Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন (কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো)

কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন (কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো)

কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদনঃ

প্রিয় খামারি ভাই/বোন/বন্ধুরা, কোয়ের পালন সিরিজের নতুন একটি পর্বে আপনাদের স্বাগতম। খামার ব্যবসায় সফল হতে হলে য়থেষ্ট নলেজ দরকার পড়ে, তাই খামারিয়ান ব্লগের মাধ্যমে আমরা অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদেরকে যথাসম্ভব সঠিক ও সুন্দর সুন্দর নিত্য নতুন আাপডেট তথ্য সরবরাহ করতে।

আশা আপনারা খামারিয়ান ব্লগের এই প্রচেষ্টাকে সফল করতে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবেন। চলুন আর কথা না বিাড়িয়ে শুরু করি আজকের আলোচনা। যার মূল বিষয় হচ্ছে- কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন (কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো)।

বাচ্চা ফোটানোর ডিম উৎপাদনঃ

ফোটানোর জন্য ডিম উৎপাদন করতে হলে অবশ্যই কোন প্রতিষ্ঠিত ও ভালো প্রজনন খামার (Breeder farm) থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে পালন করা উচিত। আর যারা শুধু ফোটানোর ডিম সংগ্রহ করতে চান, তাদেরকেও কোন নামকরা ও প্রতিষ্ঠিত খামার থেকেই তা সংগ্রহ করতে হবে। প্রজনন খামারে ডিমের অধিক উর্বরতা ও স্ফুটন ক্ষমতা পেতে হলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যথা :

ক. ডিম উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত প্যারেন্ট স্টকের (Parent stock) বয়স ১০-৩০ সপ্তাহের মধ্যে হতে হবে।

খ. প্যারেন্ট স্টকে মর্দা ও মাদরী অনুপাত হবে ১ : ২। এতে ডিমের উর্বরতা ও স্ফুটন ক্ষমতা যথাক্রমে ৯৩% ও ৮০% পাওয়া যাবে।

গ. ব্রিডার খাঁচা বা পেনে (Breeder cage or pen) মর্দা কোয়েল প্রবেশ করানোর চারদিন পর থেকে ডিম সংগ্রহ শুরু হবে এবং মর্দা সরিয়ে নেয়ার পর তৃতীয় দিন পর্যন্ত তা চলবে।

ঘ. প্যারেন্ট স্টককে সব সময় সুষম খাদ্য প্রদান করতে হবে।

ঙ. ঠোকরা-ঠুকরি (Canniblism) দূর করতে সঠিকভাবে কোয়েলের ঠোঁট কাটতে (Debeaking) হবে।

বাচ্চা ফোটানোর ডিম সংগ্রহঃ

ফোটানোর ডিম যত্ন সহকারে সংগ্রহ করা উচিত। ডিম ঘন ঘন সংগ্রহ করতে হবে। মৌসুম, আবহাওয়া, হাউজিংয়ের ধরন প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে ডিম সংগ্রহের সময়ের হেরফের ঘটতে পারে। তবে, রাত ৯টার পর কখনোই ফোটানোর জন্য ডিম সংগ্রহ করা যাবে না। এগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার ডিম রাখার ট্রেতে সংগ্রহ করতে হবে। যেহেতু কোয়েলের ডিমের খোসা অত্যন্ত পাতলা হয় তাই এগুলো সংগ্রহ করার সময় বেশ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যাতে ডিম ফেটে বা ভেঙ্গে না যায়।

বাচ্চা ফোটানোর ডিম বাছাইঃ

ডিমের গুণগত মানের ওপর ডিম ফোটার হার ও সুস্থ-সবল বাচ্চা উৎপাদন নির্ভর করে। সুতরাং ভালো গুণসম্পন্ন ডিম বাছাই করতে হবে। ডিমের খোসা, রঙ, আকার, আকৃতি, ওজন ইত্যাদি দেখে ডিম বাছাই করতে হয়। ডিম বাছাইয়ের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। যথা :

