Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে (৮টি) পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি

কোয়েল পাখির খামার, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ, কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি ব্যবস্থাপনা
Table of contents

কোয়েল পাখির খামারঃ ব্যবস্থাপনা

খামার থেকে ভালো উৎপাদন পেতে হলে প্রতিটি খামারিকে অবশ্যই খামার ব্যবস্থপনার খুঁটিনাটি বিষয়গুলোর দিকে সঠিকভাবে নজর দিতে হবে। খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নতুন খামারিদের সীমিত জ্ঞান থাকলে কোয়েল থেকে পর্যাপ্ত উৎপাদন পেতে সমস্যা হতে পারে। ফলে ব্যবসা লাভজনক হবে না।

এতে অনেকেই খামার করতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এদের দুর্দশা দেখে খামার গড়তে আগ্রহী ব্যক্তিরাও খামার গড়তে চান না। অথচ খামারিরা যদি খামার ব্যবস্থাপনার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে ও সে অনুযায়ী সঠিকভাবে খামারের প্রতিদিনের কাজকর্ম সম্পাদন করতে পারেন, তবে সহজেই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠে খামারকে আর্থিকভাবে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

আর একথা মনে রাখা উচিত যে, যে কোন ছোটখাট অবহেলা বা ভুলত্রুটিই খামারের ক্ষতির জন্য যথেষ্ট। এখানে খামার ব্যবস্থাপনার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো :

১. সঠিক স্থানেঃ কোয়েল পাখির খামার করতে হবে

কোয়েল খামার গড়ার জন্য প্রথমেই এ বিষয়টি আসবে। খামার এমন জায়গায় স্থাপন করা উচিত যেখানে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো থাকবে। যথা :

  • ক. যানবাহন চলাচল ও যাতায়াতের সুবিধা।
  • খ. আশেপাশে কোন শহর বা বাজার থাকার সুবিধা।
  • গ. পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধা।
  • ঘ. কোলাহলমুক্ত ও নির্ঝঞ্ঝাট পরিবেশ।
  • ঙ. বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগমুক্ত স্থান।
  • চ. পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন (Drainage) সুবিধা।
  • ছ. বিপণন সুবিধা।
  • জ. ভবিষ্যতে খামার সম্প্রসারণের সুবিধা।
  • স্থান নির্বাচন করা হয়ে গেলেই ঘর নির্মাণের কথা আসবে। ঘর নির্মাণে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। যথা :
  • ক. পাখিদের জন্য আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করা।
  • খ. প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস নিশ্চিত করা এবং দরকার মতো সময়ে তা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা।
  • গ. অতিরিক্ত শীত, গরম বা বৃষ্টি ও স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থার হাত থেকে পাখিদের রক্ষা করা।
  • ঘ. নির্দিষ্ট দূরত্বে ও প্রয়োজনীয় আকারের ঘর নির্মাণ করা।
  • ঙ. বিভিন্ন বয়সের কোয়েলের জন্য পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করা।
  • চ. ইঁদুর ও অন্যান্য ক্ষতিকারক জন্তুর হাত থেকে এদের রক্ষা করা।
  • ছ. রোগজীবাণুর প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা।
  • জ. খামারে পাখির বিষ্ঠার কারণে যেন কোন দুর্গন্ধ না হয়, সেজন্য পূর্ব থেকেই সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

২. কোয়েল পাখি চাষেঃ স্ট্রেস (Stress) বা পীড়ন দূরীকরণ

কোয়েল থেকে ভালো উৎপাদন পেতে হলে অবশ্যই আরামপ্রদ পরিবেশে এদেরকে লালনপালন করতে হবে। এরা এদের নিজস্ব পরিবেশের হঠাৎ পরিবর্তনে মারাত্মক পীড়নের সম্মুখীন হয়ে পড়ে। অনেক সময় এ পীড়ন সহজে কাটিয়ে উঠতে পারে না। ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। কোন কোন সময় এতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কাজেই এরা যাতে সহজে কোন প্রকার পীড়নের সম্মুখীন না হয় সেদিকে খামারিদের লক্ষ্য রাখা উচিত। | বিভিন্ন কারণে কোয়েলে পীড়ন দেখা দিতে পারে। যথা:

