Skip to content

 

ওহাবি অর্থ কি? ওহাবি বলতে কি বুঝায়? ওহাবি কারা? ওহাবি বলার ইতিহাস এবং মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহেবের জীবনী।

ওহাবি অর্থ কি_ ওহাবি বলতে কি বুঝায়_ ওহাবি কারা_ বলার ইতিহাস এবং আব্দুল ওয়াহেবের জীবনী।
লেখকঃ শায়খ মুহাম্মাদ বিন জামীল যাইনু, শিক্ষক, দারুল হাদিস মক্কা, সৌদি আরব।

ওহাবি অর্থ কি ও ওহাবি বলতে কি বুঝায়? ওহাবি কারা?

ওয়াহহাব হল মহান আল্লাহর একটি নাম (আরবি: ِِِِِ َْوََحَابُ,) যার অর্থ “দানকারী”।

আজকাল সাধারণে ওহাবি শব্দটি বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছে, ওহাবি বলে সেসব  লোকদেরকে বুঝানো হয়, যারা কুরআন ও সহিহ হাদিসের পরিপন্থী সমাজে প্রচলিত নানা কুপ্রথা ও নিকৃষ্ট বিদআতের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক আমল করেন।  প্রচলিত ধ্যান-ধারণা এড়িয়ে কোরআন-হাদিস সমর্থিত আকীদা পোষণ করাই তাদের অন্যায়। বিশেষ করে তাওহীদের প্রতি দাওয়াত এবং অন্যদের ছেড়ে একমাত্র আল্লাহর কাছে দোয়া করতে বলা অন্যতম । 

ওহাবি সম্পর্কে আমার প্রথম জানা যেভাবেঃ

আমি আমার শায়খের কাছে ইবনে আব্বাসের রা. বিখ্যাত সে হাদিসটি পাঠ করেছিলাম, যাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

যখন চাইবে আল্লাহর কাছেই চাইবে আর যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করবে।  (তিরমিযি, হাসান সহিহ)

এর ব্যাখ্যায় ইমাম নববী রহ. বলেছেন, প্রার্থিত জিনিস যদি এমন হয় যা মানুষের হাতে নেই। যেমন, হিদায়াত, ইলম, রোগমুক্তি ও সুস্থতা- তাহলে যেন একমাত্র রবের কাছেই চায়।

তখন আমি আমার উস্তাদকে বললাম, এ হাদিস ও তার মর্ম আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়াকে নাজায়েয বলেছে। আমার ওস্তাদ বললেন : বরং জায়েয। তখন বললাম : আপনার নিকট এর কি দলীল আছে? এতে শায়খ খুব রেগে গেলেন এবং চেঁচিয়ে বলতে লাগলেন : আমার চাচী এভাবে বলেন: হে শায়খ সাদ! (ঐ মসজিদের নীচে কবরে শায়িত ব্যক্তি, তার নিকট সাহায্য চাইতে)। তখন আমি বললামঃ হে চাচী! তোমাকে কি শায়খ সাদ কোনো উপকার করতে পারে? উত্তরে বললেন : আমি তার কাছে দোয়া করি এবং তখন তিনি আল্লাহর কাছে গিয়ে আমার জন্য শাফায়াত করেন। 

আমি তখন শায়খকে বললাম, আপনি জ্ঞানী মানুষ। সারা জীবন কোরআন-কিতাব পাঠ করে কাটালেন। এরপরও কি আপনার আকিদাহ আপনার অজ্ঞ চাচীর কাছ থেকে নিবেন?

তিনি তখন রেগে বললেন, তোমার মধ্যে ওহাবিদের চিন্তা-ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ওমরাহ পালন করতে যাও আর তাদের কিতাব নিয়ে ফেরত আস। আসলে আমি ওহাবিদের সম্বন্ধে বলতে গেলে কিছুই জানতাম না, আমার উস্তাদের কাছ থেকে শুধু এতটুকু শুনতাম যে, ওহাবিরা সমস্ত মানুষদের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা ওলী-আউলিয়া ও তাদের কারামত বিশ্বাস করে না। তারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসে না। এবং এ জাতীয় আরও বহু অপবাদ। তখন আমি মনে মনে বললাম, যদি ওহাবিরা বিশ্বাস করে শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে এবং সুস্থতা দানের মালিক শুধু তিনি। তাহলে অবশ্যই আমাকে তাদের সম্বন্ধে জানতে হবে।