ক. আকার ও ওজন : অতিরিক্ত বড় কিংবা ছোট ডিম বাছাই করা যাবে না। মাঝারি আকারের একই মাপের ডিম থেকে বেশি বাচ্চা পাওয়া যেতে পারে। এজন্য ৯-১১ গ্রাম ওজনের ডিম বাছাই করা উচিত।

খ. খোসা : ভাঙ্গা, ফাটা, বাঁকা প্রভৃতি খোসাবিশিষ্ট ডিম বাদ দিয়ে মসৃণ ও শক্ত খোসাবিশিষ্ট ডিম বাছাই করতে হবে।

গ. রঙ : যে লাইনের কোয়েলের জন্য যে রঙ স্বাভাবিক সে রঙের ডিমই ব্যবহার করা উচিত। অস্বাভাবিক রঙের ডিম বাছাই করা উচিত নয়।

See also  কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে (৮টি) পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি

ঘ. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা : অপরিচ্ছন্ন কিংবা ময়লাযুক্ত ডিম ব্যবহার করা উচিত নয়। ডিম জীবাণুমুক্তকরণ

ডিম পাড়ার পর থেকেই এতে নানা ধরনের জীবাণুর দূষণ শুরু হয়। তাই ফোটানোর ডিম

সংগ্রহ ও বাছাই করার পর, সংরক্ষণের পূর্বেই এগুলোকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন (কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো)

বাচ্চা ফোটানোর ডিম জীবাণুমুক্তকরণঃ

ডিমগুলোতে ১০ মিনিট ধরে ফরমালডিহাইড (Formaldehyde) গ্যাসের ধোঁয়া দিতে হবে অর্থাৎ ফিউমিগেশন (Fumigation) করতে হয়। ৪০ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ৮০ মিলিলিটার ফরমালিনের (Formaline) সাথে মিশিয়ে ফিউমিগেশন প্রকেন্ঠের এক ঘন মিটার জায়গা (Air space) ফিউমিগেট করা যায়। তবে ডিমগুলো ফিউমিগেশন প্রকোষ্ঠে ২০ মিনিট রাখলে এক ঘন মিটার জায়গার জন্য ২০ গ্রাম পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ৪০ মি.লি. ফরমালিনের সাথে মিশালেই চলে। ফিউমিগেশন শেষ করার ক্ষণিক পরই যদি উক্ত প্রকোষ্ঠ অন্য কাজে ব্যবহার করতে হয় তবে সমপরিমাণ ২৬-২৯% অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড দিয়ে তা নিরপেক্ষ করে নিতে হবে। ফিউমিগেশন প্রকোষ্ঠের তাপমাত্রা ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা যথাক্রমে ২১.১° সেলসিয়াস (৭০° ফারেনহাইট) ও ৭৫% হবে।

বাচ্চা ফোটানোর ফোটানোর ডিম সংরক্ষণঃ

ফিউমিগেশনের পর ডিম ১৩° সে. (৫৫.৪° ফা.) তাপমাত্রা এবং ৭৫-৮০% আপেক্ষিক আর্দ্রতাসম্পন্ন ডিম শীতলিকরণ যন্ত্র (Egg cooler) রয়েছে এমন ঘরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এভাবে এই ডিম ৬-৭ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এতে ডিমের স্ফুটন ক্ষমতার ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে না।

বাচ্চা ফোটানোর ডিম বসানোঃ

ফোটানোর জন্য সংরক্ষণ কক্ষ থেকে ডিম বের করে আনতে হবে। তবে সংরক্ষণ কক্ষ থেকে বের করার পরপরই ইনকুবেটরের সেটার (Setter) প্রকোষ্ঠে বসানো উচিত নয়। ডিম বের করে প্রথমে সেগুলো ২১.১-২৩.৯° সে. (৭০-৭৫ ফা.) তাপমাত্রাবিশিষ্ট কক্ষে ৬- ৮ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর তা সেটার বসাতে হবে। এতে সঠিকভাবে ডিম ঘেমে আবার শুকানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবে।

কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোঃ

ফোয়েলের ডিম মুরগি বা অন্যান্য পোল্ট্রির মতোই দু পদ্ধতিতে ফোটানো যায। যথা : ১. প্রাকৃতিক পদ্ধতি ও ২. কৃত্রিম পদ্ধতি। তবে যে পদ্ধতিতেই ফোটানো হোক না কেনো ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ১৬-১৮ দিনই (গড়ে ১৭ দিন) সময় লাগবে।

১. প্রাকৃতিক পদ্ধতি

বাণিজ্যিক কোয়েল কখনও কুঁচে হয় না। বিজ্ঞানীদের উন্নত বাছাই প্রক্রিয়ার কারণে ডিমে তা দেয়ার স্বভাবটি এরা পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছে যা এদের বুনো বংশধরদের মধ্যে এখনও রয়ে গেছে। সে কারণে প্রাকৃতিকভাবে এদের ডিম ফোটাতে হলে মুরগিই উত্তম। এ পদ্ধতিতে ছোট আকারের কুঁচে (Broody) মুরগির নিচে রেখে একসাথে ২০-২৫টি ডিম ফোটানো যেতে পারে। তবে এ পদ্ধতিটি ক্ষুদ্র খামারি বা সখের কোয়েল পালকদের জন্যই উপযুক্ত। কিন্তু ছোট, মাঝারি বা বড় খামারিদের জন্য এটি মোটেও লাভজনক নয়। এ পদ্ধতিতে ডিম ফোটানোর পর বাচ্চাগুলোকে সাথে সাথে ব্রুডার ঘরে ব্রুডারের (Brooder) বা বাচ্চা তাপানোর যন্তের নিচে স্থানান্তর করতে হবে। তা না হলে মুরগির পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে বাচ্চা মারা যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

২.কৃত্রিম পদ্ধতি

হ্যাচারিতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে ইনকুবেটরে (Incubator) বা ডিম ফোটানোর যন্ত্রে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়। দেশি বা বিদেশি ছোট বা বড় যে কোন ধরনের ইনকুবেটরেই সফলতার সাথে ডিম ফোটানো যায়। বিদেশি ইনকুবেটরগুলো উৎকৃষ্ট মানের হলেও দাম খুব বেশি পড়ে। তাই স্বল্প ব্যয়ে নির্মিত দেশি ইনকুবেটিরগুলো এ কাজে ব্যবহার করা যায়। একই ইনকুবেটরে মুরগির ডিমের সাথেও কোয়েলের ডিম ফোটানো যায়। ইনকুবেটরে সঠিক তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও বায়ু চলাচল (Ventilation) নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ডিম উল্টে-পাল্টে দেয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

See also  কোয়েল পাখি সম্পর্কে ‍a to z (30 টি প্রশ্নের উত্তর)
কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন (কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো)

কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর জন্য বিবেচ্য বিষয় সমূহঃ

১. তাপমাত্রা

যে কোন ইনকুবেটরেই প্রস্তুতকারকের নির্দেশিত তাপমাত্রায় ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে হবে। ফোর্সড ড্রাফট (Forced draft) ইনকুবেটরের সেটার ও হেচার প্রকোষ্ঠের সঠিক তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩৭.২°- ৩৭.৭° সে. ( ৯৯° – ১০০° ফা.) ও ৩৬,৭° সে. (৯৮° ফা.)। তবে, যদি সেটার ও হেচার প্রকোষ্ঠ একই সাথে সংযুক্ত থাকে তবে ডিম ফোটানোর পুরো সময়কালে সেটার ও হেচারে একই তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে। কিন্তু, ন্যাচারাল ড্রাফট (Natural draft) ইনকুবেটরে ডিম ফোটানোর পুরো সময়কালে ৩৮.৩° – ৩৯.৪° সে. (১০১° – ১০৩° ফা.) তাপমাত্রা বজায় রাখতে হবে। সেটারে ডিম বসানোর সময় প্রাথমিকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে হবে এবং ধীরে ধীরে তা বাড়িয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। সেটারে ডিম ১৪ দিন রাখা হয় এবং ১৫তম দিনে এগুলো হ্যাচার (Hatcher) প্রকোষ্ঠে স্থানান্তর করা হয়। হ্যাচার থেকে ১৮তম দিনে বাচ্চা সংগ্রহ করা হয়।

