আধুনিক শিক্ষা ও লেখাপড়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
বর্তমান যুগের পার্থিব জ্ঞান-বিজ্ঞান যেমন:
- স্বাস্থ্য বিজ্ঞান;
- চিকিৎসা বিজ্ঞান;
- প্রকৌশল বিজ্ঞান;
- অর্থ বিজ্ঞান;
- রাষ্ট্র বিজ্ঞান;
- কৃষি বিজ্ঞান;
- প্রাণী বিজ্ঞান;
- উদ্ভিদ বিজ্ঞান;
- বিদ্যুৎ বিজ্ঞান;
- ভূ-তত্ত্ব বিজ্ঞান;
- নক্ষত্র বিজ্ঞান;
- মনস্তত্ব বিজ্ঞান;
ইত্যাদি বিষয়গুলি শিক্ষা করা।
যদি ইসলামের উৎকর্ষ সাধন ও মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে হয় তাহলোে তা বৈধ, কেননা ভাল উদ্দেশে তা শিক্ষা করা হচ্ছে।
এর বিপরীত কোন মন্দ উদ্দেশ্যে এগুলি শিক্ষা করা বৈধ নয়। ফেকাহর পরিভাষায় এগুলিকে ‘হারাম লিগাইরিহী’ বলে ৷ ‘হারাম লি আইনিহী’ নয় অর্থাৎ, প্রকৃত প্রস্তাবে এগুলি নিজে হালাল, জায়েয ও মোবাহ, কিন্তু অন্য হারাম কাজের ওছীলা ও মাধ্যম হওয়ার কারণে তা হারাম হয়ে যায়।
পক্ষান্তরে উদ্দেশ্য ভাল হলোে এগুলিই তখন অনেক নেকীর কাজে পরিণত হয়।
(ইংরেজী পড়িবনা কেন? মূল- হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী, অনুবাদ হযরত মাওঃ শামসুল হক ফরিদপুরী) এরই ভিত্তিতে হযরত থানবী (রহঃ) লিখেছেন (উক্ত গ্রন্থের পরিশিষ্ট্য দ্রঃ)
“যদি কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং শিখে সততা সহকারে মানব সমাজের সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে রাস্তা, পুল, ঘর/বাড়ী তৈরী করে মানুষের উপকার করতে পারে, চিকিৎসা বিজ্ঞান শিক্ষা করে মানুষের সেবা করতে পারে, তাহলোে তা উচ্চ দরের নেকীর কাজ ও ছওয়াবের কাজ হবে তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
পক্ষান্তরে যদি ইঞ্জিয়ারিং পড়ে চোরামী ধোঁকাবাজী করে, ব্লাক মার্কেটিং করে, আমানতে খেয়ানত করে, মানুষের বাড়ি-ঘর, পুল, রাস্তা ইত্যাদি নষ্ট করে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ে গরীব রোগীদের সেবার পরিবর্তে শুধু অর্থগৃধুতার পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে গরীবদের রক্ত শোষণ এবং গরীবদের প্রতি দুর্ব্যবহার করে, নতুন আবিষ্কারের মেশিন দ্বারা নিরীহ মানুষদের হত্যা করে, অর্থ শোষণ করে তাদেরকে কঙ্কালসার করে দেয়, তবে সেটা কুরআন হাদীসের সাধারণ সূত্র অনুসারে হারাম হবে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।”
পোষ্টটি লিখতে নিম্নক্তো বই/লেখকের লিখনী থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে: আহকামে জিন্দেগী (মাকতাবাতুল আবরার প্রকাশনী) মাওলানা মুহাম্মদ হেমায়েত উদ্দীন শায়খুল হাদীস, জামেয়া ইসলামিয়া আরার্বিয়া, তাঁতী বাজার, ঢাকা-১১০০ মুহাদ্দিছ, জামিয়া ইসলমিয়া দারুল উূলুম মাদানিয়া, ৩১২, দক্ষীণ যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২৩৬