Skip to content

 

ছাগলের বাচ্চার কৃমি ও গরুর বাছুরের কৃমিনাশক

ছাগলের বাচ্চার কৃমি বাছুরের কৃমিনাশক ছাগলের বাচ্চার রোগ গরুর বাচ্চার রোগ বাছুরের রোগ ও চিকিৎসা ছাগলের বাচ্চার যত্ন গরুর বাছুরের রোগ গরুর বাচ্চার পরিচর্যা

ছাগলের বাচ্চার রোগ ও গরুর বাচ্চার রোগ কৃমি নিয়ে আজকের এই পোষ্টে আমরা আলোচনা করবো। আলোচনার বিষয়বস্তু হলোঃ

– ছোট গরু বা ছাগলের বাচ্চাদের যদি কৃমি রোগ হয় কি কি লক্ষণ গুলি দেখে বোঝা যায়?
– কৃমিনাশক ওষুধ কে প্রথম কত মাস বয়স থেকে প্রয়োগ করা যেতে পারে?
– ছোট পশুদেরকে কোন কৃমিনাশক ওষুধ প্রয়োগ করবেন এবং প্রয়োগের সঠিক নিয়মগুলি কি কি রয়েছে?

ছাগলের বাচ্চার কৃমি বাছুরের কৃমিনাশক ছাগলের বাচ্চার রোগ গরুর বাচ্চার রোগ বাছুরের রোগ ও চিকিৎসা ছাগলের বাচ্চার যত্ন গরুর বাছুরের রোগ গরুর বাচ্চার পরিচর্যা

♦সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে জানতে আমাদের পোষ্টটি শেষ অবধি পড়ুন। প্রিয় বন্ধুরা আমরা প্রথমে আলোচনা করব পশুদের কি কি কারণ গুলির জন্য কৃমি হয়। যদি বা ছোট বড় পশুর কৃমির পরজীবী হওয়ার কারণ গুলি নিয়ে যদি আমরা আলোচনা করতে যাই তো প্রথমেই বুঝতে হবে কৃমি লাইভ সার্কেল বা জীবনচক্র বিষয়টা কিন্তু পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে। তবেই কিন্তু পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন পশুদের পেটের মধ্যে এই কৃমিগুলি কেন হয়।

⇒ এখানে দেওয়া পরজীবীর লাইভ সার্কেল বা পরজীবীর জীবনচক্র যে ছবিটা একটু মনোযোগ সহকারে দেখে বোঝার চেষ্টা করবেন।ছাগলের বাচ্চার কৃমি বাছুরের কৃমিনাশক ছাগলের বাচ্চার রোগ গরুর বাচ্চার রোগ

⇒ প্রথমে ছাগলটির পেটে কৃমি রয়েছে সেগুলি দীর্ঘদিন হওয়ার ফলে সেখানে ডিম দেয়। পশু যখন পায়খানার করে সে পায়খানার মাধ্যমে পরজীবীর ডিম গুলো বাইরে বেরিয়ে আসে। মনে রাখবেন যে জমিতে পশুরা চরে যেখানে খাবার-দাবার খায় সেখানেই পায়খানা করে দেয়। আর সেই পরজীবী থেকেই কিন্তু ছোট ছোট লার্ভা তৈরি হয়। লার্ভাগুলো খালি চোখে দেখা যায় না আর সেই লার্ভাগুলো তখন ঘাস অন্যান্য খাদ্য এবং মাটির সংস্পর্শে চলে আসছে। অন্য কোন পশু পাখি উক্ত মাটি থেকে খাবার বা ঘাস খেলে লার্ভাগুলো পেটের ভিতরে চলে যায়।

⇒ পেটের ভিতরে গিয়ে লার্ভাগুলো বড় হয়ে যায়। আবার তারা ডিম দেয় ঠিক একইভাবে আবার বাইরে বেরিয়ে আসে ও লার্ভা সৃষ্টি হয়। পুনরায় এক্ত কৃমির লার্ভাগুলো মাটিতে মিশে যায় ও ঘাসের মাধ্যমে আবার পশুর পেটের ভিতর যায়। এই ভাবেই তাদের লাইভ সার্কেল বা জীবনচক্র কিন্তু চলতেই থাকে।

⇒ পশুদের শরীরে যদি কৃমির প্রকোপ কমাতে চান বা কৃমির প্রতিরোধ করতে চান তাহলে কিন্তু এই সার্কেলটা কে ভেঙে দিতে হবে। তবেই কিন্তু পরজীবীদের প্রতিরোধ করতে পারবেন।

⇒ এর জন্য বারবার বলা হয় ফার্মে সপ্তাহে একদিন করে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয়ে স্প্রে করতে। এছাড়াও ছাড়াও যখন কোন পশুকে কাঁচা ঘাস বা পাতা দেবেন সব সময় পাতার মধ্যে যদি সম্ভব হয় হালকা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট স্প্রে করে দেবেন এরপর রোদে শুকিয়ে সেটাকে খাওয়াবেন অথবা কাঁচা ঘাস পাতা কেটে একঘন্টা রেখে দিয়ে তারপর সেটাকে খেতে দেবেন।

⇒ এবারে হয়তো অনেকে ভাবছেন ছোট বাচ্চা ছাগল ঘাস খায় না তো কি করে এর পেটের ভিতর সেই লার্ভা চলে যাবে। ভালো করে লক্ষ রাখবেন ছাগল বাচ্চা মায়ের দুধ পান করে পান করার পর দুধে ভিজে থাকে ও মা ছাগল যখন শুয়ে পড়ে আর ওই মাটিতে যদি কৃমির লার্ভা থাকে সে দুধের বাট এর সংস্পর্শে চলে আসলো। এর পরবর্তীতে পরেরবার যখন সে বাচ্চা মায়ের দুধ পান করবে আর তখনই এই লার্ভা পেটের ভিতরে চলে যায়।

