একটি ভ্রান্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর :-
🛑প্রশ্নঃ কতজন ফেরেশতা আল্লাহর পাঠানোর কথা ছিল যুদ্ধে মুসলিমদের সাহায্য করতে? কুরআন স্বয়ং এক এক জায়গায় এক এক সংখ্যা বলছে। এটা কি ভুল নয়?
বিস্তারিত প্রশ্ন-
আল্লাহ মুসলিমদের পক্ষে যুদ্ধে কতজন ফেরেশতা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেন?
১) ১০০০
” তোমরা যখন ফরিয়াদ করতে আরম্ভ করেছিলে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট, তখন তিনি তোমাদের ফরিয়াদের মঞ্জুরী দান করলেন যে, আমি তোমাদিগকে সাহায্য করব ধারাবহিকভাবে আগত হাজার ফেরেশতার মাধ্যমে। ” (আনফাল, ৮:৯)
২) নাকি ৩০০০
” আপনি যখন বলতে লাগলেন মুমিনগণকে-তোমাদের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের সাহায্যার্থে তোমাদের পালনকর্তা আসমান থেকে অবতীর্ণ তিন হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন। ” (আলে ইমরান, ৩:১২৪)
৩) নাকি ৫০০০
” অবশ্য তোমরা যদি সবর কর এবং বিরত থাক আর তারা যদি তখনই তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের পালনকর্তা চিহ্নিত ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা তোমাদের সাহায্যে পাঠাতে পারেন। ” (আলে ইমরান, ৩:১২৫)
বলুন, ১০০০ নাকি ৩০০০? নাকি ৫০০০?
🔷উত্তরঃ যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
আয়াতের তাফসির হতে আমরা আয়াত গুলো কোন প্রসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা আমরা জানতে পারি। মূলত দুইটি ব্যাখা আমরা পাই।
১. প্রথমত আয়াতগুলো বদরের যুদ্ধের জন্য প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে ১০০০ ফেরেশতা যারা একের পর এক আসতে থাকবে তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর তা বাড়িয়ে তিন হাজার করা হয় এবং তারপর আরো দুই হাজার মোট পাঁচ হাজারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এটা আর কিছুই নয় যুদ্ধে reinforcement হিসেবে এভাবে ধাপে ধাপে তাদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আর এটা প্রসিদ্ধ যে কেবল বদরের যুদ্ধেই ফেরেশতারা সরাসরি সাহায্য করেছিল। আল্লাহই ভাল জানেন।
২. দ্বিতীয় মত হল ১০০০ ফেরেশতার সাহায্য বদরের যুদ্ধে এসেছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। এরপর উহূদের যুদ্ধের জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রথমে তিন হাজার ও বাড়িয়ে পাঁচ হাজার করেছিলেন। কিন্তু সাথে শর্ত দিয়েছিলেন যে মুসলিমদের শত্রুর আক্রমণে ধৈর্য্য ধারণ ও সংযমী হতে হবে। কিন্তু তারা ধৈর্য্য ধারণ না করে পলায়ন করায় একজন ফেরেশতার সাহায্যও পায়নি।
সর্বোপরি আল্লাহই ভাল জানেন সবচেয়ে।