Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

22টি গরুর জাত ও বৈশিষ্ট্য + গরুর জাতের নাম + গরুর জাত পরিচিতি + উন্নতজাতের গরুর নাম + বিদেশি গরুর জাত + পাকিস্তানি গরুর জাত + ভারতীয় গরুর জাত + গরুর জাত চেনার উপায় + মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত + দুধ উৎপাদনকারী গরুর জাত + গরুর জাতের শ্রেণিবিভাগ

22টি গরুর জাত ও বৈশিষ্ট্য + গরুর জাতের নাম + গরুর জাত পরিচিতি + উন্নতজাতের গরুর নাম + বিদেশি গরুর জাত + পাকিস্তানি গরুর জাত + ভারতীয় গরুর জাত + গরুর জাত চেনার উপায় + মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত + দুধ উৎপাদনকারী গরুর জাত + গরুর জাতের শ্রেণিবিভাগ
Table of contents

বিষয়: গরুর জাত ও বৈশিষ্ট্য, গরুর জাতের নাম, গরুর জাত পরিচিতি, উন্নতজাতের গরুর নাম, বিদেশি গরুর জাত, পাকিস্তানি গরুর জাত, ভারতীয় গরুর জাত, গরুর জাত চেনার উপায়, মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত, দুধ উৎপাদনকারী গরুর জাত, গরুর জাতের শ্রেণিবিভাগ।
হ্যাশট্যাগ: গরুর জাত ও বৈশিষ্ট্য# গরুর জাতের নাম# গরুর জাত পরিচিতি# উন্নতজাতের গরুর নাম# বিদেশি গরুর জাত# পাকিস্তানি গরুর জাত# ভারতীয় গরুর জাত# গরুর জাত চেনার উপায়# মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত# দুধ উৎপাদনকারী গরুর জাত# গরুর জাতের শ্রেণিবিভাগ।

গরুর জাত বলতে কি বুঝায়?

জাত হলো একই উৎস থেকে উদ্ভূত একটি গ্রুপের পশু যার কতিপয় সুস্পষ্ট ও পার্থক্যসূচক বৈশিষ্ট্য থাকে যা একই প্রজাতির অন্য জাতের পশুতে থাকে না এবং এসমস্ত বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে একইরূপে সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে প্রকাশ পায়।

একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে গ্রহণযোগ্য উপযোগী বৈশিষ্ট্য সমন্বয়ে গঠিত একটি জাত থেকে সৃষ্ট জাতিরূপ।

পশুর জাতিরূপ মূলত সৃষ্টি করা হয় অধিক দুধ, মাংস বা পশম উৎপাদনের উদ্দেশ্যে। সুতরাং জাতিরূপ বা টাইপ হলো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সমন্বয় যা সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সৃষ্ট।

কি দেখে গরুর জাত নির্বাচন করব?

গরুর জাত নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত পালনকারীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যর উপর নির্ভর করে গরুর জাত নির্বাচন করা উচিত। এজন্য জাত নির্বাচনের সুবিধার্থে নিচে গরুর বিভিন্ন জাতের বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োজনীয়তা আলোচনা করা হয়েছে।

গরুর জাত প্রধানত দুই প্রকার। যথাঃ

১। জেবিউ চূড়াযুক্ত গরু (Bos indicus) এবং ২। ইউরোপিয়ান গরু (Bos taurus)।

দেশি গরুর বৈশিষ্ট্য:

  • নিম্নমানের শুষ্ক খাদ্যে (fodder) জীবন ধারণে সক্ষম।
  • একটি সুস্পষ্ট চূড়া (Hump) থাকে।
  • উচ্চ তাপমাত্রায় অধিকতর উপযোগী।
  • দেরীতে পরিপক্ক হয় এবং উর্বর্তার হার কম।
  • রোগ ও পরজীবীর প্রতি কিছুটা রেজিস্ট্যান্ট।

বিদেশি গরুর বৈশিষ্ট্য:

  • গ্রীষ্মমন্ডল অঞ্চলে এসব জাতের গরু পর্যাপ্ত উৎপাদনের জন্য ভাল ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন।
  • এসব জাতের গরুর জন্য প্রয়োজন উচ্চমান সম্পন্ন খাদ্য, ট্রপিক্যাল রোগ নিয়ন্ত্রণ ও চরম ট্রপিক্যাল আবহাওয়া থেকে নিরাপদ ব্যবস্থা।
  • ইউরোপিয়ান গরুকে বিদেশি জাতের (Exotic breed) গরু বলা হয়। অনেকে জেনারেশন ধরে প্রজনন ও নির্বাচনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতের অধিক দুধ ও মাংস উৎপাদনশীল গরুর জাত সৃষ্টি।
  • এসব জাতের গরুর কোন হাম্প বা চূড়া না থাকায় সহজেই এদের সনাক্ত করা যায়।