⇒ আর একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন কিছুকিছু বাচ্চার রয়েছে যাদের শরীরে মিনারেলের ডেফিশিয়েন্সি রয়েছে এরা মাটি কামড়ে, মাটিতে সেই কৃমি লার্ভা থাকার কারণে যখনই মাটি কামড়াচ্ছে তার মাধ্যমে কিন্তু সে লার্ভাগুলো পেটের ভিতরে চলে যায়। এইভাবে ছোট বাচ্চা পশুদেরও কিন্তু এই পরজীবীর সৃষ্টি হয়।

⇒ কোন ছাগল বাচ্চার চুল যদি পরজীবিতা আক্রান্ত হয়, বাচ্চাদের পুষ্টিকর দুধ পান করুক না কেন তার কিন্তু স্বাস্থ্য হবে না। স্বাস্থ্য দিন দিন শুকিয়ে যাবে, শরীর দুর্বল হলে পেট মোটা হয়ে যাবে, শরীরে কোন চমক থাকবে না, লোম গুলো উস্কখুস্ক হয়ে যাবে, আর এই ছোট বাচ্চাদের কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি এনিমিয়া হয়ে যেতে পারে যে তাকে রক্তাল্পতা বলা হয়। তার শরীরের রক্ত দিন দিন শুকিয়ে যাবে আর শরীরের ইমিউনিটি এতটাই লো হয়ে যায় যে কোন সময় যে কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাচ্চা কিন্তু মারা যায় আর এই সমস্যাটি কিন্তু আমি বেশিরভাগ ফারমার-এর মুখে শুনতে পাই।

♦ প্রিয় দর্শক পশুরা পরজীবী তে কিভাবে আক্রান্ত হয় বা ছোট পশুরা কিভাবে আক্রান্ত হয় এবং পরজীবীর এই লাইভ সার্কেল এবং জীবনচক্র আপনাদেরকে আশা করি বোঝাতে পেরেছি। এবারে আমরা আলোচনা করবো এই ছোট পশুদের কত দিন বয়স থেকে আমরা কৃমিনাশক ঔষধ প্রয়োগ করতে পারব?

⇒ ভেট চিকিৎসার নিয়ম অনুযায়ী ছোট বাচ্চাকে এক মাস পর থেকে কৃমির ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। কিন্তু যদি বাচ্চাদের এক মাস বয়সে আগে থেকেই সে পরজীবী লক্ষণগুলি দেখা যায় তাহলে আয়ুর্বেদিক বা হোমিওপ্যাথিক এ কৃমিনাশক দিতে পারেন আমরা খুব শীঘ্রই আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিকে পরজীবী দমনের আলোচনা নিয়ে আসব।

⇒ এবারের বিষয় হচ্ছে এক মাস বয়সের পর থেকে কোন মেডিসিন কিভাবে প্রয়োগ করবেন। ছোট পশুদের কৃমিনাশক ঔষধ হলো ”পাইপাজেন”। মনে রাখবেন পাইপারজেন এটি লিকুইড ও পাউডার পাওয়া যায়

⇒ এর প্রয়োগ বিধি হলে, আগের দিন রাত্রে বেলায় বাচ্চাগুলোকে গুড় খেতে দেবেন ও পরের দিন সকাল বেলায় খালি পেটে ওষুধের সঠিক পরিমাণ দেখে খাইয়ে দেবেন। ওষুধ খাওয়ানোর পর এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ জন বা কিছু খাবার খেতে দেওয়া যাবে না। পরের দিন থেকে তাঁকে লিভার টনিক খাওয়ানোর শুরু করতে হবে। লিভার টনিক এর সঠিক পরিমাণ দেখেই খাওয়াবেন।

⇒ বাচ্চাকে কৃমিনাশক প্রয়োগে সাবধানতা অবলম্বন। যে কৃমিনাশক ওষুধ কি খাওয়াবেন ওষুধ খাওয়ানোর আগেই ওষুধের প্যাকেটের গায়ে লেখাগুলি ভালোভাবে পড়ে নেবে। সেখানে সঠিক পরিমাণ দেখে নেবেন কত কেজিতে কত পরিমাণে দিতে হবে। মনে রাখবেন কৃমিনাশক ওষুধের কম পরিমাণে দেওয়া হলে কাজ হবে না আর যদি পরিমাণের থেকে বেশি হয়ে যায় তাহলে বিষ বিক্রিয়া হতে পারে। আর মেডিসিন খাওয়ানোর পর থেকে কিন্তু পাতলা পায়খানা হতে পারে এতে ভয় পাবেন না। কৃমি ওষুধ দিলে পাতলা পায়খানা হতেই পারে।

♦ প্রিয় দর্শক কেমন লাগলো আমাদের আজকের এই আলোচনাটি জানাবেন, সঙ্গে আমাদের ফেসবুক পেইজে একটা লাইক করতে ভুলবেন না। সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার পর পোষ্টটিতে দেওয়া তথ্য যদি ভাললাগে বাকি খামারি বন্ধুদেরকে পোষ্টটি শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিন। আর যে সকল নতুন দর্শক এখনো পর্যন্ত আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক করেননি যদি পশুদের বিভিন্ন রকম রোগ তাদের চিকিৎসা এবং মেডিসিন সম্পর্কে জানতে চান আমাদের ফেইসবুক পেইজে লাইক করে রাখবেন। যদি আমাদের বাকি পোষ্টগুলি দেখতে চান আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে গিয়ে দেখে নিতে পারেন। আজকের আলোচনা এই পর্যন্তই। সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। মূল আলোচনাটি সংগ্রহিত।

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!