
খাসী করার কারণ ও সুবিধা সমূহঃ
(01) মাংস উৎপাদনের উদ্দেশ্যে খামারে ছাগল পালন করা হলে প্রজনন উপযোগী কয়েকটি পাঁঠা রেখে বাকী সব পুরুষ ছাগলকে খাসী করানো হয়ে থাকে |
(02) খাসী করানো হচ্ছে কোন প্রাণীর সেক্স গ্লান্ডকে অপসারণ বা নিদ্রির করার মাধ্যমে উক্ত প্রাণীর প্রজনন ক্ষমতা রহিত করা |
(03) খাসী করানোর মাধ্যমে খামারে অবাঞ্ছিতও অনাকাঙ্খিত প্রজনন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পাঁঠার শরীরে ক্যাপ্রিক এসিড ও ক্যাপ্রোয়িক এসিডের উপস্থিতির কারণে তীব্র গন্ধ বের হয় | খাসী করানো হলে উক্ত গন্ধ দূরীভূত হয় |
(04) এ ছাড়া ছাগলের মাংস গন্ধমুক্ত ও সুস্থাদু হয়। খাসীকরণের ফলে চামড়ার গুনগত মানও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ছাগল শান্ত ও নম্র স্বভাবের হয় এবং অনেক ছাগল একত্রে পালন সহজতর হয়।
(05) ২-৪ সপ্তাহ বয়সে পাঁঠা বাচ্চাকে খাসী করানো উত্তম ৷
খাসীকরণের উপায়সমূহঃ
দুই পদ্ধতিতে আমাদের খাসীকরণ করা হয়ে থাকে।
(01) বন্ধ পদ্ধতি – বার্ডিজোস ক্যাস্ট্রেটর ছারা এবং রাবার রিং পরিয়ে ছাগলকে খাসী করা হয়ে থাকে | এ
পদ্ধতিতে শরীর হতে সেক্স গ্রান্ড অপসারণ করা হয় না অর্থ্যাৎ সেক্স গ্রান্ড যথাস্থানেই থাকে।
(02) মুক্ত/খোলা পদ্ধতি – ধারালো ছুরি/ব্রেড/স্কালপেল এর সাহায্যে সার্জিক্যাল অপারেশনের মাধ্যমে এ
পদ্ধতিতে শরীর হতে সেক্স গ্রান্ড অপসারণ করা হয়।
সতর্কতা ও যত্নঃ
(01) সার্জিক্যাল অপারেশনে সৃষ্ট ক্ষতে যে মশা, মাছি বা পোকামাকড় না বসে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
(02) ক্ষতস্থানে সালফানিলামাইড পাউডার লাগাতে হবে।
(03) স্যাঁতসেতে ও অপরিষ্কার স্থানে খাসীকে রাখা যাবে না। শুকনো জায়গার ব্যবস্থ করতে হবে।
(04) প্রয়োজনে ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী খাসীকে এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে।