
কৃমিজনিত রোগঃ
(01) কৃমির আক্রমনে শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটে।
(02) শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা যায়।
(03) ওজন কমে যায়।
(04) ক্ষুধামন্দা ঘটে।
(05) আক্রান্ত অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং অতি তীব্র প্রকৃতির রোগে ছাগলের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে থাকে।
(06) ছাগল প্রধানত ফ্যাসিওলা, প্যারামফিস্টোমাম, আযাসকারিয়া, হেমোনকাস, হুক ওয়ার্ম, সিস্টোসোমা, ইসোফেগোসটোমাম, ট্রাইচুরিয়া,ট্রায়কোস্টংগাইলাস প্রভৃতি কৃমি দ্বারা সংক্রমিত হয়।
(07) ছাগলের বয়স একমাসের অধিক হলে প্রতি চার মাস পরপর পায়খানা পরীক্ষা করে ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী কৃমির উঁষধ খাওয়াতে হবে।

পরজীবিজনিত রোগঃ
(01) উকুন, আঠালী, মাইট, মাছি প্রভৃতি কীটপতঙ্গ ছাগলের বহিঃপরজীবিজনিত রোগের প্রধান কারণ।
(02) মাইটের আক্রমনে ছাগলের সারকোপটিক মেঞ্জ, ডেমোডেকটিক মেঞ্জ, সোরোপটিক মেঞ্জ ও কোরিওপটিক মেঞ্জ, খোস পাঁচড়া রোগ হয়ে থাকে ।
(03) মাইটের আক্রমনে ছাগলের দৈহিক বৃদ্ধি ও উৎপাদন যেমন বাধাগ্রস্থ হয় তেমনি এর চামড়ার গুনগত মান কমে যায় ।
(04) ইস্ট্রাস ওভিস প্রজাতির মাছির লার্ভার আক্রমনে ছাগলের নেজাল মিয়াসিস রোগ হয়।
(05) নেজাল মিয়াসিস রোগে ছাগলের নাক চুলকায়, হাঁচি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, খাদ্য গ্রহণ-হাস পায়, ছাগল দূর্বল হয়ে পড়ে এমনকিমারাও যায় ।
(06) উকুন ও আঠালী ছাগলের শরীর হতে রক্ত চুষে খায়।
(07) উকুন ও আঠালীর অতিরিক্ত আক্রমনে ছাগল অস্থির হয়ে পড়ে, খাদ্য গ্রহণে অনীহা দেখায়, রক্ত শূন্যতায় ভুগে থাকে।
(08) বহিপরজীবিজনিত রোগ হতে ছাগলকে রক্ষার জন্য একজন অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী উষধ ও পথ্য প্রদান করতে হবে।