Skip to content

 

কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার

কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার
Table of contents

ভূমিকাঃ

⊳ কোয়েল পালনের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো এদের রোগ-ব্যাধি অত্যন্ত কম। কিন্তু তাই বলে রোগ যে একেবারে হয় না এমন নয়। কোয়েলে রোগ-ব্যাধির প্রকোপ কম থাকায় এদেরকে যেমন টিকা দিতে হয় না তেমনি কৃমির ওষুধও খাওয়াতে হয় না। তবে নিয়মিতভাবে ও অধিক হারে মাংস ও ডিমের উৎপাদন পেতে হলে খামার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের সাথে সাথে কোয়েল খামারিদের রোগ-ব্যাধি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান রাখতে হবে এবং সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, খামারে পাখির সুস্থতা উৎপাদনের পূর্বশর্ত।

⊳ জাপানি কোয়েল অনেক ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের (Fungi) আক্রমণের শিকার হতে পারে। মুরগির প্রায় সবগুলো সাধারণ রোগই কোয়েলকে আক্রান্ত করতে পারে। তবে কোয়েলে এগুলো মুরগির মতো মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে তেমন কোন রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তবে দু একটি রোগের ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিণতিও ঘটতে পারে বৈকি।

⊳ রোগ-ব্যাধির ন্যায় বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদানের অভাবও কোয়েলের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আর এই অবস্থায় দেহে কোন রোগজীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে তা মারাত্মক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।

⊳ তাছাড়া পরিবেশের আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনও এদের বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে জন্মের প্রথম দু সপ্তাহ এদের জন্য অত্যন্ত সংকটময় সময়। এ সময় এদের প্রতি বিশেষ নজর না দিলে ব্যাপক হারে বাচ্চা মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। এ পর্যন্ত কোয়েলের যেসব রোগ-ব্যাধির রিপোর্ট পাওয়া গেছে তার মধ্যে নিম্নলিখিতগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্ব অনুযায়ী এখানে সংক্ষিপ্তভাবে এগুলো আলোচনা করা হলো :

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

১. ক্ষতসৃষ্টিকারী তন্ত্র প্রদাহ (Ulcerative Enteritis)

⊳ এটি কোয়েল রোগ (Quail Disease) নামেও পরিচিত। কোয়েলের রোগ-ব্যাধির মধ্যে এটিই সবচেয়ে মারাত্মক। কারণ, এ রোগে আক্রান্ত কোয়েলেল ১০০%ও মারা যেতে পারে। সাধারণত দূষিত খাদ্যদ্রব্য খাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চা কোয়েল এ রোগে আক্রান্ত হয়।

⊳ আক্রান্ত ঝাঁক থেকে সুস্থ ঝাঁকে এ রোগ কীট-পতঙ্গের মাধ্যমে অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। সাধারণত লিটারে পালিত কোয়েল এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ এটি ব্যাকটেরিয়াঘটিত অন্ত্রের রোগ। যদিও সঠিক ব্যাকটেরিয়া প্রজাতিটি এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয় নি তথাপি বিজ্ঞানীরা রোগাক্রান্ত কোয়েল থেকে চার ধরনের ব্যাকটেরিয়া পৃথক করতে সক্ষম হয়েছেন। যথা :

  • ক. করাইনেব্যাকটেরিয়াম পারডিকাম (Corynebacterium perdicum) – এক ধরনের গ্রাম পজিটিভ, বহুরূপী (Pleomorphic), অবায়ুজীবী (Anaerobic), নড়ন অক্ষম, দন্তাকৃতির ব্যাকটেরিয়া।
  • খ. এক ধরনের গ্রাম পজিটিভ, স্পোর সৃষ্টিকারী দন্তাকৃতির ব্যাকটেরিয়া।
  • গ. এক ধরনের গ্রাম নেগেটিভ, অবায়ুজীবী ব্যাসিলাস (Bacillus)।
  • ঘ. স্পোর সৃষ্টিকারী ক্লসট্রিডিয়াম পারফ্রিনজেনস-এর (Clostridiun perfringens) ন্যায় অন্য এক প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া।