তারপর ওহাবিদের সম্পর্কে জানতে গিয়ে শুনলাম, একটি নির্দিষ্ট জয়গায় ওহাবিরা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একত্রিত হয়। তাফসির, হাদিস ও ফিকাহ নিয়ে আলোচনা হয়। সে মতে এক বৃহস্পতিবার আমি আমার ছেলেদের সহ আরো কিছু শিক্ষিত যুবকদের নিয়ে সেখানে গেলাম। একটা কক্ষে প্রবেশ করে দরসের জন্য অপক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর আমাদের সামনে একজন শায়খ আসলেন। সালাম জানিয়ে ডান দিক হতে শুরু করে সবার সাথে হাত মিলালেন। এরপর নির্ধারিত চেয়ারে বসলেন। আমি লক্ষ্য করলাম কেউ তাঁর সম্মানে দাঁড়াল না।

আমি মনে মনে বললাম, এ ওহাবি শায়খ খুবই নম্র ও বিনিত লোক। নিজ সম্মানে অন্যদের দাঁড়ানোকে পছন্দ করেন না। কিছুক্ষণ পর তিনি সে খুতবা পড়ে দরস শুরু করলেন, যা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ খুতবা ও দরস দেয়ার সময় বলতেন। খুতবার পর অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও বিশুদ্ধ আরবী ভাষায় কথা বলতে লাগলেন এবং হাদিস সম্বন্ধে আলোচনা শুরু করলেন- হাদিসের সনদ সহিহ না দুর্বল তাও বলে দিলেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নাম যতবার আসল ততবারই দরূদ পাঠ করলেন। আলোচনার শেষ ভাগে লিখিত প্রশ্নাবলী পেশ করা হল। তিনি কোরআন ও হাদিসের দলীলসহ সবগুলো প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন। উপস্থিত কতিপয় ব্যক্তিবর্গ তার সাথে আলোচনা করতে চাইলে কাউকে বিমুখ করলেন না।

দরসের শেষে ওহাবি শায়খটি বললেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাকে মুসলিম বানিয়েছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবাদের অনুসরণ করে চলার তাওফীক দিয়েছেন। কিছু লোক আমাদের সম্বন্ধে মন্তব্য করে বলে তোমরা ওহাবি। এটা হচ্ছে মানুষকে দেয়া নিকৃষ্ট উপাধি। এরূপ করতে আল্লাহ   নিষেধ করেছেন: 

তোমরা একে অপরকে মন্দ উপনামে ডেকো না। (সূরা হুজুরাত, ৪৯: ১১ আয়াত)।

অতীতে ইমাম শাফেয়ী রহ.-কে রাফেজি বলে আখ্যায়িত করা হলে তিনি এক কবিতার মাধ্যমে তার উত্তর দেন, যার সারমর্ম হল: 

যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর বংশীয়দের ভালবাসার নাম রাফেজি হয় তাহলে মানুষ ও জিন সকলে সাক্ষী থেকো, আমিও রাফেজি। 

শায়খের দরস শেষ হলে কিছু সংখ্যক যুবকের সাথে বের হয়ে আসলাম তারা তাঁর ইলম ও বিনম্র ব্যবহারে বিমুগ্ধ হয়ে পড়েছিল। তাদের একজন বলেই বসল, ইনি সত্যই শায়খ।

ওহাবি বলার ইতিহাসঃ

তাওহিদের শত্রুরা তাওহিদপন্থীদের মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাবের প্রতি সম্বন্ধযুক্ত করে ওহাবি নামে আখ্যায়িত করে। যদি তারা সত্যবাদিই হত তাহলে তাঁর মূল নাম মুহাম্মাদের সাথে সম্পর্ক করে বলত মুহাম্মাদী। কিন্তু আল্লাহ চাইলেন তাওহিদপন্থীরা তাঁর নাম ওহাব বা দাতা- এর সাথে সম্পর্কিত হউক। তাই থেকে হয়ে গেল ওহাবি। যদি সূফী বলতে সূফ বা পশমী কাপড় পরিধানকারী লোকদের সাথে সম্পর্কিত মানুষদের বুঝায়, তাহলে ওহাবি মানে আল্লাহর নাম ওহাব -যিনি মানুষকে একত্ববাদ দান করেন- এর সাথে সম্পর্কিত লোকদের বুঝাবে। 

মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহেবের জীবনীঃ

মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব, সৌদি আরবের অন্তর্গত নজদ এলাকায় ওয়াইনাহ নামক স্থানে ১১১৫ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১০ বছরে পদার্পণ করার পূর্বেই পবিত্র কোরআন মুখস্থ করেন। নিজ পিতার -যিনি হাম্বলী মাযহাবের একজন বিশেষ আলেম ছিলেন- নিকট হতে ফিকাহ শিখেন। তারপর বিভিন্ন ওস্তাদের নিকট হাদিস ও তাফসীর শাস্ত্রে শিক্ষা লাভ করেন। বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত: মদিনা শরিফ গিয়ে কোরআন হাদিসের উপর বিশেষভাবে গবেষণার মাধ্যমে তাওহিদের জ্ঞান লাভ করেন।

শৈশব থেকেই, নিজ এলাকাতে যে সব শিরক বিদআত ও কুসংস্কার প্রচলিত ছিল সেগুলো খুব খেয়াল রাখেন। যেমন, কবরকে পবিত্র ও বরকতময় জ্ঞান করে পূজা করা, যা ছিল সত্যিকারের ইসলাম পরিপন্থী।

মাঝে মাঝে শুনতেন তার এলাকার, মেয়েরা পুরুষ খেজুর গাছের কাছে ওছীলা চেয়ে বলত : হে পালের গোদা, বছর পূর্ণ হবার পূর্বে যেন স্বামী পাই। এ ছাড়া হেজাজে দেখতে পান বিভিন্ন সাহাবি ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরদের কবর পূজা করা হচ্ছে।

মদিনা শরিফে শুনতেন, লোকেরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কবরে গিয়ে আল্লাহকে ছেড়ে তাঁর নিকট বিপদ মুক্তি চাচ্ছে। আল্লাহকে ছেড়ে তাঁকে ডাকাডাকি করছে। এ সবই ছিল কোরআন ও নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথার বিপরীত। কারণ রাব্বুল আলামীন বলেন :

আর আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে ডেকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না এবং তোমার ক্ষতিও করতে পারে না। অতএব তুমি যদি কর, তাহলে নিশ্চয় তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(সূরা ইউনুস: আয়াত ১০৬) 

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা ইবনে আব্বাসকে রা. বললেন : 

যখন চাইবে কেবল আল্লাহর কাছেই চাইবে আর যখন সাহায্য প্রার্থনা করবে কেবল আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করবে। (তিরমিযি, হাসান সহিহ)। 

এতসব দেখে তিনি, তার এলাকাবাসীদেরকে তাওহিদ ও এক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার দিকে ডাকতে শুরু করলেন। যুক্তি দিয়ে বললেন, তিনিই শ্রষ্টা এবং এবং তিনিই দাতা। অন্যরা কারও কোনো কষ্ট দুর করতে সমর্থ নয়, এমনকি নিজেদেরও না। নেককারদের সাথে ভালবাসার অর্থ হল তাদের অনুসরণ করা, তাদেরকে আল্লাহ ও মানুষের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী বানানো নয়। আল্লাহকে ছেড়ে তাদের কাছে কোনো জিনিস চাওয়া নয়।

(১) তাঁর এ সব তাওয়াতি কর্মসূচী দেখে বাতিল পন্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে খাড়া হয়ে গেল। তিনি তাওহিদের দাওয়াত দিতে শুরু করলেন আর বিদআতীরা তার বিরুদ্ধে খাড়া হল। এটা খুবই স্বাভাবিক। কারণ, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন একত্ববাদের দাওয়াত নিয়ে তৈরী হলেন তখন মক্কার কাফেররা আবাক হয়ে বলেছিল:

