Skip to content

 

গাভীর দুধ দোহন করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি কি? গাভী পালনের পদ্ধতি ও গাভী পালন প্রশিক্ষণ

গাভীর দুধ দোহন: বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাভী পালনের পদ্ধতি ও আধুনিক গাভী পালন প্রশিক্ষণ বিষয়ক আলোচনার আজকের পর্বে আমরা গাভীর দুধ দোহন করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

প্রিয় খামারি বন্ধুরা সবাই শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে চলেছি খামারিয়ান.কম এর আজকের পর্ব। বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাভী পালনের পদ্ধতি ও আধুনিক গাভী পালন প্রশিক্ষণ বিষয়ক আলোচনার আজকের পর্বে আমরা গাভীর দুধ দোহন করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি শেষ অবধি সাথেই থাকবেন।

ভূমিকা

গাভীর ওলান থেকে দুধ বের করার পদ্ধতিকে গাভীর দুধ দোহন বলে। গাভীর দুধ দোহন অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার প্রয়ােজন হয়। দুগ্ধ খামারের মুল চালিকা শক্তি হলো সুস্থ সবল ও অধিক দুধ উৎপাদনশীল গাভী।

একটি অধিক দুধ উৎপাদনশীল গাভীর জন্য সঠিক নিয়মে দুধ দোহন করা ও ওলানের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয়। গাভীর দুধ দোহন করার সঠিক জ্ঞান না থাকলে ম্যাসটাইটিস, টিট স্টেনোসিস, টিটকর্ড, আডার এ্যাবসেস, টিট ক্র্যাক, ব্লাডি মিল্ক, ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিরতরে বাট বা ওলান নষ্ট হতে পারে।

আর ওলান নষ্ট হয়ে গেলে গাভী দুধ উৎপাদনে অযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হবে, যার ফলে খামারীরা মারাত্নক আর্থিক ক্ষতির সমুক্ষীন হয়ে পরে।

গাভীর দুধ দোহন: বৈজ্ঞানিক উপায়ে গাভী পালনের পদ্ধতি ও আধুনিক গাভী পালন প্রশিক্ষণ বিষয়ক আলোচনার আজকের পর্বে আমরা গাভীর দুধ দোহন করার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

গাভীর দুধ দোহন কার্যক্রম

সাধারনত আমরা একটি গাভী থেকে দিনে ২ বার দুধ দোহন করে থাকি। তবে খেয়াল রাখতে হবে ১২ ঘন্টার বেশি যাতে ওলানে দুধের চাপ না থাকে। কারন ১২ ঘন্টা অতিবাহিত হলে ওলানের কোষ দুধ উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। ৮ ঘন্টা পরপর অর্থাৎ দিনে ৩ বার দোহন করলে দুধের উৎপাদন ৫-২৫% পর্যন্ত বেড়ে যায়।১. সবার আগে প্রথম বিয়ানের গাভী তারপর সুস্থ গাভী, তারপর যে গাভীর দুধে উচ্চ মাত্রায় সোমাটিক সেল বিদ্যমান এবং সবশেষে ওলান প্রদাহ রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এমন গাভী পর্যায় ক্রমে দোহন করতে হবে।

সুষ্ঠ ভাবে গাভীর দুধ দোহন এর জন্য অত্যাবশ্যক কার্যক্রম সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলঃ

১। উপযুক্ত পারিপার্শ্বিক অবস্থা

  • উচচ শব্দ, কুকুর, আগন্তুক, অযথা চিকিৎসা ও অন্যন্য উন্মুত্ততা অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
  • আরামদায়ক ও শান্ত অবস্থায় দুধ দোহন করা উত্তম। ঘরের পরিবেশ শান্ত ও নিরুদ্রপ হওয়া বঞ্চনীয়।

২। দুধ দোহনে নিয়মনিষ্ঠা

  • গাভী যেহেতু অভ্যাসে বশীভূত হয় সেহেতু দুধ দোহনের একটি তালিকা অনুসরণ করা প্রয়োজন।
  • নিয়মিত বিরতি সহকারে সাধারণত দিনে দুবার গাভীর দুধ দোহন করা সাধারণত ১২ ঘন্টা অন্তর অন্তর দুধ দোহন করা উত্তম। তবে ১১ ঘন্টা বা ১৩ ঘন্টার শিডিউল করা যেতে পারে।
  • অধিক দুধ উৎপাদনকারী বিদেশী জাতের গাভী ২৪ ঘন্টায় দুধ দোহনের সময় পরিবর্তনের দুধের মোট উৎপাদন হ্রাস পায়।