পালনের উদ্দেশ্যানুযায়ী গরুকে নিম্নোক্ত চার শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।

১। দুধ উৎপাদনকারী গরুর জাত

  • এ শ্রেণির গাভীর বৈশিষ্ট্য হলো, খাদ্যকে দক্ষতার সহিত সদ্ব্যবহার করে অতি উচ্চমানের পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদন করা।
  • দুধাল জাতের গাভী অধিক দুধ উৎপাদনের জন্য জনপ্রিয় কিন্তু এ জাতের বলদ দিয়ে কৃষি কাজ বা মাল বহন চলেনা।
  • চর্বিহীন কোণবিশিষ্ট (মোটা হাড় বিশিষ্ট কিন্তু বেশি মাংসল নয় এমন) এবং বড়সড় ওলান দুধাল জাতের গাভীর বৈশিষ্ট্য।
  • এ জাতের মধ্যে শাহিওয়াল (Sahiwal), সিন্ধি (Sindhi), জার্সি (Jersey), হলস্টিন-ফ্রিজিয়ান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

২। দ্বৈত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জাত, পাকিস্তানি গরুর জাত, ভারতীয় গরুর জাত

  • উদাহরণ (Dairy + Work)- হারিয়ানা (Hariana), থারপারকার (Tharparkar) ইত্যাদি।
  • এই শ্রেণিভুক্ত গাভী দুধ দেয় মোটামোটি ভালো। আবার পাশাপাশি এদের বলদ কৃষি কাজে বা ভার বহনে ব্যবহার করা যায়।
  • উদাহরণ (Dairy + Beef)- শাহিওয়াল, সিন্ধি, রেড পোল (Red poll), দুধাল শর্টহর্ন (Shorthorn) ও ডিভোন (Devon)।
  • দৈহিক গঠন, দুধ ও মাংস উৎপাদনের দিক দিয়ে দ্বৈত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জাতের পশুকে বীফ টাইপ ও ডেয়রি টাইপের মধ্যবর্তী স্থানে ফেলা যায়।

৩। পরিশ্রমী গরুর জাত

  • এ জাতের বলদ কৃষি কাজ ও ভার বহনের কাজে বেশ উপযোগী। কিন্তু এ জাতের গাভী দুধ দেয় কম।
  • উদাহরণ— ধানী (Dhanni), লোহানি (Lohani), অমৃতমহল (Amritmahal), ক্যানগ্যায়াম (Kangayam), মালভী (Malvi), সিরি (Siri), হাল্লিকার (Hallikar), খিলাড়ী (Khillari) ইত্যাদি।

৪। মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত

  • বীফ-টাইপ জাতের পশুর উদাহরণ হল, বীফ মাস্টার (Beef master), চারোলায়িস (Charolais), হিরেফোর্ড (Hereford), ব্রাহম্যান (Brahman), শট-হর্ন (Short-horn), ব্রানগাস (Brangus), অ্যাংগাস (Angus) ইত্যাদি।
  • বৃহৎ ভারী দেহ বীফ টাইপ পশুর উল্লেখযোগ্য বেশিষ্ট্য।
  • এজাত পালনের প্রধান উদ্দেশ্য হল, পশু খাদ্যকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে মানুষের খাদ্যের উপযোগী অতি উচ্চমানের মাংসে রূপান্তরিত করা।

(1) দুধ উৎপাদনকারী গরুর জাত বিবরণ:

