Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

কুরআন অনুবাদের ক্ষেত্রে কেন আল্লাহ্‌র জন্য পুরুষবাচক সর্বনাম, “هُوَ” (He বা তিনি) ব্যবহার করা হয়েছে?? আল্লাহ্‌র তো কোন লিঙ্গ নেই।

কুরআন অনুবাদের ক্ষেত্রে কেন আল্লাহ্‌র জন্য পুরুষবাচক সর্বনাম, “هُوَ” (He বা তিনি) ব্যবহার করা হয়েছে ?? আল্লাহ্‌র তো কোন লিঙ্গ নেই।

🛑 প্রশ্ন:- কুরআন অনুবাদের ক্ষেত্রে কেন আল্লাহ্‌র জন্য পুরুষবাচক সর্বনাম, “هُوَ” (He বা তিনি) ব্যবহার করা হয়েছে?? আল্লাহ্‌র তো কোন লিঙ্গ নেই।

🔷ব্যাখ্যা:- কুরআনে আল্লাহ্‌র জন্য পুরুষবাচক সর্বনাম “هُوَ” ব্যবহার করা হয়েছে আল্লাহ্‌র সুমহান মর্যাদা এবং অতুলনীয় শ্রেষ্ঠত্বকে প্রকাশ করার জন্য।

বাংলায় “তিনি” সর্বনামটি একটি লিঙ্গ নিরপেক্ষ (Neuter Gender) সর্বনাম। নারী কিংবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই “তিনি” সর্বনামটি ব্যবহার করা যায়। যেমন— “তিনি আমার মা” অথবা “তিনি আমার বাবা”। অর্থাৎ, বাবা কিংবা মা উভয়ের ক্ষেত্রেই “তিনি” ব্যবহার করা গেল। আবার “তিনি” দিয়ে নারী বা পুরুষ কাউকেই না বুঝিয়ে সর্বনামটি ব্যবহার করা যায়। যেমন—“তিনি আসছেন।” এখানে যিনি আসছেন তিনি নারী নাকি পুরুষ তা বোঝার উপায় নেই।

কিন্তু আরবিতে এমনটি হওয়া অসম্ভব যেহেতু আরবি ভাষায় বাংলা ভাষার “তিনি” এর মতো কোনো লিঙ্গ নিরপেক্ষ সর্বনাম নেই। অধিকিন্তু, আরবি ভাষায় এমন কোনোকিছু নেই যা লিঙ্গ নিরপেক্ষ। আরবি ভাষায় প্রতিটি Noun বা বিশেষ্যের Gender বা লিঙ্গ রয়েছে—হয় তা নারী, না হয় পুরুষ। এই অপরিহার্য ভাষাগত নিয়মের কারণেই কুরআনে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার জন্য পুরুষবাচক “هُوَ” বা “He” এবং নারীবাচক “هِيَ” বা “She”—এই দুটিমাত্র সর্বনামের মধ্য থেকে পুরুষবাচক “هُوَ” বা “He” সর্বনামটিকে চয়ন করা হয়েছে।

আর এটিই যথার্থ শোনায়। কারণ নারী বা পুরুষ হওয়া সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু এই বৈশিষ্ট্য থেকে মুক্ত এবং পবিত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!