৩। দুগ্ধবতী গাভী ও দোহনকারীর প্রস্তুতি

  • গাভীর দুধ দোহন এর জন্য দোহাল ও গাভী একে অপরের পছন্দীয় হওয়া বাঞ্ছনীয়। দুধ দোহণের পূর্বে কোন ক্রমে গাভীকে পিটানো উচিৎ নয়। কারণ গাভীকে পিটালে গাভী ঠিকমত দুধ নামায় না।
  • গাভীর দুধ দোহন এর পূর্বে গাভীর ওলান ও বাঁট জীবানুনাশক পদার্থ মিশ্রিত পানি
  • দিয়ে ধুয়ে শুকনাে নরম কাপড় দিয়ে মুছে নেওয়া উত্তম।
  • গাভীর ওলান উপযােগী জীবানু নাশক পদার্থ মিশ্রিত ঈষৎ উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে দিলে শুধু পরিস্কার হয় না বরং ওলানে দুধ নামতে সাহায্য করে।
  • ওলান পরিষ্কার করার পর সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দুধ নামে। তাই ওলান মুছার পরপরই দুধ দোহন করতে হবে।
  • দুগ্ধ দোহনকারীর নখ কেটে ছােট রাখতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরবে। চুল টুপি বা কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখবে। দুধ দোহনকারীর নােংরা স্বভাব যেমন-থুথু ফেলা, নাক ডাকা, নাকঝাড়া, ও দুধ দোহনের সময় কথা বলা গাভীর নিকট বিরক্তিকর।
See also  বাংলাদেশে গরুর খামার তৈরি ১২টি সমস্যা

৪। পরিষ্কার বাসনপত্রের ব্যবহার

  • দুধ দোহন পাত্র অবশ্যই পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। এছাড়া বড় মুখ বিশিষ্ট খােলা বালতি অপেক্ষা গম্বুজ আকৃতির দুধ দোহন পাত্র অধিক উপযােগী।
  • প্রতিবার দুধ দোহানাের পর পাত্রটি প্রথমে গরম পানি ও পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে উত্তমরুপে পরিষ্কার করতে হবে। পরবর্তীতে র্যাকে উল্টিয়ে রাখলে পাত্র শুকিয়ে যায়।

৫। দ্রুত দুধ দোহন

  • বাঁটে দুধ নামার ৩-৭ মিনিটের মধ্যে ওলানের সমস্ত দুধ দোহন করে নেওয়া প্রয়ােজন।
  • ওলানের সমস্ত দুধ দোহন না করলে ওলানের অবশিষ্ট দুধে জীবানুর বংশ বিস্তার ঘটে ফলে ঠুনকো রােগ (Mastitis) হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৬। দোহনকালে খাওয়ানো

  • গাভীর দৈনিক রেশনের দানাদার খাদ্যে কিছু অংশ দুধ দোহনের সময় খেতে ব্যস্ত রাখলে ওলানের সমস্ত দুধ দোহন সহজ হয়।

৭। দুধ দোহনের ক্রম পদ্ধতি

ম্যাস্টাইটস রােগে আক্রান্ত গাভী থেকে সুস্থ গাভীতে জীবাণু ছড়ায়। তাই প্রথমে সুস্থ গাভী ও পরে রােগাক্রান্ত গাভী দোহন করা উচিত।

ম্যাস্টাইটিস রােগ নিয়ন্ত্রণের জন্য গাভীর পালে একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মে দুর্ধ দোহন করা বাঞ্ছনীয়। যেমন-

  • প্রথমত: ম্যাস্টাইটিস রােগ মুক্ত বকনা গাভী।
  • দ্বিতীয়ত, ম্যাস্টাইটিস রােগ মুক্ত সম্পূর্ণ সুস্থ গাভী।
  • তৃতীয়ত: যেসব গাভী। পূর্বে ম্যাস্টাইটিস রােগে ভুগেছে কিন্তু এখন রােগমুক্ত এমন গাভী।
  • চতুর্থত: সন্দেহযুক্ত অস্বাভাবিক দুধ উৎপাদনকারী গাভী এবং
  • সর্বশেষে রােগাক্রান্ত গাভীর দুধ দোহন করতে হবে।

৮। বকনা গাভীর প্রথম দুধ দোহন

  • গাভীর প্রথম বাচ্চার পরে বাট খাটো থাকে ফলে টিটকাপ পরানাে অসুবিধা হয়।
  • বকনার প্রথম বাচ্চা দেবার পর ওলানে দুধ তুলে রাখে সেক্ষেত্রে দুধ দোহনের ২-৩ মিনিট পূর্বে ২ মি: লি: অক্সিটোসিন মাংসে ইনজেকশন দিলে কার্যকর হয়।
  • দুই বা তিনদিন এভাবে অন্সিটোসিন ইনজেকশন দিলে সঠিকভাবে দুধ দোহান যায়।

