আজকে পোষ্টে ৪ টি বিষয় উপস্থাপন করছি। যথা- (a) পশু/গরু ছাগলের খাদ্যের শ্রেণিবিভাগ, পশু/গরু ছাগলের খাদ্যের রেশনকে কত ভাবে ভাগ করা যায় (b) গাভীর খাদ্য তালিকা, গাভীর সুষম দানাদার খাদ্য তালিকা (c) পশুকে/গরু ছাগলকে খাদ্য খাওয়ানো পদ্ধতি (d) পশুকে/গরু ছাগলের কাঁচা সবুজ ঘাস ও গাছের পাতার নাম ও পরিচয়।
আজকে আমরা আলোচনা করবঃ
পশু/গরু ছাগলের খাদ্যের শ্রেণিবিভাগঃ
পশু খাদ্যের প্রকৃতি অনুযায়ী পশু খাদ্যকে নিম্নোক্তরূপে শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে।
১। আঁশওয়ালা খাদ্য (Roughage) :
(ক) সরস ঘাস — চারণ ঘাস, চাষকৃত সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, সাইলেজ ইত্যাদি।
(খ) শুষ্ক খাদ্য— খড় (ধানের খড়, গমের খড়, শস্যের ভূষি), শুষ্ক ঘাস বা হে ।
২। দানাদার খাদ্য (Concentrate) :
(ক) এনার্জি সমৃদ্ধ খাদ্য – শস্যদানা (ধান, গম, যব, ভুট্টা ইত্যাদি), কৃষি শিল্পের উপজাত (কুড়া, খুদ ইত্যাদি), লালীগুড় ইত্যাদি।
(খ) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য— উদ্ভিজ্জ প্রোটিন (খৈল), প্রাণীজাত প্রোটিন (মাছের গুড়া, হাড়ের গুড়া ইত্যাদি)।
৩। ফিড অ্যাডেটিভ (Feed addative) : ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, (ভিটামিন- মিনারেল প্রিমিক্স), অ্যান্টিবায়োটিকস ইত্যাদি।
পশু/গরু ছাগলের রেশন বা রসদঃ
পশুকে দৈনিক অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় যে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্য বা খাদ্য সমষ্টি খেতে দেয়া হয় তাকে রসদ বা রেশন বলে।
দৈহিক চাহিদা ও উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে পশু খাদ্যকে নিম্নোক্ত কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।
১। সুষম খাদ্য :
কোন একক খাদ্যে সব ধরনের খাদ্য উপাদান থাকে না। অপরদিকে পশুর খাদ্যে সকল খাদ্য উপাদান থাকলে পশুর দেহ গঠন ও উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। তাই প্রতিটি পশুর জন্য সকল খাদ্য উপাদান সমন্বয়ে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন যেসব খাদ্য পশু দেহের দৈহিক প্রয়োজন মিটানোর জন্য উপযুক্ত পরিমাণে ও অনুপাতে সব রকম পুষ্টিকর উপাদান থাকে তাকে সুষম খাদ্য বলে।
২। স্বাস্থ্য রক্ষার খাদ্য (Maintenance ration) :
পশুর স্বাভাবিক স্বাস্থ্য রক্ষা ও শরীর বৃত্ত বিষয়ক কার্যাবলি যথা- শ্বাস-প্রশ্বাস, রক্ত সঞ্চালন, পরিপাক ক্রিয়া ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শক্তি যোগান দেয় যে খাদ্য তাকে স্বাস্থ্য রক্ষার খাদ্য বলে।
