Skip to content

 

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং জব/টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং জব/টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি

বিষয়: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং জব/টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি।
হ্যাশট্যাগ: #টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং জব #টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি।

কখন বুঝবেন আপনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ শিখেছেন/পারেন?

টেক্সটাইল এর জবের ক্ষেত্রে আমরা সবাই বলি যে কাজ শিখি বা শিখে নাই,  কিন্তু কাজ শেখা পরিমাপের কি কোন মাপ কাঠি আছে কিনা। কিছু লক্ষন আছে যা হলে আপানি নিজেই কাজ শিখেছেন কিনা পরিমান করতে পারবেন:

১. প্রথম লক্ষনন হলো আপনার ট্রেইনি পদ থেকে আপনাকে অব্যাহতি দেয়া হবে।

২. শিফট এর ইনচার্জ এর পদ এ দায়িত্বে আসবেন।

৩. শিফটিং নিজেই বুজে নিবেন নিজেই বুঝাই।

৪. কারো সাহায্য ছাড়া গ্রে টু ডাইং ফিনিশিং করতে পারবেন বায়ার এর রিকোয়ারমেন্ট ফিল করে।

৫. মার্চেডাইজার হলে সেড, কোয়ালিটি, ডেভলপমেন্ট করতে পারবেন।

৬. মার্চেডাইজার এর জন্য সবচেয়ে বড় হলো কোন সেড, এর সমস্যা যুক্ত কাপড় খাওয়াতে পারবেন,  সেটা নিজেই বুঝবেন।

৭. মার্চেডাইজার হিসেবে নিজেই ইন্ডিভিজুয়াল স্টাইল ফলোয়াপ টু শিপমেন্ট করতে পারবেন।

৮. মার্কেটিং এর লোক হলে নিজে অর্ডার নেয়া,  PI নেয়া, কাজ করিয়ে ডেলিভারি দিয়ে ফিনেন্স ক্লিয়ারিং করতে যদি পারেন।

৯. ডাইং ফিনিশিং এর লোক হলে নিজেই এডিশন, টপিং করে সেড মিলাতে এবং ফিনিশিং করতে পারবেন।

১০. ফেব্রিক এর লোক হলে নিজেই কাউন্ট, স্টিচ লেন্থ এর পোগ্রাম দিয়ে নিজেই GSM ওকে, ডিজাইন ওকে করতে পারবেন।

১১. উইভিং হলে নিজেই উইভ প্লান, লুম প্লান প্রডাকশন প্লান করতে পারবেন।

১২. প্লানিং হলে নিজেই ফলোয়াপ, আপডেট, বুকিং, ডেলিভারি, ইনফোরমেশন দিতে পারবেন।

১৩. কোয়ালিটি হলে নিজেই সেড, কোয়ালিটি বুঝে ডেলিভারি করতে পারবেন।

নতুন প্রডাকশন জব পেলে কাজ, ফ্লোর বুঝে নেয়ার ক্ষেত্রে করনীয়ঃ

যারা টেক্সটাইল এ নতুন জব এ ঢুকেছেন  বা একে বারে ফ্রেশ তারা, নতুন নতুন খুব বিব্রতকর পরিবেশ এ থাকে কাওকে চিনেনা জানেনা তাদের জন্য উপদেশ

যে কোন ফেক্টরীতে নতুন লোক মানে হয়তো তারা বায়ার,  হয়তো পার্টির সাব কন্টাক্ট এর লোক, হয়তো মার্চেন্টডাইজার তাই সবাই আপনার দিকে তাকাবে আর বলবে উনি কে কিন্তু আপনাকে না চেনার কারনে কেও কথা বলবে না, কারন আপনি নতুন তাই আপনি নিজে পরিচিত না হলে, কেও এগিয়ে পরিচিত হয়ে আসবে না।  যারা নতুন তাদের কিছু দিন ফ্লোর এ ছেড়ে দেয়া হয় করন তারা ফ্লোর চিনুক। আর আপনি ইজি না হলে ফ্লোরে কাজ করতে পারবেন না বা করাতেও পারবেন না। তাই ফ্লোরে পরিচিতি এবং দ্রুত কাজ বুঝে নেয়ার ক্ষত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

