Skip to content

 

16 টি কারণে গরু খাবার খায় না: গরু খাবার না খাওয়ার কারণ? গরু কম খাওয়ার কারণ? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?
Table of contents

গরু কম খাওয়ার কারণ প্রধানত ২ ধরণের হয়ে থাকে। যেই কারণে গরু খাবার খায় না। যথা:

(ক) রোগ সম্পর্কিত গরু খাবার না খাওয়ার কারণঃ

  1. স্টোমাটাইটিস বা মুখের ঘা।
  2. এসোফেগাইটিস বা খাদ্য নালী প্রদাহ।
  3. ইসোফেজিয়াল অবস্ট্রাকসন বা চোক।
  4. বদহজম।
  5. আকিউট কার্বোহাইড্রট ইনগর্জমেন্ট।
  6. রুমিল্যান টিম্প্যানি।
  7. ক্ষুরারোগ বা এফ এমডি।
  8. এক্টিনোব্যাসিলোসিস।
  9. পিপিআর।
  10. ফুট পয়জনিং।
  11. নাইট্রেট পয়জনিং।
  12. ইনফেক্সাস ডিজিস বা কিটোসিস।

(খ) পরিবেশ, অবস্থা ও মনস্তাত্বিক কারণে গরু কম খাওয়ার কারণঃ

  1. অবস্থানের পরিবর্তন হলে।
  2. খাদ্যে পরিবর্তন আসলে।
  3. সঙ্গি পরিবর্তন হলে।
  4. খাবার দুর্গন্ধ হলে।
  5. ভয় পেলে।

ইত্যাদি বিষয় গরু কম খাওয়ার কারণ হিসেবে কাজ করে। এ সমস্ত বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।

রোগ সম্পর্কিত গরু খাবার না খাওয়ার কারণ, যার ফলে প্রাণির খাবার পরিমাণ কমে যায়ঃ

1. স্টোমাটাইটিস বা মুখের ঘা

প্রাণীর মুখ গহবরের ভিতরে কোন ঘা হলে এই রোগ ধারণা করা হয়। এটা অনেক কারণেই হতে পারে তবে ভাইরাস জনিত কারণেও হতে পারে, বা আঘাত জনিত ও হতে পারে। আঘাত পেলে তা ভিতরে ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং ফুলে উঠে। যখন প্রাণি খেতে চাইনা। বা মুখে নেয়ার পর আর গিলতে পারেনা। এভাবে সে আর পরে নিতে চায়না।

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

গরুর স্টোমাটাইটিস বা মুখের ঘা হবার কারণ কি?

  1. ওষুধ খাওয়ানোর সময় আঘাত প্রাপ্ত হলে।
  2. বাহ্যিক বস্তু জনিত ক্ষত
  3. ধারালো কাঁটা যুক্ত ঘাষ খেলে
  4. খুব ঠান্ডা খাদ্য বস্তু খাওয়ালে
  5. প্রচন্ড গরম কিছু খাওয়ালে।
  6. ইরিটেন্ট জাতিয় কোন অষুধ যেমন ক্লোরাল হাইড্রেট উচ্চ মাত্রায় খাওয়ালে।
  7. রোগের কারণে যেমন একটিনোব্যালসিলসিস, এফ এমডি ইত্যাদি।

গরুর মুখের ঘা হবার কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

  1. অবস্থা দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। খেতে সমস্যা হলে তরল খাবার বা ড্রেক্সট্রোজ স্যালাইন শিরাপথে দিতে হবে।
  2. রোগের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা দিতে হবে। মৃদু জীবানূ জানশ যেমন এক্রিফ্লাভিন ০.০০১% ,পটাশিয়াম ০.০০১% অথবা কপার সালফেট ২% সল্যুশন দিয়ে প্রতিদিন মুখ ধোয়াতে হবে। পরে মুখে বোরো- গ্লিসারিন ৪% অথবা বোরামিশেয়ে ক্ষত স্থানে দিতে হবে।
  3. খুব ঠান্ডা বা গরম খাবার প্রদাহ হতে বিরত থাকতে হবে।
  4. ইরিটেন্ট ওষুধ প্রদানের সময় গরুর অবস্থা বুঝে দেয়া লাগবে।

2. এসোফেগাইটিস বা খাদ্য নালী প্রদাহ

যে নালী মুখ হতে খাদ্য পাকস্থলী নিয়ে যায় তাকে খাদ্যনালী বলে। কোন কারণে প্রদহের সৃষ্টি হলে প্রাণি খেতে পারেনা।

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

গরুর খাদ্য নালী প্রদাহের কারণ কি?