৩ । উৎপাদক খাদ্য (Productive ration):
পশুর স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যেমন একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি তার উৎপাদনের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন আবার উৎপাদকের ধরন ও পরিমাণের উপর খাদ্যের ধরন ও পরিমাণ নির্ভর করে। যেমন— দুগ্ধবতী গাভীর দুধ উৎপাদন, গর্ভবতী গাভীর গর্ভস্থ বাচ্চার দৈহিক বাড়ন, বাচ্চা পশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হালচাষ ও ভারবহন ইত্যাদির জন্য বিভিন্ন ধরনের সুনির্দিষ্ট বাড়তি খাদ্যের প্রয়োজন সুতরাং পশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপযোগী খাদ্য ছাড়াও পশুর উৎপাদনের জন্য অতিরিক্ত যে খাদ্যের প্রয়োজন হয় তাকে উৎপাদক খাদ্য বলে।
গাভীর খাদ্য তালিকা বা রেশনঃ
পশুর স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যের প্রয়োজন তেমনি দুধ উৎপাদনের জন্য অতিরিক্ত পুষ্টির প্রয়োজন। তাই গাভীর দৈনিক চাহিদা ও উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে আঁশওয়ালা, দানাদার খাদ্য ও সুষম খাদ্য বা রেশন তৈরি করে গাভীকে খাওয়াতে হয় নিচের টেবিলে।
টেবিল : গাভীর খাদ্য তালিকা বা রেশন (প্রতিদিন প্রয়োজন, কেজি) :
ক্রম | দুগ্ধবতী বিদেশী/সংকর গাভী | দুগ্ধবতী ভাল দেশী গাভী | দুধ বিহীন গাভী সংকর/দেশী |
১। কাঁচা সবুজ ঘাস | – | – | – |
২। শুল্ক খড়/ ঘাস | ৬ | ৬ | ৩.০ |
৩ । দানাদার খাদ্য মিশ্রণ* | ২.৭৫ | ১.২০ | ০.১২৫ |
৪। পরিষ্কার পানি | পর্যাপ্ত | পর্যাপ্ত | পর্যাপ্ত |
* দানাদার খাদ্যের তালিকা পরবর্তী টেবিলে দেয়া হয়েছে। যে কোন একটি ফরমূলায় দানাদার খাদ্য প্রস্তুত করে খাওয়ানো যায় ।
পশু/গরু ছাগলের কাঁচা সবুজ ঘাস চাষঃ
→ চারণ ঘাস, চাষকৃত সবুজ ঘাস, গাছের পাতা ইত্যাদি পশুকে কাঁচা সবুজ ঘাস হিসেবে খাওয়ানো যায়। বাড়ন্ত সবুজ ঘাস একদিকে পশুর জন্য রুচিকর অন্যদিকে অধিক পুষ্টিকর। বড় ধরনের পশুর পালের জন্য চারণ ভূমি অধিক সুবিধা ও লাভজনক। কিন্তু বাংলাদেশে জমির সীমাবদ্ধতার কারণে পশুর তেমন চারণভূমি নাই। তাই আমাদের দেশে ছোট ছোট দুগ্ধখামার (মিনি ডেয়রী ফার্ম) গড়ে উঠছে।
→ বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে সাধারণত পশুকে মাঠে, ঘাটে, রাস্তার ধারে বেঁধে ঘাস খাওয়ানো হয়। এতে পশু প্রয়োজনীয় কাঁচা ঘাস খেতে পায় না। ফলে আমাদের দেশে পশুর কাঁচা ঘাসের তীব্র অভাব। এমতাবস্থায় আমাদের দেশে চারণ ভূমির অভাবে পশুর কাঁচা সবুজ ঘাসের জন্য সীমাবদ্ধ অধিক ফলনশীল উন্নত জাতের ঘাস চাষ একমাত্র উপায়।
