বিষয়: 11টি আলেমদের প্রতি আদব ও সাধারণ মানুষের জন্য আলেমদের 4টি করণীয়।
হ্যাশট্যাগ: #আলেমদের প্রতি আদব #সাধারণ মানুষের জন্য আলেমদের করণীয়।
11টি আলেমদের প্রতি আদব
১. উলামায়ে কেরাম ও বুযুর্গানে দ্বীনের আগে বেড়ে কোন কথা না বলা আদব। অবশ্য যদি তাঁরা কাউকে কোন কথার উত্তর দিতে বলেন তাহলে ভিন্ন কথা।
২. তাঁদের আগে বেড়ে কোন কাজ না করা। যেমন খাওয়ার মজলিস হলে তাঁদের আগে খাওয়া শুরু না করা, চলার সময় তাঁদের সম্মুখে না চলা, অবশ্য যদি তাঁরা কাউকে আগে করতে বা চলতে নির্দেশ দেন তাহলে ভিন্ন কথা। উল্লেখ্য, একজনের বয়স বেশী আর একজনের ইল্ম বেশী- এ দুজনের মধ্যে যার ইল্ল্ম বেশী তিনি আদব সম্মানে প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য।
৩. তাঁদের সামনে তাঁদের চেয়ে জোর আওয়াজে কথা না বলাই আদব।
৪. তাঁদের নাম ধরে গোঁয়ার-এর ন্যায় তাঁদেরকে না ডাকাই আদব।
৫. তাঁদের দরজায় কড়া নেড়ে, নক করে বা চিৎকার করে তাঁদেরকে ডেকে ঘরের বাইরে না আনা বরং প্রয়োজনে তাঁদের নিকট গেলে আদব হল দরজার বাইরে নীরবে অপেক্ষা করতে থাকা, যতক্ষণ না তাঁরা নিজেরাই বাইরে আসেন। তবে অনন্যোপায় অবস্থা হলে ভিন্ন কথা।
৬. অন্তরে তাঁদের প্রতি আজমত ও সম্মানবোধ সৃষ্টি করা কর্তব্য। এতে কূলবে নূর পয়দা হয়, ঈমানে দৃঢ়তা পয়দা হয় এবং দ্বীনের উপর মজবূতী সৃষ্টি হয়।
৭. কোন বুযুর্গ ও হক্কানী আলেমকে নিজের মুরব্বী ও মুসলেহ (এছলাহ ও সংশোধনকারী) বানিয়ে নেয়া এবং তাঁর দিক নির্দেশনা মোতাবেক নিজের জীবন পরিচালনা করা জরুরী।
৮. বুযুর্গদের সামনে কোন ভাবেই কোন বিষয়ে নিজের বড়ত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ না করা উচিত। এটা বে-আদবী।
৯. উলামা ও বুযুর্গদের সমালোচনা, তাঁদের অবমাননা ও তাঁদের নিন্দা বদনাম পরিহার করা কর্তব্য।
১০.কাউকে উলামা ও বুযুর্গদের নিন্দা বদনাম বা অবমাননা করতে শুনলে সঙ্গে সঙ্গেই নম্রভাবে তাকে বাধা দেয়া জরুরী। বাধা দেয়ার একটা ভাষা এরূপ হতে পারে যে, ভাই এটা বর্জন করুন, এতে আমরা অন্তরে কষ্ট পাই।
১১.মাসআলা-মাসায়েল বা কোন ফতুয়া জিজ্ঞাসা করার সময় আদব তাজীম সহকারে জিজ্ঞাসা করা কর্তব্য, বেয়াদবিন সাথে তা না করা।
সাধারণ মানুষের জন্য আলেমদের 4টি করণীয়
১. মাদ্রাসায় পাঠদানের ক্ষেত্রে ইলমে দ্বীনের জরুরী বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার ও প্রাধান্য দেয়া।
২. সমসাময়িক যুগে মানুষ যে সব সমস্যার সম্মুখীন হয় অথবা তারা যে সব প্রয়োজন পূরণের কঠোর তাগিদ অনুভব করে, ওয়াজ-নছীহতের মাধ্যমে সে সব ব্যাপারে তাদেরকে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক ধারণা দিতে হবে। (ওয়াজ-নছীহত সম্পর্কিত নীতিমালার জন্য খামারিয়ান.কম এর আলাদা আলোচনা আছে।)
৩. মৌখিকভাবে অথবা লিখিত আকারে ফতুয়া জিজ্ঞাসাকারীদেরকে জবাব প্রদান করা।
৪. আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে মানুষকে সার্বিক বিষয়ে হেদায়েত ও দিক নির্দেশনা দান করা।
সমাপ্ত: 11টি আলেমদের প্রতি আদব ও সাধারণ মানুষের জন্য আলেমদের 4টি করণীয়।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।