  1. অসাবধানতা বশত স্টমাক টিউব দ্বারা খাদ্যনালী ক্ষতিগ্রস্থ হলে এমন প্রদহের সৃষ্টি হয়।
  2. গরুর খাদ্য নালীতে হাইপোডার্মা লিনেটা লার্ভা তীব্র স্থানিক প্রদাহ ও পরবর্তিতে গ্যাংরিন সৃষ্টি করতে পারে।
See also  আদর্শ গরুর খামার ব্যবস্থাপনা: খামারের বর্জ্য, পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা, কম্পোস্ট ও কম্পোষ্টিং প্রক্রিয়া

উক্ত কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয় কি?

  1. এক্ষেত্রে খেতে না পারায় তরল খাবার বা শিরায় ড্রেক্সট্রোজ স্যালাইন দিতে হবে।
  2. এন্টিবায়োটিক যেমন পেনিসিনিল, অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ৭ থেকে ১০ দিনের ডোজ দেয়া যেতে পারে। চিকিৎসা ২/৩ দিন পরে নরম খাবার দেয়া শুরু করতে হবে।

3. ইসোফেজিয়াল অবস্ট্রাকসন বা চোক

কেন বৃহ বা শক্ত জিনিস যদি খাদ্য নালীতে আটকে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে তাহলে তাকে ইসোফেজিয়াল অবস্ট্রাকশন বা চোক বলে। এই অবস্থায় প্রাণি কিছু খেতে চায়না বা খেলে তা ভিতরে যেতে পারেনা। এক্ষেত্রে প্রচুর ব্যাথা অনুভব করে।

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

ইসোফেজিয়াল অবস্ট্রাকসন বা চোক হবার কারণ কি?

  1. আম ,কাঠাল, তাল, আলু হত্যাদি পুরোটা গিলে ফেললে এই সমস্যা হয়।
  2. তাছাড়া গমের ভুষী, কলাইয়ের ভুষি গিয়েও হতে পারে। কিছু কিছু রোগের কারণে খাদ্যনালীকে চেপে দিলেও এই সমস্যা হয়। যেমন যক্ষা ও নিউপ্লাস্টিক লসিকা গ্রন্থি, ইসোফেজিয়াল প্যারালাইসিস ও ডাইভারটিকুলাম, জন্মগত ত্রুটি ইত্যাদি।
গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

চোক এর লক্ষন কি?

  1. এক্ষেত্রে প্রাণি হঠাৎ একদিন খাবার বন্ধ করে দেয়, বিমর্ষ ও অবশাদ গ্রস্থ হয়ে পড়ে।
  2. জোর করে খেলেও খাদ্য বেরিয়ে আসে এবং প্রচুর লালা ক্ষরণ ও কাশি হয়।
  3. টেকুর বেরোতে না পারলে ব্লোট সৃষ্টি হয়।
  4. ডিহাইড্রেশোন বা এস্পিরেশন নিউমোনিয়ার কারণে মারাও যেতে পারে।
গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

চোক এর কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

  1. তৎক্ষণাৎ অভিক্ষ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ মত চিকিৎসা নিতে হবে।
  2. এক্ষেত্রে চিকিৎসায় কাজ না হলে রুমেনাটমি করতে হবে।

4. বদহজম

আমাদের যেমন বহজম হলে ডাইরিয়া হয় তেমন প্রাণিতে এই অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। কিছু কিছু খাবার হজম হয়না, সেগুলোর উপস্থিতি অথবা রুমেনে যদি মাইক্রোফ্লোরার অভাব হয় তাতেও বদহজম হতে পারে। পেটটা ভারী হয়ে গিয়ে অবষাদ গ্রস্থ হয়ে পড়ে। তখন আর খেতে চায়না।

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

উক্ত কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

  1. সুনির্দিষ্ট কারণ না জানা থাকলে টাটার ইমেটিক ১০-১২ গ্রাম/গরু পানিতে পাতলা করে খাওয়াতে হবে।
  2. স্টামিক মিক্সচার খাওয়াতে হবে।
  3. রুমেন Fluid যদি এসিটিক হয় তাহলে- ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোঅক্সাইড/ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড ৪০০গ্রাম/গরুকে খাওয়াতে হবে।
  4. যদি এলক্যালাইন বা ক্ষারীয় হয় তাহলে- আসেটিক আয়সিড (ভিনেগার) ১-৫ লিটার/প্রাণি খাওয়াতে হবে।