লক্ষণ :

  • তীব্র (Acute) ও দীর্ঘস্থায়ী (Chronic) দু ধরনের রোগই হতে পারে।
  • তীব্র প্রকৃতির রোগটি দু ভাবে প্রকাশ পেতে পালে। যেমন : মারাত্মকভাবে ও মৃদুভাবে।
  • মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কোয়েল অনেক সময় কোন লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেও মারা যেতে পারে।
  • এসব কোয়েল সাধারণত স্বাস্থ্যবান থাকে এবং এদের খাদ্যথলিতেও পর্যাপ্ত খাদ্য থাকতে দেখা যায়। মৃদুভাবে আক্রান্ত কোয়েলে অবসাদ দেখা যায়।
  • চোখ আংশিকভাবে বন্ধ করে রাখে এবং পাখা ঝুলে থাকে।
  • এরপর শুরু হয় রক্তসহ পাতলা পায়খানা। এতেই পাখির মৃত্যু ঘটে।
  • পায়খানায় ইউরেট (Urate) পাওয়া যায়।
  • দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ খুবই ধীর গতিতে দেখা যায়। পাখি মাসখানের রোগে ভুগে দুর্বল হয়ে মারা যায়।

রোগতত্ত্ব :

⊳ ময়না তদন্তে (Post Mortem বা Necropsy) অন্ত্র ও সিকান্ত্রে (Caeca) বোতাম আকৃতির মারাত্মক ক্ষত বা আলসার দেখা যায়। হঠাৎ করে মারা যাওয়া পাখির ক্ষেত্রে অন্ত্রে উপরিভাগে রক্তক্ষরণজনিত অন্ধ্রপ্রদাহের চিহ্ন দেখা যায়। ও প্লীহায় রক্তের পুঞ্জীভবন (Congestion) দেখা যায়। যকৃতে হলুদ দাগ দেখা যায়। অবশ্য অনেক সময় যকৃতের প্রান্ত বরাবর হলদে বিনষ্ট (Necrotic) স্থান চোখে পড়ে। প্লীহা ফুলে যায়।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :

  • চিকিৎসা প্রতিরোধের জন্য ব্যাট্র্যিাসিন (Bacitracin), স্ট্রেপটোমাইসিন (Streptomycin) বা ক্লোরোমাইসেটিন (Chloromycetin) সবচেয়ে ভালো ওষুধ। তবে, এগুলোর অভাবে টেট্রাসাইক্লিন (Tetracycline) এবং ফুরাজোলিডনও (Furazolidone) সফলভাবে ব্যবহার করা যায়।
  • গবেষণায় দেখা গেছে, ৪.৫ লিটার খাবার পানিতে ২ গ্রাম মাত্রায় স্ট্রেপটোমাইসিন মিশিয়ে একাধারে ২৫ দিন অথবা এক লিটার পানিতে এক গ্রাম মাত্রায় স্ট্রেপটোমাইসিন সালফেট মিশিয়ে একাধানে ১০ দিন পান করালে এ রোগ পুরোপুরিভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
  • চিকিৎসার জন্য প্রতি লিটার পানিতে এক গ্রাম মাত্রায় স্ট্রেপটোমাইসিন মিশিয়ে আক্রান্ত পাখিদের পরপর তিনদিন পান করাতে হবে। খাদ্যে মিশালে প্রতি কেজি খাদ্যে ৬৬ মিলি গ্রাম মাত্রায় মিশাতে হবে। এ ছাড়া একই মাত্রায় পানির সাথে ব্যাট্র্যিাসিন মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়। তবে, এটি খাদ্যে মিশালে ৫৫-১০০ মিলি গ্রাম/কেজি মাত্রায় মিশাতে হবে। তাছাড়া ৫০০ মিলি গ্রাম/কেজি মাত্রায় ক্লোরোমাইসেটিন খাদ্যে মিশিয়েও সফলভাবে এ রোগের চিকিৎসা করা যায়।
See also  কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে (৮টি) পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতি

