বিষয়: হাঁটা চলার সুন্নাত ও আদব সমূহ + গাড়ি/যানবাহনের সুন্নাত, আদব ও আমল সমূহ + ভ্রমনে/সফরে যাওয়ার সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ।
হ্যাশট্যাগ: #হাঁটা চলার সুন্নাত ও আদব সমূহ #গাড়ি/যানবাহনের সুন্নাত, আদব ও আমল সমূহ #ভ্রমনে/সফরে যাওয়ার সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ।
হাঁটা চলার সুন্নাত ও আদব সমূহ
* বড় রাস্তা হলে ডান দিক দিয়ে চলবে।
* দৃষ্টি নত করে চলবে।
* কিছুটা সন্মুখ পানে ঝুঁকে চলবে। নবী কারীম (সাঃ) এরূপ চলতেন।
* হাত পা ছুঁড়ে ছুড়ে অহংকারের সাথে চলবে না।
* রাস্তা অতিক্রম করার সময় যথাসম্ভব দ্রুত চলবে।
* নারীদের জন্য রাস্তার কিনারা ছেড়ে দিবে।
* প্রয়োজনে চলার পথে কোথাও থামতে এবং অবস্থান করতে হলে এমন জায়গায় অবস্থান করবে, যাতে অন্যদের চলা ফেরা ইত্যাদির ব্যাঘাত না ঘটে।
* পথে কষ্টদায়ক কিছু পেলে তা সরিয়ে দিবে।
* মুসলমানদেরকে সালাম দিবে এবং তাদের সালামের উত্তর দিবে।
* প্রয়োজন ও সুযোগ অনুসারে আর বিল মারূফ ও নাহি আনিল মুনকার (ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে বারণ) করবে।
* কোন অন্ধকে দেখলে প্রয়োজনে (ডান হাত দিয়ে তার বাম হাত ধরে তাকে যতটুকু সে চায় এগিয়ে দিবে।
* পথ হারাকে পথের সন্ধান বলে দিবে। তবে কোন কাফেরকে তাদের উপাসনালয়ের সন্ধান বলে দিবে না।
* নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি হলেও তার জন্য লোকদেরকে পথ থেকে ধাক্কা দেয়া বা সরানো ঠিক হবে না। নবী কারীম (সাঃ)-এর জন্য এরূপ করা হত না।
* বৃদ্ধ লোকদের জন্য চলার সময় লাঠি নেয়া সুন্নাত।
* উপর দিকে উঠার সময় ডান পা আগে বাড়ানো এবং ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সুন্নাত।
* নীচের দিকে নামার সময় বাম পা আগে বাড়ানো এবং ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সুন্নাত।
* সমতল স্থান দিয়ে চলার সময় ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা সুন্নাত।
* ইয়াহুদী নাছারাদেরকে দেখলে তাদের জন্য পথ সংকুচিত করে দিবে-প্রশস্ত করে দিবে না; যাতে তাদের সম্মান প্রকাশ না পায়।
* যাদের বয়স এবং ইলম বেশী, তাঁদেরকে সামনে চলার জন্য অগ্রাধিকার দেয়া আদব। উল্লেখ্য, বয়স এবং ইলম- এ দুটোর মধ্যে ইল্স অধিক মর্যাদার হকদার, অতএব অধিক বয়সী ব্যক্তি অধিক ইল্মের অধিকারীকে দিবেন। (যদিও তার বয়স কম হয়) সামনে চলার জন্য অগ্রাধিকার
গাড়ি/যানবাহনের সুন্নাত, আদব ও আমল সমূহ
* বিসমিল্লাহ বলে যানবাহনে আরোহন করা সুন্নাত।
* প্রথমে ডান পা যানবাহনে রাখা সুন্নাত। বিসমিল্লাহ বলতে বলতে পা রাখবে।
* ভালভাবে আসন গ্রহণের পর আলহামদু লিল্লাহ বলবে।
* তারপর (যানবাহন চলতে শুরু করলে) নিম্নোক্ত দোয়া পড়া সুন্নাত-
سبحان الذي سخر لنا هذا وما كنا له مقرنين وانا إلى ربنا لمنقلبون
অর্থঃ পবিত্র ঐ আল্লাহ, যিনি একে আমাদের আয়ত্বাধীন করে দিয়েছেন,অথচ একে আমরা নিজেদের অধীন করতে পারতাম না। আর নিশ্চয় আমরা আপন প্রভূর কাছে ফিরে যাব।
* তারপর তিনবার “আলহামদু লিল্লাহ” বলবে।
* তারপর তিনবার “আল্লাহু আকবার” বলবে।
* তারপর নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে-