5. আকিউট কার্বোহাইড্রট ইনগর্জমেন্ট

বেশী পরিমাণে কার্বোহাইট্রেট গ্রহণ করে তখন তা অতিমাত্রায় ল্যাকটিক এসিডে পরিনত হয় যা শরীরে বিষক্রিয়া, ডিহাইড্রেশন, অবসাদ, রুমিনাল নিশ্চলতা, দুর্বলতা, অর্ধশয়ন অবস্থা ও মৃত্য এ রোগের ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট।

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

কারণঃ

গ্রামের পরিবেশে দেখা যায় রাতের বেলা গরু বা ছাগলে প্রচুর পরিমাণে মাঠে পাকা শস্য পেট ভর্তি করে খেয়ে আসে, বেশি পরিমানে ধান গম বা অনান্য দানাদার খাদ্য খেয়ে ফেলে। যা পেয়ের আয়তন বেড়ে যায় এবং স্ফিত হয়ে যায়। ফলে সে কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকে নিজের পেট নিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।

উক্ত কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

  1. এই সমস্যা খুবই দ্রুত সমাধান করতে হয়, না হলে প্রাণি মৃত্য মুখে পতিত হতে পারে। এক্ষেত্রে গরুর ক্ষেত্রে .২৪-.৪৮ কেজি ম্যাগনেশিয়াম অথবা ০.৫-১ লিটার তিসির তেল খাওয়াতে যায়।
  2. হাইপোক্যালসেমিয়া সংশোধনের জন্য calcium borogluconate ২০০-৩০০ মিলিলিটার শিরায় / ত্বকের নিচে ইনজেকশন দিতে হবে।
  3. ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।

6. রুমিল্যান টিম্প্যানি

যখন পেটের ভিতরে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে যায় তখন তাকে রুমিনাল ব্লট বা টিম্পানি বলে।

কারণঃ

  1. লেগুম ঘাস, সরস ঘাস, ফুল ফোটার পুর্বের ঘাস বেশি পরিমাণে খেলে রুমেনের অণুজীবী দ্রুত হজম করে হলে বেশি পরিমাণে মুক্ত গ্যাস সৃষ্টির হতে পারেনা। ফলে পেট ফেঁপে যায় এবং প্রাণীর জীবনসংকট হতে পারে, এই সময় প্রাণীর খাওয়া একবারে বন্ধ থাকে।

উক্ত কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

  1. বেশী পরিমাণ গ্যাস তৈরি হলে বাম রুমেনের প্যারা লাম্বার ফোসায় ট্রেকার এন্ড ক্যেনেলা দিয়ে ফ্যুটা করে গ্যাস বের করে দিতে হবে।
  2. বিভিন্ন এন্টিফোমিং এজেন্ট পাওয়া যায় যেগুলো যথা সময়ে উপযুক্ত পরিমাণে সরবরাহ করতে হবে।

7. ক্ষুরারোগ বা এফএমডি

ভাইরাস জনিত ক্ষুরা রোগ যা এপথাস ভাইরাস দ্বারা হয়। এই রোগে মুখের ভিতরে ঘা হয় যার ফলে প্রাণি শক্ত জিনিস বা খড় খেতে পারেনা। আস্তে আস্তে এর ওজন কমে যায়। লালা ঝরতে থাকে। মুখের ভিতরে ক্ষতগুলো স্পষ্ট দেখা যায়।

See also  পশুর পরিপাক যন্ত্র ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ- রুমেন (Rumen), রেটিকিউলাম (Reticulam), ওমেসাম (Omasum), এবোমেসাম (Abomasum)। গরু, মহিষ ও ছাগলের খাদ্য বিশ্লেষণঃ আমিষ খাদ্য, শর্করা খাদ্য, খনিজ পদার্থ, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন, লবণ। জলের প্রয়োজনীয়তা। সাহায্যকারী খাদ্যঃ হর্মোন, আর্সেনিক, এন্টিবাইওটিক, সোডা জাতীয় পদার্থ, ইউরিয়া।[গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া]

এক স্ট্রেন রোগ সৃষ্টি হয়ে অন্য স্ট্রেন এ পরিবর্তিন হয়ে যেতে পারে। তাই শুধু ভ্যাকসিন (টিকা ) প্রয়োগ করে এই রোগ নিয়ন্ত্রন করা খুব কঠিন।