→ যে কারণে দেশের প্রায় সকল সরকারি দুগ্ধ খামার এবং থানা পশু চিকিৎসায় চত্বরে উন্নত জাতের ঘাসের নার্সারী করা হয়েছে। যেখান থেকে কৃষক বা পশুর মালিকদের মধ্যে ঘাসের বীজ, চারা, কাটিং ইত্যাদি বিতরণ এবং চাষ পদ্ধতি দেখানো হচ্ছে।
→ এসব উন্নত জাতের ঘাসের বীজ, চারা, কাটিং সংগ্রহ করে বাড়ির আশেপাশে পতিত জমিতে, পুকুর পাড়ে রাস্তার ধারে ও ক্ষেতের আইলে ঘাসের চাষ করে পশুর কাঁচা সবুজ ঘাসের চাহিদা মেটানো যায় আমাদের দেশে চাষের উপযোগী ঘাসের বর্ণনা নিম্নে দেয়া হল।
(ক) চাষকৃত সবুজ ঘাস :
আমাদের দেশে পশুর খাদ্যের জন্য লেগুমযুক্ত যেমন— কাউপি, বারসীম, মটর, মাসকলাই ইত্যাদি এবং অ-লেগুম যেমন- ভূট্টা, পারাঘাস, গিনিঘাস, নেপিয়ার ইত্যাদি ঘাস চাষ করা যায়।
১। পারাঘাস :
- একবার চারা লাগালে কয়েক বছর ফলন পাওয়া যায় ।
- পশুর জন্য বেশ উপাদেয় ও পুষ্টিকর ঘাস।
- এ ঘাস উঁচু, নীচু, ঢালু, জলাবদ্ধ প্রায় সব ধরনের জমিতে চাষ করা যায় ।
- এ ঘাস কেটে বা ঘাসের ক্ষেতে পশুকে চরিয়ে খাওয়ানো যায়।
২। গিনি ঘাস :
- বর্ষাকালে এ ঘাসের চারা লাগাতে হয় এবং ঘাস বড় হলে ৪০-৪৫ দিন পরপর কেটে পশুকে খাওয়ানো যায়।
- পশুর খাদ্য হিসেবে পুষ্টিতে ভরপুর এ ঘাস দেখতে ধানের গাছের মত।
- এ ঘাস উঁচু ও ঢালু জমিতে ভাল জন্মায়।
- কচি অবস্থায় এ ঘাস কেটে খাওয়ালে পুষ্টিমান অধিক পাওয়া যায়।
৩। ভুট্টা
- ভুট্টা বছরে দু’বার চাষ করা যায়। একবার আশ্বিনের মাঝামাঝি হতে অগ্রহায়ণ মাস এবং দ্বিতীয়বার ফাল্গুন থেকে চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে।
- গম চাষের মত জমি তৈরি করে ভুট্টার বীজ ছিটিয়ে বা সারি করে লাগাতে বা বপন করতে হয়।
- ভুট্টা গাছ বড় হলে আগাছা পরিষ্কার, জমিতে সার ও পানি সেচের প্রয়োজন হয়।
- ভুট্টা গাছ প্রায় ১ মিটার লম্বা হলে কেটে পশুকে কাঁচা অবস্থায় খাওয়াতে হয়।
- হাঁস মুরগির খাদ্যের জন্য দানা নিতে হলে ভুট্টার মোচা হলুদ বর্ণের হলে ভেঙ্গে শুকিয়ে দানা ছড়িয়ে নিতে হয়।
- ভুট্টার মোচা কাটার পর গাছকে ছোট ছোট করে কেটে দানাদার খাদ্যের সাথে মিশিয়ে পশুকে খাওয়ানো যায়।
- ভুট্টা বাংলাদেশে ভাল জন্মায়। ভুট্টা ঘাস পশুর এবং ভুট্টা দানা পোল্ট্রির উৎকৃষ্ট খাদ্য।
- পানি জমে না এমন উঁচু জমিতে ভুট্টার চাষ ভাল হয় ।
৪। কাউপি :
- শম গাছের সাদৃশ্য এ ঘাস জমির আইলে, বাড়ির আশেপাশে লাগানো হয়।
- আমাদের দেশে শীত মৌসুমে কাউপি ঘাসের চাষ করা যায়।
৫। জার্মান ঘাস :
