Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

ঈদের নামাজের নিয়ত, নিয়ম, খুতবা, আমল

ঈদের নামাজের নিয়ত, নিয়ম, খুতবা, আমল

বিষয়ঃ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত, ঈদুল ফিতরের নামায পড়ার নিয়ম, ঈদুল ফিতরের খুতবা ও তখনকার আমলসমূহ, ঈদুল ফিতরের খুতবার মধ্যে যেসব বিষয় থাকবে, ঈদুল আযহার নামায, ঈদুল আযহার খুতবা ও তখনকার আমলসমূহ।

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়তঃ

◼ শাওয়াল মাসের প্রথম তারিখের ঈদকে ঈদুল ফিতর এবং এই দিনে মুসলমানদের একত্রিত হয়ে শোকর আদায়ের জন্য যে দুই রাকআত নামায পড়া হয় তাকে ঈদুল ফিতরের নামায বলে।

◼ ঈদুল ফিতরের দুই রাকআত নামায ওয়াজিব।

◼ এই দুই রাকআতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবীর বলা ওয়াজিব।

◼ খুতবা ব্যতীত জুমুআর নামাযের জন্য যে সব শর্ত, ঈদের নামাযের জন্যও সে সব শর্ত।

◼ ঈদুল আযহা-র তুলনায় ঈদুল ফিতরের জামাআত একটু দেরী করে পড়া সুন্নাত।

◼ ঈদের নামায মাঠে পড়া উত্তম। মহলো্লার মসজিদেও জায়েয।

◼ কোন ওজর বশতঃ পয়লা শাওয়াল ঈদুল ফিতরের নামায পড়তে না পারলে ২রা শাওয়াল পড়ে নেয়া জায়েয, তবে বিনা ওজরে এরূপ করলে নামায হবে না।

◼ ঈদের নামাযে প্রথম রাকআতে সূরা আ’লা এবং দ্বিতীয় রাকআতে সূরা গাশিয়া পড়া উত্তম।

◼ দুই রাকআত ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ত এভাবে করা যায়।

ঈদের নামাজের নিয়ত: نَوَيْتُ أنْ أصَلِّي للهِ تَعَالىَ رَكْعَتَيْنِ صَلَاةِ الْعِيْدِ الْفِطْرِ مَعَ سِتِّ التَكْبِيْرَاتِ وَاجِبُ اللهِ تَعَالَى اِقْتَضَيْتُ بِهَذَا الْاِمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اللهُ اَكْبَرْ

উচ্চারণ: ‘নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকাআতাইন সালাতিল ইদিল ফিতরি মাআ সিত্তাতিত তাকবিরাতি ওয়াঝিবুল্লাহি তাআলা ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াঝঝিহান ইলা ঝিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি ‘আল্লাহু আকবার’।’

অর্থ: আমি ঈদুল ফিতরের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ৬ তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি- ‘আল্লাহু আকবার’।

ঈদুল ফিতরের নামায পড়ার নিয়মঃ

◼ আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধবে। তারপর ছানা পড়বে।

See also  জুমার নামায ও জুমার খুতবার সুন্নাত, আদব ও মাসায়েল

◼ তারপর নামাযের তাকবীরে তাহরীমার ন্যায় কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে আল্লাহ আকবার বলবে এবং হাত ছেড়ে দিবে। অতঃপর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় পরিমাণ বিলম্ব করে আবার অনুরূপ হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলবে ও হাত ছেড়ে দিবে। আবার অনুরূপ বিলম্ব পূর্বক হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে হাত বেধে এবং আউযূ বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা ও কিরাত ইত্যাদি সহকারে প্রথম রাক’আত শেষ করে দ্বিতীয় রাকআতের জন্য উঠবে এবং সূরা ফাতেহা ও সূরা/কিরাত মিলিয়ে তারপর প্রথম রাকআতের ন্যায় অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলবে। এখানে তৃতীয় তাকবীরের পরও হাত ছাড়া অবস্থায় রাখবে। তারপর রুকুর তাকবীর বলে রুকুতে যাবে এবং যথা নিয়মে এই রাকআত শেষ করবে।

◼ সালাম ফেরানোর পর তাকবির পড়া- اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

ঈদুল ফিতরের খুতবা ও তখনকার আমলসমূহঃ

◼ ঈদুল ফিতরের দুই খুতবা পাঠ করা সুন্নাত। এই খুতবাদ্বয় নামাযের পরে হওয়া সুন্নাত।

◼ এই খুতবাদ্বয় মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে পাঠ করা সুন্নাত।

◼ দুই খুতবার মাঝখানে জুমু’আর খুতবার ন্যায় কিছুক্ষণ (তিন আয়াত পড়া পরিমাণ সময়) বসা সুন্নাত।

