ভূমিকাঃ
আমাদের দেশের গৃহপালিত পশুদের ভেতর ছাগল অন্যতম গৃহপালিত প্রাণী। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এটি পালন বেশ লাভজনক।
যার গাভী কেনার ও পালনের সামর্থ্য নেই, তিনি অল্প পুঁজিতে দুটি ছাগল কিনে অধিক লাভবান হতে পারেন। যিনি বেকার, তিনিও ছাগল পালন করে আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন।
গাভী থেকে একটি বাছুর পেতে ১ বছরের বেশি সময় লাগে। কিন্তু ছাগল ৬ মাসে একই সাথে কমপক্ষে দুটি বাচ্চা দেয়। এ হিসেবে দুটি ছাগল থেকে বছরান্তে ন্যূনতম ৮টি বাচ্চা পাওয়া সম্ভব।
এদের লালন-পালনে খরচ অনেক কম। ছাগলের মাংস ও চামড়া দুই-ই উৎকৃষ্ট। শুধু চামড়া রফতানি থেকে প্রতি বছর আয় হয় কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা।
সকল ধর্মাবলম্বী লোকজনের কাছে ছাগলের মাংস সমাদৃত। এ ছাড়া ছাগলের দুধ পুষ্টিকর সহজপাচ্য ও একটি উন্নতমানের পথ্য।
তাই অল্প পুঁজিতে ছাগল পালন করে পরিবারের বাড়তি আয়ের ব্যবস্থাসহ প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। ফলে দারিদ্র বিমোচনসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
ছাগল পালনে সুবিধাসমূহ/ছাগলের উপকারিতাঃ
ছাগল পালনে অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন :
১. ছাগল পালন সহজ।
২. ছাগলের খাদ্য খরচ কম।
৩. কম বিনিয়োগে বেশি লাভ পাওয়া যায়।
৪. ছাগলের মাংস অতি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু।
৫. ছোট প্রাণী, দামও কম। তাই প্রাথমিকভাবে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ প্রয়োজন।
৬.ছাগলের দুধ গরুর দুধ অপেক্ষা সহজে হজম হয়।
৭. গরু মহিষের মতো বিশেষ যত্ন, খাদ্য বা বাসস্থানের প্রয়োজন পড়ে না।
৮. গরু-মহিষের মতো চারণ ভূমিও প্রয়োজন নেই।
৯. দেখাশোনার জন্য অতিরিক্ত শ্রমের দরকার পড়ে না।
১০. ছোট ছেলে-মেয়ে বা গৃহিণীরা অনায়াসে পালন করতে পারে।
১১. বছরে ২ বার বাচ্চা দেয় এবং প্রতিবারে একাধিক বাচ্চা দেয়।
ছাগল জাত নির্বাচনঃ
১. ছাগলের মাথা লম্বা, মাঝারি আকারের এবং মুখ আকর্ষণীয় হতে হবে।
২. গলা ও ঘাড় সরু, লম্বা এবং নরম কাঁধ হতে হবে।
৩. পিঠ, পিঠের কুঁজ এবং কাঁধ যেন সরল রেখা বরাবর হয়।
৪. পাঁজরের হাড় বা অস্থি যেন প্রশস্ত ও বাঁকানো হয়ে থাকে।
৫. পাছার হাড় পিছন দিকে ঢালু এবং পাছার উভয় দিকের হাড় যেন উঁচু হয়ে থাকে।
৬. ছাগীর ওলান যেন সমানভাবে বিন্যস্ত এবং দুগ্ধ রগটি যেন স্পষ্ট হয়ে ভেসে থাকে।
৭. উন্নত জাতের হতে হবে। যেমন মাংস ও চামড়ার জন্য ব্লাক বেঙ্গল ছাগল।
ছাগলের জাত কত প্রকারঃ
বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে প্রায় ৬০% পরিবার ছাগল পালন করে থাকেন। ছাগলকে ‘গরিবের গাভী’ বলা হয়। ছাগল ছোট প্রাণী বলে দাম কম, তাই অল্প খরচে পালন করা যায়। তাছাড়া মূলধন বিনিয়োগ কম। এরা ছোবড়া ও নিকৃষ্ট মানের খাদ্য গ্রহণ করে পুষ্টিসাধন করে থাকে।
পৃথিবীতে প্রায় ৩০০ জাতের ছাগল রয়েছে। ছাগলের জাতকে দু শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা : দেশি জাতের ছাগল এবং বিদেশি জাতের ছাগল।
ছাগলের জাত পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য সমূহ কি?
