Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

গরু/গাভীর কৃত্রিম প্রজনন কী? কেন? সুবিধা ও পদ্ধতি।

গরু/গাভীর কৃত্রিম প্রজনন কী? কেন? সুবিধা ও পদ্ধতি।

ভূমিকাঃ

‘কৃত্রিম’ শব্দের অর্থ নকল। এটা অবশ্য আভিধানিক অর্থ। এখন ‘কৃত্রিম, শব্দটাই আসল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃত্রিম প্রজনন-ব্যবস্থা তার একটি উদাহরণ।

গরু-মহিষকে পাল খাওয়ানো হয় বাচ্চা উৎপাদনের জন্য। এই পাল খাওয়ানোয় যথেষ্ট অসুবিধাও আছে। সেইসব বিবেচনা করে চালু করা হ’লো কৃত্রিম প্রজনন-ব্যবস্থা।

পাল খাওয়ানের অসুবিধা পাল দেবার সময় সাধারণতঃ যে-সব অসুবিধা দেখা দেয় তা হলো—

  • ক. কাছাকাছি ষাঁড় পাওয়া নাও যেতে পারে ;
  • খ. ষাঁড় পাওয়া গেলেও সেটির পাল দেবার ক্ষমতা কম হতে পারে ;
  • গ. পালনকারীর মনের মতো বা পছন্দমতো ষাঁড় নাও পাওয়া যেতে পারে ;
  • ঘ. পাল খাইয়েও গর্ভিনী করা যায় না ;
  • ঙ.. গর্ভিনী হলেও বার বার গর্ভপাত ঘটে ;
  • চ. ষাঁড়টির কোনো রোগ থাকাও বিচিত্র নয়।

ঝুঁকি নেওয়াটা খুব বুদ্ধির কাজ নয়। গাভী যদি গর্ভিনী না হয় তাহলে খুবই ক্ষতি হয়ে যাবে। তখন পয়সা ও সময় দুই-ই নষ্ট। তাই আধুনিক পদ্ধতির সাহায্য নেওয়াই ভালো।

বাংলাদেশে কৃত্রিম প্রজনন-ব্যবস্থাঃ

এখন বাংলাদেশে কৃত্রিম ব্যবস্থা বহুল প্রচলিত। পশু-চিকিৎসালয় অনেক আছে, সেখানে কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থাও আছে। কৃত্রিম প্রজননের জন্যে সরকারী উদ্যোগ রয়েছে নানা রকম।

এই কৃত্রিম প্রজনন-ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়েছে বহু পূর্বেই। সর্বপ্রথম অবশ্য ঘোড়ার ওপরই তা প্রয়োগ করা হয়। ধীরে ধীরে সহজসাধ্য ব্যাপার করে তুলতে পেরেছেন।

প্রজনন কিঃ

প্রজননের রহস্য অনেকেরই জানা। স্ত্রী পশুর জরায়ুতে পুরুষ-বীর্য প্রবেশ করানো এবং তার ফলে স্ত্রী পশুটিকে গর্ভিনী করা-এই হ’লো রহস্য। কাজ যে-কোনোভাবে করলে তা অবৈজ্ঞানিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এতে বিপদের ঝুঁকিও কম নয়। তাই বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে কাজটা করলে বিপদের আশংকা তেমন থাকে না।

কৃত্রিম প্রজননের সুবিধাঃ

কৃত্রিম প্রজনে পালনকারী যে-সব সুবিধা পান তা হ’লো—

  • ক. পছন্দমতো ষাঁড়ের বীর্য পাওয়া যাবে,
  • খ. গর্ভপাতের ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে,
  • গ. গর্ভিনী হয় না, এমন ঘটনাও ঘটে খুব কম,
  • ঘ. বিজ্ঞানসম্মত হওয়ায় বিপদের আশংকা কম থাকে,
  • ঙ. সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগের ফলে খুব সহজ প্রাপ্য,
  • চ. উন্নত প্রজন্ম তৈরি করা অতি সহজ।
See also  ইউরিয়া মোলাসেস খাওয়ানোর নিয়ম বা ইউ এম এস খাওয়ার নিয়ম

কৃত্রিম প্রজননের ব্যাপক সুবিধার জন্য পাল ধরানোর ওপর পালনকারীদের আস্থা ক্রমশই কমে আসছে। অদূর ভবিষ্যতে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন- ব্যবস্থার দিকে যে পালনকারীরা আরও আস্থাবান হয়ে উঠবেন।

কৃত্রিম প্রজনন বিজ্ঞানসম্মত কেনঃ

পাল খাওয়াবার সময় পালনকারীকে নানারকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। সেইসব অসুবিধার ঝামেলা এড়ানোর জন্যই কৃত্রিম প্রজনন প্রয়োজন। এই পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

  • ১. পরীক্ষিত ষাঁড়ের বীর্য নেওয়া যায়, ফলে রোগ-ব্যাধির ভয় থাকে না।
  • ২. জরায়ুতে বীর্য দেবার সময় জীবাণুনাশক ওষুধ দ্বারা পরিষ্কার করে নেওয়া যায়।
  • ৩. ঠিক যে ধরনের বাছুরের আশা তেমনটি পাওয়া সম্ভব।
  • ৪. শূক্রকীট সতেজ ও জীবন্ত কি না তা অনুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া যায়।
  • ৫. বীর্যে কোনো রকম দোষ থাকলে তা বাতিল করা যায়।

গাভীর কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিঃ

গরু বা মহিষের বেলায় গাভীর যৌন উত্তেজনা বা গাভী গরম হলে কিছু লক্ষন দেখা যায়। উত্তেজিত অবস্থায় গাভীকে কৃত্রিম ভাবে প্রজনন করিয়ে নিতে হয়। একাজে একটা সিরিঞ্জ এর লম্বা নল তা ক্যাথেটার লাগিয়ে প্রজনন বা শিশি থেকে সংরক্ষিত তরলীকৃত বীর্য সিরিঞ্জ দিয়ে টেনে এনে গাভীর যোনীদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে একেবারে জরায়ুর মুখে ঢেলে দিতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!