Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরি।

কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরি।

কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায়?

যে কোন প্রাণীর জীবন ধারণ, স্বাস্থ্যরক্ষা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও উৎপাদনের জন্য খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। কোয়েলও এর ব্যতিক্রম নয়। বরং খাদ্যের পরিমাণ, পুষ্টিমান সঠিক হারে না পেলে এই ছোট্ট পাখিটির স্বাস্থ্যরক্ষা, বৃদ্ধি, ডিম ও মাংস উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

যেহেতু কোয়েল খামারের মোট খরচের শতকরা ৬০-৭০ ভাগই খাদ্যের পিছনে ব্যয় হয়, তাই খাদ্য তৈরিতে খামারিদের যত্নবান হওয়া উচিত। এজন্য বিভিন্ন খাদ্য উপাদান (Feed ingredients) আনুপাতিক হাতে মিশিয়ে সুষম খাদ্যতালিকা বা রেশন (Ration) তৈরি করতে হবে।

কোয়েলের পালনকালের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বাভাবিক বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যরক্ষা, ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য এদের খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের (Feed nutrients) চাহিদার বেশ তারতম্য ঘটে। পুষ্টি উপাদানের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে বয়স অনুযায়ী কোয়েলকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। যথা :

  • ১. প্রারম্ভিক পর্ব (Starter stage): ০-৩ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
  • ২. বৃদ্ধি পর্ব (Grower stage): ৪-৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
  • ৩. ডিমপাড়া পর্ব (Layer stage): ৬-৬০ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।
  • ৪. ব্রিডার পর্ব (Breeder stage): সাধারণত ১০-৩০ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত।

১. প্রারম্ভিক পর্বের খাদ্য

দিন থেকে তিন সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত কোয়েলের খাদ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হয়। কারণ, এ সময়টা এদের জীবনের সংকটময় কাল। এ বয়সে এদের দৈহিক বৃদ্ধি সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে এবং মর্দা ও মাদীর বৃদ্ধির হারও সমান থাকে।

প্রারম্ভিক পর্বের কোয়েলের খাদ্যে ২৭% আমিষ ও প্রায় ২,৮০০ কিলো ক্যালরি বিপাকীয় শক্তি/কেজি থাকা প্রয়োজন।

২. বৃদ্ধি পর্বের খাদ্য

তিন সপ্তাহের পর থেকে মর্দাগুলোর তুলনায় মাদীগুলোর বৃদ্ধির হার বেশি হয়। কারণ, এ সময় মাদীগুলোর ডিম্বাশয় ও ডিম্বনালীর আকার ও ওজন বাড়তে থাকে। কোয়েল ছাড়া পোল্ট্রির অন্য প্রজাতিগুলোর মধ্যে এমনটি সচরাচর দেখা যায় না। তবে সামগ্রিকভাবে প্রারম্ভিক পর্বের তুলনায় এ পর্বে কোয়েলের বৃদ্ধির হার কম।

এ বয়সের কোয়েলের খাদ্যে ২৪% আমিষ ও ২,৮০০ কিলো ক্যালরি বিপাকীয় শক্তি/কেজি থাকতে হয়। তবে ব্রয়লার কোয়েলের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পর্বেও প্রারম্ভিক পর্বের ন্যায় খাদ্যে ২৭% আমিষ থাকা প্রয়োজন।

৩. লেয়ার পর্বের খাদ্য

কোয়েল ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে ডিম পাড়া শুরু করে। এ সময় এদের বৃদ্ধির হার পূর্ববর্তী পর্বগুলোর মতো এত দ্রুত হয় না। দৈহিক বৃদ্ধি ও ডিম পাড়ার হারের ওপর ভিত্তি করে এ পর্বটিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন, পর্যায়- এক : ৬-১৪ সপ্তাহ পর্যায়- ২ : ১৫- ২৬ সপ্তাহ এবং পর্যায়- ৩ : ২৭ সপ্তাহ বাকি সময় ৷

See also  কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে (৮টি) পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি

ক. পর্যায়- এক (৬-১৪ সপ্তাহ)

