Skip to content

 

কছমের মাসায়েল ও কছমের কাফফারা

কসম এর মাসায়েল

কছমের মাসায়েল:

* বিনা প্রয়োজনে কথায় কথায় কছম খাওয়া (শপথ করা) অন্যায় কাজ।

* কছমের খেলাফ করলে বা খেলাফ হলে কাফ্ফারা দেয়া ওয়াজিব।

* যদি কেউ বলে আল্লাহর কছম বা খোদার কছম বা আল্লাহর বুযুর্গী ও বড়ত্বের কছম আমি অমুক কাজ করব বা করব না, তাহলে কছম হয়ে যাবে- তার খেলাফ করা কিছুতেই জারেয হবে না।

* যদি কেউ আল্লাহর গুণবাচক নাম উচ্চারণ করে কছম খায় তবুও কছম হয়ে যাবে “

* যদি কেউ আল্লাহর নাম উচ্চারণ না করে শুধু বলে কছম খাচ্ছি, অমুক কাজ করব বা করব না, তবুও কছম হয়ে যাবে।

* যদি কেউ বলে আল্লাহ স্বাক্ষী বা খোদা স্বাক্ষী বা আল্লাহ্‌কে হাজির নাযির জেনে বলছি, তবুও কছম হয়ে যাবে। কুরআন বা আল্লাহর কালামের কছম করলেও কছম হয়ে যায়। কিন্তু শুধু কুরআন হাতে নিয়ে বা কুরআন ছুয়ে যদি কিছু বলে কিন্তু কছম না খায় তাহলে কছম হবে না।

* যদি কেউ বলেঃ আমি যদি অমুক কাজ করি বা না করি, তাহলে যেন বেঈমান হয়ে যাই বা মৃত্যুর সময় যেন ঈমান নছীব না হয় বা অমুক কাজ করলে আমি মুসলমান নই, তাহলেও কছম হয়ে যাবে। তার খেলাফ করলে কাফ্ফারা দিতে হবে, তবে ঈমান যাবে না।

* যদি কেউ বলে অমুক কাজ করলে আমার উপর যেন আল্লাহর গযব পড়ে বা খোদার অভিশাপ হয়, বা বলেঃ যদি অমুক কাজ করি তাহলে আমি শুকর খাই বা তাহলে যেন আমার অঙ্গহানি হয় বা কুষ্ঠরোগ হয়- ইত্যাদি কথায় কছম হয় না।

* আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও কছম খেলে কছম হয় না। যেমন রাসূলের কছম কা’বা শরীফের কছম বা মাতা-পিতার কছম বা সন্তানের কছম বা যে কোন মানুষের কছম। তবে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও কছম খাওয়া শেরেকী পর্যায়ের শক্ত গোনাহ।

* যদি কেউ বলে তোমার ঘরের ভাত পানি আমার জন্য হারাম বা অমুক জিনিস আমি আমার জন্য হারাম করে নিয়েছি, তাহলে কছম হয়ে যাবে- সে জিনিস খেলে কাফ্ফারা দিতে হবে।

* যদি কেউ অন্যকে কছম দেয় যে, তোমার আল্লাহর কছম তুমি অমুক কাজটা করে দাও বা কর না, তাহলে কছম হয় না- সেই অন্য ব্যক্তির জন্য তার খেলাফ করা দুরস্ত আছে।

* আল্লাহর কছম খেয়ে অতীত বা বর্তমানের কোন বিষয়ে কোন মিথ্যা তথ্য দিলে বা মিথ্যা বললে কঠিন পাপ হয়; তবে তাতে কোন কাফ্ফারা দিতে হয় না। ভবিষ্যতের কোন বিষয়ে কছম সহকারে কিছু বললে যদি তার খেলাফ করে বা খেলাফ হয় তাহলে কাফ্ফারা দিতে হবে।

* কোন কাজ করার কছম খেলে তা করা তার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়, না করলে গোনাহ হবে এবং কাফ্ফারা দিতে হবে। পক্ষান্তরে কোন কাজ না করার কছম খেলে সেটা করা তার জন্য হারাম হয়ে যায়, করলে গোনাহ হবে এবং কাফ্ফারা দিতে হবে। তবে কোন গোনা কছম করলে তার জন্য কছম ভঙ্গ করা ওয়াজিব, কছম ভেঙ্গে কাফ্ফারা দিবে, নতুবা গোনাহগার হবে।

* বিগত কোন ঘটনার বা কথার উপর এই ভেবে কছম দেয়া যে, সে ঠিক বলছে অথচ বাস্তব তার বিপরীত, এরূপ কছমের কোন কাফ্ফারা নেই।

কছমের কাফফারা:

* কছম ভঙ্গ করলে তার কাফ্ফারা হল দশজন মিসকীনকে দু’বেলা পেট ভরে খাওয়ানো অথবা প্রত্যেক মিসকীনকে এক সের সাড়ে বার ছটাক (১ কেজি ৬৬২ গ্রাম) আটা বা তার মূল্য দেয়া। (পূর্ণ দুই সের দেয়া উত্তম। আর ধান চাউল দিলে গমের মূল্য হিসেবে দিতে হবে)। অথবা প্রত্যেক মিসকীনকে এই পরিমাণ কাপড় দিবে যার দ্বারা শরীরের অধিকাংশ ঢাকতে পারে যেমন জামা ও পায়জামা বা লুঙ্গি। মহিলাকে কাপড় দিলে এত পরিমাণ দিবে যার মদ্বারা সে সমস্ত শরীর ঢেকে নামায পড়তে পারে।

* যদি কেউ দশ মিসকীনকে খাওয়ানো বা কাপড় দেয়ার মত সঙ্গতি না রাখে, তাহলে তাকে এক সঙ্গে (বিরতি না দিয়ে) তিনটি রোযা রাখতে হবে।

* কছম ভঙ্গ করার আগেই কাফ্ফারা দিলে সেটা কাফ্ফারা বলে গণ্য হবে না- পরে কছম ভঙ্গ হলে আবার কাফ্ফারা দিতে হবে।

* একটা বিষয়ে একাধিক বার কছম খেলে তার কাফ্ফারা একটাই।

* কয়েকটা কছমের কাফফারা ওয়াজিব হলে সব কাফ্ফারাই পৃথক পৃথক আদায় করতে হবে।

* যারা যাকাত গ্রহণ করার উপযুক্ত কাফ্ফারা শুধু তাদেরকেই দেয়া যাবে। (বেহেশতী জেওর থেকে গৃহীত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!