Skip to content

 

ছাগল হিটে না আসলে করণীয়? chagol palon training

ছাগল পালন পদ্ধতি খামারিয়ান ছাগলের খামার ছাগল পালন প্রশিক্ষণ chagol palon training chagoler khamar chagol farm sagol Khamarian 40 ছাগল হিটে না আসলে করণীয়? chagol palon training কৃষি ছাগল পালন ছাগল পালন ছাগল হিটে না আসলে ১৩ টি পদক্ষেপ। ছাগল হিটে আনার উপায় ছাগল হিটে আসার লক্ষণ ছাগল হিটে আসলে ছাগল হিটে আসার ঔষধ

প্রজনন সফলতা নির্ভর করে থাকে মানুষের তথা মালিকের সচেতনতার উপর। তাই পোষ্টটি শেষ  পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ থাকলো।

ছাগল হিটে না আসলে আগে সঠিক কারণ চিহ্নিত করতে হবে। এ জন্য শুরুতেই একজন ভাল ভেটেরিনারি চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। তবে ছাগল গরম না হলে ভিটামিন ইঞ্জেকসন দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক সময় হিটে চলে আসে।

সাধারণত গবাদী প্রাণীর বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন বয়সে গর্ভধারণ করার যোগ্যতা অর্জন করে। ছাগল ৬-১০ মাস এবং ভেড়ার ক্ষেত্রে ৭-১০ মাস। বয়সে প্রজনন বৈশিষ্ট প্রকাশ পায়। তবে এই সময়ের পরেও কিছু সময় লাগতে পারে তা প্রাণীর দেহের গঠনের উপর এবং সরবরাহ কৃত পুষ্টির উপর। সঠিক সময়ে সঠিক পুষ্টি পেলে দ্রুত প্রজণনক্ষম হয়ে উঠে। এই সময়ের পুর্বে যদি ছাগী হীটে আসে তাহলে তাকে বীজ বা ব্রীড করানো ঠিক নয়। এতে করে পরবর্তী সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সঠিক সময়ে তাকে পাঠার কাছে নিতে বা কৃত্তিম বীজ দিতে  হবে নতুবা তা কার্যকরী হবেনা। ছাগীর ডিম্ব সে সময় পর্যন্ত বেচে থাকে তার মধ্যে যদি স্পার্ম এসে মিলিত হতে না পারে তাহলে তা ব্যর্থ হয়ে যায়। সাধারণত স্পার্ম কৃত্রিম ভাবে সিমেন দেয়া হলে ৪-৮ ঘন্টা বাচে কম বেশিও হতে পারে এবং পাঠা দেখানোর ফলে প্রায় ৩০ ঘন্টা পর্যন্ত প্রজননতন্ত্রের মধ্যে বেঁচে থাকতে পারে।

সাধারনত ছাগল বাচ্চা দেওয়ার মাস খানিকের মধ্য আবার ডাকে আসে বা হিটে আসে। এই সময়ের মধ্য যদি না আসে তাহলে বিলম্ব ধরে নেওয়া হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ছাগল হিটে আসে ঠিকই কিন্ত পাঠা দেখানোর পরেও কোন কাজ হয় না।

প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করতে হলে পাঠার স্পার্মকে অবশ্যই হতে হবে মোটাইল বা গতিশীল, সঠিক আকৃতি ও গঠনের। কিছু সমস্যা দেখা যায় কিছু পাঠার স্পার্মের সেক্ষেত্রে হতে পারে তা, দুইটা মাথা, দুইটা লেজ, বাকানো লেজ, মোটা ঘাড় ইত্যাদি। স্পার্মের প্রতিটি অংশই নিজ নিজে কাজে সফল হওয়ায় মাধ্যমে জাইগোটে পরিণত হয়। শুক্রানুর সংখ্যা যদি কম থাকে। প্রতি মিলি সিমেনে কমপক্ষে ১-১.৫ মিলিয়ন হতে হবে (কম বেশি হতে পারে)যার মধ্যে কেবল মাত্র একটি শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারবে।

See also  ছাগলের বাচ্চার রোগ ও চিকিৎসা/ঔষধঃ (৭ প্রকার) ছাগলের বাচ্চার নাভীতে পোকা, ছাগলের বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে করণীয়, ছাগলের বাচ্চার আমাশয় ইত্যাদি।
ছাগল হিটে না আসলে ১৩ টি পদক্ষেপ।   ছাগল হিটে আনার উপায়  ছাগল হিটে আসার লক্ষণ  ছাগল হিটে আসলে  ছাগল হিটে আসার ঔষধ

