Skip to content

 

গরু মোটাতাজাকরণ স্বাস্থ্য পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা

গরু মোটাতাজাকরণ গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি মোটাতাজাকরণ গরু ষাড় গরু মোটাতাজা করার নিয়ম আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা গরু মোটাতাজাকরণ খামার

গরু মোটাতাজাকরণের সুবিধা সমূহ :

⇒ কম মূলধণ ও কম জায়গার প্রয়োজন হয়।

⇒ অল্প সময়ের (৪-৬ মাসের) মধ্যে গরু মোটাতাজাকরে অধিক মূল্যে বাজারে বিক্রয় করা যায় অর্থাৎ আর্থিক  মুনাফা অর্জন করা যায়।

⇒ খুব সল্প সময়ের মধ্যে লাভসহ মুনাফা ফেরত পাওয়া যায়।

⇒ বসতভিটা আছে এমন সকল পরিবার স্বল্প বিনিয়োগকরে এ প্রকল্পের আওতায় আসার ব্যাপক সুযোগ লাভ করতে পারে। ফলে বেকার এবং মহিলাদের কর্মসংস্থানে সুযোগ বেশি হয়।

⇒ বাজারের মাংসের চাহিদা সব সময় বেশি থাকার কারণে বাজার দর কমার সম্ভাবনা কম ও লোকসানের ঝুঁকি  কম থাকে।

⇒ বাড়ন্তগরুর রোগ-ব্যাধির প্রকোপ খুব কম থাকে। ফলে আর্থিক ‣তির সম্ভবনা খুব কম। ∙ স্থানীয় বাজার-হাট থেকে অনায়াসে প্রাণি ক্রয় করে প্রকল্প শুরু করা যায়।

গরু মোটাতাজাকরণ  গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি  মোটাতাজাকরণ গরু  ষাড় গরু মোটাতাজা করার নিয়ম  আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা  গরু মোটাতাজাকরণ খামার  গরুকে মোটাতাজা করার উপায়  গরু মোটাতাজা করার পদ্ধতি  গরু মোটাতাজাকরণের পদ্ধতি  গরু মোটাতাজাকরণ প্রশিক্ষণ  গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া  গরু মোটাতাজাকরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

মোটাতাজাকরণ গরুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা :

⇒ গরু মোটাতাজা করার জন্য প্রাণি ক্রয়ের পর সংক্রামক রোগের টিকা প্রদানের করতে হবে।

⇒ গরুকে কোন টিকা দেওয়া না থাকলে ক্রয় করার ৭ দিন পর থেকে বিভিন্ন ধরনের টিকা ১৫ দিন পর পর দিতে  হবে।

⇒ প্রাণিকে যে সকল রোগ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ করা যেতে পারে- তড়কা, ক্ষুরা, বাদলা (প্রয়োজন  বোধে), গলাফুলা (প্রয়োজন বোধে)। ইত্যাদি।

⇒ গরুর নিম্নে বর্ণিত রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সর্ম্পকে সচেতন থাকতে হবে :

❖তড়কা

❖বাদলা

❖ক্ষুরা

❖কৃমি

❖বদহজম/পেটের পিড়া

⇒ মোটাতাজা করার গরুকে পরিস্কার পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করাতে হবে।

⇒ প্রতিদিন গরুকে ভালভাবে গোসল করালে গরুর শরীর সুস্থ থাকে এবং দেহে পরজীবি (উকুন, আঁঠালি, মাছি,  মাইটস) আক্রমণ থেকে গরু মুক্ত থাকে।

See also  খামারের মশা তাড়ানোর উপায়? আপনার ফার্ম থেকে কিভাবে মশাকে দূরে রাখবেন? গরুর ছাগলের ভেড়ার খামার

 

মোটাতাজাকরণ গরুর পুষ্টি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা :

আমাদের দেশীয় গরুর খাদ্য ব্যবস্থাপনার প্রতি সাধারণত তেমন কোন গুরুত্ব দেয়া হয় না। ফলে এদের নিকট থেকে  আশানুরূপ উৎপাদনও পাওয়া যায় না। অথচ:-

⇒ গরুকে পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস।

⇒ পরিমিত প্রক্রিয়াজাত খড়।

⇒ দানাদার খাদ্য (কুড়া, গমের ভূষি, চাউলের খুদ, খৈল, কলাই, মটর, খেশারী, কুড়া ইত্যাদি)।

⇒ পর্যাপ্ত পরিমানে পরিস্কার পানি  (নলকুপের টাটকা পানি) সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থা।

⇒ নিয়মিত কৃমিনাশক চিকিৎসা ও টিকা প্রদানের  ব্যবস্থা।

এগুলো করা হলে এদের উৎপাদন অনেকাংশে বৃদ্ধি করা যায়। আমাদের দেশে গবাদি পশুর সবচেয়ে সহজলভ্য ও  সাধারণ খাদ্য হল খড় যার ভিতর আমিষ। শর্করা ও খনিজের ব্যাপক অভাব রয়েছে। বর্তমানে খড়কে ইউরিয়া দ্বারা  প্রক্রিয়াজাত করলে তার খাদ্যমান বহুগুণে বেড়ে যায়।

