যেভাবে ছাগল কুরবানি করতে হবে
⇒ কোরবানির জন্য ছাগল এর বয়স এক বছর হতে হয়।
⇒ ছাগল নর-মাদি যা-ই হোক না, তা দ্বারা কোরবানি হবে।
⇒ কোরবানির ছাগল তরতাজা ও হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম।
⇒ কোনো খুঁত থাকলে সে ছাগল দ্বারা কোরবানি আদায় হবে না
⇒ কোরবানির ছাগল যেকোনো মুসলমান জবাই করতে পারেন।
⇒ নিজের কোরবানির ছাগল নিজেই জবাই করা উত্তম। দোয়া জানা জরুরি নয়।
⇒ নিজে জবাই করতে না পারলে যেকোনো কাউকে দিয়ে ছাগল জবাই করাতে পারেন। জবাইয়ের সময় নিজে উপস্থিত থাকতে পারলে ভালো।
⇒ কোরবানি ও আকিকা একসঙ্গে করতে কোনো বাধা নেই। ওয়াজিব ও নফল কোরবানির গোশত খাওয়া যায় এবং খাওয়ানো যায়; এটি সবাই খেতে পারেন। উত্তম হলো তিন ভাগের এক ভাগ আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া, তিন ভাগের এক ভাগ গরিব পাড়া-প্রতিবেশীদের দেওয়া এবং তিন ভাগের এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখা। আরও বেশি দিলে আরও ভালো। প্রয়োজনে সম্পূর্ণটা রেখে দিলেও ক্ষতি নেই।
⇒ কোরবানির ছাগল কেনার আগে দেখেশুনে, জেনে বুঝে কিনতে হবে।কখনো পশুর মাধ্যমে রোগবালাই ছড়াতে পারে। যেমন অ্যানথ্রাক্স বা কাঁপুনি রোগ ইত্যাদি।
ছাগলের যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে না
⇒ ছাগলের দৃষ্টিশক্তি না থাকা।
⇒ ছাগলের শ্রবণশক্তি না থাকা।
⇒ ছাগল অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ হওয়া।
⇒ এই পরিমাণ লেংড়া যে জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে অক্ষম।
⇒ ছাগলের লেজের বেশির ভাগ অংশ কাটা।
⇒ ছাগলের জন্মগতভাবে কান না থাকা।
⇒ ছাগলের কানের বেশির ভাগ কাটা।
⇒ ছাগলের গোড়াসহ শিং উপড়ে যাওয়া।
⇒ ছাগলের পাগল হওয়ার কারণে ঘাস-পানি ঠিকমতো না খাওয়া।
⇒ ছাগলের বেশির ভাগ দাঁত না থাকা।
⇒ রোগের কারণে স্তনের দুধ শুকিয়ে যাওয়া।
⇒ ছাগলের দুটি দুধের যেকোনো একটি কাটা।
এক কথায় ত্রুটিমুক্ত ছাগল দিয়ে কোরবানি দিতে হবে।
ছাগলের যেসব ত্রুটি থাকলেও সেই ছাগলকে কোরবানি দেওয়া যাবে
⇒ ছাগলপাগল, তবে ঘাস-পানি ঠিকমতো খায়।
⇒ ছাগলের লেজ বা কানের কিছু অংশ কাটা, তবে বেশির ভাগ অংশ আছে।
⇒ ছাগলের জন্মগতভাবে শিং নেই।
⇒ ছাগলের শিং আছে, তবে ভাঙা।
⇒ ছাগলের কান আছে, তবে ছোট।
⇒ ছাগলের একটি পা ভাঙা, তবে তিন পা দিয়ে সে চলতে পারে।
⇒ ছাগলের গায়ে চর্মরোগ।
⇒ কিছু দাঁত নেই, তবে বেশির ভাগ আছে। স্বভাবগত এক অণ্ডকোষবিশিষ্ট পশু।
⇒ ছাগল বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম।
⇒ পুরুষাঙ্গ কেটে যাওয়ার কারণে সঙ্গমে অক্ষম।
তবে ত্রুটিযুক্ত ছাগল দ্বারা কোরবানি দেওয়া অনুচিত।