হ্যালো খামারিয়ান ক্লাবের বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা? আশা করি ভালোই আছেন, আজকে আমরা আলোচনা করব:
✔গরুকে কৃমির ঔষধ/কৃমিনাশক খাওয়ানোর নিয়ম/গরুকে কৃমির ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
তো চলুন শুরু করা যাক।

(১) কৃমিনাশক ঔষুধ সকালে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।
(২) গরমের ভিতর কৃমিনাশক না খাওয়ানোই ভাল। যদি খাওয়াতেই হয়, তাহলে খাওয়ানোর সাথে সাথে গরুকে ১০/১৫ মিনিটের মত সময় ধরে গোসল করাতে হবে এবং ফ্যানের নিচে রাখতে হবে।
(৩) দানাদার খাবারের পানির সাথে কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ালে কোন কাজ করবে না।
(৪) কৃমিনাশক ট্যাবলেট গুড়া করে চিটাগুড় বা কলার পাতার সাথে মুড়িয়ে খালি পেটে খাওয়াতে হবে।
(৫) কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর পর কমপক্ষে ১ ঘন্টা কোন ধরনের খাবার দেয়া যাবে না।
(৬) কৃমিনাশক ঔষুধ নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমান খাওয়ালেও কোন ক্ষতি হবে না।
(৭) মাত্রার চেয়ে কম খাওয়ালে কৃমিতো মরবেই না বরং আরও সক্রিয় হবে।
(৮) গাভী বা ছাগী বাচ্চা দেয়ার কমপক্ষে ৪৫ দিন পর কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ান, এর আগে না।
(৯) আট মাসের উপর গর্ভবতী গাভীকে কৃমিনাশক খাওয়ানো উচিত নয়।
(১০) নিয়মিত তিন-চার মাস পরপর সকল গবাদি পশুকে কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়াতে হবে।
(১১) সদ্য ভুমিষ্ঠ গরুর বাচ্চাকে জন্মের ৫/৭ দিনের মধ্যে পাইপারজিন গ্রুপের কৃমিনাশক পাউডার খাওয়াতে হবে। এবং ৬ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ১ বার করে অ্যালবেন্ডাজল গ্রুপের ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
(১২) প্রতিবার কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর পর অবশ্যই মাত্রানুযায়ী লিভার টনিক খাওয়াতে হবে। কারন কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর ফলে গবাদি পশুর লিভারের উপর ধকল পড়ে, সে কারনেই লিভার টনিক খাওয়াতে হবে।
কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ানোর পর যদি খাওয়ার রুচি কমে যায়, তাহলে রুচিবর্ধক পাউডার/ট্যাবলেট খাওয়ালে দ্রুত রুচি ফিরে আসে।