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

২. কোয়েলের ক্রোমনালী প্রদাহ (Quail Bronchitis)

⊳ এক ধরনের ভাইরসের আক্রমণে কোয়েল এ রোগে আক্রান্ত হয়। এতে ক্লোমনালী আক্রান্ত হয়ে তীব্র প্রদাহের সৃষ্টি করে। এ রোগটি ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং বাচ্চা কোয়েলে ৮০% পর্যন্ত মৃত্যুহার হতে পারে।

লক্ষণ :

⊳ আক্রান্ত কোয়েলে হাঁচি, কাশি ও অস্বাভাবিক শ্বাসীয় শব্দ লক্ষ্য করা যায়। তবে নাক দিয়ে কোন তরল পদার্থ নি:সৃত হতে দেখা যায় না। কোন কোন সময় চোখ দিয়ে পানি পড়া এবং কনজাংটিভাইটিসও (Conjunctivitis) দেখা যায়। কোন কোন কোয়েলে স্নায়বিক উপসর্গও দেখা যেতে পারে।

চিকিৎসা :

⊳ যেহেতু এটি ভাইরাসঘটিত রোগ তাই এর কোন চিকিৎসা নেই। আক্রান্ত কোয়েল চিহ্নিত করে সাথে সাথে বাকিগুলোর কাছ থেকে পৃথক করে ফেলতে হবে। ব্যাকটেরিয়াজনিত মাধ্যমিক সংক্রমণ (Secondary infection) থেকে এদেরকে রক্ষার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক (যেমন : টেট্রাসাইক্লিন) ব্যবহার করা যেতে পারে। তাছাড়া আক্রান্ত ঝাঁকে (Flock) গাদাগাদি অবস্থা পরিহার করে সেখানে পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল এবং খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। এতে মৃত্যুহার কিছুটা কমবে।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

৩. ব্রুডার নিউমোনিয়া (Brooder Pneumonia)

বাচ্চা মুরগিতে ব্রুডার নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী ছত্রাক, অ্যাসপারজিলাস ফিউমিগেটাস (Aspergillus fumigatus) বাচ্চা কোয়েলকে আক্রান্ত করতে পারে। দূষিত খাদ্য বা লিটার সামগ্রীর সংস্পর্শে অথবা নি:শ্বাসের মাধ্যমে দূষিত বস্তু গ্রহণে কোয়েল এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ :

  • তীব্র প্রকৃতির রোগে ক্ষুদামান্দ্য, পিপাসা বৃদ্ধি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। বাচ্চা শুকিয়ে যায় ও দুর্বল হয়ে পড়ে। শ্বাসকষ্টের কারণে বাচ্চা মুখ হাঁ করে ঘাড়-মাথা উপরের দিকে টান করে শ্বাস গ্রহণ করে।
  • শ্বাসনালী আক্রান্ত হলে শ্লেষ্মার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় ঘড়ঘড় শব্দ হয়। এ অবস্থার আক্রান্ত বাচ্চা অল্প ক’দিনের মধ্যেই দম বন্ধ হয়ে মারা যায়।
  • অনেক সময় চোখের পাতা ফুলে যায়। বয়স্ক বাচ্চার নেত্র-স্বচ্ছে (Cornea) আলসার দেখা দিতে পারে।
  • অতি তীব্র প্রকৃতির রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় কোন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপসর্গ ছাড়াই বাচ্চা মারা যেতে পারে।

রোগতত্ত :