খাদ্য উপকরণে যে পুষ্টি উপাদান অধিক পরিমানে থাকে তাকে সে জাতীয় খাদ্য বলে :

⇒ শর্করা জাতীয় খাদ্য ( ভুট্টা, গম, কাওন, চাউলের কুঁড়া, গমের ভুষি ইত্যাদি)।

⇒ আমিষ জাতীয় খাদ্য ( সয়াবিন মিল, তিল, খৈল, শুটকিমাছ, মিটমিল ইত্যাদি)।

⇒ চর্বি  জাতীয় খাদ্য (এনিমেল ফ্যাট, হাঁস-মুরগরি তৈল, ভেজিটেবল অয়েল, সার্কলিভার ওয়েল ইত্যাদি)।

⇒ ভিটমিন জাতীয় খাদ্য (শাক সব্জি ও কৃত্রিম ভিটামিন)

⇒ খনিজ জাতীয় খাদ্য (ঝিনুক, ক্যালশিয়াম ফসফেট, রকসল্ট, লবন ইত্যাদি)।

 

প্রাণির খাদ্যকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায় :

⇒ আঁশ বা ছোবড়া জাতীয় খাদ্যঃ খড়, সবুজ ঘাষ বা কাঁচা ঘাষ। ইত্যাদি

⇒ দানাদার জাতীয় খাদ্যঃ চালের কুঁড়া, গমের ভূষি, খেসারি ভাঙ্গা, তিল বা বাদাম খৈল ইত্যাদি।

⇒ সহযোগী অন্যান্য খাদ্য : খনিজ উপাদান, ভিটামিন ইত্যাদি।

 

গরুকে প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি খাওয়ানো :

⇒ দেহ কোষে শতকরা ৬০- ৭০ ভাগ পানি থাকে। তাই কোন প্রাণি খাদ্য না খেয়েও কিছু দিন বাঁচতে  পারে। কিন্তু পানি ছাড়া সামান্য কিছু দিনের বেশী বাঁচে না।

See also  সাবধান! এই জিনিসগুলি আপনার গরুর ফিডে মেশানো হতে পারে

⇒ সাধারণত দেহ থেকে পানির ক্ষয় হয় মলমূত্র ও শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে।

⇒ অপরদিকে পানি আহরিত হয় পানি পান করে। রসালো খাদ্য গ্রহণ করে এবং দেহের ভিতর বিভিন্ন  পুষ্টি উপাদানের অক্সিডেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

⇒ দেহের বেশির ভাগ অংশ পানি দ্বারা গঠিত।

 

প্রণির দেহে পানির কাজ:

⇒ খাদ্যতন্ত্রের মধ্যে খাদ্য ব¯দ নরম ও পরিপাকে সহায্য করে।

⇒ খাদ্যতন্ত্রের মধ্যে পুষ্টি উপাদান তরল করে দেহের প্রত্যন্ত অ লে পরিবহণ করে।

⇒ দেহের তাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও দেহকে সতেজ রাখে।

⇒ দেহের ভিত্তিতে দুষিত পদাথর্  অপসারণ করে।

⇒ দেহের গ্রন্থি হতে নিঃসৃত রস। হরমোন।এনজাইম এবং রক্ত গঠনে ভূমিকা রাখে।

 

প্রাণিকে সবুজ/কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাদ্য খাওয়ানোর পরিমান :


১০০ কেজির কম ওজনের জন্য→

  • ইউরিয়া প্রক্রিয়াজাত  খড় বা শুধু খড়ঃ ২ কেজি
  • দানাদার খাদ্য সুষমঃ ২.৫-৩ কেজি
  • সবুজ ঘাসঃ ৪-৫ কেজি

১০০-১৫০ কেজি ওজনের জন্য →

  • ইউরিয়া মোলাসেস খড় বা শুধু খড়ঃ ৩ কেজি
  • দানাদার খাদ্য সুষমঃ ৩.০-৩.৫ কেজি
  • সবুজ ঘাসঃ ৭-৮ কেজি

১৫০-২০০ কেজি এবং তদুর্দ্ধ ওজনের জন্য →

  • ইউরিয়া মোলাসেস খড় বা শুধু খড়ঃ ৪ কেজি
  • দানাদার খাদ্য সুষমঃ ৪.০-৪.৫ কেজি
  • সবুজ ঘাসঃ ৮-১২ কেজি

সতর্কতাঃ

গরু মোটাতাজাকরণ করার জন্য কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

মোটাতাজাকরণ গরুতে ষ্টেরয়েড ব্যবহার করার বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!