  • ক. স্থান পরিবর্তন করানোর ফলে, যেমন : হ্যাচারি থেকে বাচ্চা স্থানান্তরের সময়, ব্রুডার ঘর থেকে গ্রোয়ার ঘরে অথবা গ্রোয়ার ঘর থেকে লেয়ার/কেইজে স্থানান্তরের সময়।
  • খ. যে কোন ধরনের স্বল্প বা দীর্ঘ দূরত্বে পরিবহন।
  • গ. প্রচণ্ড ঠাণ্ডা বা গরম আবহাওয়া।
  • ঘ. বৃষ্টির কারণে।
  • ঙ. ক্রডিংয়ের সময় তাপমাত্রার হেরফের ঘটলে।
  • চ. ঘরে/কেইজে পাখির ঘনত্ব বেশি হলে।
  • ছ. অস্বাভাবিক আলো ও শব্দের কারণে।
  • জ. খাদ্য পানি সরবরাহ অনেকক্ষণ বন্ধ থাকলে।
  • ঝ. হঠাৎ খাদ্য পরিবর্তন করলে বা নিম্নমানের খাদ্য খাওয়ালে।
  • ঞ. ডিবিকিং বা ঠোঁট কাঁটার কারণে।
  • ট. কোন কারণে ভয় পেলে।

কাজেই উপরোক্ত বিষয়গুলোর কথা স্মরণে রেখে এবং সে অনুযায়ী পূর্ব থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে খামারিদের কোয়েল পালন করতে হবে।

কোয়েল পাখির খামার, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ, কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি ব্যবস্থাপনা

৩. কোয়েল পাখির চাষ করতঃ খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা

  • কোয়েল থেকে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন পেতে হলে খাদ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা সঠিক হওয়া চাই। প্রতিটি পাখির জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানির জায়গা এবং পাত্র থাকলে এরা খাদ্য ও পানি গ্রহণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এতে এদের দৈহিক বৃদ্ধি সঠিক হবে ও ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে।
  • কোয়েলকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদানসমৃদ্ধ সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। তা না হলে পর্যাপ্ত ডিম উৎপাদন হবে না। খাদ্যে ক্যালসিয়ামের অভাব থাকলে পাতলা খোসাযুক্ত বা খোষাবিহীন ডিম উৎপাদন হবে।
  • নিম্নমানের, ফাংগাসপড়া বা ভেজাল খাদ্য খাওয়ানো উচিত নয়। খাদ্য খুব গুঁড়া করে (বিশেষত শুটকি মাছ, ঝিনুক, গম ইত্যাদি) দিতে হবে। একবার খাবার সরবরাহ করলে তা পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত আবার সরবরাহ করা যাবে না। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার সরবরাহ করতে হবে। এ লক্ষ্যে দৈনিক তিনবার, যেমন : সকাল ৬টা-৭টা, দুপুর ১২টা-১টা, সন্ধ্যা ৬টি-৭টার দিকে খাবার দেয়া উচিত।
  • খাবারের পাত্র কখনোই পুরোপুরিভাবে খাদ্য দিয়ে পূর্ণ করা যাবে না। কারণ, এতে খাদ্য গ্রহণকালে কোয়ের খাদ্য ফেলে দিয়ে অপচয় ঘটায়। একথা মনে রাখা উচিত যে, খামারের খরচের ৬০-৭০%ই খাদ্য বাবদ হয়। কাজেই, অহেতুক খাদ্য অপচয় করা যাবে না।
  • পানির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। যেহেতু পানির অপর নাম জীবন তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ না করলে এরা পানিশূন্যতায় ভুগে দুর্বল হয়ে পড়বে। ফলে উৎপাদন কমে যাবে। কাজেই তিন বেলা খাদ্য সরবরাহ করার সময় বিশুদ্ধ পানিও সরবরাহ করতে হবে।
  • শুটকি মাছ পড়ে বা অন্য কোনভাবে পানির পাত্র যেন নোংরা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ, এভাবে পাত্র নোংরা হলে তাতে শৈবাল (Algae) ও ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) জন্মাবে এবং সেই পানি পানে পাখির পেটের পীড়া দেখা দেবে। তাই পানির পাত্র প্রতিদিন দু বার পরিষ্কার করা উচিত। তাছাড়া পানির পাত্রও পুরোপুরি পূর্ণ করা চলবে না। এতে এরা লিটারের (অবশ্যই লিটার পদ্ধতিতে) পানি ফেলে তা ভেজা ও স্যাসস্যাতে করে ফেলবে।
See also  কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার

৪. কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতেঃ সঠিক হারে ডিম উৎপাদন করা

কোয়েল থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যায় ও ভালোমানের ডিম পেতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখা উচিত। যথা :

  • ক. উন্নত কৌলিকগুণসম্পন্ন স্ট্রেইনের সুস্থ কোয়েল সংগ্রহ করা।
  • খ. কোন প্রতিষ্ঠিত ও নামকরা খামার থেকে কোয়েল সংগ্রহ করা।
  • গ. জন্মের প্রথম দিন থেকেই বাচ্চাগুলোর জন্য সঠিক তাপমাত্রা, আলো, খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা করা।
  • ঘ. লেয়ার পাখিদের জন্য নিয়মিত ফর্মুলামতো খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও দৈনিক ১৬ ঘণ্টা আলোর ব্যবস্থা করা।
  • ঙ. কোয়েলের ঘরে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা।
  • চ. ঘর ও খাঁচা সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখা।
  • ছ. পাখিদের কোন প্রকারে বিরক্ত না করা।
  • জ. সঠিক নিয়মে ঠোঁক কাটা।
  • ঝ. অসুস্থ পাখি দ্রুত পৃথক করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কোয়েল পাখির খামার, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ, কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি ব্যবস্থাপনা

৫. কোয়ের খামারে পাখির সেক্সিং (Sexing)

হ্যাচারিতে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোয়েলের মর্দা-মাদী নির্ণয় বা সেক্সিং করা প্রয়োজন। সেক্সিং করাটা যে কোন খামারের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি খামার ব্যবস্থাপনার একটি অপরিহার্য অঙ্গ। তাই এ সম্পর্কে ছোটবড় সকল কোয়েল খামারির সঠিক জ্ঞান থাকা উচিত।

কোয়েল চাষে সেক্সিংয়ের উদ্দেশ্যঃ

প্রধানত নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে সেক্সিং করা হয়ে থাকে। যথা :

  • ক. খাওয়ার ডিম উৎপাদনের জন্য খামার করতে হলে শুধু মাদীর দরকার হয়। কোন মর্দা কোয়েল লাগে না। সে কারণেই হ্যাচারি থেকে সেক্সড মাদী বাচ্চাগুলোকে (Sexed female quail chicks) লেয়ার খামারে সরবরাহ করা হয়। আর পৃথকীকৃত মর্দা বাচ্চাগুলোকে আলাদা খামারে মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে পালন করা যেতে পারে।
  • খ. প্রজননের খামারে প্রজননের উদ্দেশ্যে পালনের জন্যও সেক্সিং অপরিহার্য। এখানে প্রজননক্ষম হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত মর্দা ও মাদী কোয়েলগুলোকে আলাদাভাবেই পালন করা হয়। তাছাড়া যেসব খামারে কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে সেখানে সর্বদাই মর্দা ও মাদী কোয়েলগুলোকে আলাদাভাবে পালন করা হয়।
  • গ. মর্দা ও মাদী কোয়েলের আলাদাভাবে বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য।
  • ঘ. এ ছাড়াও বিভিন্ন গবেষণা কাজের জন্য সেক্সড বাচ্চা ব্যবহার করা হয়।