৯। দুধ নামতে বাধাগ্রস্থতা

গাভীর দুধ দোহন এর আগ মুহুর্তে গাভী উত্তেজিত হলে হরমোন নিঃসৃত হয় যার ফলে দুধ নামতে বাধাগ্রস্থ হতে পারে। উত্তেজিত বা হঠাৎ আতঙ্কিত হওয়ার বেশ কিছু কারন এমন হতে পারে। যেমন:

১. গাভীর দুধ দোহন এর স্থানে Milking parlor নেয়ার পথে ত্রুটি থাকলে।

২. অস্বাভাবিক শব্দ হলে।

See also  পশুর পরিপাক যন্ত্র ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ- রুমেন (Rumen), রেটিকিউলাম (Reticulam), ওমেসাম (Omasum), এবোমেসাম (Abomasum)। গরু, মহিষ ও ছাগলের খাদ্য বিশ্লেষণঃ আমিষ খাদ্য, শর্করা খাদ্য, খনিজ পদার্থ, স্নেহ পদার্থ, ভিটামিন, লবণ। জলের প্রয়োজনীয়তা। সাহায্যকারী খাদ্যঃ হর্মোন, আর্সেনিক, এন্টিবাইওটিক, সোডা জাতীয় পদার্থ, ইউরিয়া।[গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া]

৩. অচেনা ব্যক্তির প্রবেশ ঘটলে।

৪. দুধ দোহন মেশিনের কারনে ব্যথা পেলে।

৫. ওলান প্রদাহ রোগের কারনে ব্যথা পেলে।

৬. নতুন লোকের দ্বারা দুধ দোহন করালে।

৭. আংশিক বা অনিয়মিত দুধ দোহন করলে।

৮. গাভী কোন কারনে খুব বেশি নড়াচড়া করলে।

৯. ওলানে দুধ জমা থাকলে দুধের চাপে ওলানের কোষ দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

১০. গাভী ও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ভাল না থাকার কারনে।

৯। দুধ দোহন প্রক্রিয়া

১. প্রধানত বাছুরের সহায়তায় হাতের মাধ্যমে ও দুধ দোহন যন্ত্রের সাহায্যে গাভীর দুধ দোহন করা যায়। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে হাতের সাহায্যে দুধ দোহন করা হয়। এছাড়া বৃহৎ খামারে বিদেশী জাতের গাভী দোহনের জন্য যন্ত্রের সাহায্য নেওয়া হয়।

২. গাভীর দুধ দোহন এর আগে ও পরে গাভীর ওলান, তলপেট ও আশ-পাশ ঈষৎ উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার  কাপড় দ্বারা মুছে দিতে হবে।

৩. বাছুরকে দুধ চুষে খেতে দিতে হবে, এতে গাভী দেরীতে দুগ্ধহীনা হয়। বাছুর বাঁট চুষলে এক ধরনের  স্টিমুলেশন হওয়ায় দুগ্ধ দানের হরমোন নি:সৃত হয়।

৪. গাভীকে খালি পেটে দুধ দোহন করতে হবে। কেননা ঘাস পানি খেয়ে পেট পূর্ণ হওয়ার পর দুধ দোহন  করলে গাভী ওলান ফুলা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

৫. গাভীর দুধ দোহন এর পর জীবানু নাশক ঔষধের পানি দিয়ে গাভীর বাট স্পঞ্ছ করলে ভাল হয়। এতে সহজে ওলান  ফুলা রোগ হয়না।

৬. গাভীর ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ও শোবার জায়গায় পরিষ্কার শুকনা খড়ের নরম বিছানা করে দিতে  হবে। ঘরের মেঝেতে প্রয়োজনে ফ্লোর ম্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে।

১০। দুধ দোহনের পদ্ধতি কয়টি

২টি। যথা:

(ক) হাতের সাহায্যে দুধ দোহন

  • গাভীর সাধারণত বামপাশ থেকে দুধ দোহন করা হয়। বাটে দুধ আসার সাথে সাথে দুধ দোহন কাজ শুরু করতে হয়।
  • সাধারণত স্টাইপিং এবং ফুল হ্যান্ড পদ্ধতিতে তর্জনী ও বুড়া আঙ্গুলের সাহায্যে দুধ দোহন করা যায়। ফুল হ্যান্ড পদ্ধতিতে হাতের ৫ আঙ্গুল ও হাতের তালুরচাপের মাধ্যমে দুধ দোহন করা হয়।
  • অনেক দুধ দোহনকারী বুড়াে আঙ্গুল বাঁকা করে দুধ দোহন করে। এ পদ্ধাতিতে দুধ দোহন ঠিক নয়। কারণ এই রূপ দুধ দোহনে বাটে ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।
  • অজ্ঞাতবশত গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ গােয়ালা দোহন কাজে সুবিধার জান্য রিন এইরূপ করলে বাটে অসবিধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শুষ্ক
  • আঙ্গুলে দুধ, পানি বা থুথু লাগিয়ে দুধ দোহন করে। এরকম করা ঠিক নয়।
  • আঙ্গুলে দুধ দোহন সর্বোত্তম তবে বাঁটে ক্ষত থাকলে জীবানুনাশক মলম বা ক্রিম ব্যবহার করে দুধ দোহন করা যায়।