দেশি জাতের ছাগলঃ
দেশি জাতের ছাগলেল মধ্যে ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ (Block Bengol) জাতের ছাগল প্রসিদ্ধ। এ জাতের ছাগলের গায়ের রং সাধারণত কালো হয়। তাই এ জাতের ছাগল ‘ব্ল্যাক বেঙ্গল’ বা ‘বাংলা কালো ছাগল’ নামেই পরিচিত।
তবে কালো ছাড়াও অন্যান্য রং এর বেঙ্গল ছাগল পাওয়া যায়। এদের চামড়ার চাহিদা অনেক বেশি। এ জাতের ছাগলের মাংস সুস্বাদু। বেঙ্গল জাতের ছাগল দুধ কম দেয়। ছাগলের দুধ খুব পুষ্টিকর, সহজে হজম হয় এবং রোগীর জন্য উপকারী।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল (Black Bengal Goat)
বাংলাদেশে ভারতের আসাম ও মেঘালয় এ ছাগল দেখতে পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব জাত। এ জাতের ছাগলের মাংস সুস্বাদু ও জনপ্রিয়। ছাগল সাধারণত কালো রঙের হয়ে থাকে, তবে সাদা ও বাদামি রঙের ছাগলও দেখা যায়।
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল দেশি ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. ছাগী বছরে দু বার এবং প্রতিবারে দু বা ততোধিক বাচ্চা দেয়।
২. দেহের গড়ন অনেকটা আঁটসাঁট এবং পা খাটো।
৩. কান ছোট, সোজা এবং কিছুটা ওপরের দিকে থাকে।
৪.ছাগলের মাংস চামড়া উন্নত মানের হয়।
৫. শিং ছোট ও কালো এবং ৫-১০ সেমি লম্বা হয়।
৬. শিং ওপর দিক হতে পিছনে বাঁকানো থাকে।
৭. পুরুষ ও স্ত্রী ছাগলের ওজন যথাক্রমে ২৫-৩৫ এবং ২০-৩০ কেজি।
৮. প্রথম বাচ্চা প্রসব করার বয়স ১৫-১৬ মাস।
৯. প্রথম বাচ্চা প্রসব করার বয়স ১৫-১৬ মাস।
১০. লোম মসৃণ এবং খুব মোলায়েম।
বিদেশি জাতের ছাগলঃ
আমাদের দেশে যে সকল বিদেশি জাতের ছাগল পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে : যমুনাপাড়ি, বিটল, বার্বারি, সানেন্, টোগেনাবার্গ, অ্যাল্পাইন্ ও এ্যাংলোনোবিয়ান্। বিটল্ জাতের ছাগল পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে। বারবারি ও এ্যাংলোনোবিয়ান জাতের ছাগলও ভারত, পাকিস্তানসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ থেকে আনা হয়েছে। অ্যাল্পাইন্ এর উৎপত্তিস্থল সুইজারল্যান্ড।
১. যমুনাপাড়ি ছাগল (Jamunapari Goat)
ভারতের গঙ্গা, যমুনা ও চম্বল নদীর মধ্যবর্তী জেলায় এ জাতের ছাগলের আদি বাসস্থান। এরা ‘রামছাগল’ নামেই বেশি পরিচিত। এটি দুধ উৎপাদনকারী জাত। আমাদের দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় এ জাতের ছাগল দেখা যায়। এরা খোলা জায়গায় থাকতে পছন্দ করে।
যমুনাপাড়ি ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. গায়ের রং সাদা, কালো, হলুদ, বাদামি বা বিভিন্ন রঙের মিশ্রণযুক্ত হয়।
২. শরীরের গঠন বেশ হালকা-পাতলা ও লম্বাকৃতির।
৩. পা লম্বাটে এবং পিছনের পায়ে লম্বা ঘন লোম থাকে।
৪. পুরুষ ছাগলের দাড়ি থাকে, স্ত্রী ছাগলের কদাচিৎ থাকে।.