কোয়েল সেক্সিংয়ের বয়স ও পদ্ধতিঃ

কোয়েলের সেক্সিং একদিন বয়সে বা বাড়ন্ত বয়সে করা যায়। এদদিন বয়সে করাটা লাভজনক হলেও যথেষ্ট জটিল। অন্যদিকে বাড়ন্ত বয়সে করাটা একেবারে সহজ। একদিন বয়সে সেক্সিং : একদিন বয়সে সাধারণত অবসারণী (Cloaca) পদ্ধতিতে সেক্সিং করা হয়। মর্দা বাচ্চার অবসারণী গহ্বরের তলদেশের প্রায় কিনারায় খুব ছোট ডিবির মতো (Protuberance) থাকে যা মর্দা কোয়েলের পুরুষাঙ্গ। তবে এটি বের করতে বা সনাক্ত করতে পারাটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাছাড়া কোয়েলের বাচ্চা যেহেতু অত্যন্ত ছোট (মাত্র ৭ গ্রাম) তাই এক্ষেত্রে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সেক্সারের (Sexer- যে ব্যাক্তি সেক্সিং করে) প্রয়োজন। তবে আমাদের দেশে জটিলতার জন্য এ পদ্ধতিটি ব্যবহৃত হয় না।

৩-৪ সপ্তাহ বয়সে কোয়েল পাখির সেক্সিং : এ বয়সে সহজেই গায়ের পালকের রঙের পার্থক্য থেকে মর্দা ও মাদী কোয়েল চেনা যায়। ফারাও কোয়েলের (বন্য রঙের) মর্দগুলোর বুকের উপরের অংশ হলদে বাদামি এবং নিচের অংশ হালকা বাদামি আর মুখমণ্ডলের রঙটা খয়েরি। মাদীগুলোর মুখমণ্ডল, ঘাড় ও বুকের উপরের অংশ বাদামি এবং তার ওপর কালো বা খয়েরি রঙের গোলাকার ফোঁটা থাকে। কিন্তু বুকের নিচের অংশটা তামাটে। ব্রাউন কোয়েলের মর্দা ও মাদীর রঙেও একই পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। তবে পুরুষগুলোর মুখমণ্ডলের রঙ ফারাওগুলোর থেকে বেশি খয়েরি হয়। এ ছাড়াও অবসারণীর উপরের প্রান্তে অবস্থিত বৃহদাকৃতির ফেনাগ্রন্থি ((Foam gland) দেখে প্রজননক্ষম পুরুষ কোয়েল চেনা যায়।

৬. কোয়েল চাষে ঠোঁট কাঁটা বা ডিবিকিং (Debeaking)

কোয়েল খামারের অন্যান্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে ডিবিকিং হলো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডিবিকিং মানে ঠোঁটের একটি নির্দিষ্ট অংশ কেটে বাদ দেয়া। ডিপ লিটারের থেকে খাঁচায় পালিত কোয়েলের জন্য এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিভিন্ন বদঅভ্যাস দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্যের অপচয় দূর হয় এবং এরা ডিম পাড়ার দিকে অধিক মনোযোগী হয়। সঠিক ডিবিকিং যেমন খামারের উন্নতির পরিচায়ক তেমনি ত্রুটিপূর্ণ ডিবিকিং একঝাঁক ভালো কোয়েলের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে খামারের লোকসানের কারণ হতে পারে।

কোয়েল পাখি ডিবিকিংয়ের সুবিধাঃ

সঠিক ডিবিকিংয়ের অনেক সুবিধা রয়েছে। যেমন :

