বিষয়: চিঠি-পত্রের সুন্নাত ও আদব সমূহ।
হ্যাশট্যাগ: #চিঠি-পত্রের সুন্নাত ও আদব সমূহ।
চিঠি-পত্রের সুন্নাত ও আদব সমূহঃ
* চিঠি-পত্রে প্রেরক ও প্রাপক উভয়ের নাম/পরিচয় উল্লেখ থাকা সুন্নাত।
* বিসমিল্লাহ দিয়ে পত্র শুরু করা সুন্নাত।
* চিঠি-পত্রে আসসালামু আলাইকুম না লিখে শুধু যদি লেখা হয় “সালাম মাসনূন” কিংবা “সালাম বাদ” তাহলে তা শরী’আত সম্মত সালাম বলে গণ্য হবে না এবং তার জবাব দেয়াও ওয়াজিব হবে না।
* পত্রের সালামেরও জবাব দেয়া ওয়াজিব। এই জবাব পত্রের মাধ্যমে লিখিত ভাবেও হতে পারে কিংবা মুখেও হতে পারে। জবাবী পত্রে “ওয়াআলাইকুমুস সালাম লিখলেও জবাব হবে, আবার আসসালামু আলাইকুম … লিখলেও জবাব হয়ে যাবে।
* বিসমিল্লাহ, সালাম ও ভূমিকার পর, সংবাদ বা অতঃপর কথা হল- এ জাতীয় কোন শব্দ লেখা মোস্তাহাব।
* প্রেরক তার পূর্ণ ঠিকানা লিখবে, কেননা প্রাপক তার ঠিকানা ভুলে যেতে পারে বা ঠিকানা লেখা কাগজ খুঁজতে তার পেরেশানী হতে পারে।
* নিজের প্রয়োজনে পত্রের উত্তর পাওয়ার দরকার থাকলে ফেরত খাম পাঠিয়ে দেয়া আদব। অনেক সময় খামের মূল্যের জন্য নয় বরং খাম যোগাড়েই পেরেশানী হয়।
* পত্রের ভাষা প্রাপকের জানা ভাষায় হওয়া চাই।
* পত্রের লেখা পরিষ্কার হওয়া চাই। অন্যথায় প্রাপকের পাঠ উদ্ধার করতে গিয়ে কষ্ট হবে এবং এ কষ্ট দেয়ার জন্য পত্র লেখকই দায়ী হবে।
* পত্রের সম্বোধনগুলোর মধ্যে ভারসাম্য থাকা চাই।
* বিয়ারিং পত্র লেখা অনুচিত।
* মুরব্বীদের নিকট একনলেজমেন্ট পত্র প্রেরণ করা বে-আদবী, এতে তার প্রতি অনাস্থা প্রদর্শন করা হয় এই মর্মে যে, তিনি হয়ত এই প্রমাণ না থাকলে ভবিষ্যতে পত্র-প্রাপ্তির বিষয় অস্বীকার করতে পারেন।
* কারও আঁটকানো পত্র প্রাপক ব্যতীত বা তার অনুমতি ব্যতীত অন্যের জন্য দেখা জায়েয নয়, যদি তাতে প্রেরক/প্রাপকের গোপনীয়তা ফাঁস হওয়ার বা প্রেরক কিংবা প্রাপকের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে কিংবা অহেতুকই পত্র খুলে দেখা হয়। এরূপ কারণ না থাকলে সেখানে দেখা অনুমতি আছে; যেমন মাতা-পিতা, উস্তাদ, মুরব্বীগণ অনেক সময় ছেলে/মেয়ে, ছাত্র-ছাত্রী বা অধীনস্থের নেগরানীর জন্য করতে পারেন।
সমাপ্ত: চিঠি-পত্রের সুন্নাত ও আদব সমূহ।
সূত্র: আহকামে যিন্দেগী।