Skip to content

 

7টি আত্মীয় স্বজনের প্রতি কর্তব্য তথা আত্মীয় স্বজনের হক

7টি আত্মীয় স্বজনের প্রতি কর্তব্য তথা আত্মীয় স্বজনের হক

বিষয়: 7টি আত্মীয় স্বজনের প্রতি কর্তব্য তথা আত্মীয় স্বজনের হক।
হ্যাশট্যাগ: #আত্মীয় স্বজনের প্রতি কর্তব্য তথা আত্মীয় স্বজনের হক।

7টি আত্মীয় স্বজনের প্রতি কর্তব্য তথা আত্মীয় স্বজনের হকঃ

* আনুগত্য, খেদমত, সদ্ব্যবহার এবং আদব তা’জীমের ক্ষেত্রে দাদা-দাদী এবং নানা-নানীর হক পিতা-মাতার তুল্য। চাচা এবং ফুফুর হক পিতার তুল্য। ছোট ভাইয়ের কাছে বড় ভাই পিতৃতুল্য। হাদীসের বর্ণনা ও ইংঙ্গিত অনুসারে এরূপই প্রমাণিত হয়। এছাড়া ভাতিজা, ভাতিজী, ভাগিনা, ভাগ্নী প্রমুখ আত্মীয়-স্বজন, যাদের সাথে জন্মগতভাবেই আত্মীয়তা হয় সাধারণভাবে তাদের সকলের হক বা অধিকার  নিম্নরূপঃ

১. তাদেরকে ভালবাসা।

২. তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করা।

৩, তাদের মধ্যে কারও ভরণ-পোষণের কষ্ট থাকলে সঙ্গতি অনুসারে তাদের আর্থিক ও বৈষয়িক সাহায্য করা।

৪. মাঝে-মধ্যে তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা।

৫. তাদের দ্বারা কোন কষ্ট পেলে তা সহ্য করা।

৬. তাদের সাথে আত্মীয়তা ও সম্পর্ক ছেদন না করা।

৭. সালাম, কালাম ও হাদীয়া আদান-প্রদান অব্যাহত রাখা।

উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত বিষয়গুলো আমল করাকে বলা হয় ‘ছেলায়ে-রেহ্মী’ অর্থাৎ, আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখা। এই ছেলায়ে-রেহী ওয়াজিব।

* শ্বশুর-শাশুড়ী, শালা, ভগ্নীপতি, জামাই, পুত্রবধূ, স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তান, স্বামীর অন্য পক্ষের সন্তান ইত্যাদি যাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে আত্মীয়তা হয়, তাদের হকও সাধারণ মুসলমানের চেয়ে বেশী। অর্থাৎ, সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাধারণ মুসলমান ও এতীম-মিসকীনের চেয়ে তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। অনেক আলেমের মতে রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়দের ন্যায় বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়দের সাথেও ছেলায়ে-রেহ্মী তথা আত্মীয়তার সু সম্পর্ক রক্ষা করা ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে উভয় শ্রেণীরই হুকুম এক পর্যায়ের।

সমাপ্ত: 7টি আত্মীয় স্বজনের প্রতি কর্তব্য তথা আত্মীয় স্বজনের হক।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!