  • দুধে প্রায় ৪% ফ্যাট থাকে। যদিও এ জাতের গাভীর দুধের মান ফ্রিজিয়ান জাত অপেক্ষা ভালো, তবে তাদের উৎপাদনক্ষমতা কমের কারণে আয়েরশায়ার অপেক্ষা ফ্রিজিয়ান জাতের গাভীর কদর অধিক।
  • লম্বা শিং উপরের দিকে বাঁকানো এবং ঘাড় ছোট কিন্তু পুরু।
  • দেহের গড়ন বা আকৃতি এবং সজীবতা, উপযুক্ত পা এবং চরে খাওয়ার সামর্থতা উল্লেখযোগ্য।
  • গাভীর দৈহিক ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।
  • এ জাতের একটি গাভী এক বিয়ানে (৩০৫ দিন) ১০ থেকে ১২ হাজার লিটার দুধ দেয়।
  • আয়েরশায়ার জাতের গরু হালকা থেকে গাঢ় লাল (Chery red), মেহগনি, বাদামী বা এসকল রংয়ের
  • সমন্বয়ে সাদা অথবা সম্পূর্ণ সাদা রংয়ের হয়। তবে কালো বা বিচিত্র রংয়ের এ জাতের গরু পালনের জন্য উপযোগী নয়।
  • এ জাতের গরু বেশ শক্ত ও বলবান এবং গাভীর ওলান অত্যন্ত প্রশস্ত, তবে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং দৃঢ়ভাবে দেহের সাথে সাঁটানো।
See also  ওজন অনুযায়ী গরুর খাদ্য তালিকা, গরুকে খাবার দেওয়ার নিয়ম ও ঘাস খাওয়ানোর উপকারিতা
  • ব্রাইন-সুয়িস জাতের গরু তিন উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয় যেমন- দুধ, মাংস ও শ্রম (কৃষি কাজ)।
  • প্রাপ্ত বয়স্ক গাভীর ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি হয়।
  • প্রতি বিয়ানে একটি গাভী প্রায় ৫০০০ লিটার দুধ দেয় এবং দুধে চর্বি থাকে প্রায় ৪%।
  • দেহের রং সম্পূর্ণ ব্রাউন, তবে হালকা থেকে গাঢ় বর্ণের হয়।
  • নাক ও জিহ্বা কাল বর্ণের এবং মাজেলের চতুর্দিকে একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হালকা রংয়ের ব্যান্ড (ডোরাকাটা) থাকে।
  • এ জাতের গরু বেশ শান্ত এবং সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • ষাঁড়ের ওজন ৬০০ থেকে ৮০০ কেজি এবং গাভীর ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি।
  • প্রতি বিয়ানে একটি গাভী গড়ে ৪০০০ লিটার দুধ দেয় এবং দুধে প্রায় ৫% ফ্যাট থাকে।
  • সুস্পষ্ট সাদা দাগ বিশিষ্ট মৃগশাবকের ন্যায় বর্ণ এবং মাজেল ইষৎ পীতবর্ণের।
  • অন্যান্য ডেয়রি ও দ্বৈত-উদ্দেশ্যে পালিত গরুর তুলনায় এ জাতের চাহিদা হরাস পাচ্ছে।
  • মাথা বেশ লম্বা ও শিং মাঝারী লম্বা ও আগা সরু।
  • দুধ দানকালে ৩৬৫ দিনে ১৩,৪৮৪ কেজি দুধ উৎপাদনে তথ্য রয়েছে।
  • বিশুদ্ধ জাতের গাভী প্রতি বিয়ানে ৬০০ থেকে ৭০০০ লিটার দুধ দেয়। তবে এক বিয়ানে ১৯,০০০ লিটার দুধ উৎপাদনের রেকর্ড রয়েছে।
  • এ জাতের গাভীর দুধে ২.৫ থেকে ৪.৩% (গড়ে ৩.৬%) ফ্যাট থাকে।
  • এদের দেহ সুগঠিত, মাথা লম্বাটে ও সোজা, চওড়া মাজেল, খোলা নস্ট্রিল, শক্ত দৃঢ় চোয়াল, প্রশস্ত ও মাঝারি ধরনের ডিশ আকৃতির কপাল এবং সোজা নাক। এ জাতের গাভী শান্ত স্বভাবের তবে ষাঁড় উগ্র স্বভাবের হয়।
  • অল্প সময়ে এ জাতের গরুর দুধ ও উচ্চমানের মাংস উৎপাদন অত্যন্ত চমৎকার।
  • গাভীর ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৮০০ থেকে ৯০০ কেজি।
  • হলস্টিন একটি খুব ভালো ডেয়রি জাতের গরু। তবে মাংস (বীফ) উৎপাদনের জন্যও ভাল জাত।
  • এ জাতের গরুর বর্ণ ছোট বড় কালো ও সাদা ছাপযুক্ত। তবে চার পায়ের নিচের অংশ (হাঁটুর নিচ) ও লেজের নিচের অংশ সাধারণত সাদা হয়।
  • এ জাতের বকন প্রথমবারে ২৮ থেকে ৩২ মাসে এবং এরপর ১২ থেকে ১৩ মাসে একবার করে বাচ্চা দেয়।
  • ইচওড়া জোড়া ডিশযুক্ত কপাল, শিং পাতলা এবং সামনের দিক কিছুটা বাঁকানো থাকে এবং বড় উজ্জ্বল চোখ।
