আজকে আমরা আলোচনা করবঃ
আবেদনপত্র বা দরখাস্ত কি ও কেন?
কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্তির জন্যে বা ছুটি, বদলি, সাহায্য চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে যে আনুষ্ঠানিক পত্র লেখা হয়, তাকে দরখাস্ত বা আবেদনপত্র বলে।
আবেদনপত্র শুদ্ধ, সুলিখিত এবং তথ্য সংবলিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। অসম্পূর্ণ এবং ভাষাগত ত্রুটিময় আবেদনপত্র অনেক সময় মূল উদ্দেশ্যের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পক্ষান্তরে সুন্দর, নির্ভুল, সুলিখিত দরখাস্ত প্রার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা, শিক্ষা ও রুচি সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের অনুকূল দৃষ্টি লাভে ও উচ্চ ধারণা পোষণে সাহায্য করে।
আবেদন পত্র লেখার নিয়ম বাংলাঃ
তাই যে-কোনো আবেদনপত্র বা দরখাস্তে প্রয়োজনীয় সব তথ্য থাকা দরকার। দরখাস্ত লেখার সময় নিম্নলিখিত দিকগুলোর প্রতি বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে :
১. প্রাপকের নাম-ঠিকানা : প্রাপকের অংশে নিয়োগকর্তার নাম, পদ বা নিয়োগকারী সংস্থার নামের বানান সঠিক এবং ঠিকানা নির্ভুল হতে হবে। অনেক সময় ঝামেলা এড়াতে বা গোপনীয়তা রক্ষা করতে পোস্টবক্স কিংবা কোনো পত্রিকার মাধ্যমে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। যেমন :
বিজ্ঞাপন দাতা
পোস্ট বক্স নং ০৬৫
প্রযত্নে : দৈনিক ইত্তেফাক
ঢাকা।
২. বিষয় : এ অংশে কাঙ্ক্ষিত বিষয় বা পদের কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। আবেদনের মূল বিষয়টি যেন কর্তৃপক্ষ সহজে অনুধাবন করতে পারে সে জন্য সরল ভাষায় তার উল্লেখ প্রয়োজন।
3. সম্বোধন : আনুষ্ঠানিক সম্বোধন হবে : মহোদয়, মহাত্মন ইত্যাদি।
৪. আবেদনের সূত্র : সাধারণত পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চাকরির নিয়োগের কথা জানা যায়। তাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখসহ সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সূত্র উল্লেখ করে অথবা বিশ্বস্ত সূত্রের কথা জানিয়ে আবেদনপত্রের বক্তব্য শুরু করতে হয়।
৫. আবশ্যিক তথ্য : আবেদনপত্রে আবেদনকারীর পূর্ণ নাম, বাবা-মায়ের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জন্মতারিখ, নাগরিকত্ব, শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ ইত্যাদি যথাযথভাবে সন্নিবেশ করতে হবে।
৬. অতিরিক্ত তথ্য : কোনো উচ্চতর ডিগ্রি, প্রশিক্ষণ কোর্স বা সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তাও আবেদনপত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন।
৭. সংযুক্তি : দরখাস্তের শেষে আবেদনে বর্ণিত তথ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে যা কিছু সংযুক্ত করা হয়, যেমন : বিভিন্ন পরীক্ষা পাসের সনদ, প্রাপ্ত নম্বরপত্র, প্রশংসাপত্র, নাগরিকত্বের সনদ, অভিজ্ঞতার সনদ, সত্যায়িত করা ছবি ইত্যাদির উল্লেখ করতে হয়। কী কী প্রামাণ্য কাগজ দেওয়া হলো, তা ক্রমানুসারে উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়।
৮. মার্জিন : আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় মার্জিন থাকতে হয়। পৃষ্ঠার উপরে এবং বামে প্রয়োজনীয় মার্জিন রেখে দরখাস্ত লিখতে হবে।
আবেদনপত্রের নমুনাঃ
১. ‘প্রশংসাপত্র’ চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত।
তারিখ : ১৪/৬/২০২০
প্রধান শিক্ষক
জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
বসুরহাট, কোম্পানীগঞ্জ
নোয়াখালী।
বিষয় : প্রশংসাপত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয়ে নিবেদন এই যে, আমি আপনার স্কুলের একজন নিয়মিত ছাত্রী। ২০১০ সালে কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় আমি জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। স্কুলে গত পাঁচ বছর অধ্যয়নকালে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে আমি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলাম। কোনো আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কাজের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। আমি কলেজে উচ্চ-মাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক। তাই আপনার স্বাক্ষরিত একটি প্রশংসাপত্র অত্যন্ত প্রয়োজন।