৫. এরা মাঠে চড়ে জীবন ধারণ করতে পছন্দ করে।
৬. পেছনের পায়ের দিকটায় লম্বাটে চুল থাকে।
৭. এ জাতীয় ছাগলের ছোট সরু লেজ থাকে।
৮. এদের কান লম্বা, চ্যাপ্টা, বাকা ও ঝুলন্ত।
৯. এদের শিং ছোট ও চ্যাপ্টা এবং লেজ ছোট ও পাতলা।
১০. এরা বছরে একবার এবং ১টি করে বাচ্চা দেয়।
১১. দৈনিক ১.৫-২.০ লিটার দুধ পাওয়া যায়।
১২. পূর্ণবয়স্ক ছাগল ও ছাগীর ওজন যথাক্রমে ৬৫-৯০ এবং ৪০-৬০ কেজি।
১৩. ঘাড় ও মুখে হালকা বাদামি বর্ণের ছাপ থাকে।
১৪. এদের ওলান বেশ বড় এবং বাটগুলো মোটা, লম্বা, সুসজ্জিত এবং সমআকারের।
১৫. এদের দুধে চর্বির পরিমাণ প্রায় ৫%।
২. সানেন্ ছাগল (Sannen Goat)
পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম সুইজারল্যান্ড এ জাতের ছাগলের আদি বাসস্থান। এগুলো বড় আকারের ছাগল। এরা কড়া সূর্যের আলো সহ্য করতে পারে না।
সানেন্ ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এদের গায়ের রং সাদা বা বিস্কুট রঙের হয়।
২. এদের নাক, কান ও ওলানে কালো দাগ থাকে।
৩. এদের কান উপরের দিকে খাড়া।
৪. এ জাতীয় ছাগলের ওলান বেশ বড়।
৫. এ জাতীয় ছাগলের গায়ের লোম ছোট ছোট।
৬. পূর্ণবয়স্ক ছাগল ও ছাগীর ওজন যথাক্রমে ৭০-৭৫ এবং ৬-৭০ কেজি।
৭. এদের গলা লম্বা ও সরু।
৮. এ জাতীয় ছাগল ছায়া এদের পছন্দ।
৯. দৈনিক ২-৩ কেজি দুধ দেয়।
১০. এদের দুধে চর্বির পরিমাণ ৩.৫%।
৩. বিটল ছাগল (Beetal Goat)
বিটল ভারত ও পাকিস্তানের একটি গরুত্বপূর্ণ ছাগলের জাত। এরা দেখতে অনেকটা যমুনাপাড়ির মতো। এটি দুগ্ধ উৎপাদনকারী জাত। এ জাত আবদ্ধ ঘরে পালনের জন্য উপযোগী এবং এরা সহজেই বিভিন্ন পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারে। ভারতের পাঞ্জাব, শিয়ালকোট, গুরুদাসপুর, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোর এবং বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে পালন করা হয়।
বিটল ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এদের গায়ের রং প্রধানত লাল তবে লালের মধ্যে সাদা দাগ দেখা যায়।
২. এরা আকারে বড় হয়। তবে যমুনাপারীর চেয়ে কিছুটা ছোট।
৩. পা লম্বা হয়, কান লম্বা এবং ঝুলানো থাকে।
৪. এসব জাতের ছাগল বছরে একবার এবং ১ জোড়া বাচ্চা দেয়।
৫. এরা দুধ বেশি দেয়।
৬. একটি ছাগী হতে দৈনিক ৩.৪ লিটার পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায়।
৭. পুরুষ ছাগলের দাড়ি থাকে কিন্তু স্ত্রী ছাগলের দাড়ি নেই।
৮. এরা ২০-২২ মাস বয়সে প্রথম বাচ্চা দেয়।
৯. এদের নাক বাঁকা এবং শিং পেছনের দিকে বাঁকানো।
৪. বারবারি ছাগল (Barbari Goat)
পূর্ব আফ্রিকার বারবেরা শহরাঞ্চলে এদের আদি বাসস্থান। এ জাতের ছাগল ভারতের উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা অঞ্চলে ও পাকিস্তানে অধিক পালন করা হয়ে থাকে। এটি দুধ উৎপাদনকারী জাত এবং এটি ছোট প্রজাতির ছাগল। আধুনিক খামারে পালনের জন্য খুবই উপযুক্ত।
বারবারি ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. দেহের আকার ছোট আঁটসাঁট।
২. কান সরু ও ছোট এবং ওপর দিকে খাড়া।
৩. গায়ের লঙ সাদা ও লোম ছোট ছোট।
৪. শিং মাঝারি আকারের ও বাঁকানো এবং ওপর ও পেছন দিকে বিস্তৃত থাকে।
৫. ওলান ও বাট বড় বড়। প্রতিদিন গড়ে ১ লিটার দুধ দেয়।
৬. পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ও স্ত্রী ছাগলের ওজন যথাক্রমে ৪০ ও ৩৫ কেজি।
৭. দুধে ৪.৯% ফ্যাট থাকে।