  • ওলানের সুন্দর গঠন ও দৃঢ় সংযুক্তি এবং সহজে বাচ্চা প্রসবের জার্সি জাতের গাভী বেশ পরিচিত।
  • যদিও জার্সি জাতের গাভী উচ্চ মাত্রায় দুধ উৎপাদন করে না তবুও এজাতটি পৃথিবীতে জনপ্রিয়।
  • জার্সি জাতের গরু বিভিন্ন রংয়ের হয়, তবে প্রধানত হালকা লালচে বাদামী রং বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। অনেক সময়
  • সাদা ছাপযুক্ত হয়। এছাড়া চোখের চারিধারে একটি কাল বৃত্তাকার ছাপ থাকে।
  • অন্য জাতের তুলনায় বকনের পূর্বে পরিপক্কতা আসে এবং ২৩ থেকে ৩০ মাসের মধ্যে প্রথম বাচ্চা দেয়, তারপরে ১২ থেকে ১৩ মাস পরপর বাচ্চা দেয়।
  • একটি গাভীর ওজন প্রায় ৫০০ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন ৬০০ থেকে ৭০০ কেজি হয়।
  • জার্সি গাভী প্রতি বিয়ানে ২৫০০ থেকে ৫০০০ লিটার দুধ দেয়।
  • লম্বা দেহ, ভারী নিতম্ব ও খাটো পা। চূড়া হতে কোমর পর্যন্ত পিঠ একদম সোজা থাকে, মুখবন্ধনী বা মাজেল কালো ও চকচকে হয়।
  • দুধে উচ্চ মাত্রায় ফ্যাট (৫.৩%) থাকে। এজাতটি অত্যধিক কষ্টসহিষ্ণু এবং প্রায় সব ধরনের আবহাওয়ায় পালনের উপযোগী।
  • জার্সি গাভী ভীতু প্রকৃতির কিন্তু ষাঁড় কিছুটা অবাধ্য স্বভাবের।
  • কান মধ্যমাকৃতির ও ঝুলানো, কানের ভিতর কালো দাগ থাকে।
  • গাভীর ওলান বড়, চওড়া, নরম ও মেদহীন, বাঁটগুলো লম্বা, মোটা ও সমান আকৃতি বিশিষ্ট। দুগ্ধ শিরা বেশ স্পষ্ট যা দূর থেকেও বোঝা যায়।
  • যদিও শাহিওয়াল মূলত একটি ডেয়রি জাত, তবে এ জাতের গরু মাংস উৎপাদন ও কৃষি কাজেও উপযোগী।
  • এই জাতের একটি গাভী গ্রামীণ অবস্থায় পালনে ৩০০ দিনে (দুধদান কাল) প্রায় ২১৫০ লিটার দুধ দেয় এবং ফার্মে পালনে প্রায় ৪-৫ হাজার লিটার দুধ দিয়ে থাকে।
  • ধীর ও শান্ত প্রকৃতির, মোটাসোটা ভারী দেহ। ত্বক পাতলা ও শিথিল, তাই এরা লোল নামেও পরিচিত।
  • পা ছোট এবং ছোট ও পুরু শিং (৪ ইঞ্চির কম), এ জাতের গাভীর শিং নড়ে, মাথা চওড়া ও পোল উঁচু এবং ষাঁড়ের চূড়া অত্যধিক বড়।
  • গৈলকম্বল বৃহদাকার যা ঝুলে থাকে। লেজ বেশ লম্বা, প্রায় মাটি ছুঁয়ে যায়। লেজের আগায় দর্শনীয় একগোছা কালো লোম থাকে।
  • সাধারণত এ প্রজাতির দেহের রং ফ্যাকাসে লাল, তবে কখনও কখনও গাঢ় লাল বা লালের মাঝে সাদা ও কালো ছাপযুক্ত দেখা যায়।
  • ষাঁড়ের দৈহিক ওজন ৪৫৫-৫৯০ (গড় ৫২২) কেজি এবং গাভীর ২৭২-৪০৯ (গড় ৩৪০) কেজি হয়ে থাকে।
  • পাক-ভারত উপমহাদেশে লাল সিন্ধি জাতের গরুকে একটি সর্বোৎকৃষ্ট দুধাল জাত হিসেবে ধরা হয়। তবে এ জাতের বলদ দিয়ে কৃষি কাজ ও মাল বহনের কাজ করা যায়।
  • গ্রামে পালিত একটি গাভী ৩০০ দিনে (এক বিয়ানে) ১,১০০ কেজি দুধ দেয়।
  • ফার্মে পালিত একটি গাভী গড়ে ১৮০০ কেজি এবং ৫৪৪৩ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়ার রেকর্ড রয়েছে।
  • ষাঁড়ের ওজন ৪৫০ থেকে ৫০০ (গড় ৪৫০) কেজি এবং গাভীর ওজন ৩০০০ থেকে ৩৫০০ কেজি হয়।)
  • এ জাতের গরু সাধারণত গাঢ় লাল ও চকলেট বর্ণের হয়ে থাকে। গাভী অপেক্ষা ষাঁড়ের রং বেশি গাঢ় হয়।
  • মাঝারি আকৃতি, সুডোল, বলিষ্ঠ, আঁটসাট দেহ। গাভীকে শান্তশিষ্ট ও বুদ্ধিদীপ্ত দেখায়, শিং ভোথা যা পাশে ও পিছনে বাঁকানো থাকে।
  • মাথা ও মুখমন্ডল ছোট, চওড়া কপাল, কপালের মাঝের অংশ কিছুটা উঁচু।
  • ষাঁড়ের চূড়া বেশ উঁচু। গলকম্বল বৃহদাকার ও ভাঁজযুক্ত।
  • ওলানের গঠন বেশ সুন্দর ও সামঞ্জস্যপূর্ণ, নাভী চর্ম বড় ও ঝুলন্ত।
See also  গরুর ভিটামিন ও মিনারেল অভাবজনিত রোগ ও গরু ভিটামিন স্বল্পতা gorur vitamin

