বিষয়: আশুরা কাকে বলে? ও আশুরার আমল সমূহ।
আশুরা কাকে বলে?
মুহাররম মাসের ১০ম তারিখকে ‘আশুরা’ বলা হয়। আশুরা উপলক্ষে সর্বমোট ৪টি আমল করার রয়েছে।
আশুরার আমল সমূহ:
১। ১০ই মুহাররম তারিখে নফল রোযা রাখা মোস্তাহাব। এর দ্বারা পিছনের এক বৎসরের গোনাহ মাফ হয়। এই রোযা রাখলে ১০ তারিখের সাথে ৯ তারিখ বা ১১ তারিখ মিলিয়ে মোট ২টি রোযা রাখবে। ৯ বা ১১ তারিখ বাদে শুধু ১০ই মুহাররমের রোযা (অর্থাৎ, শুধু ১টা রোযা রাখা) মাকরূহ তাহরীমী। আশুরার দিন কাযা রোযা রাখা দ্বারা আশুরার রোযার ফযীলত অর্জিত হবেনা।
২। আশুরায় পরিবার পরিজনকে উত্তম পানাহারের ব্যবস্থা করলে আল্লাহ তা’আলা সারা বৎসর উত্তম পানাহারের ব্যবস্থা করে দিবেন বলে হাদীসে উল্লেখ এসেছে, হাদীসটি আমলযোগ্য (ori ~) পর্যায়ের। তবে বাড়াবাড়ি ও রছমে পরিণত করা ঠিক নয়।
৩। আশুরার দিনে আল্লাহ তা’আলা ফেরআউনের বাহিনীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে এবং বানী ইসরাঈলকে তাঁর কুদরতে সমুদ্র পার হওয়ার তওফীক দিয়ে একটা বড় নিয়ামত দান করেছিলেন। প্রকারান্তরে এটা আমাদের জন্যেও নিয়ামত। তাই এই নিয়ামতের কথা স্মরণ করে আল্লাহ্ শোকর আদায় করা যায়। এই দিনে আল্লাহ তা’আলা আরও বহু কিছু ঘটিয়েছেন, বহু কিছু পয়দা করেছেন বলে যে সব বর্ণনা পাওয়া যায় তার অধিকাংশই ভিত্তিহীন বা মাউযূ।
৪। এই দিনে কারবালায় হযরত হুসাইন (রাঃ) মর্মান্তিক ভাবে শাহাদাতবরণ করেছিলেন-এই দুঃখ ও মুছীবতের কথা স্মরণ হলে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া যায়।
* উল্লেখ্য, এই আশুরার দিনে উপরোক্ত ৪টি আমল ব্যতীত আর যা কিছু করা হয়ে থাকে যেমন খিচুড়ি বন্টন, শরবত পান করানো, তাযিয়া বের করা, বুক চাপড়ানো, হায় হোসেন বলে মাতম করা, শোক মিছিল করা ইত্যাদি- এগুলো ভিত্তিহীন- রছম ও বিদআত, এগুলো গোনাহের কাজ, এগুলো পরিত্যাজ্য।