২. আপেক্ষিক আর্দ্রতা

ডিমের খোসার গায়ে অবস্থিত সূক্ষ্ম ছিদ্রের মাধ্যমে ডিমমধ্যস্থ আর্দ্রতা বাষ্পাকারে বেরিয়ে যায়। তাই সুস্থ-সবল বাচ্চা ফোটানোর জন্য ইনকুবেটরে সঠিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। গড়ে ৫৫-৬০% আপেক্ষিক আদ্রতায় ভালো ফল পাওয়া যায়। আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি হলে ভ্রূণের বৃদ্ধির গতি তরান্বিত হয়। অন্যদিকে, আ. আর্দ্রতা কম হলে ভ্রূণের বৃদ্ধির গতি ধীর হয়। ডিম ফোটানোর শেষের দিকে অর্থাৎ ডিম সেটার থেকে হেচারে স্থানান্তরের সময় থেকে আ. আর্দ্রতা বাড়িয়ে ৬৫-৭৫% করতে হয়। এতে ডিমের খোসা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ভ্রূণের হাড়ে জমা হতে পারে। কিন্তু, এ সময় আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম হলে তা ক্যালসিয়ামের ব্যবহার কমিয়ে দেয় এবং বাচ্চা ডিমের খোসা এবং খোসাপর্দার সাথে লেগে যায়। এতে ডিমের স্ফুটন ক্ষমতা হ্রাস পায়।

৩. বায়ু চলাচল

ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধির জন্য ইনকুবেটরে সঠিক বায়ু চলাচল প্রয়োজন। কারণ, ভ্রূণ অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন-ডাই-অক্সাইড ত্যাগ করে থাকে। তাই ইনকুবেটরে অক্সিজেন ও কার্বন-ডাই- অক্সাইড যথাক্রমে ২১% ও ০.৫% হারে রক্ষা করতে হবে।

৪. ডিম উল্টে-পাল্টে দেয়া

ডিম থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যায় বাচ্চা পেতে হলে সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময় পরপর ডিম উল্টেপাল্টে দিতে হবে। ইনকুবেটরে ডিম বসানোর প্রথম দিন থেকে ১৪তম দিন পর্যন্ত দৈনিক নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে অন্তত ৪-৬ বার ডিম উল্টেপাল্টে দিতে হবে। তা না হলে ডিমের খোসার সাথে কুসুম লেগে যেতে পারে (Yolk sticking)। এর ফলে ডিমের স্ফুটন ক্ষমতা হার হ্রাস পাবে। তবে ১৫তম দিন থেকে অর্থাৎ হেচারে স্থানান্তরের পর থেকে কখনোই ডিম উল্টেপাল্টে দেয়া যাবে না।

৫. ক্যান্ডেলিং

সাধারণত ডিম বসানোর ৮ম ও ১৪তম দিনে ক্যান্ডেলিং (Candling আলোর সাহায্যে ডিম পরীক্ষা) করে অনিষিক্ত ও মৃত ভ্রূণযুক্ত ডিম সরিয়ে ফেলতে হয়। কোয়েলের ডিম রঙিন হওয়ায় ক্যান্ডেলিং করাটা অসুবিধানজক। তাই কোন কোন খামারি সেটার থেকে হ্যাচারে ডিম স্থানান্তরের সময় ক্যান্ডেলিংয়ের কাজটি সেরে ফেলেন। আবার অনেক খামারি ঝামেলার জন্য ক্যান্ডেলিং করেন না। তবে সাদা ডিমের লাইনের কোয়েলের ডিমগুলো ক্যান্ডেলিং করা যায় সহজেই। কোয়েলের ক্ষেত্রে ডিম বসানোর প্রথম তিনদিন ও বাচ্চা ফোটার কিছু সময় পূর্বে ভ্রূণ মৃত্যুর হার সর্বাধিক থাকে। ত্রুটিপূর্ণ হৃৎপিণ্ড গঠনের কারণে প্রথম তিনদিনে এবং ফুসফুসীয় শ্বসন শুরু হওয়ার প্রাক্কালে অর্থাৎ ডিম ফোটার কিছু সময় পূর্বে ভ্রূণের মৃত্যু ঘটে থাকে। এ ছাড়া পুষ্টি উপদানের অভাবজানিত কারণে ১১-১৪তম দিনে ভ্রূণের মৃত্যু ঘটতে পারে।