(খ) যন্ত্রের সাহায্যে দুধ দোহন

যন্ত্র সাহায্যে দুধ দোহন নিম্নোক্তভাবে করা যায়-

(১) স্ট্রিপ কাপ (Strip cup)

গাভীর বাটে দুধ দোহানাের য্রের টিট কাপস লাগানাের পূর্বে একটি টিট কাপে প্রধানত নিম্নোক্ত তিনটি কারণে প্রতিটি বাঁট থেকে দুধ টেনে দেখা প্রয়ােজন।

  • বাঁটের বেষ্টক পেশী উম্মুক্ত করে ফলে দ্রুত দুধ বের হয়।
  • দুধকে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে।
  • অস্বাভাবিক দুধের উপস্থিতি সনাক্ত করা যায়। যে গাভীর অস্বাভাবিক দুধ হবে সে গাভীকে ম্যাস্টাইটন রােগের জন্য পরীক্ষা করতে হবে এবং সবশেষে দুধ দোহন করা হবে।
See also  গরু-মহিষের খাদ্যঃ- গরু-মহিষের দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ (৪টি ফর্মুলা) + ইউ এম এস খাদ্য হিসেবে সরবরাহ ও ইউ এম এস তৈরির পদ্ধতি।

(২) স্ট্রিপিং (Stripping):

  • বাঁটে ক্ষত বা অস্বাভাবিক বাঁটের গঠন ছাড়া এক হাতে টিট কাপ এবং অন্য হাতে টিট ধরে টিট কাপের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে।
  • বাঁটের দুধ দোহন শেষ হবার সাথে সাথে টিটকাপ খুলে নিতে হবে।
  • দুধ দোহনের পরও টিট কাপ বাঁটে থাকলে দীর্ঘায়িত ভ্যাকিয়াম বাঁটে আগাত বা ক্ষতের সৃষ্টি করে ফলে সহজেই দুধে জীবানুর সংক্রমন ঘটে।

উপসংহার:

গােয়ালার নিকট গাভীর দুধ দোহন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। দুধ একটি আদর্শ খাদ্য হলেও গাভীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে এবং দুধ দোহনে অসাবধানতার কারণে দুধ নষ্ট হতে পারে।

অসাবধানভাবে দুধ দোহনের সময়ই অসংখ্য ক্ষতিকর জীবাণু তরল দুধে সংক্রামিত হয়। ফলে অতি আদর্শ খাদ্য দুধে জীবাণু এত দ্রুত বৃদ্ধি পায় যে দুধের গুণাগুণ অতি সহজেই নষ্ট হয়ে যায়।

গাভীর দুধ দোহন এর প্রথম হতে শেষ পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাগুলো যদি অবলম্বন করা হয় তা হলে এ মূল্যবান আদর্শ খাদ্যের গুণাগুণ তাড়াতাড়ি নষ্ট হতে পারে না।

সাধারণত আমাদের অভিজ্ঞতা অথবা অবহেলার জন্য এ আদর্শ খাদ্যের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে থাকে। গাভী থেকে পরিমিত দুধ সংগ্রহ করার জন্য দোহন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব অনেক।

গাভীর ওলানে যথেষ্ট দুধ দোহন থাকা সত্ত্বেও দুধ দোহন পদ্ধতি না জানার ফল্ব ঠিক মত এবং সঠিক পরিমাণে দুধ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ে দ্রুত দুধ দোহন করা যেমন দোহনকারীর নিকট আনন্দদায়ক তেমনি গাভীর নিকট ও তা পছন্দনীয়।

যে সকল দর্শক আমাদের চ্যানেলের নতুন যদি পশুদের বিভিন্ন রকম রোগ তাদের চিকিৎসা এবং মেডিসিন সম্পর্কে আরও জানতে চান তারা খামারিয়ান.কম এ নিয়মিত ভিজিট করবেন এবং আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিকেও সাবস্ক্রাইব ও আমাদের ফেসবুক পেজটিতে একটি লাইক দিয়ে রাখবেন রাখবেন। তাহলে নতুন কোন পোষ্ট করা হলে তা সহজেই বুঝতে পারবেন। আমাদের আজকের এই আলোচনা এখানেই শেষ করে দিচ্ছে সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন খামারিয়ান এর সাথেই থাকুন।

খামারিয়ান.কম – সর্বদা খামারিদের পাশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!