্রত্যেকের মধ্যেই কিছু না কিছু দোষ থাকে, আবার তার অনেক গুণও থাকে। স্ত্রীর মধ্যেও এমন কিছু পরিলক্ষিত হতে পারে যা স্বামীর কাছে অপছন্দ লাগবে। যদি স্ত্রীর মধ্যে এমন কিছু পরিলক্ষিত হয় যা স্বামীর কাছে অপছন্দ লাগে এবং তার কারণে স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করতে মনে চায় বা তাকে ছেড়ে দিতে মনে চায় কিংবা তার প্রতি ভালবাসা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা বোধ হয়, সে মুহূর্তে তার প্রতিকারের জন্য স্বামীকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো চিন্তায় আনতে হবে-

১. তার অন্যান্য গুণাবলীর কথা চিন্তা করা এবং এভাবে তার প্রতি মুগ্ধ হওয়ার চেষ্টা করা।

২. এই চিন্তা করা যে, এ সব দোষ দেখেও যদি ছবর করা হয়, তাহলে ছওয়াব হবে এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। অতএব আল্লাহ আমাকে এ স্ত্রী দান করে আমার প্রতি অনুগ্রহই করেছেন- আমার ছওয়াব লাভ ও মর্যাদা বৃদ্ধির সুযোগ করে দিয়েছেন।

৩. নিজের কিছু দোষ-ত্রুটির কথা স্মরণ করে ভাববে যে, আমার এসব দোষ-ত্রুটি সত্ত্বেও তো স্ত্রী আমাকে ভালবেসে যাচ্ছে, সে ছবর করে যাচ্ছে, তাহলে আমি কেন তার দোষ-ত্রুটি দেখে ছবর করতে পারব না, আমি কেন এসব সত্ত্বেও তাকে ভালবাসতে পারব না?

৪. একান্ত তাকে ছেড়ে দিতে মনে চাইলে এই চিন্তা করবে যে, আমি তাকে ছেড়ে দিলে সে অন্য কোন মুসলমান ভাইয়ের ঘরে যাবে এবং তার কষ্টের কারণ হবে। অতএব তাকে রেখে দিলে অন্য ভাইকে কষ্ট পাওয়া থেকে রক্ষা করার ছওয়াব পাওয়া যাবে। অন্যথায় অন্য আর এক ভাইকে কষ্ট দেয়ার জন্য আমিও দায়ী হয়ে যাই কি না?

৫. স্ত্রীর এমন কোন কিছুর কারণে যদি তাকে অপছন্দ লাগে, যা তার এখতিয়ার বহির্ভূত; যেমন স্বামী ছেলে কামনা করে অথচ স্ত্রীর গর্ভে শুধু কন্যাই জন্ম নেয় বা তার সন্তানই হয় না। কিংবা স্ত্রীর একের পর এক রোগ-ব্যাধি লেগে থাকে ইত্যাদি, আর এ কারণে যদি স্ত্রীকে স্বামীর অপছন্দ লাগে, তাহলে স্বামীর ভেবে দেখতে হবে যে, এ অপছন্দ লাগার জন্য স্ত্রী দায়ী নয়, এতে স্ত্রীর কোন দোষ নেই। এ ক্ষেত্রে রাগ করা হলে এ রাগ মূলতঃ তাকদীরের উপর এবং আল্লাহ্র ফায়সালার উপর গিয়ে পড়ে, যা মারাৱক অন্যায়। তাকদীরের উপর সন্তুষ্টি এবং তাকদীরের উপর যথার্থ বিশ্বাস স্থাপন করার মাধ্যমেই এরকম অপছন্দ লাগাকে দূর করা সম্ভব।

৬. এই চিন্তা করবে যে, আমরা আল্লাহ্র কত নাফরমানী করি, আল্লাহর অপছন্দ লাগার কত কাজ করি, তারপরও আল্লাহ আমাদের সাথে করুণার আচরণ করেন। আল্লাহ্র এ চরিত্রে চরিত্রবান হয়ে আমারও উচিত করুণার আচরণ করা।

স্বামীর কোন কিছু অপছন্দ লাগলে তার প্রতিকার

স্ত্রীর কোন কিছু অপছন্দ লাগলে তার প্রতিকারের জন্য স্বামীকে যে সব বিষয় চিন্তা করে দেখতে হবে- যা পূর্বের পরিচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে, তদ্রূপ স্বামীর কোন কিছু অপছন্দ লাগলে মন থেকে সে অপছন্দ লাগাকে দূর করার জন্য স্ত্রীকেও সে বিষয়গুলো চিন্তা করতে হবে। পূর্ববর্তী পরিচ্ছেদ দেখে নিন।

সমাপ্ত: অবাধ্য স্ত্রীকে বাধ্য করার আমল।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!