আজকে আমরা আলোচনা করবঃ
খামারিয়ান লাইভস্টক ফার্ম

ছাগলের পেটে বিষক্রিয়া বা কিটোসিসঃ
(01) রক্তে গুকোজের পরিমান কম হলে, রক্তে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমান বেড়ে গেল, খাদ্য গ্রহণের মাত্রা কমে গেলে, শর্করা জাতীয় খাদ্যের বিপাকে সমস্যা হলে ছাগলের রক্তের মধ্যে এসিটোন ও কিটোন নামক রাসায়নিক পদার্থ জমে যায় | ফলে বিষক্রিয়া হয় | এজন্য এ রোগকে (কিটোনেমিয়া ও প্রেগনেন্সি টক্সিমিয়া নামেও অভিহিত করা হয়।
(02) ছাগলের গর্ভধারণের শেষ দিকে সাধারণত বাচ্চা প্রসবের কয়েকদিন পূর্ব থেকে প্রসবের পরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ হয়ে থাকে।
(03) এ রোগে ছাগলের ক্ষুধামন্দা হয়।
(04) জাবর কাটা বন্ধ হয়ে যায়।
(05) আক্রান্ত ছাগীর শ্বাস প্রশ্বাসে এসিটোনের গন্ধ পাওয়া যায়।
(06) অস্থিরতা দেখা দেয়।
(07) মাংসে খিচুনি শুরু হয়।
(08) হাটা চলায় অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
(09) ঠোট কীপে, চোখ ঘুরায়।
(10) অনেক সময় ছাগল অন্ধ হয়ে যায়।
(11) অতি তীব্র রোগে শুয়ে পড়ে এবং মৃত্যুবরণ করে।
দুগ্ধজ্বর বা মিল্ক ফিভারঃ
(01) ছাগী ঘাড় ঘুরিয়ে অবশ হয়ে শুয়ে পড়ে।
(02) এ রোগে ছাগীর পক্ষাঘাতের মত অবস্থা হয়।
(03) অজ্ঞান ও প্যারালাইজড হয়ে যায়।
(04) শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়।
(05) চিকিৎসা না করালে ১২-২৪ ঘন্টার মধ্যে ছাগলমারা যায়।
(06) বাচ্চা প্রসবের কিছুদিন পূর্ব হতে কিছুদিন পর পর্যন্ত্ব সময়ে ক্যালসিয়ামের অভাবে ছাগীতে এ রোগ দেখা যায়।
হাইপোম্যাগনেসেমিয়াঃ
(01) এই রোগকে গ্রাস টিটানি ও বলা হয়।
(02) খিচুনি দেখা দেয়।
(03) কেন্দ্রীয় গ্নায়ূতন্ত্র অচল হয়ে যায়।
(04) রোগে ছাগল এলোমেলোভাবে পা ফেলে।
(05) মাংসপেশীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
(06) খাদ্যে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলের ছাগলের এ রোগ হয়।
(07) বেশী আক্রান্ত হলে লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই ছাগল মারা যায়।