⊳ ফুসফুস, শ্বাসনালী ও শ্বাসতন্ত্রের অন্যান্য অংশে পিনের মাথা বা তার থেকেও বড় গণ্ডিকা (Nodule) দেখা যায়। তাছাড়া আক্রান্ত চোখের উপপল্লবের (Nictitating membrance) নিচে পনিরের (Cheese) মতো পদার্থ জমে থাকে।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :

⊳ রোগাক্রান্ত পাখিকে খাদ্য বা পানির সাথে ছত্রাকনাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো যায়। কপার সালফেট ১:২,০০০ মাত্রায় খাবার পানিতে মিশিয়ে পান করালে বাচ্চা তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধের জন্য ঘরের আর্দ্রতা কমিয়ে ও প্রতি কেজি খাদ্যে দুই গ্রাম মাত্রায় ক্যালসিয়াম প্রোপিওনেট (Calcium propionate) মিশিয়ে খেতে দেয়া যেতে পারে। এতে খাদ্যে ছত্রাক থাকলে তার বৃদ্ধি রহিত হবে এবং কোয়েলকে রোগাক্রান্ত করতে পারবে না।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

৪. কলিসেপ্‌টিসিমিয়া (Colisepticemia)

⊳ ইসকেরিশিয়া কোলাই (Escherichia coli) নামক ব্যাকটেরিয়া কোয়েলে কলিসেপটিসিমিয়া সৃষ্টি করে। বাচ্চা এবং বয়স্ক সব বয়সেই কোয়েল এতে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বয়স্ক কোয়েলই বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে সচরাচর শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হলেও অন্যান্য তন্ত্রও আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ :

⊳ সাধারণত রোগলক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই পাখির মৃত্যু ঘটে। হঠাৎ পাখির মৃত্যুহার বেড়ে যায় এবং শ্বাসতন্ত্রের উপসর্গ, যেমন : মুখ হাঁ করে থাকা, নাকে মুখে ফেনা ওঠা, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি দেখা যায়।

চিকিৎসা :

⊳ প্রতি ৫-১০ কেজি খাদ্যে ৫০০ মিলি গ্রাম মাত্রার একটি টেট্রাসাইক্লিন (যেমন : রেনামাইসিন) ট্যাবলেট মিশিয়ে আক্রান্ত পাখিতে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে। এ ছাড়া পানির মাধ্যমেও উক্ত ওষুধ পান করানো যায়।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

৫. রক্ত আমাশয় (Cocciciosis)

⊳ মুরগিতে রক্ত আমাশয় সৃষ্টিকারী এককোষী পরজীবীগুলো কোয়েলকে আক্রান্ত করে না। তবে আইমেরিয়া উজুরা (Eimeria Uzura) ও আইমেরিয়া সুনোডাই (Eimeria sunodai) নামক এককোষী পরজীবী বা কক্সিডিয়া দ্বারা বাচ্চা কোয়েল এ রাগে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ :

এতে রক্ত আমাশয় দেখা দেয়। বাচ্চা ঝিমাতে থাকে, দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রক্তশূন্যতার কারণে মারা যায়।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :

প্রতি কুইন্টাল খাদ্যে ১২৫ গ্রাম মাত্রায় অ্যাস্ট্রোলিয়াম (Amprolium) মিশিয়ে পরপর তিনদিন আক্রান্ত বাচ্চাকে খাওয়াতে হবে। প্রতিরোধের জন্য জন্মের দিন থেকে দু সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতি কুইন্টাল খাদ্যে ৬২.৫ গ্রাম মাত্রায় এই ওষুধ মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

৬. স্পর্শজনিত চর্ম-প্রদাহ (Contact Dermatitis)

⊳ লিটার ও খাঁচা পদ্ধতিতে পালিত কোয়েলে প্রায় সময়ই এ রোগটি দেখা যায়। সাধারণত ৩/৪ মাস বা ততোধিক বয়সের মর্দা বা মাদী কোয়েল আক্রান্ত হয়। এতে মর্দা কোয়েলের প্রজনন ক্ষমতা ও মাদী কোয়েলের ডিম উৎপাদন মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। কাজেই কোয়েল খামারিদের এ রোগটি সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অত্যন্ত জরুরি।