(2) দ্বৈত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত জাত, পাকিস্তানি গরুর জাত, ভারতীয় গরুর জাত:

  • গির গাভী বেশ দুধ দেয় এবং এদের ব্যাপকভাবে কৃষি কাজে ব্যবহার করা হয়।
  • ভারতের বাহিরে যেমন আমেরিকা, ব্রাজিল দেশে বীফ জাত হিসেবে স্বীকৃত লাভ করছে।
  • ষাঁড়ের ওজন গড়ে প্রায় ৫৩৩ কেজি এবং গাভীর ওজন ৩৮৬ কেজি।
  • এক বিয়ানে ১২২৫ থেকে ২২৬৮ কেজি এবং সর্বোচ্চ ৩১৭৫ কেজি দুধ দেয়ার তথ্য রয়েছে।
  • দেহের রং লাল, কালো ও লাল-সাদা ছাপযুক্ত। মাঝারি লম্বা মাথা ও সরু মুখ, উচু অমসৃণ কপাল, লম্বা ও ঝোলা কান এবং কানের আগায় খাঁজ কাটা। শিং লম্বায় মাঝারি আর বেশ মোটা, শিং অদ্ভুতভাবে পেছনের দিকে ঢালু।
  • গলা ছোট মোটা, তবে গাভীর ক্ষেত্রে সরু গলকম্বল বড় ও ঝোলা। লেজ লম্বা এবং আগায় এক গুচ্ছ কালো চুল থাকে।
  • ওলান বড়, বাঁট মোটা, মিল্ক ভেন অতি স্পষ্ট, গাভীর নাভি চর্ম ঝুলন্ত।
  • নেভাল ফ্লাপ দেহের সাথে আঁটসাটভাবে লেগে থাকে এবং দেহের তুলনায় লেজ ছোট ও সরু।
  • গাভীর ওলান অপেক্ষাকৃতভাবে বড় এবং সামনের দিকে প্রসারিত। বাঁট মাঝারি আকারের এবং সামনের
  • দিকে বাঁট পিছনের বাঁট অপেক্ষা লম্বা।
  • এ জাতের গরু কৃষি কাজ, ভারবহন ও দুধের জন্য বিশেষ উপযোগী।
  • & ষাঁড়ের ওজন প্রায় ৪৫০ কেজি এবং গাভীর ওজন ৩৫০ কেজি।
  • একটি গাভী প্রতি বিয়ানে ৯১০ থেকে ১৩৬৪ লিটার এবং গড়ে সর্বোচ্চ ৪৫৩৬৬ কেজি দুধ হবার তথ্য রয়েছে।
  • দেহের গঠন বলিষ্ঠ ও আঁটসাট, লম্বা সরু পা বিশিষ্ট এ জাতের গরু উচ্চতায় বেশ লম্বা হয়ে থাকে।
  • শরীরের রং সাদা থেকে ধূসর বর্ণের হয়। ত্বক মসৃণ, পাতলা এবং আঁটসাট। মাথা ও মুখ লম্বা ও সরু,
  • গলা লম্বা, কপাল চ্যাপ্টা, চোখ বড় এবং উজ্জ্বল। শিং ছোট ও সরু যা উপর দিকে উল্টানো।
  • কান ছোট তবে কিছুটা দোদুল্যমান (পেডিউলাস)। বৃহৎ হাম্প বা চূড়া যা ষাঁড়ে বেশ বড় এবং গাভীতে মাঝারি আকৃতির।
  • নাক বেশ কিছুটা উপর দিকে হয়, চোখ বড় ও উজ্জ্বল। শিং লম্বা, মোটা এবং আগা সরু হয়। শিংয়ের গোড়ার দিকের বেশ কিছুটা ত্বকে ঢাকা থাকে।
  • পাতলা, লম্বা ঘাড় তবে দেহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, গলকম্বল পাতলা ও ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। চূড়া বড়।
  • এছাড়া কান বড় ও ঝুলন্ত।
  • স্ক্রু দ্বৈত উদ্দেশ্যে (দুধ ও কৃষিকাজ) ব্যবহৃত একটি জাত, তবে বীফ উৎপাদনের জন্যও উপযোগী।
  • প্রতি বিয়ানে গড়ে ১৩৩৩ লিটার দুধ এবং এককভাবে ৩৫০০ লিটার পর্যন্ত দুধ দেয়ার তথ্য রয়েছে।
  • বেশ বড় আকৃতির পশু এবং তাদের দেহের রং রূপালী থেকে ধূসরবর্ণ বা ইস্পাত-কালো (Steel-black)।
  • ত্বক রঞ্জিত এবং লোম নরম ও ছোট। বাচ্চা অবস্থায় বাছুরের মাথার পোলের রং থাকে কালচে লাল বর্ণের যা ছয় মাস পর মিলিয়ে যায়।

