Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

খাঁচায় মাছের চাষ

মাছের চাষ

দু ভাবে পানিতে খাঁচায় মাছের চাষ করা যায়: যথা: ১. ভাসমান খাঁচায় মাছের চাষ ও ২. স্থির খাচায় মাছ চাষ।

১. ভাসমান খাচায় মাছের চাষ:

ভাসমান বস্তু যেমন, মেটাল ড্রাম, বাঁশ, প্লাসটিক পাত্র ইত্যাদি ভাসমান বস্তুর উপর জালের খাঁচা বেঁধে মাছের চাষ করা যায়। বাঁশ অথবা কাঠের ফ্রেমে চারকোণা বিশিষ্ট আয়তকার তৈরি করে ভাসমান বস্তুর উপর শক্ত করে বেধে পলিথিন বা নাইলন জালের ঘর তৈরি করে নিতে হয়। জালের ঘর বা হাপা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে পানির ভাসমান খাঁচায় মাছের চাষ করা যায়। এরূপ ২৮ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট ভাসমান খাঁচা পরীক্ষামূলকভাবে ৮০০ থেকে ১,০০০ নাইলোটিকার পোনা মাছের চাষ করে দেখা গেছে যে, ভালো উৎপাদন পাওয়া যায়। গমের ভূষি ও খইল ইত্যাদি মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরূপভাবে মাছ চাষ করার পর বছরে একই প্রতি ১-২ টন মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। ভাসমান পদ্ধতিতে মাছ চাষের বিশেষ সুবিধে হলো, যে কোনো সময়ে জলাশয়ের যে কোনো অংশে স্থানান্তর করা যায়।

২. স্থির খাঁচায় মাছের চাষ:

স্থির জালের অথবা বাঁশের খাঁচা তৈরি করে তাতে মাছ ছেড়ে পরিকল্পিত উপায়ে মাছের চাষ করা যায়। এ পদ্ধতিতে বাঁশ অথবা কাঠের খুঁটি দিয়ে চারকোণ বা আয়তকার বিশিষ্ট ফ্রেমে তৈরি করে তাতে জালের হাপ্পা তৈরি করে খুঁটির সাথে শক্ত করে প্রথমে বেঁধে নিতে হয়। খুঁটি এমনভাবে শক্ত করতে হবে, যাতে প্রবল বাতাস অথবা ঝড়ে পড়ে না যায়। জালের চার কোণায় ভারী ওজন বেঁধে দিতে হয়। পরীক্ষামূলকভাবে দেখা গেছে যে, ২৮ বর্গফুট আকারে খাঁচায় কার্প জাতীয় মাছের চাষ করে বছরে ৩ থেকে ৪ মণ মাছ উৎপাদন সম্ভব। গমের ভূষি ও কুঁড়া মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!