Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

আকাশের দরজা আছে যা খুলে দেয়া হয় নিচের আয়াত তো সেটাই বলছে তারমানে যদি আকাশ শক্ত পদার্থের না হয় তাহলে এখানে দরজার কথা আসবে কেন?

আকাশের দরজা আছে যা খুলে দেয়া হয় নিচের আয়াত তো সেটাই বলছে তারমানে যদি আকাশ শক্ত পদার্থের না হয় তাহলে এখানে দরজার কথা আসবে কেন ?

🛑প্রশ্নঃ আকাশের দরজা আছে যা খুলে দেয়া হয় নিচের আয়াত তো সেটাই বলছে তারমানে যদি আকাশ শক্ত পদার্থের না হয় তাহলে এখানে দরজার কথা আসবে কেন?

* সুরা হিজর ১৫:১৪ এবং ১৫ = যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দেই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণ ও করতে থাকে। তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

🔷উত্তর :- মূল উত্তরে যাওয়ার আগে একটি উদাহরণ বুঝে নিন। ধরুন আপনি দীর্ঘ বছর নাস্তিক ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। আমাদের যুক্তি আমাদের প্রমান , কুরআনের সত্যতা , নবী মুহাম্মদ (সা) সততা আপনি যাচাই করে আবার এখন নাস্তিক ধর্মের মিথ্যাচার বুঝতে পেরে ইসলামে ফিরে আসলেন। আর আমাকে বললেন যে আলী ভাই আপনারা আমার চোখ খুলে দিয়েছেন, আমার মনের দরজা এতদিন মিথ্যা দিয়ে ডাকা ছিল যেটি আজকে খুলে গিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

আচ্ছা আপনি যে আমাকে বললেন যে আপনার চোখ খুলে গিয়েছে অথবা আপনার মনের দরজা এতদিন বন্ধ ছিল, ইসলাম গ্রহন করার পর সেটি খুলে গিয়েছে – এরমানে কি আপনার চোখের মাঝে “আর এফ এল” এর একটি প্ল্যাস্টিকের দরজা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন অথবা আপনার মনের মাঝে কি কাঠের দরজা ফিট করেছিলেন যে সেটি বন্ধ ছিল? আপনি সুস্থ মানুষ হলে অবশ্যই বলবেন যে না সেরকম কিছুই ছিল না কিন্তু আপনার কথা সম্পূর্ণ সত্য। সকল সুস্থ মানুষই বলবে যে হ্যাঁ আপনি ঠিক কথাই বলেছেন।

ঠিক একইভাবে আল্লাহ যে বলেছেন আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয় এরমানে কি বুঝায় যে আকাশ শক্ত কিছু? উত্তর হল না। আসলে এরমানে আল্লাহ ইচ্ছা করলে কাফেরদের এমন একটি সিস্টেম তৈরি করে দিতে পারেন যাতে তারা আকাশের দিকে আরোহণ করতে পারবে কিন্তু তারপরেও তারা সেটি মানবে না কারন তারা ইসলাম বিদ্বেষীতা নিয়েই পরে থাকে এবং তারা সত্য বিরোধী।

তাফসীরে আহসানুল বয়ান , পৃষ্ঠা ৪৫৭ = তাদের (ইসলাম বিদ্বেষীদের) কুফুরী ও বিরুদ্ধাচরন এমন এক পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিল যে ফেরেশতা অবতীর্ণ হওয়া তো দূরের কথা। যদি তাদের জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয় এবং তারা সেই দরজা দিয়ে আকাশে যাওয়া আসা শুরু করে তবুও তাদের চক্ষুতে বিশ্বাস হবে না এবং রাসুলগণকে সত্যিবাদী বলে মেনে নিবে না। বরং তারা বলবে আমাদের চোখে বা আমাদের উপর যাদু করা হয়েছে , যার কারনে আমাদেরকে এরকম মনে হচ্ছে যে আমরা আকাশে আসা যাওয়া করছি , অথচ এমনটি নয়!

তাফসীরে ফী যিলাযিল কুরআন, ১২/২৯ = আকাশের আরোহণ উদাহরণ পেশ করাটাকে তাদের হঠকারিতা বুঝানোর জন্যে ফেরেশতা নাযিলের উদাহরণ থেকে আরও বেশি জোরদার উপমা হিসেবে হাযির করা হয়েছে। কিন্তু হলে কি হবে , ওরা (ইসলাম বিদ্বেষীরা) তো সেই চরম জেদী ও হঠকারী জাতি, যারা সত্যকে দেখেও দেখে না এবং নিজেদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হবে বলে কোন যুক্তিই মানতে চায় না। এভাবে সত্যবিরোধী মনোভাব দেখাতে গিয়ে তারা এতটুকু লজ্জা অনুভব করে না , কোন যুক্তি প্রমান বা কোন দলীলের পরোয়াই তারা করে না আর এজন্যই দিনের আলোর মত সুস্পষ্ট সত্যের বিরোধিতা করতে তারা কুণ্ঠিত হয় না।

সুতরাং আকাশ শক্ত পদার্থর তৈরি এই দাবী কোন ভাবেই সঠিক প্রমান হচ্ছে না আর আল্লাহর কাছে আকাশে যাওয়া দরজা ওপেন করা একেবারেই সহজ আকাশকে শক্ত পদার্থ না করে – আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

Tags:
[ #ভ্রান্তি #অপব্যাখ্যা #সংশয় #প্রশ্ন #জিজ্ঞাসা #উত্তর ]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!