◼ এই খুতবা শোনা ওয়াজিব যেমন জুমুআর খুতবা শোনা ওয়াজিব। দূরত্বের কারণে খুতবা না শুনতে পেলে চুপ করে কান লাগিয়ে থাকা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের খুতবার মধ্যে যেসব বিষয় থাকবেঃ

জুমুআর খুতবার মধ্যে যে সব বিষয় থাকবে ঈদের খুতবার মধ্যেও সে সব বিষয় থাকবে। পার্থক্য এই যে, মিম্বরে উঠে না বসেই ঈদের খুতবা শুরু করা সুন্নাত এবং ঈদুল ফিতরের খুতবার মধ্যে ছদকায়ে ফিতর সম্বন্ধে বর্ণনা করতে হবে আর তাকবীর (আল্লাহ আকবার) বলে ঈদের খুতবা আরম্ভ করা সুন্নাত।

See also  কাফন দাফনের নিয়ম, কাফন দাফন পদ্ধতি ও কাফন দাফনের pdf (জানাজার নামাজের নিয়ম, জানাজার নামাজের দোয়া)

প্রথম খুতবার শুরুতে তাকবীর ৯ বার একাধারে এবং দ্বিতীয় খুতবার শুরুতে ৭ বার একাধারে বলা আর সব শেষে মিম্বর থেকে অবতরণের সময় ১৪ বার একাধারে বলা মোস্তাহাব। ( بہشتی گوہر واحسن الفتاوى ج / 4 بحوالہ در المختار ج/۱)

বিঃ দ্রঃ ঈদের নামাযের (বা খুতবার) পরে দু’আ (মুনাজাত) করা যদিও নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবা, তাবেঈন এবং তাবে তাবেঈন থেকে বর্ণিত ও প্রমাণিত নয়, কিন্তু অন্যান্য নামাযের পর যেহেতু দু’আ করা সুন্নাত, তাই ঈদের নামযের পরও দু’আ করা সুন্নাত।

আহছানুল কাতাওয়া গ্রন্থকার (৪র্থ খণ্ড, দ্রঃ) খুতবার পর কিংবা নামায ও খুতবা উভয়টার পরও দু’আ করা যেতে পারে বলে যুক্তি পেশ করেছেন।

ঈদের নামাজের নিয়ত, নিয়ম, খুতবা, আমল

ঈদুল আযহার নামায এর নিয়ত ও নিয়মঃ

◼ বিলহজ্জ মাসের ১০ই তারিখের ঈদকে ঈদুল আযহা বলে। এই দিনও দুই রাকআত শোকরানা নামায পড়া ওয়াজিব। এটাই ঈদুল আযহার নামায।

ঈদুল আযহার নামাযের মাসায়েল ঈদুল ফিতরের নামাযের ন্যায়। শুধু নিয়তের মধ্যে “ঈদুল ফিতর” শব্দের স্থলে “ঈদুল আযহা” শব্দ ব্যবহার করতে হবে। এবং ঈদুল ফিতরের নামাযের তুলনায় ঈদুল আযহার নামায একটু আগে ভাগে পড়ে নেয়া সুন্নাত।

◼ আর কোন ওজর বশতঃ ১০ই তারিখে এই নামায না পড়তে পারলে ১১ই বা ১২ই তারিখ পর্যন্তও পড়া যায়, তবে বিনা ওজরে ১০ই তারিখে না পড়া মাকরূহ।

◼ ঈদুল আযহার নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। (তাকবীরে তাশরীকের বিধান বিষয়ে আলাদা পোষ্টে আলোচনা থাকবে।)

তাকবির হলো-

اَللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَر لَا اِلَهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَر اَللهُ اَكْبَروَلِلهِ الْحَمْد

উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

ঈদুল আযহার খুতবা ও তখনকার আমলসমূহঃ

ঈদুল আযহার খুতবাও ঈদুল ফিতরের খুতবার ন্যায়। পার্থক্য এতটুকু যে, ঈদুল আযহার খুতবায় ছদকায়ে ফিতরের বর্ণনার স্থলে কুরবানী ও তাকরীরে তাশরীকের বিধান বর্ণনা করতে হবে।

See also  জামাতে নামাজ পড়া হুকুম, গুরুত্ব, ফজিলত। জামাতে নামাজে না পড়ার ওজর সমূহ। কাতারের মাসায়েল। লোকমা দেয়া ও নেয়ার মাসায়েল।

সমাপ্তঃ ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত, ঈদুল ফিতরের নামায পড়ার নিয়ম, ঈদুল ফিতরের খুতবা ও তখনকার আমলসমূহ, ঈদুল ফিতরের খুতবার মধ্যে যেসব বিষয় থাকবে, ঈদুল আযহার নামায, ঈদুল আযহার খুতবা ও তখনকার আমলসমূহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!