সেটার থেকে ১৪তম দিনে ডিমগুলো বিশেষভাবে তৈরি হ্যাচিং ট্রেতে করে হ্যাচারে স্থানান্তর করা হয়। হ্যাচিং ট্রে হিসেবে চিকন ফাঁকযুক্ত তারজালির বাক্স ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া মুরগির ডিম ফোটানোর কাজে ব্যবহৃত হ্যাচিং ট্রেকেও কোয়েলের হ্যাচিং ট্রেতে রূপান্তরিত করা যায়। আর এ কাজের জন্য মুরগির হ্যাচিং ট্রের হোল্ডারের সাথে ১.২৫ সেমি × ২.৫০ সে. মি. (০.৫× ১ ইঞ্চি) ফাঁকযুক্ত ঝালাইকৃত তারজালি যুক্ত করতে হবে। তবে সাধারণ হ্যাচিং ট্রে ব্যবহার করলে তারজালি দিয়ে সেটির পার্শ্বের ছিদ্র ও উপর দিকটা আটকে দিতে হবে। এতে চঞ্চল বাচ্চাগুলোর হ্যাচিং ট্রে থেকে লাফিয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না তাছাড়া হ্যাচিং ট্রের মেঝেও মসৃণ হওয়া চলবে না। মেঝে মসৃণ হলে বাচ্চারা পিছলে পড়ে পা ভাঙতে পারে। হ্যাচারে ১৬-১৮ দিনের মধ্যে সবগুলো বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পর এগুলোকে ক্রডিং ঘ েরক্তডারের নিচে স্থানান্তর করতে হবে।

See also  কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরি।

সমাপ্তঃ

সম্মানিত খামারিয়ান পাঠকবৃন্দ, আকরে আলোচনার এখানেই ইতি টানছি।

আপনি কয়েল পালন সিরিজের বিগত পূর্বগুলো না পড়ে থাকলে তা পড়ি নিন, এগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে আশা করি।

এই পোষ্টটি থেকে আশা করি আপনার জানতে পেরেছেন কিভাবে

প্রিয় খামারি ভাই/বোন/বন্ধুরা, কোয়ের পালন সিরিজের নতুন একটি পর্বে আপনাদের স্বাগতম। খামার ব্যবসায় সফল হতে হলে য়থেষ্ট নলেজ দরকার পড়ে, তাই খামারিয়ান ব্লগের মাধ্যমে আমরা অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদেরকে যথাসম্ভব সঠিক ও সুন্দর সুন্দর নিত্য নতুন আাপডেট তথ্য সরবরাহ করতে।

আশা আপনারা খামারিয়ান ব্লগের এই প্রচেষ্টাকে সফল করতে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করবেন। চলুন আর কথা না বিাড়িয়ে শুরু করি আজকের আলোচনা। যার মূল বিষয় হচ্ছে- কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন করা যায়। কিভাবে কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো উচিত।

খামারিয়ান.কম কয়েল পাখি পালন সিরিজঃ

  • কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম, কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনাঃ
  • https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-ডিমের-উপকার/

  • কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খাবার-তালিক/

  • কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকারঃ
    https://khamarian.com/কোয়েল-পালন-ও-চিকিৎসা-কোয/

  • কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে ৮টি পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খামার-চাষ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!