⊳ কয়েকটি চর্মরোগকে (যেমন : হক বার্ন, ব্রেস্ট ব্লিস্টার, স্কেবি হিপ সিন্ড্রোম, পডোডার্মাটাইটিস ইত্যাদি) একত্রে স্পর্শজনিত চর্ম-প্রদাহ বলা হয়ে থাকে। টার্কি পাখি এবং ব্রয়লার মুরগিতে সব ধরনের স্পর্শজনিত চর্ম-প্রদাহই হতে দেখা যায়। কিন্তু কোয়েলে শুধু হক বার্ন ও পডোডার্মাটাইসিস হয়ে থাকে।

See also  কোয়েল পাখির বাচ্চা উৎপাদন (কোয়েল পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো)

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

৭. হক বার্ন (Hock Burn)

⊳ হক অস্থিসন্ধি (Hock Joint) এবং আশেপাশের স্থানের চামড়া এ রোগে আক্রান্ত হলে তাকে হক বার্ন বলা হয়।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

৮. পডোডার্মাটাইটিস (Pododermatitis)

⊳ এটি বাম্বল ফুট (Bumble Foot) বা ফুট প্যাড রোগ (Foot Pad Desease) নামেও পরিচিত। এ রোগে পায়ের তলা এবং আশপাশের ফ্যাসায় (-অংশুতন্ত্র আচ্ছাদানী) প্রদাহ ও ফোঁড়ার সৃষ্টি হয়। কোন কোন সময় কন্ডরা আবরকও (Tendon Sheath) এতে আক্রান্ত হতে পারে।

কারণ :

বিভিন্ন কারণে এ রোগ হতে পারে। যদিও কোয়েলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কারণটি এখনও সঠিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় নি, তথাপি নিম্নলিখিত এক বা একাধিক কারণকে এ জন্য দায়ী করা হয়। যথা :

  • ক. খাদ্যে বায়োটিনের (এক ধরনের বি ভিটামিন) অভাব। এতে চামড়ার সতেজতা নষ্ট হয়।
  • খ. নিম্নমানের লিটার অর্থাৎ অতিরিক্ত ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে লিটার। লিটার স্যাঁতস্যাঁতে হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে পাখির ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা, অতিরিক্ত আর্দ্রতা, বৃষ্টি-বাদলের কারণে ঘরে পানি ঢোকা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
  • গ. ব্যাটারি বা খাঁচার মেঝে অমসৃণ ও নিম্নমানের হওয়া এবং এই অমসৃণ মেঝের সাথে পায়ের চামড়ার অতিরিক্ত ঘর্ষণ।
  • ঘ. আঘাত ও চাপজনিত ক্ষত এবং তাতে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ।
  • ঙ. নিম্নমানের খামার ব্যবস্থাপনা।
  • চ. রাইবোফ্লাভিন, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, জিঙ্ক, মিথিওনিন, লিনোলেয়িক অ্যাসিড, সম্পূরক হিসেবে ভিটামিন-মিনারেল মিক্সচার, ফিশ মিল ইত্যাদির অভাব।

রোগতত্ত্ব :

⊳ এতে তীব্র প্রদাহের সৃষ্টি হয়। পায়ের তলায় ও হক জয়েন্টে ক্ষত হয়ে রক্তক্ষরণ ঘটে চামড়ার কোষ নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণের ফলে ফোঁড়ার (Abscess) সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত অংশ ধীরে ধীরে ফুলে ওঠে। কোন কোন সময় তা ফেঁটে গিয়ে পুঁজ ও রক্ত বের হয়ে আসে। এই পুঁজ ও রক্তের সাথে লিটার বা মল মিশ্রিত হয়ে ক্ষতের উপর শক্ত আবরণ তৈরি করতে পারে। কোন কোন সময় আবার আক্রান্ত অংশ ফাটে না, বরং তা তন্তুময় কলায় (Fibrous tissue) ছেয়ে শক্ত হয়ে যায়। আর এ রকমটি ঘটে দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতির রোগের ক্ষেত্রে।