আপনার  করনীয় কিছু বিষয়ঃ-

১.  নিজে গিয়ে পরিচিত হোন অন্য সকল কলিগ দের সাথে।

২. হাসিমুখে কথা বলুন সবার সাথে, পোলাইটনেস দ্রুত সবার মনে জায়গা দেবে ।

৩. সবার নাম, পরিচয়, ডেসিগনেশন  মুখাস্থ করে নিন। এবং জুনিয়র দের নাম ধরে ডাকুন।

৪.  কে কোথায় কাজ, তাদের সেকশন, ডিপার্টমেন্টে কাজ করে তা জেনে রাখুন। যাতে অন্য ডিপার্টমেন্টে কাজের প্রয়োজনে গেলে হেল্প পান।

৫. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কে কে আছেন তা জেনে নিন, তাদের ইন্সটিটিউশন তাদের চয়েস জেনে রাখুন।

৬.  আপনার মাঝে জড়তা থাকলে আপনি কাজ করে মজা পাবেন না,  আর ফেক্টরীতে যারা মিশুক বা চঞ্চল তাদের সবাই লাইক করে।  সে অনেক বিপদ থেকে এমনি মুক্তি পায়।

৭. ক্যামিকেল স্টোর থেকে ফেক্টরির ব্যাবহার্য ডাইজ ক্যামিকেল এর ব্রেন্ড নেইম ফাংশন এবং কনজিউম রেইট বা gpl জেনে নিন।

৮. বায়ারদের লিস্ট করুন তাদের কোয়ালিটি রিকোয়ারমেন্ট গুলি মুখস্থ করে ফেলুন, তাদের স্টাইল, অর্ডার কোয়ানটিটি গুলি মুখস্থ করে ফেলুন আগের রেকর্ড এর জন্য আগের অর্ডার সিট বুকিং ফাইল, রেসিপি ফাইলে দেখতে পারেন।

৯. প্রতিটা মেশিন এর সমস্যা, প্যারামিটার, মেশিন স্পেসিফিকেশন নোট করুন, প্রডাকশন খাতায় সব বায়ার এর প্যারামিটার পাবেন তা  মুখস্থ করে নিন। বা একটা পকেট ডাইরি করে ফেলুন যাতে সব তথ্য থাকবে এবং মাঝে মাঝে এই গুলি পড়বেন।

১০. সংস্লিস্ট ডিপার্টমেন্ট এবং নিজ শিফট এর সবার নাম্বার রাখুন। বিপদে এবং প্রয়োজনে কাজে লাগবে।

১১. প্রডাকশন ক্যাল্কুলেশন, এবং রিপোর্টিং এর নিয়ম সিনিয়র এর কাছ থেকে শিখে নেবেন এ ক্ষত্রে লজ্জা করে লাভ নাই , নয়তো ডেইলি ভুল করবেন আর বকা খাবেন। ভুল হলে আগেই স্বিকার করে নেবেন।

১২. দিনে কি কি ডাইং ফিনিশিং হবে তা প্রোগ্রাম খাতা দেখে ৫-১০ মিনিটে সম্পুর্ন মুখস্থ করে ফেলুন যাতে জিজ্ঞেস করা মাত্রই উত্তর পান বা কাছাকাছি কিছু  বলতে পারেন।

১৩. ফ্লোরে হাটার সময় সব সময় ব্যাচ কার্ড গুলি খেয়াল করবেন কালার গুলি দেখবেন এতে আপনার পুরো ফ্লোর মুখস্থ থাকবে। কোন বায়ার এর কাপড় কি অবস্থায় আছে তা বলতে পারবেন। ইনফোরমেশন এর ডাটা বেইজ বাড়ান।

১৫. ডিউটির মাঝে মাঝে মেশিন ওয়াইজ অপারেটর বা ফ্লোর সুপারভাইজার কে ডেকে জিজ্ঞেস করুন কাজের অবস্থা আপনার তাহলে ফ্লোরে যেতে হবে না।

১৬. ডাইজ ক্যামিকেল এর আপডেট, স্টক, কোয়ালিটি জানার জন্য ১০-২০ সময় রাখুন বা স্টোরে গিয়ে রিপোর্ট গুলি দেখুন।

১৭. ডিউটি শেষ হলে মোবাইলে প্রগ্রাম এর ছবি তুলে নিন যাতে করে পরে কি কি ডাইং ফিনিশিং হবে তা পরের নিন সকালে বা ডিউটিতে আসার সময় একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনি আপডেট থাকতে পারবেন।