রোগমুক্ত পাঁঠা নির্বাচন করতে হবে। পাঠা যদি কোন রোগে আক্রান্ত থাকে বিশেষ করে ব্রুসেলোলিস, ট্রাইকোমোনাস ফিটাস, ক্যামফাইলো ব্যকটেরিয়া ফিটাস  রোগে। তাহলে বীজের মাধ্যমে তা ছাগীতে এবং বাচ্চাতে সংক্রামিত হয়ে থাকে। যার ফলে গাভীর প্রজনন সমস্যা সহ গর্ভপাত হতে পারে।

ত্রুটিমুক্ত পাঁঠা নির্বাচন করতে হবে। পাঠা ত্রুটিপূর্ণ হলে সাধারণত একবার বীজ দেখানোর পরে এক মাস পরে আবার ছাগী গরম হয়। পাশপাশি সিমেন প্রয়োগ করার পরে ছাগীর যোনি থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যেতে পারে। ছাগী দেখতে সুস্থ তার পরেও বীজ দেয়ার পরে গর্ভ ধারণের কোন বৈশিষ্ট প্রকাশ পায়না। সিমেন দেয়ার পরেও আবার হীটে আসে ছাগীর পরের ইস্ট্রাস চক্রে। তখন তাকে আবার সিমেন দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।

সঠিক পাঁঠা নির্বাচন করতে হবে, সঠিক ভাবে পাঁঠার পূর্বের ইতিহাস জানলে বোঝা যায় সহজে। ছাগীর সঠিকভাবে রেক্টাল পালপেশন করে জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের অবস্থা পর্যাবেক্ষণ করতে হবে।

প্রথম একবার দেখার পর আসল কারণ জানা কঠিন হয়ে পরে। তাই তখন এক মাস অপেক্ষা করার পর অভিজ্ঞ ভেটেরিনারি ডাক্তারকে দেখাতে হবে। তিনি রেকটাল পালপেশন এর মাধ্যমে ভিতরে কোন সমস্যা আছে কিনা তা জানার চেষ্টা করবেন। আবার গরম হওয়ার পরে ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে দ্বিতীয় বার সিমেন প্রয়োগ করবেন।

১০

বেশি ছাগী থাকলে একজন ছাগীর হিটে আসা না আসা লক্ষ্য করলে ভাল হয়। প্রত্যেহ সকালে ছাগীর অবস্থা দেখে তা নির্ণয় করা যাবে। সেক্ষেত্রে প্রধান বৈশিষ্ট হল, যোনিপথ দ্বারা মিউকাস পড়তে দেখা যাবে, একটা ছাগী অন্য ছাগীর উপর লাফ দিয়ে উঠবে। ছাগী খাওয়া বন্ধ করে চিৎকার করতে থাকবে। আর গরম দেখার প্রায় ১২ ঘন্টা পরে ষাড় বা সিমেন প্রয়োগ করতে হবে। সিমেন প্রয়োগের সময় ১ ডোজ জি এন আর এইচ ইঞ্জেকশন করা যেতে পারে। তাহলে কন্সেপশান রেট ভাল থাকে।

See also  ছাগলের জলাতঙ্ক

১১

ছাগীর হিটে আসার পর অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ানের সাথে সাক্ষাত করে পরামর্শ গ্রহণ করা। ছাগী বা গাভীর ক্ষেত্রে সাধারণত হিটে আসে খুব সকালে সেক্ষেত্রে তাকে সিমেন প্রয়োগ করাতে হবে শেষ বিকাল বেলা  না হলে সন্ধ্যাবেলা। আর যদি সন্ধার সময় গরম হয় তাহলে পরদিন সকালে বীজ দিতে হবে। প্রয়োজনে  দুইবার এ.আই. করলে কনসেপসন হার বেশি থাকে। অভিজ্ঞ টেকনেশিয়ান দ্বারা বীজ দিয়ে নিতে হবে।

১২

ছাগীর হিট দেখার পরে ১২ ঘন্টার পর থেকে ১৮ ঘন্টার মধ্যে বীজ দিতে হবে। এটার ফলে বীজ দেখার পর ইনফান্ডিবুলেমে যেতে প্রায় ৪-৮ ঘন্টা সময় লাগবে অন্যদিকে ডিম্বকে আসতে প্রায় ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে। তার ফলশ্রুতিতে স্পার্ম ও ওভামের মিলনের ফলে ছাগীর বাচ্চা ধারণ করতে সমস্যা হবে না।

১৩

শেষ একটি চিকিৎসা হল হরমোনাল থেরাপি। ছাগল যদি আগে কোন সময় হিটে না আসে তাহলে Fertilon injection দিয়ে সহজেই হিটে নিয়ে আসা যায়। এক্ষেত্রে এটি চমৎকার কাজ করে। আর যদি আপনি নিশ্চিত হতে পারেন ডিম্বানুতে করপাস লুটিয়াম আছে তাহলে Prostenol, Ovuprost injection. দিলে ছাগল ১০০% হিটে আসবে। আর ছাগলকে অব্যশই ভাল পাঠা দেখাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!