আজকে আমরা আলোচনা করবঃ
ছাগলের পাতলা পায়খানার ওষুধঃ
- ডাইরোভেট (একমি ফার্মা) + সালফো-৩ (রেনেটা ফার্মা) ২টা ঔষধ একসাথে খাওয়াতে হবে।
- দিনে ২ বার করে খাওয়াতে হবে।
- বড় বাচ্চা হলে এক একটি ঔষধ ৩ ভাগ করে নিবেন, আর ছোট বাচ্চা হলে ৪ ভাগ করবেন।
- কমপক্ষে ৩ দিন খাওয়াতে হবে। কোন কারণে ৩ দিনেও না ভালো হলে আরও ২ দিন বাড়ায়ে ৫ দিন খাওয়াবেন।
- পাশাপাশি রাইস স্যালাইন (জেনারেন ফার্মা) খাওয়াবেন দিনে ৩ বার করে, পারলে হালকা গরম পানি সহকারে।
- ঔষধ ২টি সাধারন পানি দিয়ে, স্যালাইনের পানি দিয়ে গুলিয়ে নিয়ে সিরিঞ্জ দিয়ে অথবা শুথনো অবস্থায় কাঠাল/কলা পাতা দিয়ে মুড়িয়ে খাওয়াতে পারেন।
ছাগলের পাতলা পায়খানার ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
এখনে আমরা আলোচনা করব একটি উপকারী গাছ নিয়ে যে কাজটি আমাদের দৈনন্দিন গোট ফার্ম খুবই উপকারী একটি গাছ। এই গাছটিকে আমাদের জিগা গাছ বলেই চিনি আমরা। এটি এক বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ ডিসেম্বর মাসেই গাছের পাতা ঝরে যায় জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যেই গাছের নতুন পাতা জন্মায় এবং বর্ষাকালে গাছের ছোট ছোট ফুল এবং ফল হয়ে থাকে এই গাছটি সাধারণত আমরা ব্যবহার করে থাকি জমির চারধারে বেড়া দেওয়ার জন্য অথবা জমির সীমানাতে কিন্তু লাগানো হয়ে থাকে। এছাড়াও এই গাছটিকে সচরাচর দেখা গেলেও এর উপকারিতা অনেকের মধ্যে কিন্তু এখনো অজানা বা অনেকেই জানেনা যে কতটা উপকারে লাগে অথচ আমাদের চারদিকে আজকে আমরা সচরাচর দেখতে পাই জেনে নেওয়া যাক। এই গাছের উপকারিতা
এই গাছের ছালের মধ্যে ভিটামিন বি’ এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর উপাদান এর মধ্যে কিন্তু পাওয়া যায় বিশেষ করে পশুর ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে যেসব সমস্যা হয় সেগুলো নিরাময়ে আমরা সরাসরি ব্যবহার করতে পারি। যেমন: পাতলা পায়খানা।
গরমকালে ছাগলের পাতলা পায়খানা বেশি পরিমাণে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আমরা এই গাছের ছাল উঠিয়ে সেটাকে পরিষ্কার করে ধুয়ে এটাকে বেটে এর মধ্য থেকে রস বের করে নেব এবং সরাসরি ছাগল গরু কে খাওয়াতে পারব। এতে ওদের পেট ঠান্ডা থাকবে এবং পাতলা পায়খানা ভালো হয়ে যাবে। এই গাছের ছাল থেকে রস বের করে সরাসরি খাওয়ালে পেটের মধ্যের সমস্যা হয় সমস্যা দূর করে পেট ঠান্ডা রাখে এবং খাওয়ার রুচি কে বাড়িয়ে তোলে।
মনে রাখবেন ছাগল গরুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে সেক্ষেত্রে কিন্তু এর কাজ হবে না হবে এবং সেগুলো পুরোপুরি অর্গানিক ছাগল যাদের কোন মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি তাদের কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি কাজে দেবে এই কথাটা সবসময় মনে রাখবেন।
ছাগলের পাতলা পায়খানা হওয়ার কারণঃ
(০১) প্রধানত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণে ডায়রিয়া হয়।
(০২) কৃমিতে আক্রান্ত হওয়ার কারণেও ডাইরিয়া হতে পারে।
(০৩) দূষিত পানি পান করার কারণে হতে পারে।
(০৪) বাসি খাবার খাওয়ালে ছাগলের ডাইরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
(০৫) এমন কোন খাবার বা ঘাস বা পাতা খওয়া যেখানে পাতলা পায়খানার জীবাণু আগে থেকে ছিল।
ছাগলের পাতলা হওয়ার পায়খানার লক্ষণঃ
(০১) পানির মত ঘনঘন পাতলা পায়খানা করবে এবং শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিবে।
(০২) পায়খানার রং কালো বা হলুদ বা হালকা সবুজ বা সবুজাভ-হলুদ হবে।
(০৩) ছাগলে পায়খানায় খুব বেশি দুর্গন্ধ থাকবে।
(০৪) পায়খানার সাথে রক্ত বা শ্লেষ্মা থাকতে পারে।
(০৫) খাবার ঠিকমত হজম হয় না হলে, পায়খানার সাথে কিছু কিছু খাবারের অংশ বের হতে পারে।
(০৬) ছাগল ঠিকমত খাওয়া করবে না অথবা একবারে খাওয়া বন্ধ করে দিবে।
(০৭) ছাগলের পেটে ব্যথা থাকবে এবং মলত্যাগ করার সময় মনে হবে খুব শক্তি প্রয়োগ করছে।
(০৮) ছাগল ঝিমমেরে এক জায়গায় চুপচাপ বসে থাকবে।
(০৯) সুস্থ ছাগল খাওয়ার পর জাবর কাটে কিন্তু ডায়রিয়াতে আক্রান্ত হলে জাবর কাটা বন্ধ করে দিবে।
ছাগলের পাতলা পায়খানা প্রতিরোধঃ
(০১) ছাগলের খামার নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
(০২) আক্রান্ত ছাগলকে খামার থেকে অথবা সুস্থ ছাগল থেকে আলাদা রাখতে হবে।
(০৩) বাসি খাবার ভুলেও ছাগলকে খাওয়ানো যাবে না।
(০৪) পুকুরের পানি অথবা কোন নোংরা পানি যেন ছাগল খেতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
ছাগলের দানাদার খাবার তৈরির সময় সরাসরি মাটিতে বা মেঝেতে মেশানো যাবে না। এর জন্য কোন পলিথিন অথবা পরিষ্কার কিছুর উপর খাবার প্রস্তুত করতে হবে।
(০৫) সব সময় টিউবওয়েলের পরিষ্কার পানি খাওয়াতে হবে।
(০৬) পরিষ্কার-পরিছন্ন পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করাতে হবে।
(০৭) বাইরে থেকে ঘাস পাতা ছাগলের জন্য আনলে সরাসরি না দিয়ে আগে দেখে নিতে হবে কোন পোকা-মাকড় আছে কিনা।
অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেইজে একটা লাইক করতে ভুলবেন না আপনাদের একটা লাইক আমাদের পরবর্তী ভিডিও বানানোর জন্য উৎসাহিত করে তোলে।