বেশ হৃষ্টপুষ্ট, ভারী ও চওড়া বক্ষঃস্থল, পৃষ্ঠদেশ সোজা, মাথা দেহের তুলনায় ছোট, কপাল বেশ চওড়া, কপালের মধ্যস্থল সামান্য নীচু, মুখ খাটো ও সরু।

  • শিং ছোট ও গোড়ার দিক মোটা, শিং বাহিরের দিকে থাকে এবং পরে ভিতরের দিকে বাঁকা।
  • গলা ছোট ও মোটা, গলকম্বল মাংসল, ভাঁজযুক্ত এবং নাভি পর্যন্ত বিস্তৃত।
  • বলদ খুব শক্ত সমর্থ ও রাস্তায় যানবাহনের কাজে ব্যবহারের উপযোগী।
  • গাভী মোটামুটি ভালই দুধ দেয় এবং এক বিয়ানে ১২৫৫ থেকে ২২৬৮ কেজি দুধ হয়।
  • ভারত বর্ষের বাহিরে বীফ ব্রীড হিসেবে ব্যবহার হয় এবং ব্রাজিলে ইহা একটি প্রধান বীফ ব্রীড হিসেবে চিহ্নিত।
  • বৃহৎ, ভারী পেশীবহুল ও লম্বা দেহ বিশিষ্ট জাত তবে তাদের ঘাড় ছোট এবং লম্বা পা।
  • . সাধারণত গাত্রবর্ণ সাদা কিন্তু ষাঁড়ের মাথা, ঘাড় ও চূড়ায় ঘাঢ় ধূসর বর্ণের ছাপ থাকে। চোখের চারদিকে কাল বর্ণের ছাপ থাকে।
  • লম্বা ও সুশ্রী মাথা এবং কপাল চওড়া, কান মাঝারি লম্বা এবং সামান্য ঝোলানো।
  • মাথা মাঝারি আকৃতির, কপাল ও পোল চওড়া। কান বেশ লম্বা, চওড়া ও ঝুলানো।
  • শিং মাঝারি গড়নের এবং বেশ ব্যবধানে থাকে। লেজ বেশ লম্বা। চূড়া মাঝারি আকৃতির এবং দৃঢ়। গলকম্ব
  • মাঝারি ধরনের এবং গাভীর নাভীর পেটি সুস্পষ্ট।
  • মাঝারি আকৃতির, সুঠাম গড়ন। পা অপেক্ষাকৃত ছোট, সোজা ও শক্ত সমর্থ।
  • পূর্ণ বয়স্ক থারী বলদ গড়ে ৪২৩ কেজি, ষাঁড় ৩৬০ থেকে ৪৫৫ কেজি ও গাভী ২৩০ থেকে ৩৪০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে।
  • গ্রামীণ অবস্থায় পালনে এ জাতের গাভী এক বিয়ানে প্রায় ১৫৭৪ থেকে ১৯৭৫ লিটার দুধ দিয়ে থাকে কিন্তু ফার্মের তত্ত্বাবধানে পালিত এ জাতের গাভী থেকে ৩০৫ দিনে ৪৩৮৮ থেকে ৪৭৬৩ লিটার দুধ পাওয়া যায়।
  • গাত্র বর্ণ সাধারণত সাদা হয়, তবে অনেক সময় ধূসর বা গাঢ় ধূসর বর্ণের হয়।
  • ওলান মাঝারি গড়নের যা দেহের সাথে আঁটসাঁট, বাঁট ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা।
  • থারপারকার গরু দ্বৈত উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত (কৃষি কাজ ও দুধ) একটি সর্বোৎকৃষ্ট জাত।

(3) পরিশ্রমী জাতের প্রকারভেদ (Draught Breed):

