খামারে ছাগল পালন করার সময় রোগ ও প্রতিরোধ করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়।
রোগ প্রতিরোধে যা করতে হবেঃ
👉 ছাগলের ঘর ও এর চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা।
👉 ছাগলকে সুষম খাদ্য ও পানি সরবরাহ করা।
👉 ছাগলকে তাজা খাদ্য খেতে দেয়া।
👉 ছাগলকে সময়মতো টিকা দেয়াও কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো।
👉 ছাগলের বিষ্ঠা খামার থেকে দূরে সংরক্ষণ করা।
👉 ছাগলের ঘরের মেঝে শুষ্ক রাখার ব্যবস্থা করা।
👉 এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
👉 ছাগলের খামারকে নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়াও ছাগলের বাসস্থানে আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
👉 খামারে ছাগলগুলোকে শুকনো ও উঁচুস্থানে রাখতে হবে।
👉 ছাগলের যাতে ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ঠাণ্ডায় এরা নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। তাই শীতের সময় মেঝেতে ধানের খড় অথবা নাড়া বিছিয়ে দিতে হবে।
ছাগলের কমন রোগ সমূহঃ
ভাইরাসজনিত রোগঃ পি.পি.আর, নিউমোনিয়া ইত্যাদি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগঃ গলাফুলা, ডায়রিয়া ইত্যাদি।
পরজীবীজনিত রোগঃ ছাগলের দেহের ভিতরে ওবাইরে দুধরনের পরজীবী দেখা যায়। দেহের বাইরে চামড়ার মধ্যে উঁকুন, আটালি ওমাইট হয়ে থাকে। দেহের ভিতরে গোলকৃমি, ফিতাকৃমি ও পাতাকৃমি দ্বারা ছাগল বেশি আক্রান্ত হয়। এ রোগটি প্রোটোজোয়া দ্বারা হয়ে থাকে।
ছাগল রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণ লক্ষণসমূহ দেখা যায়ঃ
👉 শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
👉 চামড়ার লোম খাড়া দেখায়।
👉 খাদ্য গ্রহণ ও জাবরকাটা বন্ধ হয়ে যায়।
👉 ঝিমাতে থাকে ও মাটিতে শুয়ে পড়ে।
👉 চোখের পানি ও মুখ দিয়ে লালা নির্গত হয়।