  • ক. ডিবিকিং ক্যানিবালিজম (Cannibalism) বা ঠোকরা-ঠুকরি দূর করে। ঠোকরা-ঠুকরি খাঁচায় পালিত কোয়েলের জন্য এক মারাত্মাক সমস্যা। এর ফলে পাখিগুলোর যে দৈহিক অবস্থার সৃষ্টিতে হয়, তাতে করে এদের থেকে ভালো উৎপাদন আশা করা যায় না। ঠোকরা-ঠুকরি একবার দেখা দিলে এটি মহামারী আকার ধারণ করতে পারে। ফলে খামারিরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
  • খ. ঠোকরা-ঠুকরি ছাড়া ডিবিকিং অন্যান্য বদঅভ্যাস, যেমন : পায়ু ঠোকরানো (Vent picking), পাখা ঠোকরানো (Feather picking), পাখা খেয়ে ফেলা (Feather eat- ing), পরস্পর লড়াই বা মারামারি করা ইত্যাদি দূর করে।
  • গ. কোন কোন কোয়েলের মধ্যে নিজেদের ডিম খেয়ে ফেলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। দেরিতে ডিম সংগ্রহ করা, নোংরা ও অনারামদায়ক লেয়িং নেস্ট (লিটার পদ্ধতির ক্ষেত্রে) ইত্যাদিকে এজন্য দায়ী করা হয়। ডিবিকিং এ বদঅভ্যাসটি দূর করার অন্যতম সহজ পদ্ধতি। এতে খাদ্য নষ্ট কম হয় এবং খাদ্যের রূপান্তর (Feed conversion) ভালো হয়। ডিবিকিং করলে এরা কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং এর ফলে শক্তি কম খরচ হয় খাদ্যে রূপান্তর ভালো হয় যা দৈহিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
  • ঙ. পাখিদের মধ্যে শস্যদানা খুঁটে খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর এতে এরা নিজেদের চোখ ও শক্ত ঠোট জোড়া ভালোভাবেই ব্যবহার করে। ফলে খাবার পাত্র থেকে শস্যদানা ও খাবার নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে এবং খাদ্যের অপচয় ঘটে। ডিবিকিং এ সমস্যা সমধানের একটি সহজ ও সুন্দর পন্থা।
See also  জেনে নিনঃ খাচায় কোয়েল পাখি পালন পদ্ধতি/কোয়েল পাখির খাঁচা তৈরি/কোয়েল পাখির খাঁচা তৈরি মাপ

কোয়েল চাষে ডিবিকিংয়ের অসুবিধাঃ

ডিবিকিংয়ের প্রধান অসুবিধা হলো ক্ষণস্থায়ী তীব্র পীড়ন। অবশ্য এটি অল্প দিনেই সেরে যায় এবং কোন মারাত্মক অসুবিধার সৃষ্টি করে না। তবে এর সাথে অন্যান্য উৎপাদক, যেমন : রোগ-ব্যাধি, খারাপ আবহাওয়া, অতিরিক্ত গরম, মৌসুম ইত্যাদি যুক্ত হলে পাখির ওজন হ্রাস, স্বাস্থ্য খারাপ, এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে। সেজন্য অসুস্থ পাখির ডিবিকিং করা উচিত নয়। পুরুষ কোয়েলের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে ঠোঁট কাটা প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করে দিতে পারে।

কোন বয়সে কোয়েলের ও কতটুকু ডিবিকিংঃ

ডিবিকিংয়ের সঠিক বয়স নিয়ে এখনও বিজ্ঞানীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। অনেক খামারে একদিন বয়সের বাচ্চাদের ডিবিকিং করা হয়। তবে যেহেতু এ বয়সে বাচ্চার ঠোঁট অত্যন্ত ছোট থাকে তাই এ থেকে অনেক সময় ভালো ফল পাওয়া যায় না। তাছাড়া একদিন বয়সে ডিবিকিং করলে অনেক সময় বাচ্চারা খেতে শিখতে পারে না কিংবা শিখতে দেরি হয়। কিন্তু একদিন বয়সে ঠোঁট কাটলে বাচ্চার পীড়ন কম হয় এবং এতে বাড়তি শ্রমিক খরচ লাগে না।

তবে সবদিক বিবেচনায় ৩-৪ সপ্তাহ বয়স কোয়েলের ডিবিকিংয়ের জন্য উপযুক্ত সময়। এক্ষেত্রে নাসারন্ধ্র থেকে উপরের ঠোঁটের দৈর্ঘ্যের দুই-তৃতীয়াংশ রেখে বাকিটা কেটে ফেলতে হয়। আর নিচের ঠোঁটটা অল্প পরিমাণে কাটতে হয় বা ডিবিকারের তপ্ত ব্লেডে ঘষে ঠোঁটের চোখা অংশ ভোতা করে দিতে হয়।