এই ভাইরাস অধিক তাপমাত্রায় (৫০ সেলসিয়াস) ধ্বংস হয়। আর শীতল অবস্থায় ও ঠান্ডায় জমাট বেধে অনেক দিন থাকতে পারে।

এই ভাইরাস কে কিছু রাসায়নিক পদার্থ দারা নিষ্ক্রিয় করা হয়। যেমন:

  • সেডিয়াম হাইড্রোক্সাইড
  • সোডীয়াম কার্বোনেট
  • সাইট্রিক এসিড

এছাড়া এই রোগের ভাইরাসকে ১ থেকে ২ ফরমালিনে রাখলে সহজেই ১-২ মিনিটেই মারা যায়।

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

এফএমডি বা ক্ষুরা রোগ ছড়ায় কিভাবে?

ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত পশুর শরীরে ফোস্কার অভ্যান্তরে তরলের মধ্যে ভাইরাস বিকাশ লাভ করে। আর পশুর লালা , প্রসাব , গোবর , চামড়া ,দুধ , ফোস্কা মধ্যস্ত তরল , শ্বাস ত্যাগ ইত্যাদির মাধ্যমে নির্গত হয়। খাবারের মাধ্যমে ও সংর্স্পশের মাধ্যমে অসুস্থ্য পশু থেকে সুস্থ্য পশুতে ছড়ায়।

পাখি এই ক্ষেত্রে উপযুক্ত ভুমিকা পালন করে , সংক্রমিত গরুর দ্বারা সংবেদনশীল গরুর প্রজনন বা নিষিক্তকরনের সময়। এই ভাইরাস আক্রান্ত পশু হতে বাতাসের মাধ্যমে শ্বাসতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে শরিরে প্রবেশ করে। প্রায়ই রোগের লক্ষন প্রকাশ পুর্বেই যেকোন নিঃসরণে এবং শ্বাস ত্যাগের মাধ্যমে বিপুল পরমান ভাইরাস বের হয়।

ক্ষুরারোগের লক্ষন কি?

গরু , মহিষের ক্ষেত্রে…

  1. শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জ্বর (১০৪-১০৬ ফারেনহাইট)।
  2. কাপুনি।
  3. খুড়িয়ে চলা।
  4. ফেনাযুক্ত আঠালো লালা ঝরা।
  5. পায়ে, মুখে বা জিহ্বায় এবং ওলানের বাটে ফোস্কা ও ক্ষত।
  6. বাছুরের ক্ষেত্রে লক্ষন দেখা দেয়ার আগেই বাছুর মারা যায়।
  7. গর্ভবতী পশুর গর্ভপাত হয়ে যায়।
  8. খাবারে অনিহা।

উক্ত কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

  1. ভাইরাস জনিত রোগ তাই এর বিশেষ কোন চিকিৎসা নেই। তবে ভালো ভাবে পরিচর্যা সহ কিছু ব্যবস্থা নিতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
  2. প্রথমে আক্রান্ত পশুকে আলাদা করে পরিস্কার ও শুষ্ক স্থানে রাখতে হবে।
  3. মুখে ঘা হলে ২ এলাম বা ১ পটাসিয়াম পার মাঙ্গানেট দিয়ে মুখ ধুয়ে দিতে হবে দিনে ২-৩ বার।
  4. মশা মাছির উপদ্রোব কমানোর জন্য ,এবং পায়ের ক্ষুরে ক্ষত হলে  পটাসিয়াম পারমাঙ্গানেট দ্বারা পরিস্কার রাখতে হবে দিনে ২-৩ বার। এক্ষত্রে এফ ওম ডি কিউর সহ অনান্য নামে তরল পদার্থ বেশ উপকারি ব্যবহারে এতে ভাইরাস নিষ্ক্রিয়ও হয়ে থাকে।
  5. প্রচুর লালা ঝরলে পশু দুর্বল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ৫ ডেক্সটোজ স্যালাইন শিরায় পুশ করতে হবে। ১০০০ সিসি/৫০-১০০ কেজি ওজনের পশুকে ২-৩ দিন প্রয়োগ করতে হবে।

টিকা প্রয়োগ টেবিলঃ চামড়ার নিচে…

ক্রমিক নংভেকসিনের নামগরুছাগল/ভেড়াসময় কাল
01Bivalent Vaccine6ml2 ml4-6 মাস
02Trivalent Vaccine6 ml2 ml4-6 মাস
03Aftovax Vaccine2 ml1 ml6 মাস
04Tetravalent2 ml1 ml4-6 মাস