সে কি সমস্ত মাবুদকে এক মাবুদ বানাতে চায়, এটাত সত্যই খুব অবাক হওয়ার কথা। ( সূরা সোয়াদ : আয়াত ৫) 

তখন তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়ে গেল তুমুলভাবে। তাঁর সম্বন্ধে নানা ধরণের মিথ্যা কথার প্রচার শুরু হল- যাতে তাঁর দাওয়াত কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মহান আল্লাহ দাওয়াতের হিফাযত করলেন। এ কাজের জন্য এমন এক দল লোক তৈরী করে দিলেন, যারা সে দাওয়াতের কাজ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল সারা হেজাজসহ অন্যান্য ইসলামি দেশগুলোয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত অনেক লোকই তাঁর সম্বন্ধে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, তিনি পঞ্চম মাযহাবের প্রতিষ্ঠা করেছেন। আসলে তিনি হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। তারা বলে: ওয়াহাবিরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ভালবাসে না। তাঁর উপর দরূদ পাঠ করে না। অথচ তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনী গ্রন্থ জাদুল মায়াদকে সংক্ষিপ্ত করেছেন। এ ধরণের আরো বহু অপবাদ দেয়া হয়। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এসব অপবাদের বিচার করবেন কিয়ামত দিবসে। যদি তারা তার বইপত্র পাঠ করত তাহলে দেখত- সেগুলো কোরআন, হাদিস ও সাহাবাদের কথায় পূর্ণ।

(২) হাদীসে আছে :

হে আল্লাহ! বরকত দাও আমাদের শামে এবং ইয়ামানে। লোকেরা বলল : আমাদের নজদে। তিনি বললেন : ওখান ভূমিকম্প ও বিভিন্ন ফেতনা হবে। সেখানে শয়তানের শিং উঠবে। ( বুখারি ও মুসলিম)। 

এ হাদিসের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ইবনে হাজার আসকালানী ও অন্যান্য আলেমরা বলেছেন : হাদীসে যে নজদের কথা বলা হয়েছে তার অবস্থান ইরাকে। কারণ সেখান থেকেই ফিতনা শুরু হয়েছে। যেখানে হোসাইন রা. কে শহীদ করা হয়। কিন্তু কিছু লোক মনে করে বর্ণিত নজদ হল হেজাজের নজদ। অথচ ইরাকে যে ধরণের ফিতনা প্রকাশ পেয়েছে সে রকম কোনো ফিতনা সৌদি আরবের নজদ থেকে প্রকাশ পায় নি। হেজাজের নজদ থেকে প্রকাশ পেয়েছে সে তাওহিদ যার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশ্ব জগতকে সৃষ্টি করেছেন, এবং সমস্ত রাসূলদের প্রেরণ করেছেন। 

(৩) কিছু ন্যায় পরায়ণ আলেম বলেছেন, তিনি হিজরী ১১ শতাব্দীর মোজাদ্দেদ। তারা তার সম্বন্ধে গ্রন্থ লিখেছেন। যেমন শায়খ আলী আল- তানতাভী রহ. যিনি বড় বড় ব্যক্তিত্বদের সম্বন্ধেও বহু বই লিখেছেন। শায়খ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল ওয়াহাব রহ. নামক বইতে তিনি লিখেছেন,  হিন্দুস্তান ও অন্যান্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে একত্ববাদের ধ্যান-ধারণা পৌছেঁছে মুসলিম হাজীদের দ্বারা, যারা মক্কা থেকে এই সম্বন্ধে ধারণা নিয়েছেন। ফলে ইংরেজ ও ইসলামের অন্যান্য শত্রুরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল। কারণ, একমাত্র তাওহিদই মুসলিমদেরকে নিজ শত্রুদের বিরুদ্ধে একত্রিত করে । ফলে, তারা এমন অবস্থা সৃষ্টি করল, যে ব্যক্তিই তাওহীদের দিকে মানুষকে ডাকে তাকেই তারা ওহাবি নামে আখ্যায়িত করে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমরা যেন সে তাওহিদ থেকে সরে যায় যে তাওহিদ এক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার শিক্ষা দেয়। 

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!