একটা ছাগল ফার্মের লাভ লস ছাগলের প্রজনন এর উপরেও কিন্তু অনেকটাই নির্ভর করে তাই প্রজননের সঠিক নিয়ম গুলি জেনে প্রজনন করানো উচিত।
■ একটা মেয়ে ছাগলের বয়স যখন দেড় বছর হবে সেই সময় থেকে তাকে প্রজজনে ব্যবহার করা যায়। একটা ব্লাক-বেঙ্গল পাঠার কোয়ালিটি সেটা কিন্তু এক বছরের পর থেকে কোয়ালিটি তে আসতে থাকে, এর জন্য কিন্তু দেড় বছর বয়স থেকে যদি সেই পাঠাকে প্রয়োজনে ব্যবহার করেন সবচেয়ে ভালো হবে।
■ ৬ মাসের মধ্যে মেয়ে ছাগল হিটে আসলোও তাকে প্রজনন করা উচিত নয়। যদি প্রজনন করানোর পর তার যদি বাচ্চা হয় তবে মনে রাখবেন তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হবে। একটা হচ্ছে তার বাচ্চা প্রসবের সমস্যা, দ্বিতীয় হচ্ছে তার দুধ, তৃতীয় তার বাচ্চার কোয়ালিটি ভালো হবেনা, চতুর্থ হচ্ছে সেই ফিমেল তার বাচ্চা দেওয়ার ক্ষমতা সেটা কিন্তু কমে আসবে এবং বাচ্চা দেওয়ার পর শরীরের মধ্যে প্রচুর হারে ডেফিসিয়েন্সি দেখা দেবে যার কারণে ছাগলটির দ্বিতীয়বার হিটে আসতে অনেক সময় নিবে। ওদের জেনারেশনটা খারাপ হয়ে যাবে।
■ প্রথমে খামারী ভাবেন যে আমার ফিমেল ছাগল অল্প বয়সে তাড়াতাড়ি হিটে এসেছে আমি লাভবান হয়েছি কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর যে বিষয়টা দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে খামারি আসলে ক্ষতিই হচ্ছে। এ কারণে একটা ছাগল যতদিন না উপযুক্ত বয়স হবে ততদিন তাকে প্রজননের নেওয়া উচিত নয়।
■ যে কম বয়সের পাঠাকে প্রজজনে ব্যবহার করলেন সেই মেইলটারও কিন্তু অনেকটাই ক্ষতি হবে। তার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন গুলোর সাহায্যে শুক্রাণু তৈরি হয়, সেই হরমোনের উৎপাদন কমে যাবে, হরমোন বৃদ্ধি কম হবে। এই হরমোন বৃদ্ধির না পাওয়ার কারণে যে প্রজনন ক্ষমতা সেটা কিন্তু দিন দিন কমে যেতে থাকবে।
■ প্রজননের সময় বা কাল কিন্তু অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দুটো সময় আপনাদের বেছে নিতে হবে একটা হচ্ছে সকালের দিকে না হলে সন্ধ্যার দিকে। যে সময় ঠান্ডা থাকে এবং প্রজনন করানো হয় মেলে শুক্রাণু সেটা ফেলে দেয় আর সেখান থেকে চলে যায় সেটাও কিন্তু ডিম্বনালীর মধ্যে আছে আর সেখানেই শুক্রাণু ডিম্বাণুর মিলন হয় বাচ্চার সৃষ্টি হয়।
■ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের মনে রাখতে হবে, কোনো ফিমেল ছাগল যদি হিটে আসে সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু ডিম্বনালীর মধ্যে কিন্তু আসে না সেটা আসা শুরু হয় 6 ঘন্টা পর থেকে।
■ একটা ছাগল হিটে আসার পর থেকে ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু ডিম্বনালীর মধ্যে আসে আর সেই ডিম্বাশয় এর মধ্যে আরো প্রায় 36 ঘন্টা জীবিত থাকে এর মধ্যে যদি প্রজনন করান তাহলে শুক্রাণু ডিম্বাণুর মিলন খুব সহজেই হবে এবং ছাগলটি প্রেগনেন্ট হবে। আর সেই 36 ঘণ্টা পর থেকে কিন্তু আস্তে আস্তে ডিম্বাণু মৃত্যু ঘটে থাকে।
■ দেখা গেল কোন খামারে প্রজননের সঠিক নিয়মাবলী জানেন না যার কারণে একটি ফিমেল ছাগল যখন হিটে চলে আসলো সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রজনন করে দিলেন আর পাঠা ছাগলের শুক্রাণু সেটা গর্ভাশয় ও গর্ভাশয় থেকে সেটা ডিম্বনালীর মধ্যে চলে গেল সেখানে গিয়ে সেই শুক্রাণু অপেক্ষা করতে থাকলো ডিম্বাণুর জন্য। কিন্তু ডিম্বাণু না আসার কারণে শুক্রাণু কিন্তু সেখানে মারা গেল তাতে দেখা গেল প্রজনন করানোর পর কিন্তু কোনো ফল পাওয়া গেলো না।
■ ওনেক সময় ছাগল হিটে আসে তাকে সময়মতো প্রজনন করানো হলো না হয়তো হিট ছাড়ার দু-তিন ঘণ্টা আগে তাকে প্রজনন করানো হলো কিন্তু এতেও কোনো ফল পাওয়া যাবে না কারণ সে ডিম্বাণু গুলি 36 ঘন্টা জীবিত থাকে এর পরে কিন্তু তারা মারা যায়। আর যখনই সেই দিন ডিম্বাণু গুলি মারা গেছে এরপরে যদি প্রজনন করানো হয় শুক্রাণু গিয়ে কিন্তু কোন লাভ হবে না কারণ সেখানে ডিম্বাণু নেই অর্থাৎ শুক্রাণু ডিম্বাণুর কোন রকমের মিলন হবে না আর এই শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন না হয় তাহলে কোন বাচ্চা সৃষ্টি হবে না আর এই জন্যই কিন্তু দেখা যায় কিছু ছাগল রয়েছে তাকে প্রজনন করানোর পর ছাগল গাভীন হয় না।