سبحانك إني ظلمت نفسي فاغفر لي فإنه لا يغفر الذنوب إلا أنت
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, আমিতো আমার নিজের উপর অবিচার করেছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা, তুমি ছাড়া আর কেউ পাপরাশি ক্ষমা করার নেই।
বিঃ দ্রঃ নবী কারীম (সাঃ) এই দোয়াটি পড়ে মুচকি হেসেছিলেন এবং কারণ জিজ্ঞেস করা হলে বলেছিলেন, আল্লাহ তা’আলা বান্দার এরূপ দোয়া করায় খুশি হয়ে বলেন, আমার বান্দা জানে যে, আমি ছাড়া গোনাহ ক্ষমা করার আর কেউ নেই। উল্লেখ্য, দোয়াটির মধ্যে এই বলা হয়েছে যে, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও, অবশ্যই তুমি ব্যতীত আর কেউ ক্ষমা করার নেই।
* নৌকা, জাহাজ, পুল ইত্যাদিতে চড়লে পড়বে-
بسم الله مجرها ومرسها إن ربى لغفور رحيم
অর্থঃ আল্লাহর নামেই এর চলা ও থামা। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।
* গাড়ীর মালিককে গাড়ীর সামনে এবং সওয়ারীর মালিককে সওয়ারীর সামনে বসতে দিবে, এটা তার হক। অবশ্য মালিক কাউকে সামনে বসার অনুরোধ করলে তিনি সামনে বসতে পারেন।
ভ্রমনে/সফরে যাওয়ার সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ
* নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃহস্পতিবার সফরে যাওয়াকে অধিক পছন্দ করতেন। সোমবার সফর করাও সুন্নাত। এ ছাড়া যে কোন দিন সফর করা যায়। ইসলামে অমুক অমুক দিন বা অমুক অমুক সময় যাত্রা নাস্তি-এরূপ কোন ধারণা নেই।
* সফরের ইচ্ছা হলে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে-
اللهم بك أصول وبك أحول وبك أسير
অর্থঃ হে আল্লাহ, তোমার সাহায্যেই আমি (শত্রুর উপর) আক্রমণ করি, তোমার সাহায্যেই তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করি এবং তোমার সাহায্যেই সফর করি।
* যথাসম্ভব একাধিক ব্যক্তি সফরে যাওয়া উত্তম; একাকী সফরে না যাওয়া উচিত। কমপক্ষে তিনজনে সফর করার প্রতি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎসাহিত করেছেন, চারজন হওয়া খুবই ভাল।
* তিনজনের (বা আরও অধিক হলে তাদের) মধ্যে এক জনকে আমীর বানিয়ে নিবে।
* সফরে কুকুর এবং ঘন্টা সাথে রাখা নিষেধ।
* রওয়ানা হওয়ার সময় নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে-
اللهم إنا نسألك في سفرنا هذا البر والتقوى ومن العمل ما ترضى – اللهم هون علينا سفرنا هذا واطوعنا بعدة ـ اللهم أنت الصاحب في السفر والخليفة في الأهل ـ اللهم إني أعوذبك من وعثاء الشفر وكآبة المنظر وسوء المنقلب في المال والأهلي
অর্থঃ হে আল্লাহ, এই সফরে প্রার্থনা করি এবং ঐসব কাজের তোমার কাছে আমি নেকী ও পরহেযগারীর
তাওফীক চাই যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও। হে আল্লাহ, আমার এই সফর সহজ কর এবং ভ্রমণ পথের দূরত্ব কমিয়ে দাও (অর্থাৎ, সহজে অতিক্রম করিয়ে দাও)। হে আল্লাহ, তুমিই আমার সফরের সাথী এবং আমার অবর্তমানে আমার পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক। হে আল্লাহ, সফরের যাবতীয় কষ্ট-ক্লেশ থেকে তোমার কাছে পরিত্রাণ চাই এবং পানাহ চাই এই সফরের সমস্ত কুদৃশ্য হতে, ঘরে প্রত্যাবর্তন করে মাল ও পরিবারের দুরাবস্থা দর্শন হতে। আর তোমার কাছে পানাহ চাই গঠিত হওয়ার পর ভাঙ্গন হতে এবং মাজলূমের বদ-দোয়া হতে।
