Skip to content

 

অভিযোগঃ কুরআনের “রচয়িতা” নিজেই জানেন না মানুষ কীসের তৈরি। তিনি এক এক জায়গায় এক এক উপাদান লিখেছেন। তাহলে কুরআন কীভাবে ত্রুটিমুক্ত হল? কীভাবে আল্লাহ্‌র বাণী হল?

অভিযোগঃ কুরআনের "রচয়িতা" নিজেই জানেন না মানুষ কীসের তৈরি। তিনি এক এক জায়গায় এক এক উপাদান লিখেছেন। তাহলে কুরআন কীভাবে ত্রুটিমুক্ত হল? কীভাবে আল্লাহ্‌র বাণী হল?

একটি ভ্রান্ত অভিযোগ ও তার উত্তর :-

🛑অভিযোগঃ কুরআনের “রচয়িতা” নিজেই জানেন না মানুষ কীসের তৈরি। তিনি এক এক জায়গায় এক এক উপাদান লিখেছেন। তাহলে কুরআন কীভাবে ত্রুটিমুক্ত হল? কীভাবে আল্লাহ্‌র বাণী হল?

বিস্তারিত অভিযোগ-

কুরআন মানুষের সৃষ্টি উপাদান নিয়ে অনেক কথা বলছে। পরস্পর বিরোধী। কোনটা ঠিক?

১) “পানি”
তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে। (২৫:৫৪)
আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। (২৪:৪৫)

২) “জমাট রক্তপিণ্ড”
সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। (৯৬:২)

৩) “কাদামাটি বা শুস্কমাটি”
তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে। (৫৫:১৪, ৬:২, ১৫:২৬, ৩২:৭, ৩৮:৭১)

৪) “ধুলা”
(৩:৫৯, ৩০:২০, ৩৫:১১)

৫) “এক ফোঁটা বীর্য”
তিনি মানবকে এক ফোটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। (16:4)

৬) “কিছু না”
“মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না।” (১৯:৬৭)

আসলে কোনটা?

মুসলিমরা কীভাবে এমন একটি ভুলে ভরা কিতাব বিশ্বাস করে যেখানে একই জিনিস এর উৎপত্তি নিয়ে এত অভিমত?

🔷উত্তরঃ

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

একটা জিনিস বানাতে অনেক উপাদান লাগে। তাই অমুক জিনিস কেবল তমুক উপাদান দিয়ে তৈরি এটা বলা যাবেনা। তাই মানুষ কেবল পানি দিয়ে, কেবল ধুলো দিয়ে, কেবল কাদা, কেবল বীর্য দিয়ে তৈরি, এটা কখনই বলা যাবে না। বরং, সবই মানুষ তৈরির ingredient ছিল। সব।

তাই উপরের পয়েন্টগুলার মধ্যে ১,৩,৪ অর্থাৎ পানি, কাদামাটি আর ধূলা হল ingredient; তিনটা মউলিক উপাদান মানব সৃষ্টির। এ তিনটাই ছিল আদি উপাদান হিসেবে। এখানে কোন ভুল নেই।

২ আর ৫ মূলত নির্দেশ করে মানব সৃষ্টির দুটো স্টেজকে। একজন মানুষ এর দেহ গঠনের আগে উপাদান আসে একসময় বীর্য (৫) থাকে, আরেক অংশ আসে মায়ের ডিম্বাণু থেকে। আর এরপর এক পর্যায়ে জমাট রক্তপিণ্ড (১) গঠিত হয়। এরপর এক পর্যায়ে পূর্ণ মানুষ সৃষ্টি হয়।

তাই এখানেও কোন ভুল নেই।

আর ৬ নাম্বার পয়েন্ট আসলে কোন ভুল নয়। এখানে বলা হয়েছে, এক সময় মানুষের অস্তিত্বই ছিল না। (কিছু না) অথচ আল্লাহ এরপর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। এ তো স্বাভাবিক ব্যাপার, এক সময় আসলে কোন কিছুই ছিল না।

সুতরাং এখানেও কোন ভুল নেই।

কুরআনে কোন ভুল নেই। এভাবে ইসলাম নিয়ে সকল অভিযোগের জবাব দেয়া সম্ভব। ইনশাল্লাহ।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!