ভারত উপমহাদেশে বিভিন্ন জাতের গরু কৃষি কাজ ও ভার বহনে পরিশ্রমী জাত হিসেবে ব্যবহার হয়। যেমন- অমৃত মহল, কাঙ্গায়াম, শালভী, ধানী, হালিকার এবং বাংলাদেশের দেশী গরু। কতিপয় পরিশ্রমী জাতের গরুর বিবরণ দেয়া হল।

  • গাভীর ওজন প্রায় ৩১৫ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন প্রায় ৪৯৫ কেজি।
  • বলদ কর্মঠ ও ভারী কাজের উপযোগী। গাভী কম দুধ দেয়।
  • মাঝারি আকৃতির, দেহ আঁটসাঁট, মাথা লম্বাটে ধরনের, মুখ সরু, সুস্পষ্ট কপালের মাঝখানে ফারো থাকে।
  • গায়ের রং সাদা থেকে ছাই রঙের।
  • ছোট কান, লম্বা শিং, গলা ছোট বড় গলকম্ব। পা মাঝারি ধরনের লম্বা ও কিছুটা মোটা। মাঝারি ধরনের
  • লম্বা লেজ তবে লেজের চুল পায়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত আসে। আঁটসাঁট ছোট ওলান, বাঁট চারটিও ছোট।
See also  ডেইরি খামার করার জন্য জায়গা নির্বাচন করবেন কিভাবে? 10 টি ডেইরি ফার্ম করার নিয়ম
  • মাঝারি মাথা, ছোট মুখ ও চওড়া কপাল, মোটা শিং, শিংয়ের আগা ছুঁচালো, শিং দু’টো বাহিরের দিকে ও পিছনে গিয়ে যেন এক বিন্দুতে মিলিত হয়েছে। ফলে দেখে মনে হয় শিং দু’টো যেন একটা বৃত্ত রচনা করেছে।
  • পা, গলা, গলকম্বল ছোট কিন্তু লম্বা লেজ।
  • বলদ দিয়ে মাঠের কাজ বা রাস্তায় বোঝা টানার কাজ ভালো হয়।
  • গাভী ৩ বছর বয়সে প্রথম বাচ্চা দেয় এক বিয়ানে প্রায় ৬৬৬ কেজি দুধ পাওয়া যায়। গাভীর গড় ওজন ৩৩৭.৫ কেজি এবং ষাঁড়ের ওজন প্রায় ৫১৭.৫ কেজি।
  • মাঝারি আকৃতির, দেহের গড়ন আঁটসাঁট। পায়ের রং সাদা থেকে ছাই, চারটি পায়ের খুরের উপর কালো দাগ থাকে।
  • নবজাত বাছুরের গাত্র বর্ণ হয় লাল, তবে চার মাস পর সাদা রং ধারণ করে।
  • কৃষি কাজ ও ভারবহন কাজে বেশ উপযোগী। মধ্য প্রদেশের খামারে পালিত এ জাতের গাভী থেকে প্রতিদিন ৫-৬ কেজি দুধ উৎপাদনের তথ্য রয়েছে।
  • মাঝারি গড়ন, দেহ আঁটসাঁট, মাথা ছোট, শিং দু’টো উপরের দিকে বাঁকানো।
  • ছোট গলা, পেট লম্বা, মোটা শক্ত পা এবং লেজ প্রায় মাটি ছুয়ে যায়। গায়ের রং ধূসর, গলা, কাধ, চূড়া ও পাছার রং কালো, বয়সের সাথে সাথে এ রংয়ের পরিবর্তন আসে।
  • কৃষি কাজ ও ভার বহনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বলদের দেহ হয় বেশ আঁটসাঁট। এরা সক্রিয় ও দ্রুত গতি সম্পন্ন এবং প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে।
  • মাঝারি আকৃতির, আঁটসাঁট দেহ, সোজা ও ছোট শিং এবং চূড়া ও গলকম্ব সংক্ষিপ্ত।
  • সাদা আবরণে কালো ও লাল দাগবিশিষ্ট রংয়ের গরু।

লম্বা মুখমন্ডল, সুস্পষ্ট কপাল এবং কান ছোট।

পোল হতে শিংদ্বয় বের হয়ে প্রায় অর্ধেক লম্বা পর্যন্ত প্রথমে পিছন দিকে এবং পরে সামনের দিকে বাঁকানো থাকে।