কোয়েল পাখির ডিবিকিং পদ্ধতিঃ

বেশ ক’টি পদ্ধতিতে কোয়েলের ডিবিকিং করা যায়। যথা :

ক. বৈদ্যুতিক ঠোঁট কাটার যন্ত্রের (Electric Debeaker) সাহায্যে।

খ. তপ্ত ছুটির সাহায্যে।

গ. নেইল কাটারের সাহায্যে।

ক. বৈদ্যুতিক ঠোঁট কাটার সাহায্যে : কোয়েলের ঠোঁট কাটার জন্য এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য। বৈদ্যুতিক ডিবিকারের প্রধান অংশ হলো একটি ধারালো ব্লেড, যা লোহিত তপ্ত করা হয় এবং একটি ছিদ্রযুক্ত পাত বা হোল প্লেট (Hole plate), যার ভেতরে পাখির ঠোঁট ঢুকানো হয়। ব্লেডটি উপর থেকে নিচের দিকে চলতে পারে। ডিবিকিং করানোর জন্য পাখির মাথাটি হাতে চেপে ধরে হোল প্লেটে ঠোঁটটি চেপে ধরা হয় এবং এরপরই ব্লেডটি উপর থেকে নিচের দিকে নেমে এসে ঠোঁট কেটে দিয়ে যায়। ব্লেডটি উত্তপ্ত থাকার কারণ সাথে সাথেই কাটা অংশের রক্তপাত দহন বা কটারাইজেশনের (Cauteriaztion) মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যায়। ৩-৪ সপ্তাহ বয়সের কোয়েলের ক্ষেত্রে ৮১৫° সে. (১৪৯৯° ফা.) তাপমাত্রার লোহিত তপ্ত ব্লেড ব্যবহার করা হয়। ঠোঁট ব্লেডের সংস্পর্শে ৩-৪ সেকেন্ড রাখা হয়। এর থেকে কম সময় রাখলে পুনরায় ঠোঁট বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে এবং বেশি সময় রাখলে অতিরিক্ত পীড়ন হতে পারে।

খ. তপ্ত ছুরির সাহায্যে : এ পদ্ধতিটিকে বৈদ্যুতিক ডিবিকারের দেশি সংস্করণ বলা যেতে পারে। তবে এটি খুব একটি ভালো পদ্ধতি নয়। কারণ, এতে ছুরি খুব বেশি তপ্ত করা যায় না। তাছাড়া এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।

গ. নেইল কাটারের সাহায্যে : এটি একটি সহজ পদ্ধতি হলেও যেহেতু এ পদ্ধতিতে মানুষের হাত পায়ের নখ কাটার মতো করে রক্তপাতহীনভাবে শুধু ঠোঁটের মৃত ও চোখা অংশটিকেই কাটা হয়, তাই কিছুদিন পরই আবার ঠোঁট বৃদ্ধি পায়।

পাখির ডিবিকিং করার সাবধানতাঃ

  • ক. অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের সাহায্যে ডিবিকিং করতে হবে।
  • খ. কাটা অংশ ভালোভাবে দহিত বা কটারাইজ করতে হবে।
  • গ. লক্ষ্য রাখতে হবে যেন কোন রক্তক্ষরণ না হয় বা হলেও তা তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
  • ঘ. ঠোঁটের নিচের অংশ উপরের থেকে সামান্য বড় রাখতে হবে। তবে প্রজননের কাজে ব্যবহৃত মর্দা কোয়েলের ক্ষেত্রে উভয় ঠোঁটই সমান করে কাটতে হবে। অন্যথায় সঙ্গমের সময় এরা মাদী কোয়েলকে সঠিকভাবে ধরতে পারবে না।
  • ঙ. অসুস্থ পাখির ঠোঁট কাটা যাবে না।
  • চ. অতিরিক্ত গরমের সময় ঠোঁট কাটা উচিত নয়। তবে যদি কাটা হয় তাহলে সাথে সাথে
  • এদেরকে শীতল জায়গায় স্থানান্তরিত করতে হবে।
  • ছ. ডিবিকিংয়ের পর পর্যাপ্ত খাদ্য, পানি, আরামপ্রদ ব্যবস্থা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • জ. ডিবিকিংয়ের পর অ্যান্টিস্ট্রেস ফ্যাক্টর, যেমন : ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি পানির সাথে মিশিয়ে সরবরাহ করা উচিত। তাছাড়া কাটা স্থানে রক্ত জমাট বাঁধার জন্য ডিবিকিংয়ের পূর্বে এবং/বা পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-কে পানিতে মিশিয়ে সরবরাহ করা উচিত।

