Skip to content

 

খতমে ইউনুস/খতমে শেফা কি? খতমে জালালী কি? খতমে বোখারী কি? খতমে খাজেগান কি?

খতমে ইউনুস/খতমে শেফা কি? খতমে জালালী কি? খতমে বোখারী কি? খতমে খাজেগান কি?

বিষয়: খতমে ইউনুস/খতমে শেফা কি? খতমে জালালী কি? খতমে বোখারী কি? খতমে খাজেগান কি?
হ্যশট্যাগ: #খতমে ইউনুস #খতমে শেফা #খতমে জালালী #খতমে বোখারী #খতমে খাজেগান।

খতমে ইউনুস/খতমে শেফা

* উলামায়ে কেরামের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে সেয়া লক্ষ বার দোয়ায়ে ইউনুস পাঠ করে দোয়া করা হলে রোগ-ব্যাধি ও বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এটাকে খতমে ইউনুস বা খতমে শেফা বলা হয়। উল্লেখ্য যে, হযরত ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে আঁটকা পড়ে এই দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ তা’আলা তাকে মাছের পেট থেকে উদ্ধার করেন। দোয়ায়ে ইউনুস এইঃ

لا إله إلا أنت سبحنك اني كنت من الظلمين

অর্থঃ হে আল্লাহ, তুমি ছাড়া কোন মা’বূদ নেই। তুমি পবিত্র, আমি পাপীদের অন্তর্ভুক্ত।

* উল্লেখ্য যে, এই দোয়াটি সোয়া লক্ষ্য বার পাঠ করে দু’আ করলে বিপদ-আপদ বা রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ হবে এ বিষয়টি কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়- এটা অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত। অতএব খতমে ইউনুস/খতমে শেফা-কে শরীয়ত-নির্ধারিত পদ্ধতি মনে করা যাবে না, এরূপ মনে করলে তা বিদআত হয়ে যাবে।

* বিপদ-আপদ বা রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে খতমে ইউনুস পাঠ করা হলে পাঠকারীকে বিনিময় বা পারিশ্রমিক প্রদান করা ও পাঠকারীর জন্য তা গ্রহণ করা জায়েয।

খতমে জালালী

* কোন পার্থিব উদ্দেশ্যে এক লক্ষ বার কালিমায়ে তইয়্যেবা পাঠ করলে সে উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে থাকে। এটাকে জালালী খতম বা লাখ কালিমা পাঠ বলা হয়ে থাকে। এটা অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত বিষয়- কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এটাকে সুন্নাত মনে করলে তা বিদআত হয়ে যাবে। কোন পার্থিব উদ্দেশ্যে এ খতম পাঠ করা হলে তার পারিশ্রমিক দেয়া ও নেয়া উভয়ই জায়েয ৷

খতমে বোখারী

* বোখারী শরীফ খতম করে দু’আ করা হলে দোয়া কবূল হয়ে থাকে এবং কোন পার্থিব উদ্দেশ্যে বোখারী খতম করে দু’আ করা হলে সে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে থাকে। এটা ওলামা ও বুযুর্গদের অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত- কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।

* পার্থিব কোন উদ্দেশ্যে বোখারী খতম করালে পাঠকারীকে তার বিনিময় প্রদান ও পাঠকারীর জন্য তা গ্রহণ উভয়টি জায়েয।

খতমে খাজেগান

* খাজেগান অর্থ সাহেবগণ অর্থাৎ, মনীষী ও বুযুর্গানে দ্বীন। বুযুর্গানে দ্বীন যে খতম পড়ে দু’আ করতেন সে খতমকে ‘খতমে খাজেগান’ বলে ৷ খতমে খাজেগান পাঠ করে দু’আ করা হলে কবূল হয়ে থাকে- এ ব্যাপারে বুযুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে এটা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এটাকে শরীয়ত-নির্ধারিত পদ্ধতি মনে করলে বিদআত হয়ে যাবে।

* পার্থিব কোন উদ্দেশ্যে খতমে খাজেগান পাঠ করা হলে তার বিনিময় প্রদান ও গ্রহণ উভয়টি জায়েয। যেমন খতমে ইউনুস ও খতমে বোখারী ইত্যাদির ক্ষেত্রে মাসায়েল বর্ণনা করা হয়েছে।

সমাপ্ত: খতমে ইউনুস/খতমে শেফা কি? খতমে জালালী কি? খতমে বোখারী কি? খতমে খাজেগান কি?
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!