লক্ষণ :

⊳ আক্রান্ত অংশ থেকে প্রথমে রক্তক্ষরণ হয়। এরপর পাখিটি খোঁড়াতে থাকে। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে অনেক সময় পাখি নড়াচড়া কম করে ও ঝিম মেরে বসে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে পা একেবারে নড়াচড়ার অযোগ্য হয়ে যায়। ফলে হাঁটা-চ I-চলা করতে পারে না। ঠিকমতো খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না বলে স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। ফলে প্রজনন ও উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। এমনকি মারাও যেতে পারে।

চিকিৎসা :

⊳ স্যাঁতস্যাঁতে বা ভেজা লিটার পাল্টে শুকনা ও নতুন লিটারের ব্যবস্থা করতে হবে। ডায়রিয়া হলে চিকিৎসা করতে হবে। খাদ্যে সঠিক পরিমাণে বায়োটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান দিতে হবে যেন চামড়ার সতেজতা সঠিক থাকে। এ বিষয়গুলো সঠিকভাবে মেনে চললে এমনিতেই রোগ সেরে যাবে এবং সুস্থগুলোও আক্রান্ত হবে না। ব্যাটারি পদ্ধতির ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন মেঝে মসৃণ হয়। খাঁচা সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত ক্ষত অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এরপর খাদ্য ও ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে। তবে পুরনো রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় তেমন লাভ হয় না।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

৯. মারেক-এর রোগ (Marek’s Desease)

⊳ হারপেস ভাইরাসের আক্রমণে কোয়েল এ রোগে আক্রান্ত হয়। এতে স্নায়ুতন্ত্র, বিশেষ করে প্রান্তীয় স্নায়ুতে (যেমন : সায়াটিক ও ব্রাকিয়াল স্নায়ু) টিউমার উৎপন্ন হয়। এ রোগে প্রধানত বাচ্চা কোয়েলই আক্রান্ত হয়। একদিন বয়সের বাচ্চাতেও ভাইরাসের আক্রমণ হতে পারে।

লক্ষণ :

⊳ টিউমারের ফলে সায়াটিক ও ব্রাকিয়াল স্নায়ু মারাত্মকভাবে ফুলে ওঠে এবং পক্ষাঘাতের সৃষ্টি করে। দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে পক্ষাঘাত ছাড়াও পাখির ওজন হ্রাস পায় এবং ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তাছাড়া ক্ষুধামান্দ্য ও ডায়রিয়া দেখা দেয়। পাখি অনাহার ও পানিশূন্যতায় ভুগে মারা যায়।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :

⊳ এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। টিকা থাকলেও যেহেতু কোয়েল কদাচ এ রোগে আক্রান্ত হয় তাই টিকার ব্যবহার প্রচলিত নয়।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

১০. লিম্ফয়েড লিউকোসিস (Lymphoid Leukosis)

⊳ এটিও একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। এ ভাইরাস লিম্ফয়েড অঙ্গে (Lymphoid tissue) প্রাণসংহারী টিউমার বা ক্যানসার সৃষ্টি করে। প্রাথমিকভাবে কোয়েলের বার্সা অব ফ্যাব্রিসিয়াস (Bursa of Fabricius) নামক লিম্ফয়েড অঙ্গে আণুবীক্ষণিক টিউমার দেখা যায়। পরবর্তীতে তা অন্যান্য অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, যেমন : যকৃত, প্লীহা ও হৃৎপিণ্ডে ছড়িয়ে পড়ে। এটি সাধরণত বয়স্ক কোয়েলকে আক্রান্ত করে। আক্রান্ত কোয়েলের ডিম থেকে ফোটানো বাচ্চা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