8. এক্টিনোব্যাসিলোসিস

ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ যা জিহ্বাকে শক্ত করে দেয় এবং ঘা হয়ে যায় ফলে প্রাণি খেতে পারেনা। জিহ্বাতে ভাইব্রোসিস হয়ে গিয়ে প্রচন্ট লালা ঝরে কোন কিছু খেতে পারেনা। আক্টিনোবাসিলোসিস লিগ্নিয়ারেসি নামক গ্রাম পজিটিভ কক্কোব্যাসিলাই জীবানূ এই রোগের কারণ। পুজ হয়, জিহ্বা নড়াচড়া করতে পারেনা।

গরু খাবার খায় না কেন? গরু খাবার না খাওয়ার কারণ কি? গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়? গরুকে খাবার খাওয়ানোর নিয়ম। গরু কম খাওয়ার কারণ? গরু খাবার খায় না কেন? গরু ঘাস খায় না। গরু না খাওয়ার কারণ কি? গরু কম খাওয়ার কারণগুলো কি?

উক্ত কারণে গরুর খাবার না খেলে কি করনীয়?

  1. সোড়িয়াম আয়োডাইট ১০ সলুওশন প্রতি ১২ কেজি দৈহিক ওজনের জন্য ১ মাত্রা হিসেবে আক্রান্ত প্রাণীর শিরায় ইনজেকশন দিতে হবে।
  2. পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। তাতে কাজ না হলে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ান দ্বারা জিহ্বা দেখে চিকিৎসা করানো উত্তম।

09. ফুট পয়জনিং

পড়তে এখানে Click করুন।

10. নাইট্রেট পয়জনিং

পড়তে এখানে Click করুন।

11. ইনফেক্সাস ডিজিস বা কিটোসিস

পড়তে এখানে Click করুন।

স্বাভাবিক কিছু কারণে প্রাণি সাময়িক কম খেতে পারে তা হল:

1. অবস্থানের পরিবর্তন হলে

বুদ্ধি সম্পর্ন যে কোন প্রাণীর ক্ষেত্রেই এমনটা হয়। চিরচেনা স্থানে ও পরিবেশে তার সব কার্যক্ষমতায় ঠিক থাকে তেমনি খাবার পরিমাণ ও চাহিদাও। প্রাণিতেও অবস্থান পরিবর্তন হলে কিছু সময়ের জন্য খাবার গ্রহনে ব্যহত হয় সেটা লক্ষ করা যায়।

বাজার থেকে কিনে আনলে, অন্য কোথায় নিয়ে গেলে এমন সমস্যা হয়। এর আরো একটা কারণ থাকতে পারে তা হল ধরুন আপনি তাকে কিনে নিয়েছেন কিন্তু জানেন না সে কোন টা বেশী পরিমাণে খায়, তাই হয়ত সেই উপাদান পায়নি তাই খাচ্ছেনা, বা কম খাচ্ছে।

উক্ত কারণে গরু কম খাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা দিলে কি করণীয়?

  1. এই অবস্থাতে চিন্তার কিছু নেই। কয়েকদিনের ব্যবধানেই তা ঠিক হয়ে যাবে।
  2. তবে বেশী ধর্য্য না ধরলে একই খাবার বেশি না দিয়ে অনেক গুলো উপাদান অল্প অল্প করে দিবেন তাহলে একটা ভাল না লাগলেও অন্যটি খাবে।
  3. পরিস্কার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বাড়াতে হবে।
See also  ক্ষুরা রোগের চিকিৎসা? ক্ষুরা রোগ সতর্কতা ও করণীয় কি? FMD/এফএমডি/Foot & Mouth Disease

2. খাদ্যে পরিবর্তন আসলে


প্রত্যেহ যে খাবারে প্রাণি অভস্ত হয় তার প্রতিই স্বভাবত বেশী অগ্রহ থাকবে। খাবার পরিমাণ টাও আগের মত নির্দিষ্ট থাকবে। এর বিপরিত অন্য কোন নতুন খাবার দিলে কম খাবে বা খেতে চাবেনা। কারণ তারও একটা মনস্তাত্তি¦ক বিষয় কাজ করে। নতুন খাবার কী তার জন্য সত্যিই ভাল তাও হয়ত কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাদের পরিবর্তন হলেও এমনটা হতে পারে।

উক্ত বিষয় গরু কম খাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা দিলে কি করণীয়?