১৮. সমস্যা গুলি সিনিয়রদের লিখিত আকারে জানান, ফোন টেক্সট আকারে জানান ।

১৯. রেসিপি লেখার ক্ষত্রে চেক এবং রিচেক করে নিন।

২০. কাজ না থাকলে ফ্লোরে রাউন্ড দিন, ফ্লোর ক্লিন মেশিন ক্লিন করান, ফ্লোর গোছান।

২১. নতুন ফ্লোরে জবের ক্ষত্রে অনেকে ভয় পায় অপরিচিত পরিবেশ অপরিচিত লোকজন কিন্তু ভয় পাওয়া যাবে না সবাই কে মনে পরিচিত ভাবুন মানূষিক ভাবে কনফিডেন্ট থাকুন , মনে করবেন যে এটা আমার ২-৩ নাম্বার জব তাই কাওকে ভয় পাওয়ার কিছু না।

২২. নতুন হিসেবে কাওকে রিকুয়েস্ট করতে যাবেন না ওর্ডার ওর্ডারি,  রিকুয়েস্ট করে পরবর্তিতে কাওকে কথা শোনাতে পারবেন না। ওর্ডার দেয়া শুরু করলে এর অভ্যাস হয়ে যাবে।

২৩. Honesty is the best পলিসি সদা সত্যি বলবেন এটা আপনাকে ৫% বিপদে ফেললে ৯৫% বিপদ থেকে উদ্দার করবে এবং পজেটিভ ইমেজ ক্রিয়েট করবে।

২৪. প্রথমে সিনিয়র এর অর্ডার এক্সিকিউশন করবেন কিন্তু নিজে অর্ডার দিতে  যাবেন না।

২৫. আগ বাড়িয়ে সবার কাছে হেল্প চাইতে হবে ইগো থাকা যাবে না।

বিদ্রঃ  জুনিয়র দের জন্য জব বরাবরি কঠিন, তাদের সব কিছুতে সবাই ভুল ধরবে  তাই এক্ষত্রে অনেকটাই ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে প্লান করে চলতে হবে যাতে কেও ভুল না ধরতে পারে আর ভুলের রিপিট যেনো না হয়। ফ্লোর মুখস্থ না থাকা, পরিচিতি না বাড়ানোর জন্য অনেকেই ফ্লোরে জায়গা করে নিতে পারেন না।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ভালো একটি ফ্যাক্টরিতে জব/চাকরি করতে চাই, তো সেই ভালো ফ্যাক্টরি কাকে বলে?

ভালো ফেক্টরির সংজ্ঞা একজনের এক রকম,  এটি নির্ভর করে কিছু বিষয় এর উপর।  জেনে নেয়া যাক ব্যাক্তি বিশেষ ভালো মন্দের হিসেব :

মালিক এর ভালো – ফেক্টরির টার্ন ওভার।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এর ভালো –  স্টার্টিং স্যালারি,  ইনক্রিমেন্ট,  টাইমলি স্যালারি,  টেকনিকাল কাজ।

ওয়ার্কার এর ভালো –  টাইমলি স্যালারি।

বায়ার এর ভালো – ভালো কোয়ালিটি, লো কস্টিং, প্রডাকশন ক্যাপাসিটি, টাইমলি শিপমেন্ট।

মার্কেটিং মার্চেন্ডাইজার এর ভালো – কমিশন, % , সাজানো ফ্লোর।

বাইং হাউস এর ভালো – ভালো কমিশন।

সাবকন্ট্রাক পার্টি এর ভালো –  টাইমলি ডেলিভারি, কস্ট সেইভিং।

সরকার এর ভালো –  ভ্যাট, টেক্স, রেমিটেন্স,  কর্মসংস্থান।

BGMEA_BKMEA এর ভালো – মেম্বার শিপ নেয়া,  অর্ডার দ্রুত পালন করা।

ফ্রেশার এর ভালো – – স্টার্টিং স্যালারি,  ডিউটি ডিউরেশন।

সাপ্লাইয়ার এর ভালো – – সময় মতো বিল দেয়া।

ইন্সটিটিউশন এর ভালো – – গ্রেজুয়েট ইন্টার্ন,  রিক্রুটমেন্ট।

অর্গানাইজেশন এর ভালো – এক্রিডিয়েশন নেয়া।

শুধু মাত্র ব্যাহ্যিক সৌন্দর্য দিয়ে টেক্সটাইল বা গার্মেন্টস ফেক্টরির ভালো মন্দ নির্ধারন করা যায় না,  তাই ভালো মন্দ খুঁজতে আপনাকে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কারন খুজে দেখতে হবে।

এখানে মালিক এর এর টার্ন ওভার যেমন বায়ার এর হিসেব করে লাভ নেই,  তমনি বাইং কমিশন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এর হিসেব করে লাভ নেই।

তবে অল ওভার ভালো হতে সব গুলি সমন্বয় প্রয়োজন।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে কি অন্য সেক্টরে জব/চাকরি করতে পারবে না?