কোয়েলের ঠোঁট কাটায় বা ডিবিকিংয়ে সাধারণ ত্রুটিঃ

  • ক. উপর এবং নিচের ঠোঁট মাত্রাতিরিক্ত কেটে ফেলা।
  • খ. শুধু উপরের ঠোঁট খুব বেশি পরিমাণে কেটে ফেলা।
  • গ. দ্রুতগতিতে ব্লেড চলার কারণে কাটা ঠোঁট সঠিকভাকে দহিত না হওয়া এবং ফলে রক্ত
  • সহজে বন্ধ না হওয়া।
  • ঘ. পাখির জিহ্বা, নাসারন্ধ্র পুড়ে যাওয়া।
  • ঙ. যে কোন পার্শ্বে, যেমন : ডান বা বাম পার্শ্বে বেঁকে গিয়ে ঠোঁট কাটা।

ডিবিকিং বা ঠোঁট কাটা যেহেতু খাঁচায় পালিত কোয়েলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই প্রতিটি কোয়েল খামারিকে এ বিষয়টি অবগত হয়ে সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এতে খামারের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

See also  কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম, কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা
কোয়েল পাখির খামার, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ, কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি ব্যবস্থাপনা

৭. খামারের পাখির নখ কাটা বা ডিটোইং (Detocing)

ডিবিকিংয়ের মতো ডিটোয়িংও কোয়েল খামার ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ডিটোয়িং মানে পায়ের আঙ্গুলের নখের মৃত অংশ কেটে বাদ দেয়া অর্থাৎ নখ কাটা। এটি বিশেষ করে মর্দা ব্রিডার কোয়েলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কোয়েলের নখগুলো অত্যন্ত ধারালো ও চোখা হয়ে থাকে। তাই এগুলোর সাহায্যে এরা একে অন্যকে সহজেই আঘাত করতে পারে। বিশেষ করে, মর্দা ব্রিডার কোয়েল যৌন মিলনের সময় এই ধারালো ও চোখা নখ দিয়ে মাদীর পিঠের পাখা ভেঙ্গে ফেলতে পারে এবং পিঠে ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। এই ক্ষতে পরবর্তীতে অন্য কোয়েল আক্রমণ করতে তা মারাত্মক পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। তাছাড়া এতে রোগজীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে তো কথাই নেই। এতে কোয়েলের উৎপাদন কমে যাবে। ফলে খামারিরা হবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই মর্দা ব্রিডার কোয়েলের ক্ষেত্রে ডিটোয়িং করা অবশ্য কর্তব্য। তাছাড়া অন্যান্য কোয়েলেরও ডিটোয়িং করা উচিত I

কোয়েল পাখির ডিটোয়িংয়ের পদ্ধতিঃ

ডিটোয়িংয়ের পদ্ধতি একেবারে সহজ। নেইল কাটারের সাহায্যে মানুষের হাত-পায়ের নখ কাটার মতো করে কোয়েলের পায়ের নখগুলো কেটে দিলেই চলে। ডিবিকিং করার সময় ডিটোয়িং করে নেয়াটাই সবচেয়ে ভালো।

৮. কোয়েল পাখির খামারেরঃ স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা

সঠিক স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা কোয়েল খামারের সাফল্যের অন্যতম পূর্বশর্ত। খামারে স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা রক্ষা করতে হলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্য পালনীয় :

