Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

ছাগলের খামার ব্যবস্থাপনা

ছাগলের খামার ব্যবস্থাপনা

খামার ব্যবস্থাপনাঃ

খামার ব্যবস্থাপনা খামারের প্রাণ। ব্যবস্থাপনা খামারের লক্ষ ও উদ্দেশ্য অর্জনের পথ সুগম ও তরান্বিত করে। অর্থাৎ ছাগল খামারের ব্যবস্থাপনা যত সুষ্ঠ ও স্বাস্থ্যকর হবে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জন তত সহজ ও সাবলিল হবে।

ব্যবস্থাপনা এক প্রকার কলা কৌশল যার মাধ্যমে খামারের সম্পদ সুযোগ ও সময়ের সমন্বয় ঘটানো যায়।

ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুতা বলতে বুঝায় :

  • ১. সম্পদের মিতব্যায়িতা।
  • ২. স্বল্প সময়ে ফল লাভ।
  • ৩. অল্প সময়ে অধিক উৎপাদন।
  • ৪. শক্তি ও শ্রমের অপচয় রোধ।
  • ৫. উৎপাদনে গুণগত মান ও উৎকর্ষতা লাভ।
  • ৬. সর্বাধিক পরিতৃপ্তি।

ছাগলের খামারের লক্ষ্য দ্রব্য-সামগ্রীও পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয়ের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া। সাথে সাথে কিছু লোকের কর্মসংস্থান ঘটে এবং আমিষ খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমিষের সরবরাহ বাড়ে। এর ফলে কিছু সামাজিক উদ্দেশ্য অর্জন করা হয়।

খামারের কোনো দ্রব্যের উৎপাদন কী পরিমাণ হবে, কত লোকের কর্মসংস্থান ঘটবে, কত টাকা উপার্জন হবে তার মাত্রা নির্ধারণ করা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার প্রাথমিক দায়িত্ব। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার সাফল্য সূচনা করে এবং অনার্জিত লক্ষ্য পরিকল্পনার ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দেয় যেগুলো পরবর্তী পরিকল্পনায় সংশোধন করা যেতে পারে।

ভুল তথ্যের ওপরে নির্ভর করে ব্যবস্থাপনা পরিককল্পনা প্রণীত হলে এবং লক্ষ্য স্থির করা হলে তা অর্জন করা সম্ভব হয় না। খামারে যে-সমস্ত তথ্যাদি ও বিষয়সমূহ সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে হয় তা হলো:

খামারের নথিপত্রঃ

১. পরিসম্পদ তালিকা : খামারের যাবতীয় সম্পত্তি, যন্ত্রপাতি তৈজসপত্র, ছাগল, ছাগলের ঘর, বাসস্থান, অন্যান্য নির্মাণ ও নির্মাণ সামগ্রী, ধার দেনা তার মূল্যের তালিকা।

২. শ্রমিক কর্মচারীর তালিকা : শ্রমিকের নাম, বেতনক্রমে দক্ষতা, দায় দায়িত্ব একনিষ্ঠতা।

See also  ছাগলের প্রসব এর সময় বাচ্চা ভিতরে ফেঁসে গেলে কিভাবে ডেলিভারি করাবেন? ছাগলের গর্ভপাত ছাগলের খামার ছাগল পালন পদ্ধতি

৩. উৎপাদন খতিয়ান : খামারে উৎপাদিত ছাগল বাচ্চা, দুধ, মাখন, ঘি, পনির, মাংস, চামড়ার, সার ইত্যাদির হিসাব।

৪. হাল খরচ ও আয়ের হিসাব : দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক খাত অনুপাতে খরচ ও উৎপাদিত দ্রব্যের বিক্রয়লব্ধ আয়ের হিসাব।

৫. বাৎসরিক প্রতিবেদন : বাৎসরিক উৎপাদন, উৎপাদন হার, আয়-ব্যয় ইত্যাদির সংক্ষিপ্ত সার।

৬. বাৎসরিক পর্যালোচনা : সমস্ত হিসাব-নিকাশ পর্যালোচনা করে তার দুর্বল ও উন্নত দিকসমূহ পর্যালোচনা প্রতিবেদন।

৭. বাৎসরিক খরচের বরাদ্দ : খামারে বাৎসরিক বরাদ্দকৃত খাত অনুপাতে অর্থের পরিমাণ, অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা ও উৎস।

৮. তুলনামূলক খরচের বরাদ্দ : পূর্ব বছরের সাথে চলতি বছরের তুলনামূলক খরচের বরাদ্দ, উৎপাদন, উৎপাদনের হার ইত্যাদি।

খামারের চাহিদা ও বাজারজাত করণের সুবিধাঃ

১. বাজারের চাহিদা অনুপাত পণ্য উৎপাদন করতে হয়। বাজারে যে দ্রব্যের চাহিদা নেই তা উৎপাদন করার অর্থ সম্পদ, সময় ও প্রযুক্তির অবচয়।

২. বাজারে চাহিদা সৃষ্টির ব্যবস্থা নিতে হয়। এর জন্য প্রচার মাধ্যমে ব্যবহার করা প্রয়োজন।

৩. বাজার সুবিধের সাথে সাথে উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রীর সংরক্ষণ ও পরিবহণ সুবিধে অবশ্যই থাকা প্রয়োজন।

দৈনিক পর্যবেক্ষণ ও তদারকিঃ

যে-কোনো আকারে খামারে আদর্শ ব্যবস্থাপনার জন্য দৈনিক পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য অঙ্গ। প্রত্যহ সকালে খামারের ছাগলের ঘরে ঢুকে দেখতে হবে-

১. ঘরে কোনো অসুস্থ ছাগল আছে কি না? যদি কোনো ছাগলের অসুস্থতা পরিলক্ষিত হয় তাকে সাথে সাথে আলাদা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. কোনো ছাগী গরম হলে তার লক্ষণ দেখে বুঝতে হবে। গরম হলে পাল দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. ঘর সঠিকভাবে পরিষ্কার করা হয়েছে কি না দেখতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাগল ঘর হতে বের করতে হবে এবং ঘর পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. ছাগল ঘরে ওঠানোর সময় পরীক্ষা করতে হবে। কোনোটি আহত হয়ে থাকলে অথবা সঠিকভাবে খাদ্যগ্রহণ না করলে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!