
(01) ছাগল ছানার ১৫ দিন বয়স হতে অল্প অল্প করে দানাদার খাদ্য এবং আঁশ জাতীয় খাবার (কাঁচা ঘাস,গাছের পাতা প্রভৃতি) খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে।
(02) যে সকল ছাগল ছানা দীর্ঘ সময় ধরে মায়ের অপর্যাপ্ত দুধ পাওয়ার কারণে দূর্বল হয় তাদেরকে অন্যান্য সুষম খাবার সরবরাহের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একটি করে কাঁচা বা সিদ্ধ ডিম খাওয়ানো যেতে পারে | এতে ছাগল ছানার আমিষের চাহিদা কিছুটা পূরণ হবে এবং বাচ্চা সুস্থ ও সবল হবে।
(03) শীতের সময় মেঝেতে ছালা বা খড় বিছিয়ে মার সাথে ছাগল ছানাকে রাখতে হবে।প্রয়োজনে ছাগল ছানার শরীর গরম কাপড়া বা ছালা দিয়ে ঢেকে দেয়া যেতে পারে।
(04) ছাগলের ঘরের বেড়া বা দেয়াল চট দিয়ে ঢেকে দেয়া দেতে পারে যাতে ঘর হতে শীত শীত ভাব দূর হয়।
(05) প্রতিদিন খাদ্য ও পানির পাত্র পরিষ্কার করতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘর ভেজা বা স্যাতসেতে না হয়।
(06) শীতে বা বৃষ্টির সময় ছাগর ছানাকে ঘরের বাইরে যেতে দেওয়া উচিৎ নয় | এতে ঠান্ডা লেগে ছাগল ছানার নিউমোনিয়া হতে পারে।
(07) বড় প্রাণীর আক্রমন হতে ছাগল ছানাকে রক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে ৷
(08) বিভিন্ন কারণে ছাগল ছানার শরীরে উকুন, আঠালী, মাইট প্রভৃতি পরজীবির সংক্রমন হতে পারে। এর ফলে বাচ্চা রক্তশূন্যতায় ভূগে দূর্বল হয়ে পড়ে এবং মারা যায় | এ সব পরজীবির আক্রমন প্রতিরোধের জন্য ছাগল ছানাকে উকুন নাশক সাবান দিয়ে অথবা ০.৫% ম্যালাথিয়নের পানিতে গোসল করাতে হবে। ছাগল ছানার বয়স ২ মাস হলেই প্রতি সপ্তাহে দুইবার একে সাধারণ পানিতে গোসল করাতে হবে | শরীরে উকুন, আঠালী, মাইট প্রভৃতি পরজীবির সংক্রমন দেখা দিলে মাসে দুইবার ০.৫% ম্যালাথিয়নের পানিতে বাচ্চাকে গোসল করাতে হবে | গোসলের পরপরই ছাগল ছানার শরীর কাপড় বা ছালা দিয়ে মুছে দিতে হবে ৷
(09) বয়স বাড়ার সাথে সাথে ছাগল ছানার পেটে গোল কৃমি, ফিতা কৃমি এবং যকৃত কৃমিসহ বিভিন্ন ধরণের কৃমি হতে থাকে | এর ফলে ছাগলের খাদ্য হজম কমে যায় এবং হজমকৃত খাদ্য শোষণে ব্যাঘাত ঘটে। এক পর্যায়ে বাচ্চা অপুষ্টিতে দূর্বল হয়ে মারা যেতে পারে | তাই বাচ্চার বয়স একমাসের অধিক হলে প্রতি চার মাস পরপর পায়খানা পরীক্ষা করে ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ অনুযায়ী কমির উষধ খাওয়াতে হবে।