অতএব অনুগ্রহপূর্বক আমাকে চারিত্রিক ও শিক্ষাবিষয়ক প্রশংসাপত্র প্রদান করে বাধিত করবেন।
বিনীত
আপনার একান্ত অনুগত–
(নাহিদ সুলতানা পলি)
এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রী
পরীক্ষার ক্রমিক নম্বর ৭
রেজিস্ট্রেশন নম্বর : ১৩২৭
ব্যবসায় শিক্ষা শাখা
জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী।
২. দরিদ্র তহবিল/ছাত্রকল্যাণ তহবিল হতে সাহায্যের আবেদন।
তারিখ : ৫/৭/২০২০
প্রধান শিক্ষক
পটিয়া আদর্শ বিদ্যালয়
পটিয়া, চট্টগ্রাম।
বিষয় : ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্যের আবেদন।
মহোদয়,
আমি আপনার স্কুলের নবম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। পাঁচ বছর যাবৎ আমি এ স্কুলে পড়ালেখা করছি। গত বার্ষিক পরীক্ষায়ও আমি প্রথম স্থান অধিকার করে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়েছি। কিন্তু সম্প্রতি আর্থিক অনটনে আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমার বাবা একজন কৃষক। গত কয়েক মাস যাবৎ তিনি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে শয্যাশায়ী । তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থ দরকার। এ বিপদে সাহায্য করবে এরকম আত্মীয়স্বজনও তেমন নেই। ভাইবোনের লেখাপড়া, ভরণপোষণ, বাবার চিকিৎসার ব্যয়, সব মিলিয়ে আমাদের পরিবারের অবস্থা বিপন্ন। তাই নিরুপায় হয়ে আপনার শরণাপন্ন হয়েছি। পারিবারিক দুরবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ এবং ছাত্রকল্যাণ তহবিল থেকে আর্থিক কিছু সাহায্য প্রদান করলে বিশেষভাবে উপকৃত হব। না হয় আমার পড়ালেখা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে আমার জীবনে নেমে আসবে গভীর অন্ধকার।
অতএব বিনীত প্রার্থনা, আমাকে বিনাবেতনে পড়ার সুযোগ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে এককালীন কিছু অর্থ অনুদানের ব্যবস্থা করে বাধিত করবেন।
বিনীত-
আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র
(মো. শামসুল আলম)
নবম শ্রেণি, রোল-১
বিজ্ঞান শাখা
পটিয়া আদর্শ স্কুল, পটিয়া।
৩. স্কুলের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রধান শিক্ষকের সমীপে দরখাস্ত।
তারিখ : ২০.৩.২০২০
মাননীয়
প্রধান শিক্ষক
আইডিয়াল স্কুল
মতিঝিল, ঢাকা।
বিষয় : স্কুলের ভেতরে ক্যান্টিন স্থাপনের আবেদন।
মহোদয়,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের অনাবাসিক ছাত্রছাত্রী। প্রতিদিন আমরা অনেক দূরদূরান্ত থেকে স্কুলে আসি। নানা কারণে অনেকের পক্ষে প্রতিদিন টিফিন আনা সম্ভব হয় না। স্কুলের টিফিন পিরিয়ডের স্বল্পতম সময়ে ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে টিফিন কিনে আনা ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে একটা ক্যান্টিন স্থাপন করা হলে ছাত্রছাত্রীদের এ সমস্যা নিরসন হতে পারে।
অতএব মহোদয়ের কাছে প্রার্থনা যে, ছাত্রছাত্রীদের বৃহত্তর প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে স্কুল ক্যাম্পাসে একটি ক্যান্টিন স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা বিশেষভাবে বাধিত হব।
বিনীত—
অনাবাসিক ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
আইডিয়াল স্কুল
মতিঝিল, ঢাকা।
৪. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদের জন্য আবেদনপত্র।
তারিখ : ২৪.৭.২০২০
মাননীয়
মহাপরিচালক
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
মিরপুর, ঢাকা।
বিষয় : প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয়ে নিবেদন এই যে, গত ১৬ই জুন ২০২০ তারিখে দৈনিক ‘জনকণ্ঠ’ পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করছি। নিম্নে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করা হলো :
১. নাম : ফাল্গুনী আহমেদ দীপিকা
২. পিতার নাম : কাজী শামসুদ্দিন আহমেদ
৩. মাতার নাম : বেগম হাফিজা সুলতানা
৪. স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা : ফজলুল হক মুন্সী বাড়ি, গ্রাম: ডুমুরখালি, পোস্ট : ঝিকরগাছা, জেলা : যশোর।
৫. জন্ম তারিখ : ২৮শে মে, ১৯৯২
৬. জাতীয়তা : বাংলাদেশি
৭. ধর্ম: ইসলাম
৮. শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবরণ :
অতএব, উপর্যুক্ত তথ্যাবলির আলোকে অনুগ্রহপূর্বক আমাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করলে বাধিত হব।
বিনীত নিবেদক
ফাল্গুনী আহমেদ দীপিকা
সংযুক্তি :
১. সনদপত্রের সত্যায়িত অনুলিপি- ৩ কপি
২. নাগরিকত্ব ও চারিত্রিক সনদ- ২ কপি
৩. সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি- ৩ কপি।
৫. শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করে বিদ্যালয়ের প্রধানের কাছে আবেদনপত্র।
তারিখ : ২১.৩.২০২০
প্রধান শিক্ষক
মানিকছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়
বইলছড়ি, রাঙ্গামাটি।
বিষয় : শিক্ষাসফরে যাওয়ার প্রয়োজনীয় অর্থ ও অনুমতির জন্য আবেদন।
বিনীত নিবেদন এই যে, আমরা আপনার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আমরা শিক্ষাসফরে যেতে আগ্রহী। শ্রেণিকক্ষের সীমাবদ্ধ পাঠ্যসূচির বাইরে ব্যবহারিক জীবনের জ্ঞান অর্জনের জন্য এই শিক্ষাসফর সহায়ক হবে বলে মনে করি। আমরা ইতিহাসখ্যাত কুমিল্লার ময়নামতি যেতে চাই। ময়নামতি সম্পর্কে আমরা পাঠ্যবইতে অনেক পড়েছি, বাস্তবে তা প্রত্যক্ষ করে আমাদের জানার পরিধি আরো বাড়াতে চাই।
অতএব মহাত্মনের নিকট আমাদের বিনীত নিবেদন, আমাদের শিক্ষাসফরে যাওয়ার অনুমতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।
বিনীত—
বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে,
নিরু চাকমা
মনিকা মারমা
মহাত্মন ও
দীপংকর চাকমা,
মানিকছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়
বইলছড়ি, রাঙ্গামাটি।
৬. আর্সেনিকযুক্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন।
তারিখ : ১১.০১.২০২০
মাননীয়
পৌরসভা চেয়ারম্যান
ফুলবাড়িয়া পৌরসভা
ময়মনসিংহ।
বিষয় : আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের আবেদন।
জনাব,
সবিনয়ে নিবেদন এই যে, আমরা ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের অধিবাসী। এই এলাকা খুবই ঘনবসতিপূর্ণ। কয়েকটি গার্মেন্টস, পৌর-বাণিজ্যবিতানসহ বেশ কয়েকটি কারখানা থাকায় এই এলাকা ফুলবাড়িয়া পৌরসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ জরিপ চালিয়ে এলাকার অধিকাংশ চাপাকলের পানিতে ভয়াবহ আর্সেনিকের দূষণ আছে বলে প্রমাণ পেয়েছেন। আর্সেনিকযুক্ত চাপাকলগুলোতে লাল রং দিয়ে শনাক্ত করে এগুলোর পানি পান না করার জন্য এলাকার মানুষদের সতর্ক করে দিয়েছেন। তবু অজ্ঞতাবশত অনেক মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। এলাকায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র অভাব বিরাজ করছে। তাই অতিসত্বর আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহ করা দরকার।
অতএব মহোদয়ের সমীপে বিনীত আবেদন, আর্সেনিকমুক্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করবেন। এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয়। তাই জরুরিভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ।
বিনীত-
ফুলবাড়িয়া পৌরবাসীর পক্ষে,
মো. সোহরাব পাশা
ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ।
৭. মজাপুকুর সংস্কারের জন্য আবেদন জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে দরখাস্ত।
তারিখ : ১২ই মার্চ ২০২০
চেয়ারম্যান
ধানগড়া ইউনিয়ন পরিষদ
সিরাজগঞ্জ।
বিষয় : ধানগড়া রামেন্দ্র পুকুর সংস্কারের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয়ে নিবেদন এই যে, ধানগড়া গ্রামের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত সরকারি রামেন্দ্র পুকুরটি দীর্ঘদিন যাবৎ হাজামজা হয়ে পড়ে আছে। বহুদিন অব্যবহৃত থাকায় পুকুরটিতে ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। ফলে এটি যেমন মশামাছি, সাপখোপের আখড়ায় পরিণত হয়েছে, তেমনি এলাকায় বাতাসে দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ এ পুকুরটি সংস্কার করে সেখানে মৎস্য চাষ করা হলে সরকার যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে, তেমনি এলাকার পরিবেশও নির্মল হবে।
অতএব জনস্বার্থ বিবেচনা করে ধানগড়া রামেন্দ্র পুকুরটি আশু সংস্কারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিনীত—
এলাকাবাসীর পক্ষে,
আপনার বিশ্বস্ত
মো. শাহাজাহান চৌধুরী
ধানগড়া, সিরাজগঞ্জ।