অন্য ইঞ্জিনিয়াররা সব জব করতে পারলে আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার,  আমি সব জব করতে,  অন্য বিষয়ে পড়তে পারবো না

হা একজন ইঞ্জিনিয়ার চাইলে সব কিছু হতে পারে, তবে  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার নয় কেনো।

মেক্সিমাম ক্ষত্রে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গন মানূষিক ভাবে তার নিজ সেক্টর এর উপর এতো পরিমান  নির্ভরশিল যার জন্য তারা দির্ঘ দিন বেকার থাকবে কিন্তু তারা সেক্টর মাইগ্রেট করতে চায় না।

এরি মাঝে স্পেশাল অনেকেই আছেন যারা তাই   গতানুগতিক ধারার বাইরে ও ভাবেন।

যেমন:

১. এখন ওনেক টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার আছেন যারা BCS এর চান্স পাচ্ছেন  যদিও আমাদের জন্য আলাদা কোন কোটা নেই,  তার পরো তারা অন্য দের সাথে প্রতিযোগিতা করে নিজের স্থান অর্জন করছেন।

২. পুলিশ  SI খুঁজলে এখন পাবেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।

৩. BUET -IP তে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার থাকবেই প্রতিবার।

৪. IBA DU JU EMBA এখন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার অহরহ।

৫. ব্যাংকার যে কোন ব্যাংক এর নিয়োগ  এ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার থাকেই।

৬. টিভির নিউজ রিডার ও আছেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।

৭. PSC তে নন ক্যাডার হিসেবে প্রতি সার্কুলার নিয়োগ হচ্ছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।

৮. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার এখন অনেক ফ্রি লেন্সার।

৯. তার উপর সামনে BCS এ টেক্সটাইল এর অন্তর্ভুক্তির কথা ভাবছে সরকার।

টেক্সটাইল এর বেকারত্বর মুল কারন হচ্ছে আমরা,  অনেক টাকা আছে এমন একটি ভ্রান্ত ধারনার নিয়ে বসে থাকি যা অদৌ সঠিক নয়। লক্ষ লক্ষ টাকার নামে যে গল্প শুনি তা যে কোন সেক্টরে কয় বছর জব করতেই পাওয়া যায় টেক্সটাইল এর মতো ১৫ বছর অপেক্ষায় করতে হয় না বা তার পরো অবৈধ উপায়ে কমিশন খেয়ে অর্জন করতে হয়ে,  কিন্ত টেলিকম ( গ্রামীণ,  এয়ার টেল,  রবি)  কিংবা ব্যাংক  গুলি কথা চিন্তা করুন যাদের স্টার্টিং হেন্ডসাম,  ২-৩ বছর পর ত কথাই নেই তাও কালার ক্যামিকেল,  কাপড় এর উপর অবৈধ উপায়ে অর্জন করতে হয় না।

সবাই যদি আমরা টেক্সটাইল নির্ভর হয়ে বসে থাকি তখন প্রতিযোগী বাড়বে নিজেদের মাঝে বেকারত্বের, প্রতিযোগীতা বাড়বে  আর সুসম্পর্ক নস্ট হবে আমাদের ভেতরে এর এই সুযোগ কাজে লাগাবে মালিকপক্ষ।  এতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গন সস্তা হয়ে যাবেন।

টেক্সটাইল একেবারে পিউর ইঞ্জিনিয়ারিং নয়,  এটি অনেকটাই অনার্স সমমানের আর একজন অনার্স সমমানের স্টুডেন্ট যে কোন সেক্টরে জব করতে পারেন পড়াশুনো ও করতে পারেন।

নোট: সচেতনতা নিজের কাছে,  একটু সচেতন হলে হলে ক্যারিয়ার ফ্রাস্টেশনে ভোগা লাগবে না।

সমাপ্ত: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং জব/টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copyright Notice

কপি করা নিষিদ্ধ!