- এ ঘাস নীচু পানির জমিতে ভাল জন্মায়।
- বাংলাদেশে এ ঘাসের উৎপাদন ভাল হয়।
- ঘাস বড় হলে কেটে খাওয়াতে হয়।
৬। নেপিয়ার ঘাস :
- ঘাস এক মিটার লম্বা হলে কেটে খাওয়াতে হয়।
- একবার ঘাস কাটার পর আবার ঘাস জন্মায়। তাই একমাস পর পর ঘাস কাটা যায় এবং বছরে অন্তত পাঁচবার গাস কেটে খাওয়ানো যায়।
- শীতকালে এ ঘাস বাড়েনা তবে গোড়া রেখে দিতে হয় যা বর্ষা হলে আবার গজায়।
- এ ঘাস একবার লাগালে ৪-৫ বছর পর্যন্ত ঘাস পাওয়া যায়।
- বাংলাদেশে চাষের জন্য উপযোগী। এ ঘাস দেখতে আখের পাতার মত।
- উঁচু জমিতে এই ঘাস ভাল জন্মে। বর্ষার পূর্বে লাগাতে হয়।
(খ) গাছের পাতা :
সাধারণত গাছের পাতা গরু মহিষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় না। তবে মেষ ও ছাগলকে গাছের পাতা খাওয়ানো হয়। আবার ঘাসের অভাবে অনেক সময় গরুকেও গাছের পাতা খাওয়ানো হয়। এসব গাছের মধ্যে ইপিল-ইপিল, আম, কাঁঠাল, বাঁশ, বাবলা, ডেউয়া, মান্দার রেইনট্রি ইত্যাদি গাছের পাতা পশুকে খাওয়ানো হয়। এছাড়া অনেক সময় কচুরিপানা, লতাপাতা ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ পশুকে খাওয়ানো হয় ।
১। ইপিল-ইপিল :
- ইপিল-ইপিল গাছের পাতা গো-খাদ্য হিসেবে পুষ্টিকর।
- এ গাছের পাতা শুকিয়ে দানাদার খাদ্যের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যায়।
- এ গাছের কাঁচা পাতা অন্যান্য ঘাস বা খড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। গাভীকে শুধু ইপিল-
- ইপিল গাছের পাতা খাওয়ালে দুধের রঙ হালকা হলুদ বর্ণের হতে পারে।
- এ গাছের পাতা দেখতে তেঁতুল গাছের পাতার মত।
- নার্সারী হতে চারা নিয়ে বাড়ির আশেপাশে, পুকুর পাড়ে, রাস্তার ধারে, বেড়ায় লাগানো যায় ।
- গাছে ফল আসার পূর্বে পাতা কেটে পশুকে খাওয়াতে হয়।
২। অন্যান্য গাছের পাতা :
ঘাসের অভাবে বিভিন্ন গাছের পাতা পশুকে কেটে খাওয়ানো হয়।
৩। শুল্ক খড় (Straw) :
ইউরোপ ও আমেরিকায় পশুকে খড় খাওয়ানো হয়না। সে সব দেশে বড় পশুর বিছানা হিসেবে ব্যবহার হয়। কিন্তু আমাদের দেশে চারণ ভূমির অভাবে পশুর প্রধান খাদ্য খড়। শুল্ক খড় আস্ত বা টুকরা টুকরা করে কেটে ঘাস ও দানাদার খাদ্যের সাথে মিশিয়ে পশুকে খাওয়ানো হয়। আমাদের দেশের প্রধানত ধানের খড় পশুকে খাওয়ানো হয়।
পশু/গরু ছাগলের দানাদার খাদ্য মিশ্রণঃ