৮. ১২-১৫ মাস সময়ে দুবার বাচ্চা দেয়।
৫. অ্যাপাইন্ ছাগল (Alpine Goat)
এ জাতের আদি বাসস্থান ফ্রান্স। পাহাড়ি অঞ্চলে ও গ্রীষ্ম প্রধান দেশে এরা সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। এ জাতের ছাগল ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভেনিজুয়েলাতে পালন করা হচ্ছে। এটি দুধ উৎপাদনকারী জাত।
অ্যাপাইন্ ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. গায়ের রং সাদা-কালচে এবং ছোপযুক্ত হয়। কান খাড়া থাকে।
২. পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ও স্ত্রী ছাগলের ওজন যথাক্রমে ৬৫ ও ৬০ কেজি।
৩. গড়ে দৈনিক ১ লিটার দুধ দেয়। দুধে চর্বির পরিমাণ প্রায় ৩.৫%।
৪. শিং থাকতেও পারে, নাও পারে।
৫. ছাগলের জগতে এ জাতটি ‘দুধের রাণী’ নামে পরিচিত।
৬. এরা আকারে বেশ বড়।
৬. টুগেনবাগ্ ছাগল (Togenburg Goat)
এ জাতের আদি বাসস্থান সুইজারল্যান্ড। এ জাতের ছাগল প্রধানত দুধের জন্য পালন করা হয়ে থাকে।
টুগেনবাগ্ ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এদের গায়ের রং বাদামি অথবা চকলেট রঙের।
২. এদের চোখ থেকে মুখ পর্যন্ত, কানের ধার ও ডগা, হাঁটু, পাছা ও লেজে সাদা ছোপ থাকে।
৩. এদের লম্বা গলা খাড়া অবস্থায় থাকে।
৪. পুরুষ ছাগলের লোম স্ত্রী ছাগলের লোম থেকে লম্বা।
৫. এদের পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ ও স্ত্রী ছাগলের ওজন যথাকমে ৬৫ ও ৫০ কেজি।
৬. এদের দুধে প্রায় ৩.৫% ফ্যাট থাকে।
৭. কাশ্মীরি ছাগল (Kashmiri Goat)
ভারতের কাশ্মীর অঞ্চল এদের আদি বাসস্থান। এরা বেশ বড় ও কষ্ট সহিষ্ণু হয়।
কাশ্মীরি ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এরা গরম আবহাওয়া সহ্য করতে পারে না।
২. গায়ের রং সাধারণত সাদা, তবে ধূসর ও বাদামি বর্ণের ছাগল দেখা যায়।
৩. এদের শিং লম্বা এবং পেছনের দিকে বাঁকানো।
৪. কান ছোট এবং খাড়া, ফানেলের মতো।
৫. এদের দেহ মোলা সিল্ক জাতীয় লোমে আচ্ছাদিত থাকে। এ লোমের নিচে ছাই রঙের পশমিনা থাকে। ৬. এদের পশমিনা মোটা কম্বল ও শাল তৈরির কাজে লাগে।
৭. এরা ২২ মাসে প্রথম বাচ্চা দেয়।
৮. মাটু ছাগল (Matou Goat)
চীনের হুপেহ প্রদেশে এ জাতের ছাগল পাওয়া যায়। দুধ ও মাংসের জন্য পালন করা হয়।
মাটু ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এদের গায়ের রং সাদা, পা লম্বা।
২. এদের কান ছোট ও কাড়া, শিং নেই।
৩. এরা প্রতিবারে গড়ে ২টি বাচ্চা প্রসব করে।
৪. এরা দৈনিক দেড় লিটার দুধ দেয়।
৯. এ্যাংলো নুবিয়ান্ ছাগল (Anglo Nubian Goat)
নুবিয়ান ও ইংলিশ জাতের ছাগলের মধ্যে প্রজননের মাধ্যমে এ জাতের ছাগলের সৃষ্টি করা হয়েছে। দুধ ও মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়।
এ্যাংলো নুবিয়ান্ ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এরা বেশ শক্তিশালী ও পরিশ্রমী।
২. এদের কান লম্বা, শিং নেই।
৩. এদের দৈনিক গড়ে ১ লিটার দুধ দেয়।
৪. এদের দুধে চর্বির পরিমাণ প্রায় ৪.৫%।
১০. এ্যাংগোরা ছাগল (Angora Goat)
এ্যাংগোরা ছাগলের বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১. এদের লোম বেশ বড়, প্রায় ১৩-২৫ সেমি লম্বা ও উজ্জ্বল।
২. এতের দুধ উৎপাদন কম, গড়ে দৈনিক ৪০০ মি.লি.।
৩. এদের দুধে চর্বির পরিমাণ প্রায় ৫.৭%।
৪. এরা প্রতিবারে ১টি বাচ্চা প্রসব করে।
৫. এদেরকে রোমের জন্যই প্রধানত লালন-পালন করা হয়।