আজকে আমরা আলোচনা করবঃ
ক্রিয়াবিশেষণ কাক বলেঃ
যে শব্দ ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে।
নিচের বাক্য তিনটির নিম্নরেখ শব্দগুলো ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ:
ছেলেটি দ্রুত দৌড়ায়।
লোকটি ধীরে হাঁটে।
মেয়েটি গুনগুনিয়ে গান করছে।
অনেক সময়ে বিশেষ্য ও বিশেষণ শব্দের সঙ্গে ‘এ’, ‘-তে’ ইত্যাদি বিভক্তি এবং ‘‘ভাবে’, ‘বশত’, ‘‘মতো’ ইত্যাদি শব্দাংশ যুক্ত হয়ে ক্রিয়াবিশেষণ তৈরি হয়।
যেমন –
ততক্ষণে, দ্রুতগতিতে, শান্তভাবে, ভ্রান্তিবশত, আচ্ছামতো ইত্যাদি।
ক্রিয়াবিশেষণ কত প্রকার ও কি কিঃ
ক্রিয়াবিশেষণকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ:
কোনো ক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হয়, ধরনবাচক ক্রিয়াবিশেষণ তা নির্দেশ করে।
যেমন:
টিপ টিপ বৃষ্টি পড়ছে।
ঠিকভাবে চললে কেউ কিছু বলবে না।
২. কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ:
এই ধরনের ক্রিয়াবিশেষণ ক্রিয়া সম্পাদনের কাল নির্দেশ করে।
যেমন-
আজকাল ফলের চেয়ে ফুলের দাম বেশি।
যথাসময়ে সে হাজির হয়।
৩. স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ:
ক্রিয়ার স্থান নির্দেশ করে স্থানবাচক ক্রিয়াবিশেষণ।
যেমন-
মিছিলটি সামনে এগিয়ে যায়
তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
৪. নেতিবাচক ক্রিয়াবিশেষণ:
না, নি ইত্যাদি দিয়ে ক্রিয়ার নেতিবাচক অবস্থা বোঝায়। এগুলো সাধারণত ক্রিয়ার পরে বসে।
যেমন-
সে এখন যাবে না।
তিনি বেড়াতে যাননি।
এমন কথা আমার জানা নেই।
৫. পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ:
বাক্যের মধ্যে বিশেষ কোনো ভূমিকা পালন না করলেও ‘কি’, ‘যে’, ‘বা’,‘না’, ‘তো’ প্রভৃতি পদাণু ক্রিয়াবিশেষণ হিসেবে কাজ করে।
যেমন-
কি: আমি কি যাব?
যে: খুব যে বলেছিলেন আসবেন!
বা: কখনো বা দেখা হবে।
না: একটু ঘুরে আসুন না, ভালো লাগবে।
তো: মরি তো মরব।
গঠন বিবেচেনায় ক্রিয়াবিশেষণকে একপদী ও বহুপদী – এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
একপদী ক্রিয়াবিশেষণ: আন্তে, জোরে, চেঁচিয়ে, সহজে, ভালোভাবে ইত্যাদি।
বহুপদী ক্রিয়াবিশেষণ: ভয়ে ভয়ে, চুপি চুপি ইত্যাদি।