🛑ইসলামে বাবার সম্পত্তিতে মেয়ের অধিকার ছেলের তুলনায় অর্ধেক কেন? এখানে নারীকে অবমাননা করা হয়েছে,ছোট করা হয়েছে, সমান অধিকার দেয়া হয়নি।
🔷উত্তরঃ একটি পরিবারের সমস্ত অর্থনৈতিক দ্বায়বদ্ধতা পুরুষের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ছেলেকে তার বাবা মায়ের দেখাশোনা করতে হবে, বিয়ের সময় বউকে সম্মানী মোহর দিতে হবে। বউ, ছেলেমেয়ে এবং পিতামাতার যাবতীয় ভরণপোষণ ছেলেকেই বহন করতে হবে ইসলাম অনুযায়ী। মেয়ের উপর কোন অর্থনৈতিক দ্বায়বদ্ধতা দেয়া হয় নি।
বাস্তব উদাহরণে আসা যাক :-
কোন লোকের ১ টি ছেলে ও ২ টি মেয়ে আছে এবং ১ কোটি টাকা সম্পত্তি আছে। ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী ছেলে পাচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা এবং মেয়ে দুজন প্রত্যেকে পাচ্ছে ২৫ লক্ষ টাকা।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এখানে ইসলাম মেয়ের সাথে বৈষম্য করছে কিন্তু গভীর দৃষ্টি দিন। ঐ ছেলে যখন বিয়ে করবে তখন তার বউকে ৫ লক্ষ টাকা সম্মানী মোহর দিসেবে দিবে। (মোহরের টাকার নির্দিষ্টতা নেই। স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা অনুযায়ী দুপক্ষের সমর্থনে মোহর নির্ধারিত হয়। আনুপাতিক হারে একটা উদাহরণ দিলাম।)
এরপর বাবা মায়ের সমস্ত ভরণপোষণ ঐ ছেলেকে বহন করতে হবে৷ এখানে টাকার কথা লিখে উদাহরণ দিয়ে আমি কোন বাবা মাকে টাকা দিয়ে মাপতে চাই না।
এরপর বউয়ের সারাজীবনের ভরণপোষন।
ছেলেমেয়েদের ভরণপোষণ দিতে হবে।
এক্ষেত্রে একটা ছেলেকে কমপক্ষে (বাবা+মা+বউ+ছেলে+মেয়ে+নিজের) মোট ৬ জনের ভরণপোষণ দিতে হবে ৪৫ লাখ টাকায়। অর্থাৎ নিজের জন্য পেল ৪৫ লক্ষ টাকার ৬ ভাগের ১ ভাগ টাকা বা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
আর ঐ মেয়ের ক্ষেত্রে বাবার থেকে ২৫ লাখ টাকা+ বিয়েতে ৫ লাখ টাকা মোহর পাবে। মোট ৩০ লাখ টাকার মালিক হয়ে গেলো। আর এই ৩০ লাখ টাকা মেয়ে তার নিজের ইচ্ছামত খরচ করতে পারবে। কারো প্রতি তার ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী কোন অর্থনৈতিক দ্বায়বদ্ধতা নাই।
এবার খেয়াল করেন ঐ ছেলে তার বোনের দ্বিগুন টাকা উত্তরাধিকার হিসেবে পেয়েও নিজের জন্য খরচ করতে পারলো ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আর তার বোন তার থেকে ৪ গুন টাকা ভোগ করতে পারলো।
আরেকটা কথা বলতে চাই, পুরুষরা নিজেদের জন্য টাকা খুব কমই নষ্ট করে, মায়ের জন্য, বউরের জন্য আর ছেলেমেয়েদের জন্য নিজের রক্ত বেচে টাকা ঢেলে দিতেও দ্বিধা করেন না। তারা যতটুকু পায় উত্তরাধিকার সূত্রে তাও বাবা মা বউ ছেলেমেয়ের পিছনেই খরচ করে। এগুলার প্রমাণ আপনারাই। নিজের বাবার দিকে তাকান, তাহলেই বাস্তবতা দেখতে পাবেন।