এ পর্যায়ে কোয়েল পুলেটের (Pullet) দৈহিক ওজন প্রায় ২০ গ্রাম বৃদ্ধি পায়। ডিম উৎপাদন শূন্য থেকে সর্বোচ্চ হারে (৯০)% পৌঁছে। তাছাড়া ধীরে ধীরে ডিমের আকার ও ওজন বৃদ্ধি পেয়ে ৬ সপ্তাহে ৯ গ্রাম থেকে ১৪ সপ্তাহে ১১ গ্রামে পৌঁছে। কাজেই লেয়ার কোয়েলের পুরো উৎপাদনকালের মধ্যে এ পর্যায়টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ পর্যায়ের পুলেটের খাদ্যের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

ক. পর্যায়- দুই (১৫-২৬ সপ্তাহ )

এ পর্যায়ে দৈহিক বৃদ্ধি এবং ডিমের আকার ও ওজনের তেমন পরিবর্তন হয় না। কাজেই এ পর্বটি পূর্ববর্তী পর্যায় থেকে আমিষ ও বিপাকীয় শক্তি কম লাগে।

গ. পর্যায়- তিন (২৭ সপ্তাহ-বাকি সময়)

এ পর্যায়ে ডিম উৎপাদনের হার কমে যায়। তবে ডিমের ওজন কিছুটা বাড়তে থাকে। কিন্তু দৈহিক ওজন স্থির থাকে। কাজেই এ পর্যায়ে খাদ্যে আমিষ ও বিপাকীয় শক্তি কম লাগে।

লেয়ার কোয়েলের বিভিন্ন পর্যায়ের পার্থক্যের কারণে পুষ্টি উপাদানের চাহিদারও হেরফের ঘটে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কতটুকু পার্থক্য ঘটে এবং সেই পার্থক্যের জন্য তিন পর্যায়ে তিন প্রকার রেশনের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু ও অর্থনৈতিকভাবে তা কতটুকু উপযোগী সে সম্পর্কিত তথ্য-প্রমাণাদি এখনও পাওয়া যায় নি। তাই ব্যবহারিক ক্ষেত্রে পুরো ডিম উৎপাদন পর্বটিতে কোয়েলকে একই ধরনের রেশন দেয়া হয়। লেয়ার কোয়েলকে খাদ্যে ২২% আমিষ ও প্রায় ২,৭০০ কিলো ক্যালরি বিপাকীয় শক্তি/কেজি প্রয়োজন হয়।

৪. ব্রিডার কোয়েলের খাদ্য

অন্যান্য পোল্ট্রির মতো কোয়েলের প্রজনন ক্ষমতার নিম্নলিখিত দিকগুলোর ওপর পুষ্টি উপাদানসমূহ প্রভাব ফেলবে। যেমন :

  • ক. বীর্য বা সিমেনে (Semen) গুণগত মান ও পরিমাণ।
  • খ. ডিম উৎপাদন।
  • গ. ডিমের বিভিন্ন উপাদান, ডিমের উর্বরতা ও স্ফুটন ক্ষমতা ইত্যাদি।

ব্রিডার কোয়েলের খাদ্যে পুষ্টি উপাদানের প্রকৃত চাহিদা সম্পর্কে তেমন কোন গবেষণমূলক তথ্য এখনও পাওয়া যায় নি বলে লেয়ারের জন্য প্রযোজ্য রেশনই ব্রিডারকে দেয়া হয়। তবে এদের খাদ্যে যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরি।

কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকাঃ

কোয়েল পাখিকে সাধারণত ৩ ধরনের খাবার প্রদান করা হয়। স্টার্টার, গ্রোয়ার ও লেয়ার। আকারে ছোট হলেও এদের প্রোটিন চাহিদা তুলনামূলক বেশি। কোয়েল পাখির খাবার তৈরি করতে হলে এর প্রোটিন ও এনার্জি মান বিবেচনায় রাখতে হবে।

নিচে কোয়েল পাখির একটি আদর্শ খাদ্য তালিকা দেয়া হলো। উল্লেখ্য আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত জাপানীজ কোয়েল পাখির জন্য এই কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকাটি প্রযোজ্য। বব হোয়াইট কোয়েল বা অন্যান্য ব্রয়লার কোয়েল পাখির জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।