* সফরে রওয়ানা হওয়ার সময় দুই বা চার রাকআত নফল নামায পড়ে নেয়া উত্তম।
* রওয়ানা হওয়ার সময় এই বলে পরিবার থেকে বিদায় নেয়া সুন্নাত-
أستودعكم الله الذي لا يضيع ودائعه
অর্থঃ তোমাদেরকে আল্লাহর কাছে আমানত রেখে গেলাম, যার আমানত নষ্ট হয় না।
* বিদায় দানকারীগণ বলবেনঃ
أستودع الله دينكم وأمانتكم وخواتيم أعمالكم
অর্থঃ তোমাদের দ্বীন, তোমাদের আমানতদারীর গুণাবলী এবং তোমাদের কাজের ফলাফল আল্লাহর উপর সোপর্দ করলাম।
* বিদায় দেয়ার সময় অনেকে “খোদা হাফেজ” বলে বিদায় দেন, এ ব্যাপারে মাসআলা হল- যদি সালামের স্থলে খোদা হাফেজ বলা হয়, তাহলে এতে শরী’আতের বিকৃতি ঘটানো হয়, কেননা শরী’আত বিদায়ের সময় সালাম ও উপরোক্ত দোয়ার তা’লীম দিয়েছে। আর যদি সালাম এবং উক্ত দু’আর সাথে অতিরিক্ত এই “খোদা হাফেজ” কথাটা বলা হয়, তাহলে তা শরী’আতের একটি আমলের মধ্যে বৃদ্ধি ঘটানো হয়। অতএব এ সবের প্রেক্ষিতে খোদা হাফেজ বলা জায়েয নয়। আর যদি দু’আ হিসেবে এ কথাটি মাঝে মধ্যে বলা হয় এবং কখনও অন্য বাক্যও দু’আ হিসেবে বলা হয়, তাহলে নাজায়েয হওয়ার কথা নয়, তবে বর্তমানে খোদা হাফেজ বলাটা একটা রছম ও নিয়মে পরিণত হয়েছে বিধায় এটা পরিত্যাগ করা উচিত।
* ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এবং পথ চলার সময় সংশ্লিষ্ট আমল সমূহ করবে। এমনিভাবে সওয়ারীতে আরোহণের সময় সংশ্লিষ্ট আমল সমূহ করবে।
* কোন মঞ্জিল বা স্টেশনে নামলে পড়বে-
أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق
অর্থঃ আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের ওছীলা দিয়ে আমি তাঁর সৃষ্টির অনিষ্ঠ থেকে পানাহ কামনা করছি।
* যে শহর বা গ্রামে যাবে, যখন দূর থেকে ঐ শহর বা গ্রাম নজরে পড়বে তখন এই দু’আ পড়বে-
اللهم رب السموات السبع وما أظللن، ورب الأرضين السبع وما الرياح وما ذرين، فإنّا اقللن، ورب الشياطين وما أضللن، ورب تسألك خير هذه القرية وخير أهلها، وتعوذبك من شرها وشر أهلها وشر ما فيها
অর্থঃ আল্লাহ- যিনি সপ্ত আকাশ ও তার ছায়াতলে যা কিছু রয়েছে তার প্রভূ, সপ্ত জমীন ও তার অভ্যন্তরস্থ সবকিছুর প্রভু, শয়তানের এবং তারা যাদেরকে গোমরাহ করে তাদের প্রভু, বাতাসের এবং যা কিছু বাতাস উড়িয়ে নেয় তার প্রভূ- সেই আল্লাহর কাছে আমরা এই গ্রাম/শহরের যাবতীয় কল্যাণ কামনা করছি। আর এখানকার অধিবাসী এবং এখানকার সবকিছুর অনিষ্ঠ থেকে পানাহ চাচ্ছি।
* উক্ত শহর/গ্রামে প্রবেশ করার সময় প্রথমে তিনবার পড়বে-
اللهم بارك لنا فيها
অর্থঃ হে আল্লাহ, তুমি আমাদের জন্যে এর মধ্যে বরকত দাও।
* অতঃপর পড়বে-
اللهم ارزقنا جناها وحببنا إلى أهلها وحبب صالحي أهلها الينا
অর্থঃ হে আল্লাহ, এখানকার ফল-ফলাদি আমাদের নসীব কর, এখানকার বাসিন্দাদের অন্তরে আমাদের ভালবাসা সৃষ্টি কর এবং এখানকার সৎ লোকদের ভালবাসা আমাদের অন্তরে দান কর।
* সফরের মধ্যে ভোর বেলায় পড়বে-
شمع سامع بحمد الله ونعمته وحسن بلائه علينا، اللهم صاحبنا فافضل علينا عائذا بالله من النار
