Skip to content

 

প্রশ্নঃ কুরআন এ এক জায়গায় বলছে, ঈসা (আ) এর খবর দেয়ার জন্য একজন ফেরেশতা এসেছেন। আরেক জায়গায় বলছে, একাধিক ফেরেশতা এসেছিল। কুরআন নিজেই নিজের কথা বিরোধিতা করছে?

প্রশ্নঃ কুরআন এ এক জায়গায় বলছে, ঈসা (আ) এর খবর দেয়ার জন্য একজন ফেরেশতা এসেছেন। আরেক জায়গায় বলছে, একাধিক ফেরেশতা এসেছিল। কুরআন নিজেই নিজের কথা বিরোধিতা করছে?

একটি ভ্রান্ত প্রশ্ন ও তার উত্তর :-

🛑প্রশ্নঃ কুরআন এ এক জায়গায় বলছে, ঈসা (আ) এর খবর দেয়ার জন্য একজন ফেরেশতা এসেছেন। আরেক জায়গায় বলছে, একাধিক ফেরেশতা এসেছিল। কুরআন নিজেই নিজের কথা বিরোধিতা করছে?

বিস্তারিত প্রশ্ন-
হযরত ঈসা (আ) এর জন্মসংবাদ দিতে ফেরেশতা আসেন।
কতজন ফেরেশতা?
কতজন কথা বলেন?

১) একজন (জিবরাঈল)

“এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল। এরপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ (জিবরাঈল) প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল। মারইয়াম বললঃ ‘আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহভীরু হও।’ সে বললঃ ‘আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যে তোমাকে এক পবিত্র পুত্রের সংবাদ দান করে যাবে।’ “
(মারিয়াম, ১৯:১৬-১৯)

২) নাকি একাধিক ফেরেশতা??

“আর যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম!, আল্লাহ তোমাকে পছন্দ করেছেন এবং তোমাকে পবিত্র পরিচ্ছন্ন করে দিয়েছেন। আর তোমাকে বিশ্ব নারী সমাজের উর্ধ্বে মনোনীত করেছেন।’ “
(আলে ইমরান, ৩:৪২)

“যখন ফেরেশতাগণ বললো, ‘হে মারইয়াম আল্লাহ তোমাকে তাঁর এক বানীর সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম হলো মারইয়াম-তনয়-মসীহ ঈসা, দুনিয়া ও আখেরাতে তিনি মহাসম্মানের অধিকারী এবং আল্লাহর ঘনিষ্ঠদের অন্তর্ভুক্ত।’
(আলে ইমরান, ৩:৪৫)

কতজন? এক, নাকি একাধিক?

🔷উত্তরঃ যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

লজিক ১

যেখানে অনেক ফেরেশতা এসে মেরি/মরিয়মকে খবর দিলেন আর যেখানে একজন অর্থাৎ জিবরাঈল এসে খবর দিলেন, দুটো দুই ঘটনা হতে পারে। জিবরাঈল এসেছিলেন মারিয়ামের গর্ভে ঈসার (আ) ভ্রূণ স্থাপন করতে।
দুটো ভিন্ন ঘটনা হলেই তো ঘটনা মিলে যায়। কোন সমস্যা থাকে না। আর এ ব্যাপারটাই বেশীরভাগ আলেম বলেছেন।

লজিক ২

তারপরও যদি কেউ না মানতে চান, তাদের জন্য বলতে হয়, মানুষের সাথে সবসময়ই ফেরেশতা থাকেন। মারিয়ামের সাথেও ছিলেন। তাই একাধিক ফেরেস্তার উপস্থিতিতে প্রধান ফেরেশতা জিবরাঈল কথা বলে থাকতে পারেন। আর অনেকে যখন এক সাথে কোথাও থাকেন, তখন কথা তো সবাই একসাথে বলেন না, একজনই বলেন। কিন্তু সেটাই “সবার” বক্তব্য হিসেবে ধরা হয়। তাই ফেরেশতাদের মধ্য থেকে জিবরাঈল একা বললেও এটা “তাদের”ই বক্তব্য। এদিক থেকে বলা যায়, “ফেরেশতা জিবরাঈল (আ) বললেন” এই কথাটা যেমন, তেমনই একই কথা “ফেরেশতারা বললেন”।

এছাড়া রাজকীয় প্লুরাল যুক্তি দিয়েও এটা প্রমাণ করা যেতে পারে, তবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত না, তাই এ দুটো লজিকই যথেষ্ট।

কুরআনে কোন ভুল নেই। এভাবে ইসলাম নিয়ে সকল অভিযোগের জবাব দেয়া সম্ভব। ইনশাল্লাহ।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।

আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!