Skip to content

 

ছাগলের প্রজনন কিভাবে করাবেন? প্রজনন উপযোগী পাঁঠা ও ছাগীর কিভাবে চিনবেন? ছাগল পালন

ছাগলের প্রজনন কিভাবে করাবেন ? প্রজনন উপযোগী পাঁঠা ও ছাগীর কিভাবে চিনবেন? ছাগল পালন

অধিক উৎপাদনশীল ও উন্নতমানের বাচ্চা পেতে হলে ছাগলকে সুপরিকল্পিত ভাবে প্রজনন করাতে হবে। ক্রমাগত বাছাই পদ্ধতিতে দলের মধ্যে উন্নত মানের পাঁঠা এবং প্রজনন উপযোগী ছাগী নির্বাচন করে তাদের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে ছাগলের মান উন্নয়ন করা হয়। বাছাই ক্রিয়ার সময় নিয়নের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।

ছাগলের  প্রজনন কিভাবে করাবেন? প্রজনন উপযোগী পাঁঠা ও ছাগীর কিভাবে চিনবেন? ছাগল পালন

প্রজনন উপযোগী ছাগলের বৈশিষ্ট্য:-

বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যঃ

(01) দৈহিক বৃদ্ধির হার।

(02) যৌন পরিপক্কতায় আসার বয়স ও ওজন।

(03) জন্মুকালীন বাচচার ওজন।

(04) দুধ ছাড়ার বয়স ও ওজন।

(05) দুধ ছাড়ার পর দৈহিক বৃদ্ধির হার।

উৎপাদন বৈশিষ্টঃ

(01) ছাগল প্রতি মাংস উৎপাদন।

(02) দ্রেসিং আউট পার্সেন্টেজ।

(03) চামড়ার গুনাগুন।

(04) দুধ উৎপাদন।

(05) লোম উৎপাদন।

(06) লোমের গুনগত মান।

পুনরুৎপাদন বৈশিষ্ট্যঃ

(01) বয়োসদ্ধির বয়স।

(02) প্রথম প্রজননে আসার বয়স ও ওজন।

(02) প্রথম গর্ভধারণের সময় বয়স ও ওজন।

(03) প্রথম প্রসবে ওজন ও বয়স।

(04) কিডিং ইন্টারভ্যাল।

(05) প্রতিবার গর্ভধারণের জন্য পাল দেওয়ার সংখ্যা।

(06) পাঁঠার শুক্রাণুর গুনগত মান।

প্রজনন উপযোগী পাঁঠা নির্বাচন:-

(01) পাঠার বয়স কমপক্ষে ১২ মাস বা তার বেশি হতে হবে।

(02) পাঠা শারীরিকভাবে সুস্থ হবে এবং শরীরের প্রতিটি অন প্রত্যঙ্গ নিখুঁত হবে।

(03) পাঠা রুক্ষ, আক্রমনাতুক ও শৌর্য বীর্যের অধিকারী হবে |

(04) পাঠার পিতামাতার অধিক উৎপাদনের রেকর্ড থাকতে হবে |

(05) পাঁঠার অন্ডকোষ বড় ও সুগঠিত হবে | পেছনের পা মজবুত ও শক্তিশালী হবে ৷

(06) অবশ্যই সকল প্রকার যৌন রোগ হতে মুক্ত থাকবে ৷

প্রজনন উপযোগী ছাগী নির্বাচন:-

(01) ছাগীর বয়স কমপক্ষে ৯ মাস হতে হবে। দৈহিক ওজন কমপক্ষে ১২ কেজি হতে হবে |

(02) ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের হলে মাংসবহুল ছাগী নির্বাচন করতে হবে।

(03) দুধ উৎপাদনকারী জাতের হলে ওলান ও বাঁট বড় ও সুগঠিত হবে।

(04) ছাগীর পিতামাতার অধিক উৎপাদনের রেকর্ড থাকতে হবে ৷

(05) দৈহিক বৃদ্ধির হার বেশি এমন ছাগী নির্বাচন করতে হবে। ছাগী অবশ্যই শাস্ত প্রকৃতির হবে।

ছাগীর ইন্ট্রাস বা গরম হওয়ার লক্ষণ:-

(01) ছাগীর আচরণে অস্থিরতা দেখা যায়।

(02) খাওয়া দাওয়া কমে যায় বা ছেড়ে দেয়।

(03) মাঝে মাঝে উচ্চ স্বরে চিৎকার করে।

(04) সঙ্গী অন্য ছাগলের পিঠের উপর লাফিয়ে উঠে। অন্য ছাগলকে তার পিঠে উঠতে দেয় |

(05) ঘন ঘন লেজ নাড়ে, যোনীঘ্বার (ভালভা) লাল হয় এবং ফুলে যায়।

(06) যোনীদ্বার দিয়ে জেলির মত মিউকাস জাতীয় তরল পদার্থ বের হয়।

ছাগীকে পাল দেওয়ার উপযুক্ত সময় নির্ধারণ:-

(01) ছাগী গরম হওয়ার ৮ ঘন্টা পর এবং ১৮ ঘন্টার মধ্যে পাল দিতে হয়।

(02) প্রয়োজনে এ সময়ের মধ্যে দুইবার পাল দিয়ে গর্ভধারণ নিশ্চিত করা যায়। সকালে গরমহলে বিকালে এবং বিকালে গরম হলে পরের দিন সকালে পাল দেওয়া প্রয়োজন।

(03) সঠিক সময়ে পাল দেওয়া না হলে পরবর্তী ১৮ দিন হতে ২১ দিনের মধ্যে ছাগী পুনরায় গরম হবে বা হিটে আসবে।

(04) একবার বাচ্চা প্রসবের দেড় হতে দুই মাস পর ছাগী পুনরায় গরম হয়।

(05) ছাগীকে ৩-৪ বার পাল দেওয়ার পরও গর্ভবতী না হলে অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!