খাদ্য উপাদানস্টার্টারগ্রোয়ারলেয়ার
ভূট্টা৫২ কেজি৫৬ কেজি৫৬ কেজি
সয়াবিন মিল২৫ কেজি২২ কেজি১৮ কেজি
রাইচ পালিশ১০ কেজি১১.২ কেজি১০ কেজি
প্রোটিন ৬০%৮ কেজি৬ কেজি৫ কেজি
লাইমস্টোন / ঝিনুক চূর্ণ২ কেজি১.৮ কেজি১০ কেজি
লবণ৩০০ গ্রাম২৮০ গ্রাম২৮০ গ্রাম
ডিসিপি৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম
*সালমোনেলা কিলার২০০ গ্রাম২৫০ গ্রাম২৫০ গ্রাম
*প্রিমিক্স৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম৩০০ গ্রাম
ডিএল- মিথিওনিন১২০ গ্রাম১১৫ গ্রাম১৩০ গ্রাম
এল-লাইসিন৯০ গ্রাম৫০ গ্রাম৫০ গ্রাম
সোডা১০০ গ্রাম১২৫ গ্রাম১৫০ গ্রাম
কোলিন ক্লোরাইড৭০ গ্রাম৭০ গ্রাম৬০ গ্রাম
*টক্সিন বাইন্ডার১২৫ গ্রাম১৩৫ গ্রাম১৫০ গ্রাম
*সয়াবিন তেল৫০০ গ্রাম২০০ গ্রাম
মোটঃ১০০ কেজি১০০ কেজি১০০ কেজি
কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরি।

কোয়েল পাখির খাবার তালিকাঃ

বয়স অনুসারে কোয়েল পাখির খাবার পরিমাণের তালিকা দেওয়া হলো।

See also  কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন (কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো)
খাবারের নামবয়স (দিন)
স্টার্টার০-২২ দিন
গ্রোয়ার২৩- ৫৬ দিন
লেয়ার৫৭ – বিক্রি পর্যন্ত

কোয়েল পাখির প্রাকৃতিক খাবারঃ

কোয়েল পাখির প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে রয়েছে চাল, খুদ, ভূট্টা, সয়াবিন মিল, ঝিনুক চূর্ণ, লবন ইত্যাদি ইত্যাদি।

একটি গবেষনায় দেখা গেছে, ডিম পারা কোয়েলের প্রায় ২২% প্রোটিন সরবরাহ করা প্রয়োজন। যেখানে মুরগির জন্য ১৮% দিলেই হয়। কোয়েল সাইজে ছোট হলেও এর ডিমের আকার তুলানামূলক বড়। তাই ক্যালসিয়াম ও জিঙ্কের ও মিনারেল চাহিদাও বেশি।

  • কোয়েল থেকে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পেতে হলে খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা সঠিক হওয়া চাই। প্রতিটি পাখির জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানির জায়গা এবং পাত্র থাকলে এরা খাদ্য ও পানি গ্রহণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এতে এদের দৈহিক বৃদ্ধি সঠিক হবে ও ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে।
  • কোয়েলকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। তা না হলে পর্যাপ্ত ডিম উৎপাদন হবে না। খাদ্যে ক্যালসিয়ামের অভাব থাকলে পাতলা খোসাযুক্ত বা খোষাবিহীন ডিম উৎপাদন হবে।
  • নিম্নমানের, ফাংগাসপড়া বা ভেজাল খাদ্য খাওয়ানো উচিত নয়। খাদ্য খুব গুঁড়া করে (বিশেষত শুটকি মাছ, ঝিনুক, গম ইত্যাদি) দিতে হবে। একবার খাবার সরবরাহ করলে তা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আবার সরবরাহ করা যাবে না। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার সরবরাহ করতে হবে। এ লক্ষ্যে দৈনিক তিনবার, যেমন : সকাল ৬টা-৭টা, দুপুর ১২টা-১টা, সন্ধ্যা ৬টি-৭টার দিকে খাবার দেয়া উচিত।
  • খাবারের পাত্র কখনোই পুরোপুরিভাবে খাদ্য দিয়ে পূর্ণ করা যাবে না। কারণ, এতে খাদ্য গ্রহণকালে কোয়ের খাদ্য ফেলে দিয়ে অপচয় ঘটায়। একথা মনে রাখা উচিত যে, খামারের খরচের ৬০-৭০%ই খাদ্য বাবদ হয়। কাজেই, অহেতুক খাদ্য অপচয় করা যাবে না।
  • পানির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। যেহেতু পানির অপর নাম জীবন তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ না করলে এরা পানিশূন্যতায় ভুগে দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে উৎপাদন কমে যাবে। কাজেই তিন বেলা খাদ্য সরবরাহ করার সময় বিশুদ্ধ পানিও সরবরাহ করতে হবে।
  • শুটকি মাছ পড়ে বা অন্য কোনভাবে পানির পাত্র যেন নোংরা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, এভাবে পাত্র নোংরা হলে তাতে শৈবাল (Algae) ও ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) জন্মাবে এবং সেই পানি পানে পাখির পেটের পীড়া দেখা দেবে। তাই পানির পাত্র প্রতিদিন দু বার পরিষ্কার করা উচিত। তাছাড়া পানির পাত্রও পুরোপুরি পূর্ণ করা চলবে না। এতে এরা লিটারের (অবশ্যই লিটার পদ্ধতিতে) পানি ফেলে তা ভেজা ও স্যাসস্যাতে করে ফেলবে।
See also  ব্রয়লার কোয়েল পালন পদ্ধতি, কিভাবে কোয়েল পালন করা যায়, বাংলাদেশে কোয়েল পালন (কোয়েল পালন)
কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরি।

কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরিঃ

কোয়েলের খাদ্য তৈরি করার সময় খামারিকে নিম্নের প্রশ্নগুলোর উত্তর অবশ্যই জানতে হবে।

যথা :

  •  ক. কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে (যেমন : ডিম উৎপাদন, মাংস উৎপাদন ইত্যাদি) কোয়েল পালন করা হচ্ছে? সেই জন্য খাদ্যে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান কী হারে থাকতে হবে।
  • খ. সুষম খাদ্য তৈরিতে কোন কোন খাদ্য উপাদান ব্যবহার করতে হবে?
  • গ. খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত খাদ্য উপাদাগুলোতে পুষ্টি উপদানের প্রকৃত হাত কতটুকু?

বিভিন্ন বয়সের কোয়েরের খাদ্যে পুষ্টি উপাদান বিভিন্ন হারে প্রয়োজন হয়। তালিকা-২ এ বয়সভেদে জাপানি কোয়েলের খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানসমূহের শতকরা হার দেখানো হয়েছে।

খাদ্যতালিকা বা রেশন তৈরিতে বিপাকীয় শক্তি এবং আমিষ ছাড়াও বেশ কিছু অত্যবশ্যকীয় অ্যামোইনো অ্যাসিড (যেমন : প্রারম্ভিক ও বৃদ্ধির রেশনে লাইসিন, মিথিওনিন ও সিসটিন এবং লেয়ারের রেশনে মিথিওনিন ও সিসটিন) নির্দিষ্ট হারে যোগ করতে হবে। এসব পুষ্টি উপাদান সঠিক হারে মিশিয়ে কোয়েলের খাদ্যতালিকা তৈরি করা উচিত।

ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সাধারণত রেশন তৈরিতে ব্যবহৃত খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণেই থাকে। কিন্তু অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজ পদার্থগুলোর ঘাটতির সম্ভাবনা থাকে। তাই এগুলোকে সম্পূরক (Supplementary) হিসেবে খাদ্যে যোগ করতে হবে।

কোয়েলের জন্য তিন ধরনের রেশন ব্যবহার করা হয়। ০-৩ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত প্রারম্ভিক রেশন (Starter ration), ৪-৫ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত বৃদ্ধির রেশন (Grower ration) এবং ৬ সপ্তাহ বয়স থেকে বাকি সময় ডিমপাড়া/প্রজননের রেশন (Layer/Breeder ration)।

উপরে তালিকা-১ এ একটি সহজ ও ব্যবহারিক খাদ্য তালিকা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও বর্তমানে পোল্ট্রি খাদ্যের দোকানে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত প্রোটিন কনসেনট্রেট (Protein concentrates) পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোও নির্দিষ্ট হারে খাদ্যে যোগ করে রেশন তৈরি করা যায়।

খামারিয়ান.কম কয়েল পাখি পালন সিরিজঃ

  • কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম, কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনাঃ
  • https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-ডিমের-উপকার/

  • কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খাবার-তালিক/

  • কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকারঃ
    https://khamarian.com/কোয়েল-পালন-ও-চিকিৎসা-কোয/

  • কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে ৮টি পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খামার-চাষ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!