Skip to content

 

Wait...❤😘 Show love? ⬇⬇⬇

20টি ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

20টি ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

বিষয়: 20টি ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
হ্যাশট্যাগ: #ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

20টি ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য

১. ছাত্রদের সাথে কল্যাণকর, কোমল, সহজ, স্নেহপূর্ণ ও ভাল আচার-আচরণ করা কর্তব্য।

২. ভুল না পড়ানো: ভুল পড়ানো, ভুল ব্যাখ্যা দেয়া অথবা ভুল মাসআলা বলা সম্পূর্ণ হারাম। নিজের মূর্খতা গোপন করার জন্য এরূপ না করা উচিত।

৩. কোন বিষয় না জানা থাকলে বলবে জানি না। নিজের পক্ষ থেকে আন্দাজে কিছু না বলা উচিত।

৪. ছাত্রদের রুচি, যোগ্যতা এবং মেজাযের প্রতি লক্ষ্য রেখে কথা বলা।

৫. ছাত্রদের মেধাগত ধারণ ক্ষমতার প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের জন্য বিষয়বস্তু নির্বাচন ও উপস্থাপন করা কর্তব্য। বক্তব্যের ভাষা, অলংকার প্রয়োগ ও সবকের পরিমাণ নির্ধারণ এ নীতি অনুসারেই হতে হবে; নতুবা বিষয় তাদের বোধগম্য হবে না কিংবা মেধা স্থবির হয়ে পড়বে, আর এভাবে তারা লেখা পড়ায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।

৬. ছাত্রদের দেহমনে সজীবতা ও অনুপ্রেরণা বহাল রাখার জন্য বৈধ পন্থায় তাদেরকে কিছু সময় আনন্দ ফুর্তির সুযোগ দিতে হবে এবং তাদের পানাহার ও আরাম বিশ্রামের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।

৭. ছাত্রদেরকে শুধু কিতাবী ইল্‌ম শিক্ষা দেয়াই যথেষ্ট নয় বরং তাদের আমল আখলাকের প্রতিও লক্ষ্য রাখতে হবে।

৮. উস্তাদের বক্তব্য যেন ছাত্ররা শুনতে পায়- এতটুকু উচ্চস্বরে ভাষণ দেয়া (বা আওয়াজ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা) উস্তাদের কর্তব্য এবং এটা ছাত্রদের হক।

৯. এক বারে ছাত্ররা বুঝতে বা উপলব্ধি করতে না পারলে দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার ভাষণ দিয়ে, ব্যাখ্যা করে পড়ানো উস্তাদের কর্তব্য এবং ছাত্রদের হক।

১০. মাঝে মধ্যে ছাত্রদের পরীক্ষা নেয়া এবং ছাত্রদের জ্ঞানের উন্নতি ও বিশুদ্ধতা যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।

১১. কোন বিষয় বা কোন বিশেষ কিতাব কোন ছাত্রের পক্ষে ক্ষতিকর হলে তা থেকে তাদেরকে বিরত রাখা।

১২. ছাত্রদের ফলপ্রসু ইলম দানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

১৩. রাগান্বিত অবস্থায় কোন কথা বলায় ছাত্রের উপকার হবে বুঝতে পারলে সেভাবেই বলা।

১৪. কোন এক ব্যাপারে রাগ করলে অন্য ব্যাপারে সে রাগের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা উচিত নয়। এমনি ভাবে এক জনের উপর রাগ হলে সকলের উপর সে রাগ ঝাড়াও ঠিক নয়।

১৫. ছাত্রের কোন প্রশ্নের জবাবে প্রয়োজনীয় ও উপকারী বিষয় থাকলে তার যথাসম্ভব জবাব দেয়া এবং জবাবের সাথে আনুষঙ্গিক কোন জরুরী বিষয় থাকলে সেগুলোও বলে দেয়া।

১৬. অযোগ্য, বদমেজাযী বা স্নেহশীল নয়-এমন ব্যক্তির উস্তাদ হওয়া বা এমন ব্যক্তিকে উস্তাদ বানানো উচিত নয়। এরূপ করলে ছাত্রদের হক নষ্ট হবে।

১৭. উস্তাদের নিজের মধ্যে আদব ও আমল আখলাক থাকা বাঞ্ছনীয়। কেননা, তাঁর আদব ও আমল আখলাকের প্রভাব ছাত্রের উপর পড়বে।

১৮. ছাত্রকে পড়ানোর পূর্বে উস্তাদের ভালভাবে পড়ে যাওয়া উচিত।

১৯. ছাত্রদের মেধা ও স্মৃতি বর্ধনের কোন কৌশল ও পন্থা জানা থাকলে তাদেরকে তা অবহিত করা উচিত।

২০. উস্তাদ বড় এবং ছাত্র তার ছোট; অতএব ছোটদের প্রতি বড়দের যা যা করণীয় উস্তাদকে ছাত্রের জন্য তা তা করণীয়।

সমাপ্ত: ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সূত্র: আহকামে জীন্দেগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!