অর্থঃ শ্রবণকারী (আল্লাহ) আমাদের কৃত আল্লাহর প্রশংসা এবং তাঁর নেয়ামত ও আমাদেরকে উৎকৃষ্ট অবস্থায় রাখার স্বীকৃতির কথা শুনেছেন। হে আমাদের প্রতিপালক, তুমি আমাদের সঙ্গী হও এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহর কাছে পানাহ চাই জাহান্নামের আগুন থেকে।
* সফরে চার রাকআত বিশিষ্ট ফরয নামাযকে দুই রাকআত পড়বে। একে কছর বলে ৷ তবে ইমাম যদি চার রাকআত পড়নেওয়ালা হন, তবে তার পেছনে এক্তেদা করলে নামায পূর্ণই পড়তে হবে। বিশেষ ওজর না থাকলে সুন্নাত পড়তে হবে এবং পূর্ণ পড়তে হবে। নিজের এলাকা বা স্টেশন ছেড়ে গেলেই কছরের হুকুম আরম্ভ হয় এবং ৪৮ মাইল (সোয়া সাতাত্তর কিলোমিটার) বা তার অধিক পথ সফরের এরাদায় রওয়ানা হলেই তখন পথিমধ্যে কছরের এই নিয়ম প্রযোজ্য হয়। আর গন্তব্য স্থানে পৌঁছার পর নিজের বাড়ী না হলে সেখানে ১৫ দিনের কম থাকার এরাদা হলে কছর করতে হবে। আর ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশী থাকার এরাদা হলে কছর নয় বরং নামায পূর্ণ পড়তে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আলাদা আলোচনা খামারিয়ান.কম এ দেখুন।
* সফরে সাথী-সঙ্গীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি এবং সঙ্গীদের মাল-সামানের প্রতি খুব খেয়াল রাখতে হবে। শরী’আতে সফরসঙ্গীদের হক প্রতিবেশীর হকের মত। তাই এদিকে খুব খেয়াল রাখা কর্তব্য।
* সফরে দু’আ কবূল হয়, তাই দু’আর প্রতি এহতেমাম রাখতে হবে। সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের আমল সমূহঃ
* সফরের প্রয়োজন পূর্ণ হয়ে গেলে যথাসম্ভব দ্রুত আপন স্থানে প্রত্যাবর্তন করবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সফরে থাকা ভাল নয়।
* সফর থেকে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য কিছু হাদিয়া নিয়ে আসবে, এতে তার জন্য অপেক্ষমান লোকদের মহব্বত বৃদ্ধি পাবে।
* প্রত্যাবর্তনকালে নিজ শহর বা এলাকায় প্রবেশকালে পড়বে-
آئبون تائبون عابدون لربنا خامدون
অর্থঃ আমরা প্রত্যাবর্তনকারী, তওবাকারী, ইবাদতকারী, এবং আমাদের প্রভৃর প্রশংসাকারী।
* দূর-দূরান্তের সফর থেকে অনেক দিন পর বাড়িতে আসলে ঘরে প্রবেশের পূর্বে পরিবারকে সংবাদ দিয়ে কিছুক্ষণ পরে ঘরে প্রবেশ করবে, যাতে স্ত্রী স্বামীর জন্য পরিপাটি হয়ে নিতে পারে।
* আর অনেক রাত হলে উত্তম হল সকালে ঘরে আসবে। অবশ্য ঘরবাসীরা যদি তার অপেক্ষায় থাকে তাহলে তখনই ঘরে প্রবেশ করাতে অসুবিধা নেই।
* সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকারীর জন্য সুন্নাত হল ঘরে প্রবেশের পূর্বে দুই রাকআত নফল নামায আদায় করে নেয়া।
* ঘরে পৌঁছে পড়বে-
أوبا أوبا لربنا توبا لايغادر علينا خوبا
অর্থঃ ফিরে এলাম ফিরে এলাম, আমাদের রবের কাছে এমন তওবা করলাম যার ফলে আমাদের কোন গোনাহ আর বাকী থাকবে না।
* সফর থেকে ফিরে এসে সফরের মধ্যে যেসব বিপদ-আপদ বা কষ্ট ঘটেছে তার বর্ণনা পরিহার করতঃ তার প্রতি আল্লাহর যেসব নেয়ামত ও অনুগ্রহ ঘটেছে তা বর্ণনা করবে। এটাই উত্তম।
সমাপ্ত: হাঁটা চলার সুন্নাত ও আদব সমূহ + গাড়ি/যানবাহনের সুন্নাত, আদব ও আমল সমূহ + ভ্রমনে/সফরে যাওয়ার সুন্নাত, আদব ও বিধি-নিষেধ সমূহ।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।