চূড়া মাঝারি আকৃতির, তবে গলকম্বল ও ইহার পেটি বেশ ছোট এবং দেহের সাথে আঁটসাট।

দক্ষিণ ভারতের একটি সর্বোৎকৃষ্ট চৌকস পরিশ্রমী গরুর জাত।

মাঝারি আকৃতির আঁটসাট এবং শক্তসমর্থ পা যুক্ত বলিষ্ট দেহ।

গাত্র বর্ণ ধূসর থেকে গাঢ় দূষর এবং প্রায়ই মুখমন্ডল, গলকম্বল ও দেহের নিচে হালকা ধূসর বর্ণের ছাপ থাকে।

(4) মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাত এর প্রকারভেদ:

পৃথিবীতে ২৫০টির অধিক বীফ জাতের গরু রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৬০টি রয়েছে আমেরিকায়।

  • পূর্ণ বয়স্ক ষাঁড়ের বিশেষ করে ঘাড়, স্কন্ধ, নিচ উরু ও ফ্ল্যাঙ্ক গাভী অপেক্ষা অধিক গাঢ় বর্ণের হয়।
  • জন্মের সময় বাছুরের রং হয় লাল যা বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ধূসর বর্ণে রূপান্তরিত হয়।
  • ব্রাহম্যান জাতের গরু মূলত একটি বীফ জাত বা অনুর্বর, শুষ্ক পশু চারণভূমিতে পালন করা যায়।
  • অনেক দেশের বীফ জাতের উন্নয়নের জন্য এ জাতের ষাঁড় ব্যবহার করা হয়।
  • এ জাতের গরুর মাথা সাধারণত লম্বা, ঝুলন্ত কান ও ষাঁড় অপেক্ষা গাভীর শিং হয় সরু।
  • গাভী অপেক্ষা ষাঁড়ের সুউচ্চ চূড়া, বৃহৎ গলকম্বল এবং গলকম্বলের ত্বক ও নাভি শিথিলভাবে দোদুল্যমান।
  • গাভীর ওলান ও বাঁট মাঝারি আকারের হয়।
  • এটি একটি বৃহৎ পশু, মাঝারি গভীরতাযুক্ত লম্বা দেহ, মাঝারি লম্বা পা ও সোজা পিঠ।
  • সাধারণভাবে এ জাতের গরুর গাত্র বর্ণ হালকা ধূসর বর্ণের হয়। তবে লাল ও কালো বর্ণের গরু দেখা যায়।
  • ৩ চমৎকার বীফ জাতের গরু, অল্প বয়সে পূর্ণতা লাভ করে এবং মাংস হয় উন্নতমানের ও পর্যাপ্ত।
  • মসৃণ লোমযুক্ত কাল রংয়ের এ জাতের পশুর সর্বাঙ্গ পেশীযুক্ত এবং দেহ আঁটসাঁট, প্রশস্ত ও গভীর।
  • এ জাতের গরুর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বৃহৎ শিংযুক্ত মাথা। ত্বক ও শৈষ্মিক ঝিল্লীর রং হয় গোলাপী বর্ণের (Pink color)।
  • এ জাতের গরুর দ্রুত দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পায় এবং মাংস হয় মেটে লাল রংয়ের।
  • চমৎকার বীফ জাত। তিন বছর বয়সের গরুর মাংস অধিক জনপ্রিয় কারণ এ বয়সের মাংস বেশ সুস্বাদু।
  • জন্মের সময় বাছুরের রং হয় হালকা তাম্রবর্ণ (Light tan) এবং ১০ সপ্তাহে হালকা বাদামী থেকে সাদা বর্ণে রূপান্তরিত হয়।
  • ইহা একটি বীফ জাতের গরু।
  • মাথার মূল বৈশিষ্ট্য শিং এবং সাদা মুখমন্ডল হলো এ জাতের স্পষ্ট ট্রেড-মার্ক।
  • শরীর পুরু লোমে আবৃত থাকে।
  • সাদা ছাপযুক্ত লাল বর্ণের গরু। মুখ মন্ডল সাদা এবং সাদা বর্ণের দাগ থাকে দেহের নিচে, ফ্লাঙ্কে, চূড়ায়, লেজের আগার লোমে, বক্ষে এবং হাঁটুর নিচে।
  • লেজের লোম সাদা-লালচে বর্ণের তবে আগার চুল হয় সাদা বর্ণের।
  • কিছু ক্ষেত্রে ত্বক হয় কমলা হলদে (Organge yellow) বর্ণের এবং চোখের চারিধার ও মুখবন্ধন হয় পিগমেন্টযুক্ত।
  • চমৎকার একটি বীফ জাত ছাড়াও এ জাতের গাভী ভালো দুধ দেয়।
  • মাঝারি আকারের সাদা-হালকা বাদামী বর্ণের শিং এবং শিংয়ের আগা কালো থাকে।
  • দেহের রং লাল এবং গাঢ় লাল রং পছন্দনীয়। সে কারণে ‘রুবি-রেড’ বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!