লক্ষণ :

⊳ আক্রান্ত পাখি দুর্বল ও কৃশ হয়ে পড়ে। টিউমার হওয়ার কারণে উদর স্ফীত হয়। রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ও পাখি মারা যায়।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :

⊳ এ রোগটিও মারেক-এর রোগের ন্যায় কোয়েলে কদাচিত দেখা যায়। এর কোন ফলপ্রসূ চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। কার্যকরি টিকা এখনও আবিষ্কৃত হয় নি। এটি দূর করার জন্য আক্রান্ত পুরো ঝাঁককে মেরে ফেলা উচিত।

See also  কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম, কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনা

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

১১. কৃমির আক্রমণ (Worm Infestation)

⊳ মুরগির গোল কৃমি, অ্যাসকেরিডিয়া গ্যালি (Ascaridia galli), জাপানি কোয়েলকে আক্রান্ত করতে পারে না। কিন্তু অন্য দু ধরনের গোল কৃমি দ্বারা এরা আক্রান্ত হতে পারে। তবে আক্রান্ত করলেও কৃমি কোয়েলের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না। ফলে কোন কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর প্রয়োজন হয় না।

কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, রোগ ও চিকিৎসা, চিকিৎসা, ঔষধ, ভ্যাকসিন, চোখের রোগ, চুনা পায়খানা

কোয়েল পালন ও চিকিৎসাঃ

১২. ঠোকরা-ঠুকরি বা ক্যানিবালিজম (Cannibalism)

⊳ এটি আসলে কোন রোগ নয়, বরং এক ধরনের বদঅভ্যাস। কিন্তু রোগের থেকে কোন অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ক্যানিবালিজম বা ঠোকরা-ঠুকরি এমনই এক ধরনের বদঅভ্যাস যাতে একটি কোয়ের অন্য কোয়েলের পালকবিহীন বা কম পালকযুক্ত অংশে ঠোকরাতে থাকে।

⊳ অনেক সময় পালকের গোড়া ঠকুরে তুলে নিয়ে তা খেয়ে ফেলে। ঠোকরাতে ঠোকরাতে রক্ত বের করে ফেলে। ঠোকরানো স্বভাবের পাখিরা একবার যদি রক্তের স্বাদ পায় তবে আহত পাখিকে অনবরত ঠোকরায় ও রক্তপাত ঘটাতে থাকে।

⊳ বেশ কিছু পাখি প্রথমে এতে আক্রান্ত হয়ে পরবর্তীতে পুরো ঝাঁকে মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং সমস্ত ঝাঁকের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস করে খামারকে আর্থিক ক্ষতির মুখে ঠেলে দেয়। সাধারণত ব্যাটারি বা খাঁচা পদ্ধতিতেই ঠোকরা-ঠুকরি বেশি দেখা যায়।

কারণ :

ক্যানিবালিজমের বহু কারণ রয়েছে। যেমন :

  • ক. ধারালো ও চোখা ঠোঁট।
  • খ. খামারে জায়গা স্বল্পতার জন্য গাদাগাদি অবস্থা।
  • গ. আরজিনিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিডের অভাব।
  • ঘ. অত্যধিক আলো।
  • ঙ. অত্যধিক তাপ।
  • চ. স্ট্রেস বা পীড়ন।
  • ছ. আহত পাখিকে সুস্থ পাখি থেকে পৃথক না করা।
  • জ. বিভিন্ন বয়সের কোয়েল একই খাঁচায় বা ঘরে রাখা।
  • ঝ. খাদ্যে আমিষ ও লবণের অভাব।
  • ঞ. অপর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি সরবরাহ।
  • ট. অলসতা ইত্যাদি।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ :

