
লক্ষণ ও রোগের কারণঃ
(01) খিঁচুনি দেখা যায়, মুখ থেকে লালা ঝরে।
(02) প্রথম দিকে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং শেষ দিকে তাপমাত্রা কমে যায়।
(03) দেহ শক্ত হয়ে বেকে যায়, পা ও ঘাঁড় শক্ত হয়ে যায় বলে আক্রান্তছাগল চলাফেরা করতে পারেনা এমনকি দাড়াতেও পারেনা।
(04) এ রোগে আক্রান্ত ছাগলের চোয়াল, গলা ও দেহের অন্যান্য অংশের মাংসপেশী শক্ত হয়ে যায় |
(05) দাঁতের মাড়ির মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে দাঁত লেগে যায় বলে ছাগল খেতে পারে না |
(06) তীব্র আক্রান্তছাগল কয়েকদিনের মধ্যে মারা যায় |
(07) যে কোন অপারেশন, খাসীকরণ, বাচ্চা প্রসবের সময় ছাগীতে বা ছাগল ছানার নাভীতে ক্ষত সৃষ্টি হলে উক্ত ক্ষতে যদি ক্লোস্ট্রিডিয়াম টিটানি নাম ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন ঘটে তখন টিটেনাস রোগ হয়।
প্রতিরোধেরে উপায়সমূহঃ
(01) খোঁজাকরণ, নাড়ি কর্তন, লোম কাটাসহ যে কোন ধরণের অপারেশনের সময় ছাগলকে অ্যান্টি টেটানাস সিরাম বা টেটানাস টক্সয়েড ইনজেকশন করতে হবে।
(02) ডেটল, সেভলন প্রভৃতি এন্টিসেপটিক দিয়ে ক্ষতস্থান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
(03) এক বছর পরপর দুইবার ছাগীকে Anti tetanus serum বা Tetanus Toxoid ইনজেকশন প্রদান করলে এ রোগের আশংকা অনেক কমে যাবে।