  1. নতুন ভাবে অভ্যস্ত হতে কিছুদিন সময় লাগবে। এতে চিন্তার কোন কারণ নাই।
  2. তবে নতুন খাবার দেয়ার সময় সকল প্রাণিকে একসাথে প্রদান করলে দ্রুত খাবার গ্রহণে অভ্যস্ত হতে পারে।
  3. অন্যান্য রুচি বর্ধক খাওয়ানো যেতে পারে।
  4. আগের খাবারের সাথে মিল রেখে কিছু খায়ানো ভাল।

3. সঙ্গি পরিবর্তন হলে

খামারে দীর্ঘদিন একসাথে থাকা গরুগুলোর মধ্য থেকে তার জোড়াকে বিক্রি করলে বা অন্যত্র সরিয়ে রাখলে গরুতে কম খায়। প্রথম কয়েকদিন এই অবস্থা প্রায়ই লক্ষ করা যায়। আর সেই সময়ে খামারি মনে করেন যে হয়ত তার কোন রোগ হয়েছে। আসলে বিষয়টা তেমন নয়, এখানে তার কিছু মনস্থাত্তিক অবস্থান পরিবর্তন হয়।

উক্ত বিষয় গরু কম খাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা দিলে কি করণীয়?

  1. কয়েকদিন দেখেশুনে রাখা এবং ভাল খাবার প্রদানের চেষ্টা করা।
  2. বেশী বেশী বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বাড়ালে ভাল হবে।

4. খাবার দুর্গন্ধ হলে

অনেক দিনের পচা, বাসি ও দুর্গন্ধ যুক্ত খাবার সাধারণত খেতে চায়না গরু।

বাহ্যিক দৃষ্টিতে খাবারকে ভাল মনে হলেও শুধুমাত্র দুর্গন্ধ থাকার কারণে খায়না। এসব ক্ষেত্রে একবার মুখে নিয়ে আর খাবার মুখে নিতে চায় না কিংবা আর দেখেও না খাবারের দিকে।

উক্ত বিষয় গরু কম খাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা দিলে কি করণীয়?

  1. পচা খাবার না দিয়ে সুগন্ধ যুক্ত না হলেও যেন দুর্গন্ধ যুক্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  2. খাবারের সাথে কিছু লবণ পানি মিশিয়ে দেয়া যেতে পারে।
  3. খাবার তৈরি করার সময় হিসাব করে পরিমাণ মত বানাতে হবে যেন নির্দিষ্ট সময়ে শেষ না হলে গন্ধ ধরে না যায়।

5. ভয় পেলে

ভয় পেলে এপিনেপ্রিন ও নর এপিনেপ্রিন হরমোনের প্রবাহ বেড়ে যায়, তখন মানুষ এবং প্রাণি কেউই ভাল করে খেতে চায় না। আর প্রাণীর ক্ষেত্রে বিষয়টা আরো বেশী গুরুত্বপুর্ণ।

তাছাড়া ভয়ংকর কোন হিংস্র প্রাণি বা সাপ বেজি দেখেও গরু ভয় পেয়ে যেতে পারে।

আমরা অনেকে প্রাণীর সাথে খুব খারাপ আচারণ করি কোন একটু কিছু হলেই তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করি, এমনকি তার নাকে নাতা থাকলে সে দড়ি ধরেও তাকে টেনে কস্ট দেয়। এই রকম হলে ভয়ে প্রাণি খাবার কম খায়। তখন উলটো চিন্তায় পরে যায় কৃষক, তাই প্রাণীর সাথে শোভন আচারণ করা একান্ত অপরিহার্য।

উক্ত বিষয় গরু কম খাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা দিলে কি করণীয়?

  1. মার ধর করা হতে বিরত থাকা।
  2. গায়ে হাত নেড়ে ভয় কাটানোর চেষ্টা করা।
  3. পরিমাণ মত সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা।

উপসংহারঃ

প্রাণীর প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলেই আমরা বুঝতে পারবো তার খাবার চাহিদা কেমন। উপরুক্ত আলোচনা অনুযায়ী যদি স্বাভাবিক কারণে মনে হয় তাহলে সময় কিছু ব্যবস্থা নিলে এবং যদি রোগের কারণে হয় তাহলে তার দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দ্রুত সুস্থ হয়ে প্রাণি পুরণায় আগের মত ভাল খেয়ে তার বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। তাহলে প্রতিটি পদক্ষেপই হবে নিজের উন্নতির পাশাপাশি জাতীয় উন্নয়নের অংশ। আমাদের আমিষের চাহিদা পুরণ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!