দানাদার খাদ্য মিশ্রণ সুপাচ্য ও পুষ্টিকর উপাদানে (প্রোটিন, শর্করা, চর্বি) সমৃদ্ধ। কাজের বলদ থেকে সঠিক কাজ, দুগ্ধবতী গাভী থেকে অধিক দুধ ও গর্ভবতী পশুর গর্ভস্থ বাচ্চার দৈহিক বৃদ্ধির জন্য কাঁচা ঘাস ও খড়ের সাথে প্রয়োজনমত ঘনীভূত সারবান (দানাদার) খাদ্য সরবরাহ করা অত্যাবশ্যক। গাভীর সুষম দানাদার খাদ্য তালিকার জন্য দু’টি ফরমুলা নিচের টেবিলে দেয়া হয়েছে। যে কোন একটি ফরমুলা অনুযায়ী দানাদার খাদ্য তৈরি করে গাভীকে খাওয়ানো যায়।
গাভীর সুষম দানাদার খাদ্য তালিকাঃ
টেবিল : গাভীর সুষম দানাদার খাদ্য তালিকা :
খাদ্য | ফরমুলা-১ (%) | ফরমুলা-১ (কেজি) | ফরমুলা-২ (%) | ফরমুলা-২ (কেজি) | ফরমুলা-৩ (%) | ফরমুলা-৩ (কেজি) |
(ক) গমের ভূষি | – | – | – | – | – | – |
(খ) চাউলের কুড়া | ২০ | ২.০০ | ২৭ | ২.৭ | – | – |
(গ) খেসারী ভাঙ্গা | ১৮ | ১.৮০ | ১২ | ১.২ | ২০ | ২.০ |
(ঘ) তিল/বাদাম খৈল | ১০ | ১.০০ | ১৯ | ১.৯ | ২০ | ২.০ |
(ঙ) ভুট্টা/গম/মাসকলাই ভাঙ্গা | – | – | ১২ | ১.২ | ১০ | ১.০ |
(চ) লবণ | ০১ | ০.১০ | ০২ | ০.২ | ০১ | ০.১ |
(ছ) খনিজ মিশ্রণ | ০১ | ০.১০ | ০২ | ০.২ | ০৩ | ০.৩ |
মোট = | ১০০ | ১০ | ১০০ | ১০ | ১০০ | ১০ |
* প্রিমিক্স (বাজারে পাওয়া যায়)।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
- অতিরিক্ত প্রতি তিন কেজি দুধ উৎপাদনের জন্য ১ কেজি অতিরিক্ত দানাদার খাদ্য হিসেবে সর্বোচ্চ ৬ কেজি দানাদার খাদ্য সরবরাহ করা যায়।
- গাভীর দানাদার খাদ্য দু’ভাগ করে প্রত্যহ দু’বার খাওয়াতে হবে।
- অধিক দুধ উৎপাদনের জন্য আনুপাতিক হারে খড়ের পরিমাণ কমাতে হবে এবং কাঁচা ঘাসের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
- প্রতি লিটার দুধ উৎপাদনের জন্য গাভীকে ৫ লিটার হিসেবে পানি পান করানো প্রয়োজন।
পশুকে/গরু ছাগলকে খাওয়ানো পদ্ধতিঃ
→ পশুর নির্ধারিত খাদ্যের সাথে দৈনিক ৩০০-৪০০ গ্রাম ঝোলাগুড় মিশিয়ে প্রতিটি গাভীকে খাওয়ানো যায়। এছাড়া ফলের ও তরকারীর খোসা না ফেলে দিয়ে পশুকে খাওয়ানো যায় ।
→ পশুর নির্ধারিত রেশন (কাঁচা ঘাস, খড় ও দানাদার খাদ্য) সংগ্রহ করে কাঁচা ঘাস ও খড়কে টুকরা টুকরা করে কেটে ভাতের ফেন বা পানিতে ভিজিয়ে দানাদার খাদ্যের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে খাওয়াতে হয়।
→ কোন সময় একই জাতীয় খাদ্য পশুকে অধিক পরিমাণে খাওয়ানো উচিত নয়। যেমন- শুধু বারসীমা ও লুসার্ন কাঁচা ঘাস পশুকে অধিক খাওয়ালে পেটফাঁপা রোগ হয়। অধিক কুচুরিপানা খাওয়ালে পাতলা পায়খানা হয়। অধিক কাঁচা ঘাস বা ইপিল-ইপিল গাছের পাতা খাওয়ালে দুধের বর্ণ হালকা হলুদ বর্ণের হয়। কাঁচা ঘাস বা গাছের পাতা প্রয়োজন অনুযায়ী ছোট ছোট করে কেটে খড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো উত্তম।