  • ক. অন্য প্রজাতির পোল্ট্রি বা পশু-পাখির খামার থেকে কোয়েল খামার দূরে স্থাপন করা।
  • খ. খামারে বিভিন্ন বয়সের কোয়েল আলাদাভাবে পালন করা।
  • গ. বাচ্চা বা বয়স্ক কোয়েল রোগবিহীন, স্বাস্থ্যবান বংশ এবং বিশুদ্ধ খামার থেকে সংগ্রহ করা।
  • ঘ. রোগাক্রান্ত ও স্বাস্থ্যহীন পাখি সুস্থ পাখিদের থেকে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি পৃথক করে ফেলা।
  • ঙ. ব্রিডার কোয়েল স্টকে নিয়মিত সালমোনেলোসিস (Salmonellosis) রোগের পরীক্ষা করা।
  • চ. কোয়েলের ডিম ফোটানোর পূর্বে সঠিকভাবে ফিউমিগেশনের মাধ্যমে তা জীবানুমুক্ত করা।
  • ছ. খামার থেকে কোন এক ব্যাচ কোয়েল বিক্রি করার পর বা ঘর থেকে স্থানান্তর করার পর সেখানে আরেকটি ব্যাচ প্রবেশ করানোর পূর্বে অবশ্যই ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবণুমুক্ত করতে হবে। এরপর পরবর্তী ব্যাচ প্রবেশ করানোর পূর্বে ঘর কিছুদিন খালি অবস্থায় ফেলে রাখা উচিত। তাছাড়া খামারের অন্যান্য ঘরদোর, জিনিসপত্র, সাজসরঞ্জামও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি খামারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত হয়ে থাকতে হবে।
  • জ. ইঁদুর ও অন্যান্য ইঁদুরজাতীয় প্রাণী বা রডেন্ট (Rodents), কীট-পতঙ্গ ও অন্যান্য পশু- পাখির উপদ্রব থেকে খামার মুক্ত রাখতে হবে। এ সকল প্রাণী কোয়েলের খাদ্য নষ্ট করা, খাদ্যে রোগজীবাণুর দূষণ ঘটানো ছাড়াও বিভিন্ন রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। সে কারণে খামারে ইঁদুরের উপস্থিতি জেনে নিয়ে এদের দমনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইঁদুরের উৎপাত বন্ধ করতে ঘরের মেঝে সিমেন্ট দিয়ে ভালোভাবে পলেস্তরা (Plaster) করতে হবে। তাছাড়া ঘর এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন কোন ফাঁক-ফোকড় না থাকে। খাদ্য বা ময়লা আবর্জনা যেখানে সেখানে ফেলে রাখা চলবে না। খামার বা শেডে (Shed) সঠিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলে বিভিন্ন ধরনের পাখি সহজেই প্রবেশ করবে। তাই ভেন্টিলেটর, জানালা বা অন্যান্য খোলা জায়গায় চিকন তারজালির স্ক্রিন (Screen) লাগিয়ে খামারে এদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে।
  • ঝ. খামারে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাকে তাকে খামারে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। যদি কারও প্রবেশের প্রয়োজন হয় তবে অবশ্যই সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত হয়ে প্রবেশ করতে হবে। কোন দর্শনার্থীর স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিলে তাকে প্রবেশ করতে দেয়া উচিত নয়।
  • ঞ. মৃতপাখি ও পোল্ট্রিবর্জ্যের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে খামারের পরিবেশ জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। এ ছাড়াও খামারের অন্যান্য বর্জ্য, যেমন : খালি কার্টুন, বাক্স, বোতল, ওষুধের খালি শিশি (Vial) ইত্যাদি গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে বা আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

খামারিয়ান.কম কয়েল পাখি পালন সিরিজঃ

  • কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম, কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনাঃ
  • https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-ডিমের-উপকার/

  • কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খাবার-তালিক/

  • কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকারঃ
    https://khamarian.com/কোয়েল-পালন-ও-চিকিৎসা-কোয/

  • কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে ৮টি পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খামার-চাষ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!