নাস্তিক মুক্তমনার প্রশ্ন :-
🛑কোর’আনে ডাইনোসর সম্পর্কে কিছু বলা হয় নি কেন?
🔷উত্তর :-কুরআন মানব জাতির সর্বোৎকৃষ্ট, সংবিধান এবং পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যাবস্থা। এটা কোন জীব বিঙ্গান বই না।
কুরআনের আলোচ্য বিষয় হল, মানব জাতি। কেননা মানব জাতির প্রকৃত কল্যাণ ও অকল্যাণের সঠিক পরিচয়ই কুরআনে দান করা হয়েছে। কুরআনের উদ্দেশ্য হল মানব জাতিকে খোদা প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার দিকে পথ প্রদর্শন, যাতে সে দুনিয়ায়ও নিজের জীবনকে কল্যাণময় করতে পারে এবং পরকালেও শান্তিময় জীবনের অধিকারী হতে পারে।
▶ ডাইনোসর নাম এলো যেভাবে সর্বপ্রথম ডাইনোসরের নামকরণ করেন পুরাজীববিদ স্যার রিচার্ড ওয়েন। সেটা ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দের কথা।
নামটি এসেছে গ্রিক ভাষা থেকে যার অর্থ ‘ভয়ংকর টিকটিকি’। গ্রিক ভাষায় দেইনস অর্থ ভীষণ বা ভয়াবহ বা ভয়ংকর। আর সাউরোস অর্থ গিরগিটি। এই দুটি শব্দ মিলে এসেছে ডাইনোসর শব্দটি।
পুরাজীববিদ ওয়েন ডাইনোসরের নামকরণ করেছিলেন প্রধানত প্রাণীগুলোর আয়তনের কথা মাথায় রেখে। কিন্তু ডাইনোসররা প্রকৃতপক্ষে গিরগিটি বা টিকটিকি জাতীয় কোনো প্রাণী নয়। বরং তারা সরীসৃপ শ্রেণির অন্তর্গত একটা আলাদা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি।
▶ এবার দেখা যাক কোর’আন কি বলেঃ
সূরা আন-নূর আয়াত ৪৫
আল্লাহ প্রত্যেক চলন্ত জীবকে পানি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক বুকে ভয় দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু করতে সক্ষম।
সুরা বাকারাহ আয়াত-১৬৪
আর আল্লাহ আকাশ হতে পানি বর্ষণ করেন এবং তদ্দরা মৃত জমীনকে সজীব করে তুলেছেন এবং ছড়িয়ে দিয়েছেন সব রকম জীব জন্তু।
সুরা সাবা আয়াত-৯
তারা কি লক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে ভুমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোনো খন্ড তাদের উপর পতিত করবো। আল্লাহ অভিমুখী বান্দার জন্য নিদর্শন রয়েছে।
▶ এবার আয়াত গুলো কম্পেয়ার করা যাকঃ
(১)
প্রত্যেক চলন্ত জীব আল্লাহ পানি দারা সৃষ্টি করেছেন। ডাইনোসর এর উর্ধ্বে নয় নিশ্চয়!
এবং আল্লাহ একই আয়াতে সরীসৃপ প্রাণির কথাও উল্লেখ করেছেন(২৪;৪৫)।
(২)
তাতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সব রকম জীব জন্তু(২ঃ১৬৪)
ডাইনাসোরও নিশ্চয় একটি জীব।
(৩)
আর তিনি সুরা সাবায় (৩৪ঃ৯) বলেই দিয়েছেন,
কিভাবে এসব বৃহদাকার প্রাণিগুলো ধংস হয়েছে।
তারা কি লক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছা করলে ভুমি ধসিয়ে দেব অথবা আকাশের কোনো খন্ড তাদের উপর পতিত করবো। আল্লাহ অভিমুখী বান্দার জন্য নিদর্শন রয়েছে।
আল্লাহ এ আয়াতের শুরুতে বলেছেন “তারা কি লক্ষ্য করে না” অর্থ্যাত এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীতে ঘটে গেছে।
আধুনিক বিজ্ঞানও একই মতামত দিয়েছেন।
▶ আর ডাইনোসর শব্দটি ১৮৪২ সালে নামকরণ করা হয়েছে তাই এ শব্দ কোর’আনে খোজা অযোক্তিক।
ডাইনোসর বা এ প্রকৃতির যে প্রাণিই হোক আপনি যদি বলেন কোর’আনে নাম আসে নি কেন তাহলে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে-
১. ডাইনোসর জীব নয়।
২. এরা পানি দ্বারা তৌরি নয়।
▶ প্রশ্নটা এরকম অযোক্তিক যে, আপনি যদি বলেন কোর’আনে এত মানুষের নাম এসেছে আমার নাম আসে নি কেন*?
তাহলে বলবো কোর’আনে আপনিও এসেছেন, কারণ কোর’আনে মানবজাতির কথা বলা হয়েছে।
আর আপনি মানবজাতির বাইরে নন।
Tags:
[ #ভ্রান্তি #অপব্যাখ্যা #সংশয় #প্রশ্ন #জিজ্ঞাসা #উত্তর ]