🛑প্রশ্নঃ কুরআনের মতে, মানুষ যেটাকে মেঘ বলে ভুল করে সেটা আসলে মেঘ নয়! আল্লাহর দাবী অনুযায়ী শক্ত কঠিন পদার্থের তৈরী আকাশের কোন এক খন্ড! অর্থাৎ মেঘ তৈরী হয় আকাশের কোনো খন্ড থেকে। কিন্তু বিজ্ঞান বলে, মেঘ সৃষ্টি হয় পানি বাষ্প হয়ে…….. কত অবৈজ্ঞানিক কুরআন?
* সূরা তূর, ৫২: ৪৪ = তারা যদি আকাশের কোন খন্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলে এটা তো পুঞ্জীভুত মেঘ।
🔷উত্তর :- পাঠক আপনারা আয়াতটি আবার পড়ুন তো , আল্লাহ কি একবারও দাবী করেছেন যে আকাশ শক্ত পদার্থ? উত্তর হল না। আবার মেঘ তৈরি হয় আকাশের কোন এক খণ্ড থেকে এই কথা কি কুরআনের আয়াতে বলা আছে? উত্তর হচ্ছে না। তাহলে কুরআনের আয়াত যা বলে নি সেখানে নিজের মিথ্যাচার প্রবেশ করিয়ে দিয়ে আবার নিজেই সেটির উপর ভিত্তি করে কোন একটি তথ্যকে ভুল প্রমান করা যে কতটুকু হাস্যকর সেটি আপনারাই বিচার করুন। তাই আমরা পরিস্কার ভাবে দেখতে পারছি যে প্রশ্নকর্তা সরাসরি ডাহা মিথ্যাচার করেছেন কুরআনের আয়াত নিয়ে এতে কোন সন্দেহ নেই।
ধরুন আপনি আর আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি একটি মাঠের কিনারা দিয়ে। আপনি দেখতে পেলেন এক দল যুবক বিড়ি খাচ্ছে। আপনি তাদেরকে বাধা দিলেন এবং বুঝালেন যে দেখ ছেলেরা এসব নেশাদ্রব্য নাস্তিক ধর্মে জায়েজ থাকলেও , এটি খাওয়া ইসলামে নিষেধ , খারাপ কাজ, যা খেলে তমাদের গুনাহ হবে এবং তওবা না করলে মৃত্যুর পরে আল্লাহর আজাব আসবে। আপনি তাদেরকে এত ভাল করে বুঝানোর পরেও তারা আপনার কথায় পাত্তা দিল না। আমি আপনাকে বললাম যে ভাই আপনি তাদেরকে যাই উপদেশ দেন না কেন, আপনার উপদেশের খাজানার এক খণ্ড শুনেও বিড়ি খাওয়াকে একপ্রকার ফ্যাশনই মনে করবে তারা।
আমার উদাহরণ বুঝে থাকলে বলুন আমি যে বললাম “উপদেশের এক খণ্ড শুনেও তারা বিড়ি সেবন করাকে এক প্রকার ফ্যাশন ভাববে” এরমানে কি আমি বিশ্বাস করি যে বিড়ি খেওয়া ফ্যাশন? অথবা এরমানে কি আমি দাবী করেছি যে উপদেশ থেকে একখণ্ড পুষ্টিকর নাস্তিকিও বিড়ি তৈরি হয়? উত্তর হচ্ছে না। ঠিক একইভাবে আল্লাহও কুরআনে সেই কথাটি বলছেন যে কাফেররা যদি আকাশের কোন খণ্ডকে পতিত হতে দেখে, তবে বলবে এটি তো পুঞ্জিভুত মেঘ – কিন্তু এরমানে এই না যে , আল্লাহ দাবী করছেন যে আকাশ শক্ত পদার্থ , এরমানে এই না যে মেঘ তৈরি হয় আকাশের এক খণ্ড থেকে অর্থাৎ কুরআনের আয়াতকে ভুল দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করে সরল সহজ মানুষদের কাছে ডাহা মিথ্যাচার করছেন নাস্তিক ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসীরা। আমরা সভ্য চিন্তাশীল মানুষরা খগেনদের মিথ্যাচার দেখে মোটেও অবাক হই না কারন তাদের নাস্তিক ধর্মে মিথ্যা বলা জায়েজ কারন কুরআনে তথা সুরা হজ ২২:৩০ = বলা হয়েছে মিথ্যা হতে দূরে থাক। কুরআনের এই কথা মানলে তারা নাস্তিক হয় কিভাবে?
কাফেরদের ইসলাম বিদ্বেষীতা বুঝাতে গিয়েই আল্লাহ সূরা তূর, ৫২: ৪৪ এর কথা বলেছেনঃ বিস্তারিত জানতে দেখুন = তাফহীমুল কুরআন, সুরা তুর ৫২:৪৪ , ১২৮ পৃষ্ঠা দেখুন এবং ড মুজিবুর রহমান অনুবাদকৃত তাফসীরে ইবনে কাসীর ১৭/১২৮ পৃষ্ঠা দেখুন।