⊳ যেসব কারণে ঠোকরা-ঠুকরি দেখা দেয় তা দূর করতে হবে। তবে আগে থেকেই এদিকটায় নজর দিলে ঠোকরা-ঠুকরি দেখা দেবে না। তাছাড়া এটি প্রতিরোধের জন্য সঠিকভাবে ঠোঁট কাটা বা ডিবিকিং করা একটি উত্তম ব্যবস্থা (খামার ব্যবস্থাপনা অধ্যায়ে বিষদভাবে আলোচনা করা হয়েছে)।

উপসংহারঃ

⊳ উপরোক্ত রোগগুলোই কোয়েলে সচরাচর দেখা যায়। তবে এ ছাড়াও আরও কিছু রোগে এরা আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু এগুলো এতই কম হয় যে, আলোচনা করার মতো গুরুত্বপূর্ণ নয় মোটেও। যেমন : সালমোনেলোসিস (Salmonellosis), মাইকোপ্লাসমোসিস (Mycopl; asmosis), লিস্টেরিওসিস (Listeriosis), রাণীক্ষেত রোগ (New Castle Desease), বসন্ত (Pox) ইত্যাদি। এ ছাড়াও আছে গেঁটে বাত (Gout), অস্ত্র প্রদাহ (Enteritis), ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ, টিউমার (Tumours), খাদ্যে বিষক্রিয়া ইত্যাদি। ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি মুরগির মতোই।

⊳ আপনাদের প্রশ্নগুলো যেমন: কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকার ইত্যাদির প্রেক্ষিতে এই পোষ্টটি করা হলো। আশা করি এটা থেকে নতুন বা পুরানত উভয় প্রকার কোয়া খামরি/কোয়েল চাষি/সাধারন কোন কোয়েল পালনকারি গণ উকৃত হবে।

⊳ আবার দেখা পর্বর্তী পর্বতে। খামারিয়ানের সাথেই থাকুন, প্রয়োজনে আমাদের ফেসবুকে পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন যাতে করে নতুন পোষ্টের নোটিফিকেশন পেতে পারেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

⊳ জন্মের সপ্তাহে প্রতি লিটার খাবার পানিতে এক গ্রাম মাত্রায় টেট্রাসাইক্লিন মিশিয়ে পান করালে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকজনিত রোগের কবল থেকে বাচ্চা কোয়েলকে রক্ষা করা যাবে।

খামারিয়ান.কম কয়েল পাখি পালন সিরিজঃ

  • কোয়েল পাখির ডিমের উপকারিতা, কোয়েল পাখির মাংসের উপকারিতা, কোয়েল পাখির ডিমের পুষ্টিগুণ ও কয়েল পাখির ডিম খাওয়ার নিয়ম, কোয়েল পাখির ডিম ও মুরগির ডিমের তুলনাঃ
  • https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-ডিমের-উপকার/

  • কোয়েল পাখির খাবার তালিকা-১, বয়স অনুযায়ী কোয়েল পাখির খাদ্য তালিকা-২, কোয়েল পাখি কি কি খাবার খায় এবং কোয়েল পাখির খাবার তৈরি/কোয়েলের খাদ্য তৈরিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খাবার-তালিক/

  • কোয়েল পালন ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির রোগ ও চিকিৎসা, কোয়েল পাখির চিকিৎসা, কোয়েল পাখির ঔষধ, কোয়েল পাখির ভ্যাকসিন, কোয়েল পাখির চোখের রোগ, কোয়েল পাখির চুনা পায়খানা, কোয়েল পাখির রোগ-ব্যাধি ও প্রতিকারঃ
    https://khamarian.com/কোয়েল-পালন-ও-চিকিৎসা-কোয/

  • কোয়েল পাখির খামার ব্যবস্থাপনা, কোয়েল পাখি চাষ, কোয়েল পাখির চাষ করে সফল হতে চাইলে ৮টি পয়েন্ট জেনে নিন!!! কোয়েল পাখি চাষের পদ্ধতিঃ-
    https://khamarian.com/কোয়েল-পাখির-খামার-চাষ/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!